যমুনা নদীতে দেশের বৃহত্তম বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর নির্মাণ এগিয়ে চলেছে। বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩০০ মিটার দূরে রেলসেতুটি নির্মাণাধীন। এরই মধ্যে সেতুর ৪৭ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ঢাকা ও উত্তরবঙ্গের ২২টি জেলার সঙ্গে ট্রেন চলাচল সহজ করবে এই সেতু। বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) এসব তথ্য জানান রেল মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল আলম। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর ৪৭ শতাংশ কাজ বাস্তবায়ন হয়েছে। এ সময়ে অর্থ ব্যয় হয়েছে ৬ হাজার ১৪৬ কোটি টাকা, যা মোট বরাদ্দের ৩৬ শতাংশ। এ প্রকল্পের ডিপিপি সংশোধন করায় সেতুর নির্মাণ ব্যয় বাড়াতে হয়েছে। বিস্তারিত নকশা প্রণয়নের পর প্রকল্পের ব্যয় ৭ হাজার ৪৭ কোটি টাকা বেড়ে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। তারা আরও জানান, সেতুর ৫০টি পিলারের মধ্যে ৩৪ টির কাজ এগিয়েছে। ১২টির সুপার স্ট্রাকচারের কাজ চলছে। তবে ১৬টির কাজ ধরা হয়নি। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের মধ্যে এ প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা যাবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতু দিয়ে ৩৮টি ট্রেন চলাচল করে। নতুন রেলসেতু চালু হলে মালবাহীসহ ৬৮টি ট্রেন চলাচল করার পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ট্রেন চলাচলের সুযোগ সৃষ্টি হবে। একই সঙ্গে আন্তঃএশিয়া রেল যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ করিডর হিসেবেও ব্যবহৃত হবে। প্রসঙ্গত, নির্মাণাধীন এই সেতুকে সাধারণ ট্রেন ছাড়াও দ্রুতগতির (হাইস্পিড) ট্রেন চালানোর উপযুক্ত করে নির্মাণ করা হচ্ছে। ফলে সেতুতে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৫০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালানো যাবে। তবে শুরুতে (উদ্বোধনের এক বছর) সাধারণত ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করবে।