ঢাকা,সোমবার,১১ মাঘ ১৪২৭,২৫,জানুয়ারী,২০২১
|
|
|
|
|
|
|
|
|
৫৬ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন যারা
চতুর্থধাপের পৌরসভা নির্বাচনে ৫৬ পৌরসভায় দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।বুধবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র সরকারি বাসভবন গণভবনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভায় প্রার্থী চুড়ান্ত করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পৌরসভা নির্বাচনে (চতুর্থ ধাপ) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের নামের তালিকা: রংপুর বিভাগের ঠাকুরগাঁও জেলার ঠাকুরগাঁও পৌরসভায় আঞ্জুমান আরা বেগম, রাণীশংকৈল পৌরসভায় মো. মোস্তাফিজুর রহমান, লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট পৌরসভায় মো. মোফাজ্জল হোসেন, পাটগ্রাম পৌরসভায় মো. রাশেদুল ইসলাম সুইটকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
রাজশাহী বিভাগের জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর পৌরসভায় মো. শহীদুল আলম চৌধুরী, কালাই পৌরসভায় মোছা. রাবেয়া সুলতানা, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ পৌরসভায় সৈয়দ মনিরুল ইসলাম, রাজশাহী জেলার নওহাটা পৌরসভায় মো. হাফিজুর রহমান হাফিজ, গোদাগাড়ী পৌরসভায় মো. অয়েজ উদ্দিন বিশ্বাস, তানোর পৌরসভায় মো. ইমরুল হক, তাহেরপুর পৌরসভায় মো. আবুল কালাম আজাদ, নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম পৌরসভায় মো. মাজেদুল বারী নয়ন, নাটোর পৌরসভায় উমা চৌধুরী মনোনয়ন পেয়েছেন।
খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর পৌরসভায় মো. রফিকুল ইসলাম, আলমডাঙ্গা পৌরসভায় হাসান কাদির গনু, যশোর জেলার চৌগাছা পৌরসভায় মো. নুর উদ্দীন আল-মামুন, বাঘারপাড়া পৌরসভায় মো. কামরুজ্জামান, বাগেরহাট জেলার বাগেরহাট পৌরসভায় খাঁন হাবিবুর রহমান, সাতক্ষীরা জেলার সাতক্ষীরা পৌরসভায় শেখ নাসেরুল হককে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া পৌরসভায় বিপুল চন্দ্র হাওলাদার, বরিশাল জেলার মুলাদী পৌরসভায় মো. শফিকউজ্জামান, বানারীপাড়া পৌরসভায় সুভাস চন্দ্র শীল মনোনয়ন পেয়েছেন।
ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর পৌরসভায় মো. রকিবুল হক ছানা, কালিহাতী পৌরসভায় মোহাম্মদ নুরুন্নবী, কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর পৌরসভায় মো. আনোয়ার হোসেন, হোসেনপুর পৌরসভায় মো. আ. কাইয়ুম (খোকন), করিমগঞ্জ পৌরসভায় মো. মুসলেহ উদ্দিন, মুন্সিগঞ্জ জেলার মিরকাদিম পৌরসভায় আবদুস ছালাম, নরসিংদী জেলার নরসিংদী পৌরসভায় আশরাফ হোসেন সরকার, মাধবদী পৌরসভায় মো. মোশাররফ হোসেন, রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ পৌরসভায় নজরুল ইসলাম, রাজবাড়ী পৌরসভায় মহম্মদ আলী চৌধুরী, ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা পৌরসভায় নিমাই চন্দ্র সরকার, মাদারীপুর জেলার কালকিনি পৌরসভায় এস. এম. হানিফ, শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা পৌরসভায় মো. কামাল উদ্দিন আহমদ মনোনয়ন পেয়েছেন।
ময়মনসিংহ বিভাগের জামালপুর জেলার মেলান্দহ পৌরসভায় মো. শফিক জাহেদী রবিন, শেরপুর জেলার শেরপুর পৌরসভায় গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া, শ্রীবরদী পৌরসভায় মোহাম্মদ আলী লাল মিয়া, ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর পৌরসভায় মি. শশধর সেন, নেত্রকোনা জেলার নেত্রকোনা পৌরসভায় মো. নজরুল ইসলাম খান মনোনয়ন পেয়েছেন।
সিলেট বিভাগের সিলেট জেলার কানাইঘাট পৌরসভায় লুৎফুর রহমান, হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট পৌরসভায় মোহাম্মদ সাইফুল আলমকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌরসভায় তাকজিল খলিফা, কুমিল্লা জেলার হোমনা পৌরসভায় মো. নজরুল ইসলাম, দাউদকান্দি পৌরসভায় নাইম ইউসুফ, চাঁদপুর জেলার কচুয়া পৌরসভায় মো. নাজমুল আলম, ফরিদগঞ্জ পৌরসভায় আবুল খায়ের পাটওয়ারী, ফেনী জেলার পরশুরাম পৌরসভায় নিজাম উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী, নোয়াখালী জেলার চাটখিল পৌরসভায় মো. নিজাম উদ্দিন, সোনাইমুড়ি পৌরসভায় নুরুল হক চৌধুরী, লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি পৌরসভায় এম মেজবাহ উদ্দিন, চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া পৌরসভায় মোহাম্মদ জোবায়ের, পটিয়া পৌরসভায় মো. আইয়ুব বাবুল, চন্দনাইশ পৌরসভায় মু. মাহবুবুল আলম, খাগড়াছড়ি জেলা মাটিরাঙ্গা পৌরসভায় শামছুল হক, রাঙ্গামাটি জেলার রাঙ্গামাটি পৌরসভায় মো. আকবর হোসেন চৌধুরী, বান্দরবান জেলার বান্দরবান পৌরসভায় মোহাম্মদ ইসলাম বেবীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
|
চতুর্থধাপের পৌরসভা নির্বাচনে ৫৬ পৌরসভায় দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।বুধবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র সরকারি বাসভবন গণভবনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভায় প্রার্থী চুড়ান্ত করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পৌরসভা নির্বাচনে (চতুর্থ ধাপ) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের নামের তালিকা: রংপুর বিভাগের ঠাকুরগাঁও জেলার ঠাকুরগাঁও পৌরসভায় আঞ্জুমান আরা বেগম, রাণীশংকৈল পৌরসভায় মো. মোস্তাফিজুর রহমান, লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট পৌরসভায় মো. মোফাজ্জল হোসেন, পাটগ্রাম পৌরসভায় মো. রাশেদুল ইসলাম সুইটকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
