১৬ই ডিসেম্বর ২০২৩ মহান বিজয়ের ৫২তম বার্ষিকী যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে উদযাপন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দূতাবাস, আংকারা নানান অনুষ্ঠান আয়োজন করে। সকালে রাষ্ট্রদূত মোঃ আমানুল হক-এর নেতৃত্বে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বঙ্গবন্ধুর আবক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করার মধ্য দিয়ে দিবসটি পালনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। এরপরে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। অতঃপর তুরস্কের কোনিয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর নামে বঙ্গবন্ধু মোমোরিয়াল ফরেস্ট উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা/কর্মচারী এবং তাঁদের পরিবারবর্গ কোনিয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়।
দ্বিতীয়াংশে তুরস্কের কোনিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস আংকারা এবং বাংলাদেশ অনারারি কনসুলেট কোনিয়া ও রিজিওনাল ডাইরেক্টোরেট অব ফরেস্ট্রি এর যৌথ আয়োজনে “বঙ্গবন্ধু মোমোরিয়াল ফরেস্ট-এ ১০০০০ (দশ হাজার) বৃক্ষরোপন কর্মসূচীর ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রদূত মোঃ আমানুল হক। কোনিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের অনারারী কন্সাল মিজ ডেনিজ বুলকার এবং রিজিওনাল ডাইরেক্টোরেট অব ফরেস্ট্রির জনাব আবদুসেত্তার ইয়ারার। কোনিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টর, ব্যবসায়ী এবং প্রবাসী বাংলাদেশী ও তুরস্কের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত মোঃ আমানুল হক উদ্বোধনের প্রাক্কালে বলেন, বাঙ্গালী জাতির কল্যাণে ও তাদের অধিকার নিশ্চিতকল্পে বঙ্গবন্ধু আমৃত্যু নিরলস পরিশ্রম করে গেছেন এবং সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন। এছাড়া, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক বিশ্বাস এবং দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়ে তিনি উল্লেখ করেন যে, বঙ্গবন্ধু বাঙ্গালী জাতিকে পরাধীনতার গ্লানি থেকে মুক্ত করে শুধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনে দেননি বরং স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে এবং বাঙ্গালী জাতির মূল্যবোধ, আদর্শ ও লক্ষ্য প্রতিষ্ঠার জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে প্রত্যেক বাংলাদেশীকে যার যার অবস্থানে থেকে কাজ করার আহবান জানান।
তিনি উল্লেখ করেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর নামে আংকারার কেচিওরানে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল পার্ক ও চায়ওলুতে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ এবং কোনিয়ায় বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ফরেস্ট স্থাপনের মাধ্যমে তুর্কি-বাংলাদেশের মধ্যে পারষ্পরিক সম্পর্ক আরো মজবুত ও সুদূর প্রসারী হবে এবং তুরস্কের জনসাধারণ বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও তাঁর জীবনাদর্শ সম্পর্কে আরো জানতে পারবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি আরো বলেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ আজ একটি সম্মানজনক অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়চেতা নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল বিশ্বের দেশগুলোর জন্য রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। তিনি বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ, বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল পার্ক এবং বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ফরেস্ট স্থাপনে সহযোগীতার জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তুরস্ক সরকারের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করেন।