মিয়ানমারের ম্যাগওয়ে অঞ্চলের ইয়েসাগিও টাউনশিপে সামরিক জান্তার একাধিক হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজন সদ্য বিবাহিত প্রতিরোধযোদ্ধা ও তার স্ত্রীও ছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার ইয়েসাগিও শহর থেকে প্রায় ১১ মাইল দক্ষিণে মাউক কা লান গ্রামে একটি স্কুলে প্যারামোটর থেকে বোমা নিক্ষেপ করে সেনাবাহিনী। এতে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোর নিহত ও আরও দুজন আহত হন। আহতদের মধ্যে একজন ১৬ বছরের মেয়ে এবং একজন ২৪ বছর বয়সী যুবক রয়েছে।
প্রতিরোধ দলের একজন মুখপাত্র জানান, ওই সময় গ্রামে কোনো ধরনের লড়াই চলছিল না। ধারণা করা হচ্ছে, সেনাবাহিনী স্কুলটিকে লক্ষ্যবস্তু করেছিল। কারণ তারা সন্দেহ করছিল, স্কুলটি প্রতিরোধ বাহিনীর ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে প্রতিরোধ দল নিশ্চিত করেছে যে স্কুলে কোনো যোদ্ধা অবস্থান করছিল না।
এ ঘটনার দুই দিন আগেও ইয়েসাগিও শহরের দক্ষিণে কান বেইত গ্রামে জান্তা বাহিনীর গোলাবর্ষণে চারজন নিহত হয়। এই হামলায়ও একজন প্রতিরোধ যোদ্ধা ও তার সদ্য বিবাহিত স্ত্রী মারা যান। এ ছাড়া আরও চারজন আহত হন।
মিয়ানমারে জান্তা বাহিনীর হামলায় নিহত ৫
ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্বে আঞ্চলিক প্রভাব রক্ষায় কৌশলী চীন
স্থানীয় সূত্র জানায়, রাত ১০টা ৩০ মিনিটে দুটি গোলা নিক্ষেপ করা হয়। প্রথম গোলাটি একটি মঠের পাশের বাড়িতে আঘাত হানে এবং দ্বিতীয় গোলাটি বিস্ফোরণের পর আগুন নেভাতে আসা লোকজনকে আঘাত করে।
নিহতদের মধ্যে ছিলেন একজন ৩২ বছর বয়সী নারী শিক্ষক, ১৭ বছর বয়সী কিশোর, ২০ বছর বয়সী প্রতিরোধ যোদ্ধা এবং তার ২৪ বছর বয়সী স্ত্রী।
স্থানীয়রা আরও জানান, শহরের কেন্দ্রে তিনটি জান্তা ব্যাটালিয়নের ঘাঁটি থাকলেও পুরো ইয়েসাগিও টাউনশিপের নিয়ন্ত্রণ মূলত প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হাতে। শহরের বাইরে বেশিরভাগ গ্রামেই তারা সক্রিয়।
এ ছাড়া জুলাইয়ের শুরুতে জান্তার রসদ বহনকারী কনভয়ের ওপর প্রতিরোধ বাহিনী মাইন হামলা চালায় এবং খাদ্য সরঞ্জাম জব্দ করে।
মিয়ানমারে চলমান সংঘর্ষে সাধারণ নাগরিকদের প্রাণহানি এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ক্রমাগত বেড়ে চলেছে।