রাজশাহী বিভাগের জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর পৌরসভায় মো. শহীদুল আলম চৌধুরী, কালাই পৌরসভায় মোছা. রাবেয়া সুলতানা, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ পৌরসভায় সৈয়দ মনিরুল ইসলাম, রাজশাহী জেলার নওহাটা পৌরসভায় মো. হাফিজুর রহমান হাফিজ, গোদাগাড়ী পৌরসভায় মো. অয়েজ উদ্দিন বিশ্বাস, তানোর পৌরসভায় মো. ইমরুল হক, তাহেরপুর পৌরসভায় মো. আবুল কালাম আজাদ, নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম পৌরসভায় মো. মাজেদুল বারী নয়ন, নাটোর পৌরসভায় উমা চৌধুরী মনোনয়ন পেয়েছেন।
খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর পৌরসভায় মো. রফিকুল ইসলাম, আলমডাঙ্গা পৌরসভায় হাসান কাদির গনু, যশোর জেলার চৌগাছা পৌরসভায় মো. নুর উদ্দীন আল-মামুন, বাঘারপাড়া পৌরসভায় মো. কামরুজ্জামান, বাগেরহাট জেলার বাগেরহাট পৌরসভায় খাঁন হাবিবুর রহমান, সাতক্ষীরা জেলার সাতক্ষীরা পৌরসভায় শেখ নাসেরুল হককে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া পৌরসভায় বিপুল চন্দ্র হাওলাদার, বরিশাল জেলার মুলাদী পৌরসভায় মো. শফিকউজ্জামান, বানারীপাড়া পৌরসভায় সুভাস চন্দ্র শীল মনোনয়ন পেয়েছেন।
ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর পৌরসভায় মো. রকিবুল হক ছানা, কালিহাতী পৌরসভায় মোহাম্মদ নুরুন্নবী, কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর পৌরসভায় মো. আনোয়ার হোসেন, হোসেনপুর পৌরসভায় মো. আ. কাইয়ুম (খোকন), করিমগঞ্জ পৌরসভায় মো. মুসলেহ উদ্দিন, মুন্সিগঞ্জ জেলার মিরকাদিম পৌরসভায় আবদুস ছালাম, নরসিংদী জেলার নরসিংদী পৌরসভায় আশরাফ হোসেন সরকার, মাধবদী পৌরসভায় মো. মোশাররফ হোসেন, রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ পৌরসভায় নজরুল ইসলাম, রাজবাড়ী পৌরসভায় মহম্মদ আলী চৌধুরী, ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা পৌরসভায় নিমাই চন্দ্র সরকার, মাদারীপুর জেলার কালকিনি পৌরসভায় এস. এম. হানিফ, শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা পৌরসভায় মো. কামাল উদ্দিন আহমদ মনোনয়ন পেয়েছেন।
ময়মনসিংহ বিভাগের জামালপুর জেলার মেলান্দহ পৌরসভায় মো. শফিক জাহেদী রবিন, শেরপুর জেলার শেরপুর পৌরসভায় গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া, শ্রীবরদী পৌরসভায় মোহাম্মদ আলী লাল মিয়া, ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর পৌরসভায় মি. শশধর সেন, নেত্রকোনা জেলার নেত্রকোনা পৌরসভায় মো. নজরুল ইসলাম খান মনোনয়ন পেয়েছেন।
সিলেট বিভাগের সিলেট জেলার কানাইঘাট পৌরসভায় লুৎফুর রহমান, হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট পৌরসভায় মোহাম্মদ সাইফুল আলমকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌরসভায় তাকজিল খলিফা, কুমিল্লা জেলার হোমনা পৌরসভায় মো. নজরুল ইসলাম, দাউদকান্দি পৌরসভায় নাইম ইউসুফ, চাঁদপুর জেলার কচুয়া পৌরসভায় মো. নাজমুল আলম, ফরিদগঞ্জ পৌরসভায় আবুল খায়ের পাটওয়ারী, ফেনী জেলার পরশুরাম পৌরসভায় নিজাম উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী, নোয়াখালী জেলার চাটখিল পৌরসভায় মো. নিজাম উদ্দিন, সোনাইমুড়ি পৌরসভায় নুরুল হক চৌধুরী, লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি পৌরসভায় এম মেজবাহ উদ্দিন, চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া পৌরসভায় মোহাম্মদ জোবায়ের, পটিয়া পৌরসভায় মো. আইয়ুব বাবুল, চন্দনাইশ পৌরসভায় মু. মাহবুবুল আলম, খাগড়াছড়ি জেলা মাটিরাঙ্গা পৌরসভায় শামছুল হক, রাঙ্গামাটি জেলার রাঙ্গামাটি পৌরসভায় মো. আকবর হোসেন চৌধুরী, বান্দরবান জেলার বান্দরবান পৌরসভায় মোহাম্মদ ইসলাম বেবীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
|
|
|
|
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক উপকমিটির নেতারা।বুধবার (৬ জানুয়ারি) রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে বন ও পরিবেশ উপকমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. খন্দকার বজলুল হক ও সদস্য সচিব দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নবঘোষিত কমিটির সদস্য বাহাদুর ব্যাপারি, ডা. আফতাব আলী, বিমান রায়, মিহির কান্তি ঘোষাল, মুন্সি সেলিম হোসেন, উৎপল সাহা, মাজারুল ইসলাম মানিক, ব্যারিস্টার ফারহানা, সৈয়দ হেমায়েত হোসেন, সিনিয়র সাংবাদিক নিয়াজ জামান সজীব প্রমুখ।
|
|
|
|
নৌকার বিরুদ্ধে কোন বিদ্রোহী প্রার্থীকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না এবং তাদেরকে কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ। সোমবার (৪ জোনুয়ারি) রাজধানীর বনানীতে কড়াইল এরশাদ স্কুল মাঠে যুবলীগের উদ্যোগে গরীব-অসহায়দের মাঝে শীতবস্ত্র ও মাস্ক বিতরণ কেরার আগে দেয়া বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। পরশ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আমাদের শিক্ষা দেয়, দেশপ্রেমের, অপরিসীম সাহসের, আদর্শিক চরিত্রের। এই শিক্ষাকে বুকে ধারণ করে আমাদের যুবলীগ সর্বদা গরীব-দুঃখী-অসহায় মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে।’
