চরে আটকে যাওয়া এমভি সুন্দরবন-১১ লঞ্চের যাত্রীদের নিয়ে নিরাপদে বরিশালে এসে পৌঁছেছে এমভি সুরভী-৭ লঞ্চ। বুধবার (০৩ জুলাই) সকাল ৬ টার দিকে লঞ্চটি বরিশাল নদী বন্দরে নোঙ্গর করে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএ বরিশালের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিদর্শক কবির হোসেন। তিনি জানান, সুন্দরবন ১১ লঞ্চের কোনো যাত্রীর বরিশালে পৌঁছাতে সমস্যা হয়নি। সবাই নিরাপদে সুরভী-৭ লঞ্চে চেপে বরিশালে এসে পৌঁছান। এদিকে সুন্দরবন-১১ লঞ্চটি এখনও চরে আটকে রয়েছে। জোয়ার হলে সেটিকে নামানো হবে। তবে সেটি বরিশালে আসবে না ঢাকায় যাবে তা এখনও মালিকপক্ষ জানায়নি। এদিকে লঞ্চের সুপারভাইজার সিরাজুল ইসলাম বলেন, জোয়ার না হলে লঞ্চটি নামানো যাচ্ছে না। বিকেলের জোয়ারে লঞ্চটি নামানো যেতে পারে। সেসময় লঞ্চটিকে নামাতে প্রয়োজনে অন্য লঞ্চের সহায়তাও নেওয়া হবে। ঢাকা থেকে বরিশালে আসার পথে এমভি সুন্দরবন-১১ লঞ্চটি মঙ্গলবার (০২ জুলাই)দিবাগত রাত ১১ টার দিকে চাঁদপুরের পশ্চিম মোহনপুর সংলগ্ন নদীর চরে আটকে যায়। লঞ্চের মাস্টার আলম সর্দার জানান, আনুমানিক ৫০০ যাত্রী নিয়ে মঙ্গলবার রাতে ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয় সুন্দরবন ১১ লঞ্চ। পথিমধ্যে হাইড্রোলিকে ত্রুটি দেখা দিলে লঞ্চটি নিয়ন্ত্রণে নিতে তীরবর্তী চরের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে লঞ্চটি চরে আটকে গেলে এবং নদীতে ভাটি থাকায় সেটিকে আর নামানো সম্ভব হয়নি। এদিকে সুরভী-৭ লঞ্চের যাত্রী ওমর ফারুক জানান, হঠাৎ করেই বরিশালগামী সুরভী-৭ লঞ্চটি নদী তীরে আটকে থাকা সুন্দরবন-১১ লঞ্চের দিকে এগিয়ে যায়। সুন্দরবন-১১ লঞ্চের কাছাকাছি গিয়ে দেখতে পাই সেটি একদিকে হেলে রয়েছে। তবে কীভাবে কী হয়েছে তা জানতে পারিনি। পরে সুন্দরবন-১১ লঞ্চের সঙ্গে আমাদের লঞ্চটি বেধে যাত্রীদের ওঠানো শুরু করে এবং রাত দেড়টার দিকে যাত্রীদের নিয়ে সুরভী-৭ লঞ্চ বরিশালের দিকে যাত্রা করে।