|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * মিরপুরে যুবককে কুপিয়ে হত্যা   * সিধুলী সরকারি প্রাঃ বিদ্যাঃ বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত   * সংসদ সদস‍্যের কাছে দোয়া চাইলেন ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোঃজহিরুল ইসলাম খোকন   * চরভদ্রাসনে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানে বকনা বাছুর বিতরন   * কুমিল্লায় জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা`র ৪৩ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত   * বীরমুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ নবগঠিত কমিটি পরিচিত সভা অনুষ্ঠিত।   * পুরাণ ঢাকার চকবাজার রাজউক এর উচ্ছেদ অভিযান।   * ঢাকা মেডিকেল রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মাসুদ সাধারণ সম্পাদক আমানত   * মিরপুর বিআরটিএ দালালমুক্ত করবে দ্বায়িত্বে থাকা আনসার কমান্ডার হাশেম   * বগুড়া-০৬ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন সাংবাদিক নয়ন রায়  

   রাজধানী -
                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                 
একমাত্র শেখ হাসিনাই সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখের অংশীদারঃ ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস

বিশেষ প্রতিবেদক, আবুল মনসুর আহমেদ:

একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই সাধারণ মানুষের পাশে থেকে তাদের সুখ-দুঃখের অংশীদার হয়ে জনকল্যাণে কাজ করে চলেছেন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। 

 

আজ সকালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৬ ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের শীতার্ত বাসিন্দাদের মাঝে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস এ মন্তব্য করেন। 

 

ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মায়ের মমতা দিয়ে বাংলাদেশকে আলিঙ্গন করে রেখেছেন। তিনি বুঝেন কার কি কষ্ট, কার কি বেদনা। তিনি সর্বাত্মকভাবে সেটা উপলব্ধি করেন বলেই সবসময় সাধারন মানুষের পাশে থেকে জনকল্যাণে নিজেকে নিবেদিত করেছেন। তাই আপনাদের ভোটে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পরেই তিনি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে এই তীব্র শীতে যাতে আপনারা কষ্ট না পান সেজন্য উপহার হিসেবে এই কম্বল পাঠিয়েছেন। একমাত্র জননেত্রী শেখ হাসিনাই সাধারণ মানুষের কল্যাণে, সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখের অংশীদার হিসেবে পাশে ছিলেন, আছেন এবং আগামীদিনেও থাকবেন ইনশাআল্লাহ।"

 

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে ৭ লক্ষ টিসিবি কার্ড বিতরণ করা হয়েছে জানিয়ে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "যখন সারাবিশ্বে দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতি তখন জননেত্রী শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করেছেন। সাধারণ মানুষ যাতে ন্যায্য মূল্যে খাদ্য সামগ্রী পায়, তাদের যাতে কোনো ভোগান্তি না হয়, সেজন্য তিনি ১ কোটি টিসিবি কার্ড প্রদান করেছেন। এই টিসিবি কার্ডের মাধ্যমে শুধু নিম্ন আয়ের মানুষই নয়, মধ্যম আয়ের জনগোষ্ঠীও ন্যায্য মূল্যে খাদ্য সামগ্রী পাচ্ছে। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে আমরা ঢাকায় প্রায় ৭ লক্ষ টিসিবি কার্ড প্রদান করেছি।"

 

এ সময় ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে ২ হাজার এবং ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে ১ হাজার ৬০০ শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।

 

এর আগে ঢাদসিক মেয়র হাতিরপুল বাইতুল মোমিন হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার নূরানী শাখার ৩য় তলার নতুন ভবনের উদ্বোধন করেন।

 

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মোর্শেদ হোসেন কামাল, করপোরেশনের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বাবুল, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মাহবুবুর রহমান, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর নারগিস মাহতাব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

একমাত্র শেখ হাসিনাই সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখের অংশীদারঃ ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস
                                  

বিশেষ প্রতিবেদক, আবুল মনসুর আহমেদ:

একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই সাধারণ মানুষের পাশে থেকে তাদের সুখ-দুঃখের অংশীদার হয়ে জনকল্যাণে কাজ করে চলেছেন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। 

 

আজ সকালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৬ ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের শীতার্ত বাসিন্দাদের মাঝে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস এ মন্তব্য করেন। 

 

ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মায়ের মমতা দিয়ে বাংলাদেশকে আলিঙ্গন করে রেখেছেন। তিনি বুঝেন কার কি কষ্ট, কার কি বেদনা। তিনি সর্বাত্মকভাবে সেটা উপলব্ধি করেন বলেই সবসময় সাধারন মানুষের পাশে থেকে জনকল্যাণে নিজেকে নিবেদিত করেছেন। তাই আপনাদের ভোটে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পরেই তিনি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে এই তীব্র শীতে যাতে আপনারা কষ্ট না পান সেজন্য উপহার হিসেবে এই কম্বল পাঠিয়েছেন। একমাত্র জননেত্রী শেখ হাসিনাই সাধারণ মানুষের কল্যাণে, সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখের অংশীদার হিসেবে পাশে ছিলেন, আছেন এবং আগামীদিনেও থাকবেন ইনশাআল্লাহ।"

 

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে ৭ লক্ষ টিসিবি কার্ড বিতরণ করা হয়েছে জানিয়ে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "যখন সারাবিশ্বে দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতি তখন জননেত্রী শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করেছেন। সাধারণ মানুষ যাতে ন্যায্য মূল্যে খাদ্য সামগ্রী পায়, তাদের যাতে কোনো ভোগান্তি না হয়, সেজন্য তিনি ১ কোটি টিসিবি কার্ড প্রদান করেছেন। এই টিসিবি কার্ডের মাধ্যমে শুধু নিম্ন আয়ের মানুষই নয়, মধ্যম আয়ের জনগোষ্ঠীও ন্যায্য মূল্যে খাদ্য সামগ্রী পাচ্ছে। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে আমরা ঢাকায় প্রায় ৭ লক্ষ টিসিবি কার্ড প্রদান করেছি।"

 

এ সময় ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে ২ হাজার এবং ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে ১ হাজার ৬০০ শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।

 

এর আগে ঢাদসিক মেয়র হাতিরপুল বাইতুল মোমিন হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার নূরানী শাখার ৩য় তলার নতুন ভবনের উদ্বোধন করেন।

 

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মোর্শেদ হোসেন কামাল, করপোরেশনের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বাবুল, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মাহবুবুর রহমান, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর নারগিস মাহতাব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকাকে পূর্ণ বৈশিষ্ট্য ফিরিয়ে আনতে হলে ঐতিহ্যকে ধারণ করতে হবেঃ ঢা.দ.সি.ক. মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস
                                  

বিশেষ প্রতিবেদক, আবুল মনসুর আহমেদ:

ঢাকাকে তার পূর্ণ বৈশিষ্ট্যে, পূর্ণ চরিত্রে ফিরিয়ে আনতে হলে আমাদেরকে ঐতিহ্যকে ধারণ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস নূর তাপস।

 

আজ বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন নেতার মাজার সংলগ্ন এলাকায় সংস্কার পরবর্তী ঐতিহাসিক `ঢাকা ফটক (গেট)` এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ মন্তব্য করেন। 

 

ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "আমরা সারা বিশ্বের অনেক বড় বড় দেশ ঘুরি। অনেক কিছুই আমরা দেখি। আমরা যদি দুবাই, সিঙ্গাপুরের কথা বলি, তাহলে আপনারা দেখবেন অনেক বড় বড় অট্টালিকা, বড় বড় সড়ক, বড় বড় স্থাপনা। কিন্তু তার সবই নতুন। তারা হয়তো সাগরকে ভরাট করে নির্মাণ করছে। এরকম তারা অনেক কিছুই করতে পারবে। কিন্তু ৪০০ বছরের পুরনো ঢাকা ফটক সেসব এলাকায় পাওয়া যাবে না। এটাই হলো আমাদের ঐতিহ্যের জায়গা, আমাদের গর্বের জায়গা। সুতরাং ঢাকাকে যদি তার পূর্ণ বৈশিষ্ট্যে, পূর্ণ চরিত্রে ফিরিয়ে আনতে হয় তাহলে আমাদেরকে ঐতিহ্যকে ধারণ করতে হবে।" 

 

এই সংস্কার কাজের মাধ্যমে দু`টো বিষয়কে পুনরুজ্জীবিত করা হয়েছে জানিয়ে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "আমার প্রথম সন্তান যেদিন হয়েছিল, সেদিন যে রকম আনন্দিত হয়েছিলাম আমি আজকে সে রকম আনন্দ বোধ করছি। আজকে আমরা একটি ইতিহাসকে পুনরুজ্জীবিত করেছি, সে রকম একটি আবেগ-উপলব্দি আমার মধ্যে কাজ করছে। ছোটবেলায় যখন আমরা গুলিস্তান দিয়ে যেতাম তখন এই কামানের দিকে তাকিয়ে থাকতাম। অনেকে দেখতাম সেই কামানের উপর খেলাধুলা করছে। এটা হারিয়ে গিয়েছিল। এই কামান দিয়ে মীর জুমলা আসাম আক্রমণ করেছিলেন এবং আসাম বিজয় করেছিলেন। সেই কামানটি এখন ঢাকা ফটক প্রাঙণে আমরা নিয়ে এসেছি। সুতরাং আমরা দুটি বিষয়কে পুনরুজ্জীবিত করেছি। একটি হলো ঢাকা ফটক, আরেকটি হলো আসাম অভিযানের শেষ নিদর্শন এই কামান।"