‘করোনা মহামারিতে বিনা পারিশ্রমিকে কৃষকের ধান কেটে দেওয়া, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত লাশের দাফন করা, কর্মহীন মানুষের মাঝে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়া, ফ্রি এ্যাম্বুলেন্স সেবাসহ নানা ধরণের জনকল্যাণমূলক কাজ করে যাচ্ছে যুবলীগ। এই করোনা মহামারিতে আমরা প্রায় ৪৩ লক্ষ অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়েছি।’
এ সময় যুবলীগের নেতা-কর্মীরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার নির্দেশ দেন তিনি। যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত এই কড়াইল বস্তিবাসী বিএনপি-জামাতের নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তারা বস্তিবাসীকে জিম্মি করে মাদকের আস্তানা গড়ে তুলেছিল। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার অত্যন্ত প্রিয় এই বস্তিবাসীর ওপর যদি কোন আঘাত আসে তাহলে তা কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে।
তিনি যুবসমাজকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এই বস্তিতে মাদক থাকবে না, এই বস্তিতে সন্ত্রাস থাকবে না। মাদক ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে তাদেরকে আইনের হাতে তুলে দেওয়া হবে। আর যেন কোন মায়ের সন্তান মাদকের নেশায় ধ্বংস হয়ে না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে যুবলীগের নেতা-কর্মীদের।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন-যুবলীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন পাভেল, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক এড. মুক্তা আক্তার, উপ-ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. আলতাফ হোসেন, উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া শামীম, সহ-সম্পাদক আব্দুর রহমান জীবন, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন। উপস্থিত ছিলেন-যুবলীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য এড. মামুনুর রশীদ, মঞ্জুর আলম শাহীন, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মৃণাল কান্তি জোয়ার্দার, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. বদিউল আলম, রফিকুল আলম সৈকত জোয়ার্দার, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম, ডা. হেলাল উদ্দিন, মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, জহির উদ্দিন খসরু, মশিউর রহমান চপল, এড. মো. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. শামীম খান, তথ্য ও যোগাযোগ (আইটি) সম্পাদক মো. সামছুল আলম অনিক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মোস্তাফিজ, জনশক্তি ও কর্মসংস্থান সম্পাদক শাহীন মালুম, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ (আইটি) সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত প্রমুখ।
|
|
|
|
৫৬টি পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম বিতরণ শুরু হচ্ছে আজ (মঙ্গলবার)। ১১ জানুয়ারি (সোমবার) পর্যন্ত মনোনয়ন বিতরণ ও জমা নেয়ার কার্যক্রম চলবে। প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম বিতরণ করা হবে। আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে মনোনয়নের জন্য আবেদনপত্র সংগ্রহ এবং জমা দেয়া যাবে।
আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট জেলা, উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত রেজুলেশনে প্রস্তাবিত প্রার্থীরা মনোনয়ন ফরম কিনতে পারবেন। যথাযথ স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিধি মেনে এবং কোনো ধরনের লোকসমাগম ছাড়া প্রার্থী নিজে অথবা একজন প্রতিনিধির মাধ্যমে আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন।
আবেদনপত্র সংগ্রহের সময় প্রার্থীকে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সঙ্গে আনতে হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
|
|
|
|
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের কক্সবাজার থেকে ভাসানচরের স্থানান্তরের ক্ষেত্রে কয়েকটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিরোধিতাকে অযৌক্তিক হিসেবে বর্ণনা করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকায় নিজের সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের প্রত্যার্বাসন বিলম্বিত হওয়ায় সরকার ভাসানচরে অধিকতর সুযোগ সুবিধা দিয়ে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের উদ্যোগ নিয়েছে। যারা ইতিমধ্যে ভাসানচরে গিয়েছে, তারা আনন্দ উল্লাস-স্বস্তি প্রকাশ করলেও কোনো কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বহুজাতিক গণমাধ্যম রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে জোরপূর্বক স্থানান্তরের কথা প্রচার করছে। যা আদৌ সত্য নয়।’
‘যারা স্বেচ্ছায় যেতে চেয়েছে কেবলমাত্র তাদেরই স্থানান্তর করা হচ্ছে। কোনো ধরনের চাপ প্রয়োগ করে নয়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এতদিন ধরে শুধু বাংলাদেশের মানবিকতার প্রশংসা করে যাচ্ছে। আশ্বাসের বাণী শোনানো ছাড়া দৃশ্যমান আর কি হয়েছে? এখনও মিয়ানমারকে তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে কার্যকর কোনো চাপ প্রয়োগ করা যায়নি। এই বাস্তবায়তায় রোহিঙ্গাদের সাময়িক স্থানান্তরের আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিরোধিতা করা কতটুকু যৌক্তিক।
