রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের পারমাণবিক চুল্লি বা নিউক্লিয়ার রিয়্যাক্টর প্রেসার ভেসেল স্থাপনকাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার (১৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে পাবনার ঈশ্বরদীতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন রুশ পরমাণু শক্তি সংস্থা রোসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ। রিঅ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল হলো পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মূলযন্ত্র। এর ভেতরে ইউরেনিয়াম থেকে শক্তি উৎপাদন হয়। যা কাজে লাগিয়ে তৈরি হয় বিদ্যুৎ। পারমাণবিক চুল্লিপাত্র স্থাপনের আগে রিঅ্যাক্টর ভবনের বিভিন্ন স্তরের অবকাঠামোসহ সংশ্লিষ্ট পর্যায়গুলো এরইমধ্যে শেষ হয়েছে। ৩৩৩ দশমিক ৬ টন ওজনের ভিভিইআর-১২০০ রিঅ্যাক্টর ভেসেল প্রস্তুত করতে দুই বছরের বেশি সময় লাগে। এ রিঅ্যাক্টর ভেসেল কৃষ্ণসাগর ও সুয়েজ খাল হয়ে ১৪ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশের মোংলা বন্দরে আসে। এ রিঅ্যাক্টর ভেসেল পরিবহনে সময় লাগে দুই মাসের বেশি। রূপপুর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন। কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় রয়েছে রাশিয়া। প্রকল্পের নির্মাণ ব্যয় ১২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার। এর আগে ২০২১ সালের ১০ অক্টোবর প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের চুল্লি স্থাপন কাজের উদ্বোধন হয়। এখন পর্যন্ত যার অগ্রগতি হয়েছে ৭০ শতাংশ। সরকার বলছে, ২০২৩ সালে রূপপুরের ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার প্রথম ইউনিট থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করা যাবে। এরপর সব ঠিক থাকলে ২০২৪ সালে দ্বিতীয় ইউনিট থেকেও বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হবে। ২০১৭ সালের নভেম্বরে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের মূল স্থাপনা নির্মাণের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।