 

ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস এ সময় লালকুঠি সংস্কার করা হচ্ছে এবং এ বছরের মধ্যে তা সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলে জানান। এছাড়াও তিনি রুপলাল হাউস, বড় কাটরা ইত্যাদি ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো সংস্কার ও সংরক্ষণের লক্ষ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তরের জন্য ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও ঢাকা জেলা প্রশাসনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানান এবং সেগুলো হস্তান্তরে সকলের ভূমিকা কামনা করেন। 

 

এ সময় তিনি ঢাকা ফটকসহ এ সকল ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোতে কোন ধরনের ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন না লাগানোর জন্য সকলকে অনুরোধ করেন এবং লাগানো হলে জরিমানা করা হবে বলেও জানান। 

 

ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, "আজকের এই উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ঢাকার ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যকে রক্ষা করার একটি মহতী উদ্যোগ নিয়েছেন। সেজন্য তাকে অভিবাদন জানাই। ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র এমনই উদ্যোগ নেবেন, এটা খুবই স্বাভাবিক। মুনতাসীর মামুন স্যার বলেছেন, সেই স্বাভাবিক উদ্যোগ অনেক প্রচেষ্টা করেও তিনি কাউকে দিয়ে করাতে পারেন নাই। কিন্তু আমাদের বর্তমান মেয়র সেই স্বাভাবিক কাজটি দ্রুতগতিতে উদ্যোগ নিয়ে করেছেন। এটাই হলো স্বাভাবিকের ভেতরে অস্বাভাবিক কাজ । সুতরাং এই অস্বাভাবিক কাজটি আমাদের আগামীদিনের জন্য আরো করে যেতে হবে। ঢাকার ইতিহাস-ঐতিহ্যের সাথে আমাদের অনেক স্থাপনা এবং পত্নতাত্ত্বিক বিষয় জড়িত আছে। যেগুলো নিয়ে অনেক গবেষক, ইতিহাসবিদ কাজ করে যাচ্ছেন। আমার বিশ্বাস, দক্ষিণ সিটির মেয়র এই সকল বিষয়গুলোকে রক্ষা করবেন। ঐতিহ্যকে তুলে ধরার মধ্য দিয়ে তিনি বাঙালির চেতনা, মূল্যবোধ এবং ঐতিহ্যকে আরো জাগ্রত করতে সক্ষম হবেন।"

 

অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, "আমরা উন্নয়ন মানে বুঝি, সবকিছু ভেঙে-চুরে নতুন করে নির্মাণ করা। কিন্তু ঢাকা ফটকের যে সংস্কার কাজ দেখলেন, এটা কিন্তু সম্পূর্ণ আলাদা কাজ। এটা নতুনভাবে নির্মাণ নয়। এটাকে অর্জিনিয়াল ফর্মে নিয়ে যাওয়া। এখন আমাদের মনে হয়েছে, সবার শিক্ষিত সার্টিফিকেট আছে কিন্তু সংস্কৃতি আলাদা জিনিস। শিক্ষা-সংস্কৃতির সমন্বয় না হলে এই ধরনের কাজে হাত দেওয়া যায় না। আমি খুবই আনন্দিত, আমরা যখন বর্তমান মেয়রকে বিষয়গুলো বলি তিনি তা যথেষ্ট আন্তরিকতার সাথে উদ্যোগ নিয়েছেন। আপনারা জানেন হয়তো, তিনি ঐতিহ্য সংরক্ষণে ঢাকা শহরকে ছয়টি (মূলত ৭টি) ঐতিহ্য বলয়ে ভাগ করেছেন। যেটার কাজ তিনি নর্থবুক হল থেকে শুরু করেছেন। প্রথম কাজ হিসেবে এই ফটককে বেছে নেওয়া হয় এবং আজকে এটা ঢাকা ফটক নামে উদ্বোধন করা হলো। যথেষ্ট আন্তরিক এবং সংস্কৃতিবান না হলে এই ধরনের কাজ করা খুবই দুরূহ।"

 

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবু সাঈদ এম আহমেদ এই সংস্কার কার্যক্রমের আদ্যোপান্ত নিয়ে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করেন।  

 

৮২ লক্ষ ৪০ হাজার ঐতিহাসিক ঢাকা ফটক সংস্কার করা হয়েছে। মেসার্স আহনাফ ট্রেডিংস এই সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে। এর মাধ্যমে ঢাকা ফটক তথা মীর জুমলার ফটককে পুরনো অবয়বে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। 

 

সংস্কার কাজে চুন, সুপারির কস, খয়ের, চিটাগুড় ও ইটের গুড়া এবং ফ্লোরের জন্য মধ্যপাড়া গ্রানাইট পাথরকুচি

ব্যবহার করা হয়েছে। 

বায়ুদূষণ কমাতে গবেষণা করে ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ ডিএনসিসির
                                  

বিশেষ প্রতিবেদক, আবুল মনসুর আহমেদ:

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন এলাকায় বায়ুদূষণ ও তাপমাত্রা কমাতে গবেষণার মাধ্যমে কারণ ও সম্ভাব্য প্রতিকার খুজেঁ বের করতে তিনটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিএনসিসি। সংস্থা তিনটি হলো সেন্টার ফর অ্যাটমসফরিক পলিউশন স্টাডিজ (Center for Atmospheric Pollution Studies), ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ (World Vision Bangladesh), ঢাকা নর্থ কমিউনিটি টাউন ফেডারেশন (Dhaka North Community Town Federation)।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর গুলশান-২ নগর ভবনের হলরুমে ২য় পরিষদের ২৫ তম কর্পোরেশন সভায়

Baseline Study on the Role of Vegetation in Reducing Temperature and Air Pollution: A study in Informal Settlement of Dhaka North City Corporation শীর্ষক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তিনটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের বিষয়টি সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়েছে।

এই বিষয়ে মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, `ঢাকা শহরে তাপমাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে। পাশাপাশি বর্তমানে ঢাকার বায়ু দূষণ অনেক বেশি। আমরা ইতিমধ্যে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুরু করেছি। তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে ও বায়ুদূষণ রোধে এটি ভূমিকা রাখবে। তিনটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এই চুক্তির ফলে গবেষণা করে বায়ুদূষণ রোধে এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আরও কি কি করণীয় সে বিষয় সঠিক সিদ্বান্ত নেয়া সম্ভব হবে। শহরের পরিবেশ রক্ষায় এই সমন্বিত উদ্যোগ ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।

কর্পোরেশন সভার শুরুতে ২০২৪ সালের প্রথম কর্পোরেশন সভা উপলক্ষ্যে ডিএনসিসি মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাদের ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান এবং টানা চতুর্থবার ও রেকর্ড পঞ্চমবারের মতো গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। 

সভায় আলোচনা শেষে ডিএনসিসির সদ্য বিদায়ী প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম রেজাকে বিদায় সংবর্ধনা এবং নবযোগদানকৃত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলমকে অভ্যর্থনা জানানো হয়।

সভায় ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিকের সঞ্চালনায় অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে. জেনা. মুহঃ আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, ডিএনসিসির সকল বিভাগীয় প্রধান ও ডিএনসিসির কাউন্সিলরবৃন্দ এবং অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

সাকরাইনের ঐতিহ্য নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চাইঃ ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস
                                  

বিশেষ প্রতিবেদক, আবুল মনসুর আহমেদ: 

সাকরাইন তথা ঘুড়ি উৎসবের ঐতিহ্য নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

আজ রবিবার (১৪ জানুয়ারি) বিকালে ধুপখোলা মাঠে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্তৃক আয়োজিত ঐতিহ্যবাহী সাকরাইন/ঘুড়ি উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "ঘুড়ি উৎসব বা সাকরাইন উৎসব ঢাকার প্রাচীনতম ঐতিহ্য। এই উৎসব উদযাপনে আজ আমরা গেন্ডারিয়ার ঐতিহ্যবাহী ধুপখোলা মাঠে সমবেত হয়েছি। আপনারা লক্ষ করছেন, গেন্ডারিয়াসহ ঢাকার আকাশ আজ ঘুড়িতে ছেঁয়ে গেছে। আমরা চাই, আমাদের তরুণেরা, আমাদের সন্তানেরা ঐতিহ্যকে ধারণ করবে। তারা সারা বছর ঘুড়ি ওড়াবে এবং ছাদ-মাঠসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে তারা ঘুড়ি উড়িয়ে আমাদের সংস্কৃতিকে ধারণ করবে। আমরা আমাদের প্রতিটি ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে চাই, ঢাকাবাসীর মাঝে ছড়িয়ে দিতে চাই, নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চাই। যাতে করে নতুন প্রজন্ম সকল সাম্প্রদায়িক শক্তির বিপরীতে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় নিজেদের ঐতিহ্যকে লালন করতে পারে।"