বাংলাদেশ আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যেকোনো সমস্যা সমাধানের বিশ্বাস করে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, তাই বিশ্ব সম্প্রদায় তথা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়সমূহকে রোহিঙ্গ নাগরিকদের প্রত্যাবর্তনে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি কার্যকর কৌশলের জন্য আমরা আবারও আহ্বান জানাচ্ছি।
পর্যটন এলাকা কক্সবাজারে বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপস্থিতির নেতিবাচক প্রভাব তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলায় কয়েকটি ক্যাম্পে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী আশ্রয় নিয়েছে। আমাদের দেশের প্রায় সাড়ে ৪ লাখ লোক এই দুই উপজেলার বাসিন্দা। কিন্তু এর ওপর আরও ১২ লাখ লোক সেখানে স্রোতের মতো এসে আশ্রয় নিয়েছে। এত বড়সংখ্যক জনগোষ্ঠীর ভরনপোষন বাংলাদেমের অর্থনীতির ওপর নিসন্দেহে চাপ প্রয়োগ করে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রাকৃতিক পরিবেশও প্রতিবেশ।
‘ধারণক্ষমতার কম জায়গায় অধিকসংখ্যক মানুষ বসবাস করায় হুমকির মুখে পড়েছে সামাজিক পরিবেশ ও ভারসাম্য। দেখা দিয়েছে মানবিক ও পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা। বিশ্বের দীর্ঘতম বালুকাময় সৈকত ঘিরে পর্যটন শিল্পের উপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।’
সরকার করোনার টিকা সংগ্রহে ইতিমধ্যেই উদ্যোগ নিয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ কিংবা ফেব্রুয়ারিতে টিকা দেশে এসে পৌঁছবে বলে আমরা আশা করছি। টিকা সংগ্রহ এবং ব্যবস্থাপনার বিষয়টি সুচারুভাবে সম্পন্ন করতে নেওয়া হচ্ছে পূর্বপ্রস্তুতি। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে এবং দেশবাসীকে অবহিত করছে।’
টিকা নিয়ে একটি মহল বিভ্রান্তি ছড়ানো অপচেষ্টা করছে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘একটি মহল সরকারের যেকোনো ভালো উদ্যোগের অহেতুক সমালোচনায় সক্রিয়। টিকা এখনো আসেইনি, তার মধ্যেই স্বার্থন্বেষীমহল বিভ্রান্তি ছড়ানো শুরু করেছে সেই মতলবি মহল।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দেশবাসীকে এসব উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সতর্ক থাকতে এবং মাস্ক পড়ার আহ্বান জানান।
‘সরকার ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে বিদেশি শক্তির কাছে জাতীয় স্বার্থ বিসর্জন দিচ্ছে’-বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে দেশের মানুষ জানে, কারা ক্ষমতায় যেতে বিদেশি দূতাবাসের দরজায় ফুল আর মিষ্টি নিয়ে অপেক্ষা করে। কারা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বিদেশি সংস্থার কাছে প্রকাশ্য দিবালোকে নৈতিক সাহায্য প্রার্থনা করে। জনগণের কাছে না গিয়ে বিদেশিদের কাছে নালিশ দেয়। স্বাধীন দেশে একটি রাজনৈতিক দলের ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য এবং নির্লজ্জ বিদেশনির্ভরতা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এদেশের স্বাধীনতা এসেছে, দেশের প্রতি ইঞ্চি মাটি শেখ হাসিনা সরকারের কাছে নিজ অস্তিত্বের মতো। ক্ষমতার জন্য বিএনপিই জাতীয় স্বার্থ বিসর্জন দিতে প্রস্তুত থাকে,আওয়ামী লীগ নয়।
|
|
|
|
সীমান্ত সমস্যা নিয়ে বিএনপির কর্মসূচি লোক দেখানো বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে তার দপ্তরে সিলেট-শ্রীমঙ্গল ও সিলেট-হবিগঞ্জ রুটে বিআরটিসি বাস সার্ভিস উদ্বোধন শেষ সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন। মন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তার বাসভবন থেকে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন। মন্ত্রী বলেন, ‘সরকার সীমান্ত এলাকায় স্থিতিশীলতা রক্ষায় অত্যন্ত আন্তরিক।’
বিএনপির গণতন্ত্র হচ্ছে তাদেরকে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার গ্যারান্টি দেওয়া উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তাদের গণতন্ত্র হচ্ছে হাওয়া ভবনের লুটেরা সাম্রাজ্য পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা এবং নির্বাচনে অংশ নিয়ে ভোটের দিন সরে যাওয়াই বিএনপির গণতন্ত্র।’
গণতন্ত্র একটি বিকশমান প্রক্রিয়া এবং এটি হঠাৎ করে প্রতিষ্ঠা পায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র এক চাকার সাইকেল নয়, গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে হলে প্রয়োজন সব পক্ষের সদিচ্ছা।’ দেশে গনতন্ত্র নেই বলে বিএনপি নেতাদের অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তাহলে আপনারা প্রতিনিয়ত সরকারের সমালোচনা করছেন কীভাবে? গণতন্ত্র আছে বলেই তো আপনারা সমালোচনা করে যাচ্ছেন।’
গঙ্গার পানি বণ্টন প্রসঙ্গে বিএনপি নেতাদের বিভিন্ন বক্তব্য প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘তারা ক্ষমতায় থাকাকালীন গঙ্গার পানি বণ্টনের কথা ভুলে গেলেও আওয়ামী লীগ সরকার ভুলে যায়নি। তিস্তা পানি বণ্টনও সমাধান হবে অচিরেই, এ বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিআরটিসি বহরে গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে, কিন্তু যে হারে আয় বাড়ার কথা সে হারে বাড়ছে না।’ এ সময় সড়ক-মহাসড়কে ঘন কুয়াশা থাকায় সাবধানে গাড়ি চালাতে চালকদের প্রতি নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
