বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর পাকিস্তানের ক্রমবর্ধমান সম্পর্কে বেশ ঘনিষ্ঠতা দেখা যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী।
সম্প্রতি ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভে এক ইন্টারেক্টিভ অধিবেশনে চীন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ সম্পর্কে কথা বলেন ভারতের সেনাপ্রধান।
অধিবেশন চলাকালীন ভারতের সেনাপ্রধান ভবিষ্যতের জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রস্তুতি, চলমান সংঘাত থেকে শিক্ষা, বাংলাদেশের পরিস্থিতি এবং প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এবং নিয়ন্ত্রণ রেখা সম্পর্কে বিস্তৃত প্রশ্নের জবাব দেন।
তিনি বলেন, ‘এখন আপনি যে দ্বিতীয় জিনিসটি তুলে ধরেছেন তা হলো-সহযোগিতা বা আমাদের পশ্চিমা প্রতিবেশী এবং বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্ক।’
পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ব্যাপারে প্রশ্নের জবাবে সেনাপ্রধান দ্বিবেদী বলেন, যেহেতু আমি বলেছি, সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রস্থলে একটি দেশ রয়েছে, সেই দেশের সঙ্গে আমাদের প্রতিবেশী যেকোনো দেশের সম্পর্কের ব্যাপারে আমি উদ্বিগ্ন। আমার চিন্তিত হওয়া উচিত, কারণ সন্ত্রাসবাদের পথটি সেই দেশ থেকেও ব্যবহার করা হতে পারে। এটিই আমার উদ্বেগের প্রধান বিষয়।
তবে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে ভারতীয় সেনাবাহিনীর দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে বলেও দাবি করেন সেনাপ্রধান দ্বিবেদী। তিনি বলেন, ‘কারণ আমার মতে, আমি খুব স্পষ্ট করেই বলব, (বাংলাদেশ ও ভারতের) বর্তমান সামরিক-সামরিক সম্পর্ক খুবই শক্তিশালী। এবং আমরা নিয়মিতভাবে নোট বিনিময় করি, যাতে যেকোনো ধরনের দ্বিধা-দ্বন্দ্ব বা সন্দেহ এড়ানো যায়।’
চীন ও পাকিস্তানের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে জেনারেল উপেন্দ্র বলেন, আমাদের স্বীকার করতেই হবে যে, চীন এবং পাকিস্তানের মধ্যে একটি উচ্চ পর্যায়ের যোগসাজশ রয়েছে। ভার্চুয়াল মাধ্যমে তা প্রায় ১০০ শতাংশ। পাকিস্তানের যাবতীয় সরঞ্জাম চীন থেকে আসে। দু’দিক থেকেই ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের আশঙ্কা রয়েছে, এটাই বাস্তবতা।
জম্মু ও কাশ্মীরের সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তান থেকে অনুপ্রবেশ ঘটেই চলেছে বলে দাবি করেন ভারতের সেনাপ্রধান। এর ফলে আগামী দিনে উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
সূত্র: এনডিটিভি