 

আয়োজন সম্পর্কে জানিয়ে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "১৪২৭ বঙ্গাব্দ ৩০শে (২০২১ সালের ১৪ জানুয়ারি) পৌষ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন প্রথমবারের মতো কেন্দ্রীয়ভাবে সাকরাইন উৎসবের আয়োজন শুরু করি। পরবর্তীতে আমরা প্রতি বছর এটা আয়োজন করে চলেছি। করোনার প্রকোপের জন্য শুধু ১৪২৮ বঙ্গাব্দে আয়োজন করতে পারিনি। গতবছরও আয়োজন করা হয়েছে। আর এবারকার আয়োজন আমাদের ৩য় আয়োজন। এবারও ৭৫টি ওয়ার্ডে আমাদের কাউন্সিলরবৃন্দের নেতৃত্বে আমরা সাকরাইন উৎসব উদযাপন করছি। তারই অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয়ভাবে ধুপখোলা আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলার মাঠে আজকে আমরা এই আয়োজন করেছি।"

 

পরে ঢাদসিক মেয়র নিজেই ঘুড়ি উড়ান। সে সময় তার ঘুড়িতে অন্য দু`জনের ঘুড়ি ধরাশয়ী (সুতা কেটে যায়) হয়। 

 

করপোরেশনের অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন সরকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী, করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মোর্শেদ হোসেন কামাল, ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. শামসুজ্জোহা এবং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর সাথী আক্তার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

 

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আওলাদ হোসেন, ঢাকা-৫ আসেনর সংসদ সদস্য মশিউর রহমান মোল্লা সজল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরসহ করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, কাউন্সিলরবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

উল্লেখ যে, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৭৫টি ওয়ার্ডেই একযোগে এই আয়োজন করা হচ্ছে। সেজন্য কাউন্সিলরদের মাধ্যমে ১৫ হাজার ঘুড়ি বিতরণ করা হয়েছে।

 

করপোরেশনের ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক কমিটির তত্ত্বাবধানে ২০২১ সাল হতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সাকরাইন উৎসব আয়োজন করে আসছে। 

অপশক্তি রুখতে দরকার সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড: ডিএনসিসি মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম
                                  

বিশেষ প্রতিবেদক, আবুল মনসুর আহমেদ: 

অপশক্তি রুখতে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের দরকার আছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম। 

 

শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ ভাঙা মসজিদ সংলগ্ন স্থানে সুরের ধারা ও ডিএনসিসির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত "পৌষ উৎসব-১৪৩০" এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় এ সময় তিনি শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুরের ধারার কর্ণধার রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা।

 

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ’একদিকে গান চলছে, অন্যদিকে মেলা হচ্ছে। অপশক্তিকে রুখে দাঁড়াতে এই ধরনের মেলা, গান ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের দরকার আছে। ভুললে চলবে না, মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতর কেন্দ্রের ভূমিকা ছিল। বিশ্বে বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে গানের, খেলাধুলার ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রাণিত করতে গাওয়া হয়েছিল জয় বাংলা বাংলার জয়, মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি।`

 

সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের পাশে ডিএনসিসি সব সময় থাকবে জানিয়ে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, `সুরের ধারার মাধ্যমে সংস্কৃতির বিকাশ ঘটবে। বন্যা আপা (রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা) শুধু ব্যক্তি নয়, তিনি ইনস্টিটিউট হিসেবে পরিচিত হয়েছেন সারা বাংলাদেশে, সারা বিশ্বে। আপনি এগিয়ে যান, আপনার সঙ্গে আমরা আছি। বিশেষ করে সাংস্কৃতিক ও বিনোদনের জন্য ডিএনসিসি সব ধরনের আর্থিক ও অনার্থিক সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে। 

 

মেয়র বলেন, `আমরা চাই আমাদের শিশুরা গান গাইবে, খেলাধুলা করবে। পড়াশোনার পাশাপাশি নানা ধরনের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংগীত পছন্দ করেন, যারা শিল্পী তিনি সবসময় তাদের পাশে থাকেন। আমি বিশ্বাস করি সুরের ধারার মাধ্যমে শিশুদের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিকাশ ঘটবে।`

 

ডিএনসিসি বিভিন্ন খাল দখল হয়ে যাচ্ছে জানিয়ে মেয়র আরও বলেন, বিভিন্ন খাল দখল হয়ে যাচ্ছে। রামচন্দ্রপুর খাল আপনারা দেখেছেন দখল হয়ে গিয়েছিল। বছিলা ট্রাক স্ট্যান্ড ১৭০০ ট্রাক ছিল। এখন সেই ট্রাক স্ট্যান্ড আর নেই। লাউতলা এখন সুন্দর সবুজ পার্ক হয়ে গিয়েছে। যেখানে দখল হচ্ছে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হবে। মাঠ, পার্ক ও খাল যারা অবৈধভাবে দখল করছে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য মাঠ পার্ক ও খাল রেখে যেতে হবে। এটি আমাদের দায়িত্ব।`

 

বক্তৃতা শেষে ডিএনসিসি মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম আয়োজিত মেলার স্টল ঘুরে দেখেন। 

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং সুরের ধারার শিক্ষকবৃন্দ। 

১ কোটি মানুষকে টিসিবি কার্ড দিয়ে শেখ হাসিনা সিন্ডিকেটের কারসাজি রোধ করেছেনঃ ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস
                                  

বিশেষ প্রতিনিধি , আবুল মনসুর আহমেদ:

নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে ১ কোটি মানুষকে টিসিবি`র ফ্যামিলি কার্ড দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিন্ডিকেটের কারসাজি রোধ করেছেন এবং নতুন সরকার গঠনের পর কারসাজির সাথে জড়িতদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। 

 

আজ বুধবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে নগরীর কাপ্তান বাজার এলাকায় ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ মন্তব্য করেন।

 

ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, বাজারকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সিন্ডিকেট মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। কারসাজি করে কোনো সময় পেঁয়াজ, কখনো আলু, কখনো ডিমের মতো নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্য বৃদ্ধি করার চেষ্টা করে। একমাত্র জননেত্রী শেখ হাসিনা টিসিবির মাধ্যমে এক কোটি মানুষকে ফ্যামিলি কার্ড দিয়ে ন্যায্যমূল্যে খাবার বিতরণ করে সিন্ডিকেটের এ কারসাজিকে প্রতিরোধ করে চলেছেন।

 

শেখ হাসিনা যতদিন আছেন ততদিন মুনাফাখোরেরা কারসাজি করে পার পাবে না মন্তব্য করে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, এক সময় টিসিবি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য সে সময় আকাশচুম্বী হয়ে গিয়েছিল। জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর মানুষের দোরগোড়ায় যাতে করে দ্রব্যমূল্য সহনশীল পর্যায়ে থাকে সেজন্য একেকটি অভিনব পন্থা বের করেন। যখনই দেখা যায় ডিমের দাম বাড়ছে তখনই তিনি সাথে সাথে ব্যবস্থা নেন। কর মওকুফ করে দেন। যাতে করে ডিম আমদানি করে নিয়ে আসা যায় এবং আবার ডিমের দাম কমে যায়। যখনই দেখা যায় চিনির দাম বেড়ে গেছে, তিনি তখনই ব্যবস্থা নিয়ে আবারো চিনির দাম কমানোর ব্যবস্থা নেন। মুনাফাখোর ব্যবসায়ীরা বিভিন্নভাবে এ সকল কারসাজি করে আসছে। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনা যতদিন আছেন ততদিন তারা এসব করে পার পাবে না।

 

নতুন সরকার গঠন হওয়ার পর সিন্ডিকেটের কারসাজি রোধে আরো কঠোরতা দেখানো হবে জানিয়ে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, এবার সরকার গঠন করার পরে আমরা এ ব্যাপারে আরো কঠোর হবো। যারা কারসাজি করে, তদন্ত করে তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে এসে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। একমাত্র জননেত্রী শেখ হাসিনাই এ সকল সিন্ডিকেটের মাথা ভেঙ্গে দিয়ে তাদেরকে নির্মূল করতে পারবেন। যেমনি তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন তেমনি এসব সিন্ডিকেটকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসলে দ্রব্যমূল্যের দাম সকলের জন্য সহনশীল পর্যায়ে চলে আসবে।

 

৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আহমেদ ইমতিয়াজ মন্নাফীর সহযোগিতায় ২ হাজার মানুষের মাঝে এই শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয় বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।  

 

৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী ও করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বক্তব্য রাখেন।

 

এর আগে ঢাদসিক মেয়র ও বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য সচিব ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস আজ সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষ্যে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ এবং ডেমরার শুকরসী খাল হতে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

 

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক এডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনসহ বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ, করপোরেশনের পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, ৪ নম্বর অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আতাহার মিয়া, কাউন্সিলরদের মধ্যে ১০ নম্বর ওয়ার্ডের মারুফ আহমেদ মনসুর, ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের সারোয়ার হাসান আলো এবং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর শাহিনুর বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সন্ধ্যা ৭টা হতেই নির্বাচনী পোস্টার-ব্যানার অপসারণ শুরু করবে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন
                                  

বিশেষ প্রতিবেদক, আবুল মনসুর আহমেদ:

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণায় ব্যবহৃত পোস্টার, ব্যানারসহ নির্বাচনী প্রচারণা সংশ্লিষ্ট সামগ্রী অপসারণ কার্যক্রম শুরু করবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ঢাদসিক)।

 

আজ সোমবার (৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টা হতে করপোরেশনের ৭৫টি ওয়ার্ডেই একযোগে এ কার্যক্রম শুরু করা হবে। সন্ধ্যা ৭টা হতে শুরু হয়ে রাতব্যাপী এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। করপোরেশনের প্রায় ২ হাজার ৫ শত জন পরিচ্ছন্ন কর্মী এ কাজে সম্পৃক্ত থাকবে। 

 

নির্বাচনী পোস্টার-ব্যানার অপসারণ প্রসঙ্গে করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বলেন, "আজ রাত ৭টা হতেই আমরা নির্বাচনী পোস্টার-ব্যানারসহ নির্বাচনী প্রচারণার কাজে ব্যবহৃত সংশ্লিষ্ট সামগ্রী অপসারণ কার্যক্রম শুরু করা হবে। সারা রাত এ কাজ চলবে। আজকের মধ্যে এ কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব না হলে ধারাবাহিকভাবে আগামীকাল রাতেও এ কাজ পুনরায় শুরু করা হবে। এই অপসারণ কার্যক্রমের মাধ্যমে নির্বাচন পূর্ববর্তী অবয়বে আমরা ঢাকা শহরকে ফিরিয়ে আনতে চাই। এ কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়নে সম্মানিত প্রার্থীগণকে আমাদের পরিচ্ছন্ন কর্মীদেরকে সহযোগিতা করার জন্য আহবান জানাই। এছাড়াও নগরীর সৌন্দর্য রক্ষার্থে নতুন করে কোনো ধরনের পোস্টার-ব্যানার-ফেস্টুন না লাগানোর জন্য নগবাসীকে আন্তরিকভাবে অনুরোধ করছি।"

নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছিঃ দক্ষিণ সিটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস
                                  

বিশেষ প্রতিবেদক, আবুল মনসুর আহমেদ: 

নৌকা মার্কায় নিজের ভোট দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

 

আজ রবিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮.৩৯টায় ধানমন্ডি ৭/এ-তে অবস্থিত ডক্টর মালিকা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ভোট দান শেষে গণমাধ্যমের সাথে মতবিনিময়কালে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ তথ্য জানান।

 

ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "ডক্টর মালিকা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ আমার কেন্দ্র। অত্যন্ত আনন্দঘন ও উৎসব মুখর পরিবেশে আমি আমার ভোট দিলাম। আমি নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছি। আমরা বিজয় আশা করছি। ইনশাআল্লাহ আবারও নৌকার বিজয় হবে।"

 

সকল ভোটারকে নিজ নিজ ভোটাধিকার প্রয়োগের আহবান জানিয়ে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন হচ্ছে। আমি সকল ভোটারকে আহবান করব, আপনারা স্ব স্ব কেন্দ্রে এসে সুন্দরভাবে, সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট দিন।"

 

ভোট দানকালে ঢাদসিক মেয়রের সাথে তার সহধর্মিণী আফরিন তাপস, ছোট ছেলে শেখ ফজলে নাশওয়ান উপস্থিত ছিলেন। 

 

এ সময় গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ঢাদসিক মেয়রের সহধর্মিণী আফরিন তাপস বলেন, "আমরা উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়েই এই সকালে ভোট দিতে এসেছি। আমি টিচার্স ট্রেনিং কলেজে ফেরদৌস আহমেদকে নৌকা মার্কায় ভোট দিবো। বিজয় আমাদের হবেই, ইনশাআল্লাহ।"

 

প্রথমবারের মতো ভোটাধিকার প্রয়োগ করার উদ্দীপনা ও আবেগ জানাতে গিয়ে ঢাদসিক মেয়রের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ ফজলে নাশওয়ান গণমাধ্যমকে বলেন, "আমি প্রথমবারের মতো ভোটার হয়েছি। আমার কেন্দ্র টিচার্স ট্রেনিং কলেজে। আমার ভোট নৌকা মার্কায় দিবো। ইনশাআল্লাহ -- নৌকা জয়যুক্ত হবে।

জনগণ ব্যালটের মাধ্যমে অগ্নি সন্ত্রাসের জবাব দিবে: মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম
                                  

বিশেষ প্রতিবেদক, আবুল মনসুর আহমেদ: 

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেছেন, `জনগণ ব্যালটের মাধ্যমে অগ্নি সন্ত্রাসের জবাব দিবে।`

 

তিনি বলেন, `অগ্নি সন্ত্রাস যারা করছে তারা চায় না সাংবাদিকভাবে রাষ্ট্র চলুক। কিন্তু জনগণ চায়, প্রধানমন্ত্রী চায় এবং আমরা চাই সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালিত হবে। পাঁচ বছর পর পর ভোটের মাধ্যমে সর্বোচ্চ গণতান্ত্রিক উপায়ে সরকার গঠিত হবে। জনগণ যাকে ভোটের মাধ্যমে জয়ী করবে সংবিধান অনুযায়ী সে দায়িত্ব গ্রহণ করবে।`

 

রোববার (০৭ জানুয়ারি ২০২৩) সকালে উত্তরা রাজউক মডেল কলেজ কেন্দ্রে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দেয়ার পরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন ডিএনসিসি মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম। 

 

ট্রেনে অগ্নি সন্ত্রাসকে অমানবিক ও পৈশাচিক উল্লেখ করে মেয়র বলেন, `অগ্নি সন্ত্রাস করে বাচ্চাদের হত্যা করা অমানুষিক। বিএনপি, জামায়াতের অগ্নি সন্ত্রাস প্রমাণ করে যারা দেশের স্বাধীনতা চায় নাই, যারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসর তারা এখনো আছে। তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। পেট্রোল মেরে, বোমা মেরে, মানুষ খুন করে ভোটের ধারাকে ব্যহত করা যাবে না। জনগণের ভোটে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকবে।`

 

মেয়র বলেন, `স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ইশতেহার ঘোষণা করেছেন জনগণ বিপুল ভোটে নৌকাকে বিজয়ী করবে। আমি বলি নৌকার কোন ব্যাক গিয়ার নাই, নৌকার গিয়ার একটি সেটি হলো উন্নয়নের গিয়ার। আজ ভোটের দিন সবার মধ্যে ঈদের আনন্দের মতো উৎসব। পুরো শহরে পুলিশ বাহিনী নিরবিচ্ছিন্ন নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে৷ সুন্দর আবহাওয়া সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি আপনারা ভোট কেন্দ্রে আসুন, ভোট দিন।`

 

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, `পাঁচ বছর জাতীয় নির্বাচন হয়। ভোট দেওয়া জনগণের নাগরিক অধিকার। খুব সুন্দর সুশৃঙ্খল ভোটের পরিবেশ বিরাজ করছে। আমি নগরবাসীকে অনুরোধ করবো সবাই ভোট দিন, আপনাদের নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করুন। আমি বিশ্বাস করি এবছর ভোটের পার্সেন্টেজ বিগত সময়ের তুলনায় অনেক বেশি হবে। শীতের সকাল তাই বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটারের উপস্থিতি অনেক বাড়বে।`

বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছেঃ ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস
                                  

বিশেষ প্রতিবেদক, আবুল মনসুর আহমেদ:

করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

 

করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের জন্য নতুন ক্রয়কৃত ২৫টি ডাম্প ট্রাকের উদ্বোধনী আয়োজনে উপস্থিত গণমাধ্যমেকে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ কথা বলেন। আজ (৪ জানুয়ারি) বৃহস্পতিবার দুপুরে দক্ষিণ সিটির প্রধান কার্যালয় নগর ভবন প্রাঙ্গণে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

 

ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "আমরা দেখেছি, এক সময় ঢাকা শহরে বর্জ্য উপচে পড়ে থাকত। রাস্তা, নর্দমা, হাঁটার পথে প্রায় শতভাগ বর্জ্য পড়ে থাকত। এ খাতে একটি অব্যবস্থাপনা ছিল। আমরা বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আমূল পরিবর্তন নিয়ে এসেছি। এখন প্রায় ৮০ শতাংশ বর্জ্য আমরা নিয়মিতভাবে সংগ্রহ করে মাতুয়াইল ভাগাড়ে নিয়ে যেতে পারছি। এটি একটি বিশাল কর্মযজ্ঞ। এই কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করার জন্য রাত থেকে ভোর পর্যন্ত আমাদের ব্যাপক যান যন্ত্রপাতি ও যানবাহন প্রয়োজন হয়। সকাল বেলা নগরবাসী তাদের গন্তব্যে যাওয়ার জন্য যখন বের হয় তখন তারা যেন একটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন শহর পায়, সেজন্য নিয়মিত আমরা এই কাজ পরিচালনা করে থাকি।"

 

 

নতুন যানবাহন ক্রয়ের প্রয়োজনীয় উল্লেখ করে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "আগে যান যন্ত্রপাতির অভাবে বিভিন্ন জায়গা হতে এসব বর্জ্য নিয়মিত সংগ্রহ করতে পারতাম না। সেই প্রেক্ষিতে আমরা এসব যানবাহন সংগ্রহ করেছি। বর্জ্য সংগ্রহ ও স্থানান্তরের জন্য করপোরেশনের ইতিহাসে এই প্রথম একসাথে ২৫টি ডাম্প ট্রাক ক্রয় করা হলো। নিজস্ব অর্থায়নেই আমরা ১০ টন সক্ষমতার অত্যাধুনিক এসব ডাম্প ট্রাক ক্রয় করেছি। এতে করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম আরো গতিশীল ও বেগবান হবে।"

 

উল্লেখ্য যে, ১৭ কোটি ২৭ লাখ ৪৭ হাজার টাকায় এসব ডাম্প ট্রাক ক্রয় করা হয়েছে।

 

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, প্রধান ভান্ডার ও ক্রয় কর্মকর্তা বশিরুল হক ভূঁঞা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা ফজলে শামসুল কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

বকশি বাজার জামে মসজিদ দ্রুতই মুসল্লিদের জন্য উন্মুক্ত করা হবেঃ ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস
                                  

বিশেষ প্রতিবেদক, আবুল মনসুর আহমেদঃ

দ্রুত নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে বকশি বাজার জামে মসজিদ মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।আজ বুধবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে বকশি বাজার জামে মসজিদের নতুন নির্মাণ কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ কথা বলেন।

ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "মসজিদ কমিটি, ইমাম সাহেব, খতিবসহ ওনারা নকশা দেখে দিয়েছেন। ওনারা নকশা পছন্দ করার পরেই আমরা বাকি (মসজিদ নির্মাণ) কাজ আরম্ভ করেছি। ওনাদের মতামতের ভিত্তিতে আমরা এটার আট-তলা পর্যন্ত ভিত্তি করেছি। এরকম একটি মসজিদ নির্মাণ করতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। আমরা ঠিকাদার নিয়োগ করেছি। আজকে থেকে শুরু করে আগামী ২০২৫ সালের নভেম্বরের মধ্যেই পাঁচতলার পুরোটা নির্মাণ করে উন্মুক্ত করে দিতে পারি, সেভাবেই আমরা ঠিকাদারকে নির্দেশনা দিয়েছি। দোয়া করবেন, যাতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আমরা এই কাজ সম্পন্ন করতে পারি। প্রাথমিকভাবে আমরা পাঁচতলা পর্যন্ত (নির্মাণ) করছি। কারণ, আমরা দ্রুত মসজিদটি নির্মাণ করে মুসল্লিদের জন্য সম্পূর্ণভাবে খুলে দিতে চাই। যদিও নিচতলার কাজ সম্পন্ন করার পরপরই আমরা মুসল্লিদের জন্য খুলে দিতে পারব ইনশাআল্লাহ। পর্যায়ক্রমে আমরা দোতলা থেকে ৫-তলা পর্যন্ত কাজ সম্পন্ন করব।"

ভালো কাজ করতে গিয়ে কেউ যেন অন্যায়ের শিকার না হয় সে বিষয়ে সজাগ থাকেন উল্লেখ করে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "এই মসজিদটি নির্মাণ করতে গিয়ে আমরা বারবার খতিয়ে দেখেছি। যখন আমরা চূড়ান্তভাবে নিশ্চিত হয়েছি, এই জায়গাটি যিনি ওয়াকফ করেছেন তিনি পুরো জমিটাতেই মসজিদ চেয়েছেন। সেভাবেই তিনি ওয়াকফ করেছেন, দান করেছেন। কিন্তু পরবর্তীতে সেখান থেকে সরে গিয়ে রাস্তার উপরে (মসজিদ) করে রাস্তাটাও সংকীর্ণ করা হয়েছে। জনগণের ভোগান্তি সৃষ্টি করা হয়েছে। আর মসজিদের জায়গা থেকেও মসজিদকে বঞ্চিত করা হয়েছে। আমরা প্রত্যেকটি কাজ করার আগে পুরোটা খতিয়া দেখি। আমরা নেক নিয়তে চেষ্টা করি যেন কেউ ক্ষতিগ্রস্থ না হয়। ভালো কাজ করতে গিয়েও আমাদের হাত দিয়ে যেন কোনো অন্যায় না হয়, সেটা আমরা নিশ্চিত করার চেষ্টা করি।"

ওয়াকফ সম্পত্তি দীর্ঘদিন অবৈধভাবে দখল করে রাখা পরিবারগুলোকেও মানবিক বিবেচনায় পুনর্বাসন করা হবে জানিয়ে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "দু`টি দাবি এসেছে। একটি হলো (জেলখানা রোড) প্রশস্ত করার। আমাদের কাউন্সিলর মহোদয় সেটা লিখিতভাবে পেশ করবে। তারপর সেটি চুল-ছেঁড়া বিশ্লেষণ করে, পর্যালোচনা করে আমরা বাকী উদ্যোগ গ্রহণ করব। আর বাকি দাবী হলো -- যারা এখানে ছিলেন তাদের পুনর্বাসন। যারা এখানে দখলে ছিলেন তাদের কারো প্রতি আমাদের কোনো বিদ্বেষ বা রাগ নেই। আমরা যে নিয়ত নিয়ে কাজ করেছি, সেই নিয়ত আল্লাহ রব্বুল আলামিন কবুল করেছেন। যদিওবা তাদের এখানে কোনো অধিকার নেই, দাবি নেই। কিন্তু মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদের ক্ষতিপূরণ বা পুনর্বাসনের জন্য যা প্রয়োজন হবে, আমরা তা করে দিবো।"

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, "ব্যারিস্টার তাপস অত্যন্ত সৎ, ডায়নামিক ও নিষ্ঠাবান। তিনি যে কাজে হাত দেন সে কাজ থেকে কখনো পিছপা হন না। তা সম্পন্ন করেন। তিনি এখানে রাস্তা সম্প্রসারণের পাশাপাশি সুন্দর একটি মসজিদ করে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তিনি সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছেন। সেজন্য আমি ঢাকাবাসীর পক্ষ হতে তাকে ধন্যবাদ জানাই।"

উল্লেখ যে, ৮-তলা ভিত্তিতলে ৫-তলা বিশিষ্ট নতুন নির্মাণ হতে যাওয়া এই মসজিদে একসাথে ১ হাজার ৭৯ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। একসাথে ৩৮ জন মুসল্লির ওযু করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।৯.৪৮ শতক জায়গার উপর নির্মিত এই মসজিদ নির্মাণে ব্যয় হবে ৮ কোটি ৯৬ লক্ষ টাকা। করপোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নেই এই মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে। আগামী বছরের ২২ নভেম্বর মসজিদ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।এর আগে ঢাদসিক মেয়র আজ সকালে ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডে ডগাইর খাল হতে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। পরে তিনি দোয়েল চত্বর সংলগ্ন ঢাকা ফটকের সংস্কার কাজ পরিদর্শন করেন।অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ওমর বিন আব্দাল আজিজ, ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ মোহাম্মদ আলমগীর, চকবাজার শাহী জামে মসজিদের ইমাম মুফতি মিনহাজ উদ্দিন, জাতীয় ইমাম সমাজের সভাপতি আল্লামা আব্দুর রাজ্জাক আজহারি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিম, বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, ৩ নম্বর অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা বাবর আলী মীর, ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান আসাদ, ৬৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আ. মতিন সাউদ, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর নিলুফা ইয়াসমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ফ্লাইওভারের পিলারে ডিএনসিসির উদ্যোগে দৃষ্টিনন্দন গ্রাফিতি আর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন
                                  