সড়কমন্ত্রী বলেন, ‘যত সিট তত আসন’ নীতি প্রতিপালনের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রতিটি গাড়িতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রী পরিবহন না করিলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ৪ লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প আগামী মাসে একনেকে অনুমোদনের জন্য উত্থাপন করা হবে বলেও তিনি জানান।
এ সময় ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, বিআরটিসির চেয়ারম্যান, সিলেট বিভাগীয় কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এর আগে সচিবালয়ে সড়ক ও জনপথ প্রকৌশলী সমিতির নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
|
|
|
|
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, স্বাধীনতার এত বছর পরেও সাম্প্রদায়িক অপশক্তি এখনও ষড়যন্ত্র করছে। সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে আমাদের শপথ হবে, এদের যে বিষবৃক্ষ এখনও ডালপালা বিস্তার করে আছে, তা সমূলে উৎপাটন করা।’
ভাস্কর্য ইস্যুতে বিএনপির নীরবতার কারণ নিয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপির নীরবতার কারণ তো পরিস্কার। পেছন থেকে মদদ দিচ্ছে তারা। তারাই এ সাম্প্রদায়িক অপশক্তির পৃষ্ঠপোষক, জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক। এটা প্রমাণিত।’
|
|
|
|
স্টাফ রিপোর্টার : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য প্রতিষ্ঠিত হবেই, ঠেকানোর কারো শক্তি নেই বলে মন্তব্য করেছেন বঙ্গমাতা সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি শেখ শাহ অলম। তিনি বলেন, আলেম ওলামা তারা ইসলামের প্রতিনিধিত্ব করছেন। তারা ইসলামের ধারক ও বাহক। ইসলামে উগ্রবাদের কোন স্থান নেই। উগ্রবাদী কথা জনগণ সমর্থন করে না।
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য প্রতিষ্ঠিত হবে। কোন শক্তির ক্ষমতা নেই এটা বন্দ করার প্রয়োজনে তাদের বিশদাত বেঙ্গে দিয়ে দেশ থেকে বিতারিত করা হবে। বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সামনে বঙ্গমাতা সাংস্কৃতিক জোটের মানব বন্দনে একথা বলেন,।
আপনারা জঙ্গিদের ভাষায় কথা বলছেন। একটা স্বাধীন রাষ্ট্র, এখানে পাকিস্তানের প্রেতাত্মা বা রাজাকারদের হুমকি শোনার জন্য এদেশ স্বাধীন হয়নি। এটা স্বাধীনদেশ।বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন বঙ্গমাতা সাংস্কৃতিক জোট সবসময় মাঠে থাকবে। ,এসময় বক্তব্য রাখেন মির্ঝা সাখোয়াত,রোকন উদ্দিন পাঠান,সরকার আলম,রাশেদুল ইসলাম রাজীব,আলভী সরকার,সাগরিকা মন্ডল,সিদ্দিকুর রহমান,রাজিয়া বেগম ,শেখ রজনি, চানমিয়া সিকদার,হাজী রওশন আলী,রনিসহ প্রমুখ।
|
|
|
|
ব্যস্ততম ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক যান চলাচল নির্বিঘ্ন করতে চারলেনে উন্নীত করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বুধবার (২ ডিসেম্বর) নয়ারহাট সেতুর নির্মাণকাজ উদ্বোধন করে বক্তব্য দিতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তার সরকারি বাসভভন থেকে যুক্ত হন। তিনি জানান, এডিবির অর্থায়নে মহাসড়কের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে বিস্তারিত নকশা প্রণয়ণের কাজ চলমান রয়েছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘এক সময় রসিকতা করে বলা হতো, মরতে যদি চাও ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে যাও। এখন সহাসড়কে দুর্ঘটনা নেই বললেই চলে। কী করেছি আমরা! খুব বেশি কিছু নয়। ১১টি দুর্ঘটনা প্রবণ স্পট বা ব্ল্যাক স্পট চিহ্নিত করে ডিভাইডার স্থাপন এবং বাঁকগুলো সোজা করে দেওয়া হয়েছে। এতেই এসেছে সাফল্য। এ ধারাবাহিকতায় আমরা পুরো দেশের ১৪৪টি ব্ল্যাক স্পট এড্রেস করেছি ।’
ঢাকা থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত সড়কটিকে একটি মডেল সড়কে রূপান্তর করার কথা জানান ওবায়দুল কাদের। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আমিনবাজার, সালেহপুর এবং নয়ারহাটে তিনটি সেতু নির্মাণের লক্ষ্যে একটি প্রকল্প গ্রহনের কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘নয়ারহাট সেতুটি এ প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা হচ্ছে। চারলেনের সেতু ছাড়াও সেতুর দুপ্রান্তে ৬-লেনের প্রায় ১ কিলোমিটার এপ্রোচ সড়ক নির্মাণ করা হবে। নির্মাণ করা হবে ৪টি বাস-বে, ১টি ফুট ওভারব্রিজ, সেতুর নীচ দিয়ে ১টি আন্ডারপাস ও কিলোমিটারের বেশি দীর্ঘ ১টি ইউ-লুপ। সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় শত কোটি টাকা ব্যয়ে দোলে নির্মিত হতে যাচ্ছে।’
সড়ক নিরাপত্তা সরকারের এখন অগ্রাধিকার জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে এনে সড়ক ব্যবহারকারীদের জন্য নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে অবিরাম। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং সংস্থাসমূহের মাঝে সমন্বয় জোরদার করা হয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারিং সলিউশন এবং অ্যানফোর্সমেন্ট এর পাশাপাশি প্রয়োজন অ্যাওয়্যারনেস। এজন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
দেশব্যাপি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় মহাসড়কসমূহ চারলেনে উন্নীত করার পরিকল্পনার কথা কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রায় সাড়ে চারশ কিলোমিটার মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ কাজ শেষ করেছি। বর্তমানে আরও সাড়ে চারশ কিলোমিটার মহাসড়কের চারলেনে উন্নীতকরণ কাজ চলমান রয়েছে। ’
