প্রতিশোধ নিতে প্রাক্তন স্ত্রীকে হত্যা, নিখোঁজ জিডির সূত্র ধরে হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন পিবি আইয়ের। গ্রেফতার -১
Date : 2-4-2023
শারমীন সুলতানা মিতু -
প্রবাসে থাকার সময় শ্বাশুড়ীর নামে পাঠানো টাকা আত্মসাত ও দুই সন্তান রেখে অন্যকে বিয়ে করার প্রতিশোধ নিতে প্রাক্তন স্ত্রীকে অপহরণ করে হত্যা করে লাশ যমুনা নদীতে ডুবিয়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় স্বজনদের করা নিখোঁজ সংক্রান্ত সাধারণ ডায়েরীর অনুসন্ধানকালে বড় ভাইসহ প্রাক্তন স্বামীকে গ্রেফতারের পর মূল রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) গাজীপুর।
গ্রেফতার আসামীরা গত শুক্রবার বিকালে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্ধি দিয়েছেন। সেখানে তারা হত্যার কারণ ও নিজেদের দায় স্বীকার করেছে।
হত্যার শিকার নারীর নাম জনি আক্তার রুপা (২০)। তিনি জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ থানার ফাজিলপুর গ্রামের রবিউল ইসলামের মেয়ে।
গ্রেফতার আসামীরা হলো, জনি আক্তার রুপা প্রথম স্বামী মোঃ মোজাম্মেল হক (৩২) ও তার বড় ভাই মোঃ জহির আলী (৩৯)। তারা উভয়ে জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ থানার হিদাগারী গ্রামের মৃত সোহরাব প্রামানিকের ছেলে। তাদেরকে গত ৩০ মার্চ সকালে গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানাধীন চাঁন্দনা চৌরাস্তা এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়।
শনিবার সকালে এসব তথ্য জানিয়েছেন গাজীপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান বিপিএম-সেবা।
তিনি আরো জানান, ২০১৫ সালে মোঃ মোজাম্মেল হকের সাথে জনি আক্তার রুপার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। এরপর তাদের দাম্পত্য জীবনে দুটি ছেলে সন্তান জন্ম গ্রহণ করে। পারিবারিক ও আর্থিক অভাব অনটনের কারণে মোঃ মোজাম্মেল হক ২০১৯ সালে মালেশিয়া চলে যায়। মোজাম্মেল দীর্ঘ ৪ বছর মালেশিয়া থাকাকালে শ্বাশুড়ীর ব্যাংক একাউন্টে প্রায় নয় লক্ষ টাকা পাঠিয়েছিলেন। চার বৎসর পর দেশে ফিরে মোজাম্মেল জানতে পারেন জনি আক্তার রুপা মোজাম্মেল হকের বোনের সতিনের ছেলে মোঃ উজ্জল মিয়ার সাথে পরকীয়া সম্পর্ক জড়িয়ে গোপনে বিয়ে করেছে এবং মোজাম্মেলের সংসার ত্যাগ করেছে। তার ছোট দুটি সন্তানকে রেখে উজ্জলের সাথে গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ থানার বালিগাঁও গ্রামে বসবাস করছে।