আবুল মনসুর আহমেদ, বিশেষ প্রতিবেদক ঃ

দৃষ্টিনন্দন গ্রাফিতি আর্ট যত্রতত্র পোস্টার বন্ধে সচেতনতা সৃষ্টি করবে: মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম  ফ্লাইওভারের পিলারে দৃষ্টিনন্দন গ্রাফিতি আর্ট যত্রতত্র পোস্টার বন্ধে জনগণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম।


সোমবার (১০ এপ্রিল ২০২৩) দুপুরে মগবাজার চৌরাস্তা ফ্লাইওভারের পিলারে দৃষ্টিনন্দন গ্রাফিতি আর্ট কার্যক্রমের (Graffiti Art Work) উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ডিএনসিসি মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে শুরুতে মেয়র আতিকুল ইসলাম চিত্র শিল্পীদের অনুপ্রেরণা দিতে নিজেই রঙ তুলির আচরে গ্রাফিতি কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, `এই দেশটা আমাদের, এই শহরটা আমাদের। এই দেশ, এই শহর বাহিরের কারো নয়। অনেক রক্তের বিনিময়ে আমরা এই দেশ পেয়েছি। অথচ যত্রতত্র পোস্টার লাগিয়ে আমরা নিজেরাই এই শহরে দৃশ্য দূষণ করছি। আমরাই শব্দ দূষণ করছি, বায়ু দূষণ করছি। শহরের দূষণ বন্ধে আমাদের নিজেদের ঠিক হতে হবে, সচেতন হতে হবে। শুধু সরকার, সিটি কর্পোরেশন দায়িত্ব নিলে হবে না। সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে।`

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, `শহরের উড়াল সড়কের পিলারগুলোতে তাকালে দেখা যায় যত্রতত্র পোস্টার লাগানো, অমুক ভাই সালাম নিন, তমুক ভাই এগিয়ে চলুন, ভাই আপনি নেতা হবেন, আমরা আপনার পেছনে আছি এসব লেখা পোস্টারে ভরা। যত ধরনের তেলবাজি, পাম-পট্টি সব পোস্টারের মাধ্যমে করা হচ্ছে। নিচের দিকে লিখে রাখে সৌজন্যে অমুক। এসব সৌজন্যে অমুকদের বলতে চাই এগুলো বন্ধ করুন। অন্যথায় আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিব। জেল হবে, জরিমানা হবে।`

এসময় ডিএনসিসি মেয়র আরও বলেন, `আমরা সিটি কর্পোরেশন থেকে পোস্টার-ব্যানারে ভরা অসুন্দর পিলারগুলোকে দৃষ্টিনন্দন করার উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা চিত্রকর্মের মাধ্যমে পিলারগুলো সুন্দর করে সাজিয়ে দিচ্ছি। আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুন্দর একটি শহর গড়ে তুলতে চাই। পিলারগুলোতে চিত্রকর্মের মাধ্যমে শিক্ষনীয় ম্যাসেজ দেয়া হবে। যেমন হর্ণ বাজাবেন না, পোস্টার না লাগাই, গাছ লাগাই পরিবেশ বাঁচাই, তিন দিনে একদিন জমা পানি ফেলে দিন, আসুন দেশকে ভালোবাসি।`

মেয়র বলেন, `মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন রিকশায় যারা পেইন্টিং কাজ করতেন তাদের যেন সম্পৃক্ত করি৷ তাই রিকশা পেইন্টিং এর সাথে সম্পৃক্ত বিখ্যাত চিত্র শিল্পীদেরএই গ্রাফিতি কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। মগবাজার ফ্লাইওভারে শুরু করেছি। পর্যায়ক্রমে বাকি ফ্লাইওভার ও মেট্রোরেলের পিলারেও গ্রাফিতি করা হবে।`

জনগণের প্রতি আহবান জানিয়ে মেয়র বলেন, `আমি এলাকাবাসীদের, কাউন্সিলরদের, মুরুব্বিদের, শিক্ষকদের, মসজিদের ইমামদের এবং সকল জনগণকে অনুরোধ করছি আপনারা এগিয়ে আসুন। সুন্দর পিলারগুলোতে পোস্টার লাগাবেন না। শহরকে রক্ষায় আপনাদের এগিয়ে আসতে হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই ধরনের গ্রাফিতি কার্যক্রম রয়েছে। আমরাও কিন্তু চাইলেই পারি। সবাই সচেতন হলে আমরা শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে পারবো।`

এসময় ফ্লাইওভারের পিলারের সৌন্দর্য রক্ষায় সিসি ক্যামেরা লাগানোর ঘোষণাও দেন তিনি।

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, `বিভিন্ন মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড, ভবন ধসের ঘটনা ঘটছে। পরিত্যক্ত মার্কেটগুলো বন্ধে কঠোর হওয়া ছাড়া আমাদের আর বিকল্প নেই। ডিএনসিসির আটটি পরিত্যক্ত মার্কেটে লাল রঙের সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিব। মালিক সমিতিকে অনুরোধ করছি আপনারা জীবনের মূল্য দিতে শিখুন। ক্রেতাদেরও অনুরোধ করছি এসব পরিত্যক্ত মার্কেট পরিহার করুন। আমরা কাওরান বাজার স্থানান্তরে কাজ শুরু করেছি। অন্যগুলোও স্থানান্তর অথবা নতুন মার্কেট নির্মাণ করে দিব। এক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করতে হবে।`

উল্লেখ্য, রাজধানীর মগবাজার থেকে সাতরাস্তামুখী ফ্লাইওভারের নিচের পিলারগুলোতে ব্যানার-পোস্টার তুলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে সাদা রঙ করা হয়েছে। ধবধবে সাদা রঙের ক্যানভাসে ফুটে উঠছে দৃষ্টি নন্দন গ্রাফিতি। তাতে শোভা পাচ্ছে দেশীয় সংষ্কৃতি এবং শিক্ষনীয় বিষয়।

ইতিমধ্যে দৃষ্টি নন্দন করা চারটি পিলারের একটিতে পরিবেশ সংরক্ষণের চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। পিলারের একপাশে এক কিশোর চারা গাছ লাগাচ্ছে, আরেক কিশোর বই নিয়ে স্কুলে যাচ্ছে। একটিতে লেখা রয়েছে হর্ণ বাজাবেন না, পোস্টার না লাগাই। আর দুটি পিলের একটিতে ফুল, পাখি, সূর্য এবং আরেকটিতে ফুলের নকশার সাথে নৌকা দিয়ে অবহমান বাংলার সংষ্কৃতি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

মাত্র কাজ শুরু হলেও পিলারগুলো যে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে তা পথচারীদের আকৃষ্ট করছে। অনেকেই মোবাইলের ক্যামেরায় বন্দি করছেন সেই দৃশ্য।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকতা মোঃ সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহঃ আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আ, ন, ম তরিকুল ইসলাম, ৩৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোক্তার সরদার, ৮নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর মিতু আক্তার, ৯নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর নাজমুন নাহার হেলেন ও ডিএনসিসির প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মাকসুদ হাসেম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

স্বাক্ষরিত/-
বইমেলায় আউয়াল চৌধুরীর উপন্যাস ‘আফসানা’
                                  

আবুল মনসুর আহমেদ বিশেষ প্রতিবেদকঃ

লেখক, সাংবাদিক ও সংগঠক আউয়াল চৌধুরীর প্রথম উপন্যাস ‘আফসানা’ পাওয়া যাচ্ছে অমর একুশে বইমেলায়। বইটি প্রকাশ করেছে মুক্তদেশ প্রকাশনী। প্রচ্ছদ করেছেন রাহমান রোমেল। পাওয়া যাচ্ছে ৫৪৯-৫৫০ নম্বর স্টলে। মূল্য ২৫০ টাকা।
উপন্যাসটিতে মানব সংসারের যাপিত জীবনের এক উল্লেখযোগ্য কাহিনির চিত্রায়ন ঘটেছে। আফসানা উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তান। খোলা বাতাসের মতো উড়ো যার জীবন। হঠাৎ তার জীবনে ঘটে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। যা তাকে সমাজ থেকে ভাসিয়ে নিয়ে যায় অনেক দূরে। এ উপন্যাসের মাধ্যমে সমাজের অগণিত নারীর নীরব গোঙানির আওয়াজ শোনা যায়।
লেখক আউয়াল চৌধুরী সাংবাদিক, সাহিত্যিক, গবেষক ও সংগঠক। প্রায় দুই দশক আগে দৈনিক যুগান্তরের স্বজন সমাবেশে যুক্ত থাকার মাধ্যমে সাংবাদিকতার পাঠ বা লেখালেখির হাতেখড়ি হয়। এরপর নানা মাধ্যমে কাজ করে তিনি এখন একুশে টেলিভিশনের সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত। সমাজের অবহেলিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে ‘ল্যাম্প বাংলাদেশ’ নামে সামাজিক সংগঠন তৈরি করে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এর আগে ২০০৯ সালে ফেনীর ছাগলনাইয়ায় ‘চৌধুরী সমাজকল্যাণ পাঠাগার’ প্রতিষ্ঠা করেন। আউয়াল চৌধুরী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ফেনী সরকারি কলেজে পড়ার সময় থেকেই লেখার চেষ্টা করতেন। বিভিন্ন পত্রিকা, ম্যাগাজিনে ছোটগল্প, প্রবন্ধ, নানা ঘটনা লিখে পাঠাতেন। তিনি বর্তমানে পরিবেশ ও বজ্রপাতের ক্ষতি নিয়ে, প্রান্তিক কৃষকদের জীবনমান উন্নয়নে গবেষণামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত।
আউয়াল চৌধুরী তার কাজের স্বীকৃতি হিসেবে নানা সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য ‘সংশপ্তক-২০২২’ অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় ‘শেরে বাংলা গোল্ডেন অ্যাওয়ার্ড’ ও এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ‘অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা ও গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা’য় অবদানের জন্য অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে।