‘মহাসড়ক নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ি আমরা এখন প্রতিটি মহাসড়কের চারলেনের সাথে অতিরিক্ত দুটি লেন দুপাশে নির্মাণ করছি ধীরগতির যানবাহন চলাচলের জন্য। এতে দুর্ঘটনা কমে আসছে এবং বাই লেন ব্যবহার করে পাশ্ববর্তী এলাকার জনমানুষের চলাচলও সহজতর হচ্ছে।’
রাজধানী ঢাকায় প্রবেশ এবং ঢাকা থেকে বের হওয়ার সড়কসমূহের সৌন্দর্যবর্ধন এবং পরিচ্ছন্নতার ওপর জোর দেন সেতুমন্ত্রী।
এ সময় ঢাকা সড়ক জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সবুজ উদ্দীন খান, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমেদ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু ছাঈদ শেখ, প্রধান প্রকৌশলী শাহরিয়ার আলম।
|
|
|
|
নিরাপদ ও ভ্রমণবান্ধব সড়ক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা সরকারের অগ্রাধিকার বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের উদ্যোগে `নিসচার` ২৭ বছর উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে একথা বলেন। ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন। তিনি বলেন, সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ আংশিকভাবে কার্যকর করা হলেও সকলের সহযোগিতায় এই আইন পূর্ণাঙ্গ কার্যকর করা হবে অচিরেই।
সড়কের পাশে যত্রতত্র বাস থামানো বন্ধে পরিকল্পিত বাস স্টপেজ নির্মাণ করা হচ্ছে জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, অনেক ক্ষেত্রে অপরিকল্পিত গতিরোধক দুর্ঘটনা ঘটায়,তাই সাড়ে পাঁচশ অপরিকল্পিত গতিরোধক এরই মাঝে অপসারণ করা হয়েছে।
আধুনিক সড়ক ব্যবস্থাপনায় অংশ হিসেবে উন্নত বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও চালু করা হয়েছে রোড সেফটি অডিট উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ পর্যন্ত সড়ক ও অধিদপ্তরের আওতাধীন প্রায় পাঁচশ কিলোমিটার মহাসড়কে রোড সেফটি অডিট পরিচালনা করা হয়েছে। বর্তমানে তিনশ কিলোমিটারে অডিট কার্যক্রম চলমান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিগত এক যুগে প্রায় সাড়ে চারশ কিলোমিটার মহাসড়ক চার বা আরো বেশি লেনে উন্নিত করা হয়েছে।
গাড়ী চালক বিশেষ করে ট্রাক চালকদের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে নির্মাণ করা হচ্ছে চারটি বিশ্রামাগার বলে জানান সড়ক মন্ত্রী।
জাতীয় প্রেসক্লাবে গোল টেবিল বৈঠকে সরাসরি ও ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন নিসচার চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, বিআরটিএ`র চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডক্টর শামসুল হক,পরিবহন মালিক - শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, রেগুলেটরি সংস্থার প্রতিনিধিগন এবং সড়ক পরিবহনের সংশ্লিষ্ট অংশীজন।
|
|
|
|
দেশের ৬৪ জেলায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণের দাবি জানিয়েছে আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা যুব প্রজন্মলীগ। বুধবার (২ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সন্ত্রাস, জঙ্গি, মৌলবাদ, উগ্রবাদী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার হুমকিদাতাদের বিরুদ্ধে মানববন্ধনে সংগঠনের নেতারা এই দাবি জানান।
সংগঠনের সভাপতি আব্দুল শহিদ কাজল বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে সমালোচনাকারী হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।
সংগঠনের সভাপতি আব্দুল শহিদ কাজলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুহিউদ্দীন খান ফারুকীর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা আয়ুব প্রদীপ, আবুল কালাম, মহসিন আলী, রাজন দেবনাথ প্রমুখ।
|
|
|
|
নতুন সড়ক আইন আংশিক কার্যকর হয়েছে, পুরোপুরি কার্যকর হয়নি। তবে এটা বাস্তবায়ন করা মন্ত্রণালয়ের একার কাজ নয়। এ আইন সম্পূর্ণ কার্যকর জন্য আমরা চেষ্টা করছি। মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে নিরাপদ সড়ক চাই আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে এসব কথা জানান সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ওবায়দুল কাদের বলেন, নিরাপদ সড়কের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে গত ১২ বছরে ব্যাপক যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়ন করেছে সরকার। তবে আমাদের এ কথা বলতে দ্বিধা নেই যে, সড়ক নিরাপত্তার বিষয়টি যতদূর এগোনোর কথা, ততোদূর আমরা এগুতে পারিনি। নতুন সড়ক আইন আংশিক বাস্তবায়ন হয়েছে। আমরা যদি সড়কের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করতে না পারি তাহলে আমাদের উন্নয়ন ম্লান হয়ে যাবে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, নতুন সড়ক আইনটি বাস্তবায়ন ও প্রয়োগে কিছু সমস্যা আছে, যার কারণে আইনটি বাস্তবায়ন করতে পারিনি। আমাদের আরও সচেতন হতে হবে। মানুষ এখন ট্রাফিক আইন মানতে চায় না, পথচারীরা পথ চলার নিয়ম মানতে চায় না। এ বিষয়ে সচেতনতা জরুরী, আমাদের সচেতনতা দরকার।
তিনি বলেন, আমরা ৪৩০ কিলোমিটার সড়ক চার লাইন করেছি। আরো ৪০০ কিলোমিটার সড়ক চার লাইন করার প্রস্তুতি চলছে। নতুন এই চার লেনের কাজ আমাদের এগিয়ে চলছে। আমাদের এ রকম বড় সড়ক থাকলে আমরা দুর্ঘটনা এড়িয়ে চলতে পারতাম। খুব শিগগিরই এটা হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন সবগুলোই চার লেনের হবে। পাহাড়ি অঞ্চলে ও আমাদের দুই লাইনের মেরিন ড্রাইভ সড়ক হচ্ছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম ঢাকা-সিলেট রাস্তাও নতুন করে চার লেনের হওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