বইমেলায় আউয়াল চৌধুরীর উপন্যাস ‘আফসানা’
                                  

আবুল মনসুর আহমেদ বিশেষ প্রতিবেদকঃ

লেখক, সাংবাদিক ও সংগঠক আউয়াল চৌধুরীর প্রথম উপন্যাস ‘আফসানা’ পাওয়া যাচ্ছে অমর একুশে বইমেলায়। বইটি প্রকাশ করেছে মুক্তদেশ প্রকাশনী। প্রচ্ছদ করেছেন রাহমান রোমেল। পাওয়া যাচ্ছে ৫৪৯-৫৫০ নম্বর স্টলে। মূল্য ২৫০ টাকা।
উপন্যাসটিতে মানব সংসারের যাপিত জীবনের এক উল্লেখযোগ্য কাহিনির চিত্রায়ন ঘটেছে। আফসানা উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তান। খোলা বাতাসের মতো উড়ো যার জীবন। হঠাৎ তার জীবনে ঘটে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। যা তাকে সমাজ থেকে ভাসিয়ে নিয়ে যায় অনেক দূরে। এ উপন্যাসের মাধ্যমে সমাজের অগণিত নারীর নীরব গোঙানির আওয়াজ শোনা যায়।
লেখক আউয়াল চৌধুরী সাংবাদিক, সাহিত্যিক, গবেষক ও সংগঠক। প্রায় দুই দশক আগে দৈনিক যুগান্তরের স্বজন সমাবেশে যুক্ত থাকার মাধ্যমে সাংবাদিকতার পাঠ বা লেখালেখির হাতেখড়ি হয়। এরপর নানা মাধ্যমে কাজ করে তিনি এখন একুশে টেলিভিশনের সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত। সমাজের অবহেলিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে ‘ল্যাম্প বাংলাদেশ’ নামে সামাজিক সংগঠন তৈরি করে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এর আগে ২০০৯ সালে ফেনীর ছাগলনাইয়ায় ‘চৌধুরী সমাজকল্যাণ পাঠাগার’ প্রতিষ্ঠা করেন।
আউয়াল চৌধুরী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ফেনী সরকারি কলেজে পড়ার সময় থেকেই লেখার চেষ্টা করতেন। বিভিন্ন পত্রিকা, ম্যাগাজিনে ছোটগল্প, প্রবন্ধ, নানা ঘটনা লিখে পাঠাতেন। তিনি বর্তমানে পরিবেশ ও বজ্রপাতের ক্ষতি নিয়ে, প্রান্তিক কৃষকদের জীবনমান উন্নয়নে গবেষণামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত।
আউয়াল চৌধুরী তার কাজের স্বীকৃতি হিসেবে নানা সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য ‘সংশপ্তক-২০২২’ অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় ‘শেরে বাংলা গোল্ডেন অ্যাওয়ার্ড’ ও এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ‘অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা ও গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা’য় অবদানের জন্য অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে।

ঢাকার বায়ু, আমাদের আয়ু
                                  

আবুল মনসুর আহমেদ বিশেষ প্রতিবেদকঃ

বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ু ঢাকার। বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ৮টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই-বায়ুর মান সূচক) স্কোর ২২৫। বায়ুর মান বিচারে এ পরিস্থিতি খুবই অস্বাস্থ্যকর।
একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়।
একইভাবে একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচিত হয়। আর ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।
বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুব বেশি ক্ষতিকর।
প্রশ্ন হলো—ঢাকার বায়ু এত দূষিত কেন? এক কথায় এর উত্তর ‘অব্যবস্থাপনা’।
সময় ও বাস্তবতার প্রয়োজনে উন্নয়ন, কলকারখানা, যানবাহন সবই প্রয়োজন। তবে সেই সঙ্গে প্রয়োজন হয় ব্যবস্থাপনারও। গত ৩১ জানুয়ারি আদালতের নির্দেশনা অনুসারে ঢাকায় বায়ুদূষণ রোধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এরই সূত্র ধরে গত ৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বায়ুদূষণ রোধে উচ্চ আদালতের ৯ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়নের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
হাইকোর্টের নির্দেশনার পর বায়ুদূষণ রোধে অভিযান
কালবেলা পত্রিকা অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
হাইকোর্টের ৯ দফার মধ্যে রয়েছে—ঢাকা শহরে মাটি/বালু/বর্জ্য পরিবহন করা ট্রাক ও অন্যান্য গাড়িতে মালামাল ঢেকে রাখা; নির্মাণাধীন এলাকায় মাটি/বালু/সিমেন্ট/পাথর/নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা; সিটি করপোরেশন রাস্তায় পানি ছিটানো; রাস্তা/কালভার্ট/কার্পেটিং/খোঁড়াখুঁড়ির কাজে দরপত্রের শর্ত পালন নিশ্চিত করা; সড়ক পরিবহন আইন অনুসারে গাড়ির চলাচল সময়সীমা নির্ধারণ ও মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি চলাচল বন্ধ করা; পরিবেশগত সনদ ছাড়া চলমান টায়ার ফ্যাক্টরি বন্ধ করা; মার্কেট/দোকানের প্রতিদিনের বর্জ্য ব্যাগে ভরে রাখা এবং বর্জ্য অপসারণ নিশ্চিত করা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, ‘দূষিত বায়ুর কারণে মূলত ফুসফুসের সংক্রমণ ঘটে। এ ছাড়া সর্দি, কাশি, যক্ষ্মা, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, অ্যাজমা রোগের সংক্রমণ বাড়তে পারে। কিডনি ও চোখের সমস্যাও হতে পারে। নারীদের ক্ষেত্রে গর্ভপাত ও মৃত শিশু প্রসবের হার বাড়ে। তিনি বলেন, ‘আমাদের গড় আয়ু বাড়ছে। কিন্তু বায়ুদূষণের কারণে আমরা পিছিয়ে পড়ছি। বায়ুদূষণের কারণে ঢাকাবাসীর গড় আয়ু আট বছর কমছে।’ গত ডিসেম্বরে প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের ‘ব্রিদিং হেভি : নিউ এভিডেন্স অন এয়ারপলিউশন অ্যান্ড হেলথ ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতিবছর বায়ুদূষণে প্রায় ৮৮ হাজার মানুষ মারা যান। (সূত্র : ২৯ জানুয়ারি, ২০২৩; প্রথম আলো)
বায়ুদূষণ কমার সুফল
১. স্টেট অব গ্লোবাল এয়ার বলছে, বায়ুদূষণ রোধ করতে পারলে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু বাড়বে এক বছর তিন মাসের বেশি।
২. বায়ুদূষণ কমানো গেলে নিজেদের আর্থিক সাশ্রয় যেমন হবে, তেমনি জনস্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটবে। মানুষের অসুস্থতা কমবে, গড় আয়ু বাড়বে, সময় সাশ্রয় হবে, পাশাপাশি বেড়ে যাবে জিডিপিও।
৩. বায়ুদূষণ রোধ করা গেলে বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রকোপ রোধে ‘জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সহায়তা’ হবে।
৪. বায়ুদূষণ রোধ করা গেলে, বায়ুদূষণের ফলে মানুষের শরীরে যেসব রোগের সংক্রমণ বেড়ে যাচ্ছে, সেগুলো থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। মানুষের স্বাস্থ্য সমস্যা কমিয়ে ফুসফুসের সমস্যা, হৃদরোগ, চর্মরোগসহ অনেক রোগ কমে যাবে।
৫. দূষণরোধ করতে পারলে প্রতিবন্ধী শিশু জন্ম নেওয়ার সংখ্যা কমে যাবে, তেমনি শিশু ও মানুষের গড় আয়ু বাড়বে।
কেন বায়ুদূষণ বেশি
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অপরিকল্পিতভাবে শিল্পকারখানা গড়ে ওঠা, ঢাকার মতো বড় শহরের চারপাশে ইটভাটা, শহরের মধ্যে নানা কারখানা স্থাপন, শহরের প্রচুর ধুলা এবং নির্মাণকাজ বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ। ট্রাফিক জ্যামের কারণে অতিরিক্ত জ্বালানি খরচ করে গাড়িগুলো বায়ুদূষণ বাড়িয়ে দিচ্ছে। মাত্রাতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচতে মানুষ অতিরিক্ত এসি ব্যবহার করছে, তাতেও বায়ুদূষণ বাড়ছে।
ঢাকায় অসহনীয় বায়ুদূষণে বিপন্ন স্বাস্থ্য-অর্থনীতি
বায়ুদূষণ যেভাবে কমানো যেতে পারে
বায়ুদূষণ কমাতে আমাদের প্রত্যেকের সচেতন হতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনে আমাদের করণীয় সম্পর্কে জানতে হবে। করোনার সময় মাস্ক ব্যবহার বাড়লেও বায়ুদূষণে মাস্ক ব্যবহার করলে দূষণ থেকে অনেকাংশে রক্ষা মিলবে। সঙ্গে আরও যেসব কাজ করা যেতে পারে তা হলো—
১. পরিকল্পিতভাবে কারখানাগুলোর ধোঁয়া কমিয়ে আনা।
২. কারখানাগুলো শহরের বাইরে নিয়ে যাওয়া।
৩. ট্রাফিক জ্যামের সমাধান।
৪. উন্নত জ্বালানি ব্যবহার করা।
৫. এয়ার কন্ডিশনার কম ব্যবহার করা।
৬. প্রচুর বনায়ন করা, কারণ গাছ বায়ুদূষণ প্রতিরোধে জোরালো ভূমিকা রাখে।
৭. বাড়িঘর ও আবাসিক এলাকাগুলো পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা, যেখানে উদ্যান ও পুকুর থাকবে।
৮. নির্মাণকাজগুলো নিয়ন্ত্রিতভাবে করা, যাতে সেটি দূষণের কারণ না হয়।
৯. শুষ্ক মৌসুমে দূষিত শহরগুলোয় দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর পর পানি ছিটানোর ব্যবস্থা করা।
১০. নির্মাণকাজের সময় নির্মাণ স্থান ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ঢেকে নেওয়া।
১১. রাস্তায় ধুলা সংগ্রহের জন্য সাকশন ট্রাক ব্যবহার করা।
১২. অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করে উন্নত প্রযুক্তির সেন্ড ব্লকের প্রচলন বাড়ানো।
১৩. ব্যক্তিগত গাড়ি ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করা।