মন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে আমরা সড়ক ভিজিট করতে পারছি না।
আরটিভি সিইও সৈয়দ আশিকুর রহমানের পরিচালনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন। বক্তব্য রাখেন প্রথম আলোর যুগ্ন সম্পাদক মিজানুর রহমান খান, সিনিয়র সাংবাদিক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।
|
|
|
|
নির্বাচনের পথে না হেঁটে ক্ষমতায় যেতে অগণতান্ত্রিক পথ খোঁজা বিএনপির পুরনো অভ্যাস জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তাদের দুঃশাসন এখনো মানুষকে তাড়া করে, তাই তারা জনমানুষের আস্থা হারিয়েছে। রোববার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকায় নিজের সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় নিজস্ব বলয় তৈরি করতে মাই ম্যান দিয়ে কমিটি গঠন করা যাবে না বলে নির্দেশনা দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
যেসব জেলায় আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়নি এবং কমিটির মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে, সেসব জেলায় দ্রুত কাউন্সিল করার নির্দেশনা দিয়েছেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, জেলা সম্মেলনের আগে উপজেলা, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে কাউন্সিলের মাধ্যমে কমিটি গঠন করতে হবে। তিনি নেতাকর্মীদের কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাউন্সিল করার নির্দেশ দেন। চিহ্নিত অপরাধী, চাঁদাবাজ, দখলদার ও সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর কাউকে দলে নেওয়া যাবে না বলে আবারও স্মরণ করে দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ত্যাগী নেতাকর্মীদের জন্য রাজনীতিতে টিকে থাকার এবং এগিয়ে যাওয়ার পথ সৃষ্টি করে দিতে হবে।
সরকার না কী শাসন দীর্ঘায়িত করতে চায়, বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় এসেছে। সুতরাং সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে পরবর্তী নির্বাচন হবে, তাই শাসন দীর্ঘায়িত করার সরকারের কোনো ইচ্ছাও নাই, সুযোগও নাই। শেখ হাসিনা সরকার উন্নয়নবান্ধব সরকার, দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে নিচ্ছে বলেই জনগণ বারবার আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করছে বলেও জানান তিনি। আওয়ামী লীগ কোনো খেলা বা ষড়যন্ত্রে বিশ্বাসী নয় বরং আওয়ামী লীগই বারবার ষড়যন্ত্রের শিকার উল্লেখ করে কাদের বলেন, বিএনপিই পর্দার আড়ালে ষড়যন্ত্রে তত্ত্বে বিশ্বাসী, তারাই ক্ষমতার জন্য অপকৌশল ও দেশবিদেশে বিভিন্ন খেলা খেলছে।
মাগুরা জেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, কারা হামলা করেছে তা তদন্ত হওয়া দরকার। ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, এ ঘটনা তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের বহিঃপ্রকাশ কি না তা খতিয়ে দেখাও দরকার। তিনি বলেন, অপরাধী কোনো দলের নয় কিন্তু কোনো ঘটনায় অভিযুক্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হলে বিএনপি আবার অভিযোগ করে বলে সরকার দমন-পীড়ন চালাচ্ছে।
গণতন্ত্র পুণঃপ্রতিষ্ঠার আগে বিএনপিকে নিজ দলের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বক্তব্য-বিবৃতি আর গুজব অপপ্রচার চালিয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যায় না। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনকে উদ্দেশ্যমূলক প্রশ্নবিদ্ধ করে, গোপনে সরকার পতনের অলিগলি পথ খুঁজে আর দেশ বিদেশে গোপন বৈঠক করে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চায় বিএনপি? বিএনপির গণতন্ত্র হচ্ছে "মুখে শেখ ফরিদ আর বগলে ইট"।
|
|
|
|
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে একটি সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী যে অনাহুত বিতর্কের সৃষ্টি করছে, তার ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ভাস্কর্য নিয়ে মনগড়া ব্যাখ্যা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও দেশের সংস্কৃতির প্রতি চ্যালেঞ্জ। শনিবার (২৭ নভেম্বর) রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকায় নিজের সরকারি বাসভবনে ব্রিফিং করার সময় এসব কথা বলেন তিনি।
স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে একটি ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী ইসলামের অপব্যাখ্যা দিয়ে ধর্মপ্রিয় মানুষের মনে বিদ্বেষ ছড়ানোর অপচেষ্টা করছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এদেশে ইসলাম সম্পর্কে গবেষণা, চর্চা এগিয়ে নিতে বঙ্গবন্ধু প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
ধর্মীয় শিক্ষা প্রসারে মাদ্রাসা বোর্ড পুনর্গঠনসহ ইসলাম প্রচারে তাবলিগ-জামাতকে জমি দিয়েছিলেন জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা পবিত্র ধর্মের একজন নিবেদিত প্রাণ ও অনুসারী হিসেবে ইসলামের সঙ্গে জ্ঞানবিজ্ঞানের সমন্বয় করে প্রকৃত ইসলামের চর্চা এগিয়ে নিতে জনমানুষের ধর্মানুরাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দেশের প্রতিটি উপজেলায় নির্মাণ করেছেন মডেল মসজিদ কমপ্লেক্স।