ফুটপাত দখল করে চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করায় নার্সারি ব্যবসায়ীকে ১৫ দিনের জেল দিল দক্ষিণ সিটি
                                  
আবুল মনসুর আহমেদ, বিশেষ প্রতিবেদকঃ
 
ফুটপাত দখল করে জনসাধারণের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল সংলগ্ন এলাকার এক নার্সারি ব্যবসায়ীকে ১৫ দিনের জেল দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ঢাদসিক)।
 
আজ বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে করপোরেশনের অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মেরীনা নাজনীন এই দণ্ডাদেশ প্রদান করে আসামিকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। সরকারি কর্মচারী কর্তৃক যথাযথভাবে জারিকৃত আদেশ অমান্য করায় দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৮৮ নম্বর ধারায় আসামিকে এই দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। 
 
দণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামির নাম নূরুল হাওলাদার। দণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামিরল বরিশাল জেলার সদর উপজেলার সাহেবের হাট এলাকার ফয়জুদ্দিন হাওলাদারের ছেলে।
 
অভিযানে খবরে এ সময় সেখানকার অন্যান্য ব্যবসায়ীরা দোকান রেখে সটকে পড়ে। পরে সেখান থেকে ১ ট্রাক গাছের চারা এবং চেয়ার, টেবিল ও মাটি সরানো হয়। 
 
অভিযান প্রসঙ্গে অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মেরীনা নাজনীন বলেন, "অমর একুশে বইমেলা আমাদের প্রাণের মেলা। এই মেলা আমাদের মননশীলতার এক উর্বর ক্ষেত্র। মেলায় আসা বইপ্রেমী মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে আজ আমরা কার্জন হল সংলগ্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেছি। অভিযানে ফুটপাত দখল করে জনসাধারণের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করায় এক ব্যক্তিকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।" 
 
মেরীনা নাজনীন আরও বলেন, "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল সংলগ্ন এলাকাটি অত্যন্ত ব্যস্ততম। সেখানকার ফুটপাতে যাতে নার্সারি বসিয়ে জনগণের চলাফেরায় বিঘ্ন সৃষ্টি না করা হয়, সেজন্য তাদেরকে একাধিকবার সতর্ক করা হয়েছে। তারা সতর্কবার্তায় গুরুত্ব দেননি। তাই আমরা অভিযান পরিচালনায় অনেকটা বাধ্য হয়েছি।"
 
অভিযানকালে করপোরেশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারী ছাড়াও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর নারগিস মাহতাব ও শিরিন গাফফার উপস্থিত ছিলেন। 



   Page 1 of 2
     রাজধানী
একমাত্র শেখ হাসিনাই সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখের অংশীদারঃ ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস
.............................................................................................
ঢাকাকে পূর্ণ বৈশিষ্ট্য ফিরিয়ে আনতে হলে ঐতিহ্যকে ধারণ করতে হবেঃ ঢা.দ.সি.ক. মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস
.............................................................................................
বায়ুদূষণ কমাতে গবেষণা করে ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ ডিএনসিসির
.............................................................................................
সাকরাইনের ঐতিহ্য নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চাইঃ ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস
.............................................................................................
অপশক্তি রুখতে দরকার সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড: ডিএনসিসি মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম
.............................................................................................
১ কোটি মানুষকে টিসিবি কার্ড দিয়ে শেখ হাসিনা সিন্ডিকেটের কারসাজি রোধ করেছেনঃ ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস
.............................................................................................
সন্ধ্যা ৭টা হতেই নির্বাচনী পোস্টার-ব্যানার অপসারণ শুরু করবে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন
.............................................................................................
নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছিঃ দক্ষিণ সিটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস
.............................................................................................
জনগণ ব্যালটের মাধ্যমে অগ্নি সন্ত্রাসের জবাব দিবে: মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম
.............................................................................................
বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছেঃ ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস
.............................................................................................
বকশি বাজার জামে মসজিদ দ্রুতই মুসল্লিদের জন্য উন্মুক্ত করা হবেঃ ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস
.............................................................................................
ফ্লাইওভারের পিলারে ডিএনসিসির উদ্যোগে দৃষ্টিনন্দন গ্রাফিতি আর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন
.............................................................................................
বইমেলায় আউয়াল চৌধুরীর উপন্যাস ‘আফসানা’
.............................................................................................
বইমেলায় আউয়াল চৌধুরীর উপন্যাস ‘আফসানা’
.............................................................................................
ঢাকার বায়ু, আমাদের আয়ু
.............................................................................................
ফুটপাত দখল করে চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করায় নার্সারি ব্যবসায়ীকে ১৫ দিনের জেল দিল দক্ষিণ সিটি
.............................................................................................
ডিএনসিসি মেয়রের সঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) প্রতিনিধির সৌজন্য সাক্ষাৎ
.............................................................................................
গুলশানে বহুতল ভবন থেকে লাফিয়ে এক নারীর মৃত্যু, মুমূর্ষু অপরজন
.............................................................................................
ওয়াসা ভবনে সাংবাদিক প্রবেশে বাধা: ইউডিজেএফবি’র নিন্দা
.............................................................................................
ছাদ কৃষিতে ওয়ার্ডভিত্তিক পুরস্কার প্রদানের ঘোষণা ডিএনসিসি মেয়রের 
.............................................................................................

|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
প্রকাশক: রিনা বেগম
প্রধান সম্পাদক : মো: হাবিবুর রহমান
প্রকাশক কতৃক ৫১/৫১ এ পুরানা পল্টন থেকে প্রকাশিত । সোনালী প্রিন্টিং প্রেস ২/১/এ ইডেন ভবন ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত । বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয় : ৫১/৫১ এ পুরানা পল্টন (৪র্থ তলা) , ঢাকা - ১০০০।
ফোন: ০২২২৩৩৮০৮৭২ , মোবাইল: ০১৭১১১৩৬২২৬

Web: www.bhorersomoy.com E-mail : dbsomoy2010@gmail.com
   All Right Reserved By www.bhorersomoy.com    
Dynamic SOlution IT Dynamic POS | Super Shop | Dealer Ship | Show Room Software | Trading Software | Inventory Management Software Computer | Mobile | Electronics Item Software Accounts,HR & Payroll Software Hospital | Clinic Management Software Dynamic Scale BD Digital Truck Scale | Platform Scale | Weighing Bridge Scale Digital Load Cell Digital Indicator Digital Score Board Junction Box | Chequer Plate | Girder Digital Scale | Digital Floor Scale