ওবায়দুল কাদের বলেন, একজন ধর্মপ্রাণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন সরকার পরিচালনার দায়িত্বে তখন এদেশে ইসলাম বিরোধী কোন কার্যক্রম হবে, তা বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই। তিনি বলেন, ভাস্কর্যকে যারা মূর্তি বলে অপপ্রচারে নেমেছে তারা নিজেরাই ভ্রান্তিতে রয়েছে। দেশের আলেম সমাজ এবং বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যেই বারবার বলেছেন মূর্তি আর ভাস্কর্য এক নয়। ওবায়দুল কাদের বলেন, ইসলাম আমাদের ধর্ম, এ ধর্মের বিধিবিধানে ধর্মীয় ইস্যুতে বাড়াবাড়ির সুযোগ নেই। নিরুৎসাহিত করা হয়েছে ধর্মীয় বিষয়ে বিতর্ক করতে, নিষেধ করা হয়েছে ফিতনা-ফ্যাসাদ সৃষ্টিতে।
বাংলাদেশের স্থপতির ভাস্কর্য টেনে হেঁচড়ে নামাবে বলে কোনো কোনো ধর্মীয় নেতা ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য রাখছেন, তাদের এমন রুচি এবং ভাষা ব্যবহার দেখে তাদের ধর্মচর্চা ও ইসলামী রুচিবোধ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বলেও মনে করেন ওবায়দুল কাদের।
"পবিত্র কোরআনের সূরা সাবার ১৩ নং আয়াতে বর্ণিত `তামাসিলা` এবং সূরা ইব্রাহিমের ৩৫ নং আয়াতে বর্ণিত `আসনাম` শব্দ ২টি এক নয়। কাজেই মুফাসসিরগণ মনে করেন তামাসিলা মানে ভাস্কর্য আর আসনাম মানে প্রতিমা-পূজা। এ দুটি শব্দকে উদ্দেশ্যমূলক ভাবে ভুলব্যাখ্যা করা হয়েছে।"
প্রকৃত ইসলাম চর্চার আহবান জানিয়ে কাদের বলেন, ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করা থেকে সবাই বিরত থাকি। তিনি ধর্মকে রাজনৈতিক ইস্যুতে ব্যবহার না করারও আহবান জানান। ওবায়দুল কাদের হুঁশিয়ার করে বলেন, সরকারের সরলতাকে দুর্বলতা ভাববেন না। জনগণের শান্তি বিনষ্টের কোনো অপচেষ্টা করলে জনগণই রুখে দাঁড়াবে।
দেশের মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, সংবিধান এবং রাষ্ট্রবিরোধী যে কোনো বক্তব্য বরদাশত করা হবে না বলে আবারও সাবধান করে দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার প্রধান আগেই বলেছেন, দেশে কোরআান-সুন্নাহ বিরোধী কোনো আইন হবে না। তাই অন্য কোনো পথ না পেয়ে ধর্মীয় ইস্যুকে সামনে এনে ধর্মীয় সহনশীলতা বিনষ্টের যে কোনো অপচেষ্টা সরকার কঠোর হস্তে দমন করবে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের। যারা দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে,বিশ্বাস করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়, তাদের সবাইকে এক হয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী সব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
১৩ নভেম্বর এক সমাবেশে ইসলামে ভাস্কর্য নির্মাণ `নিষেধ` দাবি করে তা বন্ধের দাবি তোলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ও বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মামুনুল হক। এরপর ১৯ নভেম্বর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে এক বিক্ষোভেও একই মন্তব্যের পুনরাবৃত্তি করেন মাওলানা মামুনুল।
|
|
|
|
আওয়ামী লীগের ‘অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র’ নিয়ে বিএনপি যে প্রশ্ন তুলেছে, তার সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘বিএনপির মুখে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র নিয়ে কথা শোভনীয় নয়।’ বুধবার (২৫ নভেম্বর) নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বিএনপির নেতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘গণতন্ত্রহীনতা এবং অগণতান্ত্রিক চর্চা যাদের দলগত বৈশিষ্ট্য, তাদের মুখে এ কথা অনেকটা ভূতের মুখে রাম রাম ধ্বনির মতো।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যাদের দলে নেই অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চার ইতিহাস, তারা আওয়ামী লীগের দোষ খোঁজে। আমরা জানতে চাই, মূল দল এবং অঙ্গ সংগঠনের কাউন্সিল ও কমিটি গঠন করতে ব্যর্থতা কোন গণতন্ত্র? ক্ষমতায় থাকতে তথাকথিত বিএনপি মার্কা গণতন্ত্র চর্চা তো জনগণ অনেক দেখেছে।’
আওয়ামী লীগে গণতন্ত্রের চর্চা নেই বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন বিএনপির নেতারা। এ প্রসঙ্গ তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদেরও পাল্টা প্রশ্ন তোলেন বিএনপির অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র নিয়ে। তিনি বলেন, ‘যাদেরকে ১৯৯৬ সালে জনগণ আন্দোলন করে ক্ষমতা থেকে নামিয়েছে, তারা এখন গণতন্ত্রের সবক দিচ্ছে, যা জনগণের সাথে প্রতারণা। বিএনপির গণতন্ত্র হচ্ছে—রাতের বেলায় কারফিউ, বছরের পর বছর নিজ দলে কমিটি গঠনে ব্যর্থতা, আবার কমিটি গঠন হলেও তা নিয়ে নিজ দলের অফিসে নিজেরা আগুন দেওয়া।’
|
|
|
|
নড়াইল পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর বিশ্বাসের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (২৫ নভেম্বর) এক শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মো. জাহাঙ্গীর বিশ্বাস (৬০) বুধবার (২৫ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতলে মারা যান। মৃত্যুকালে তিন ছেলে, স্ত্রীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
সম্পাদক ও প্রকাশক : মো : মাহবুবুর রহমান ।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মো: হাবিবুর রহমান । সম্পাদক কর্তৃক বিএস প্রিন্টিং প্রেস ৫২/২ টয়েনবি সার্কুলার রোড, সুত্রাপুর ঢাকা খেকে মুদ্রিত ও ৬০/ই/১ পুরানা পল্টন (৭ম তলা) থেকে প্রকাশিত বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৫১,৫১/ এ রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (৪র্থ তলা), পুরানা পল্টন, ঢাকা -১০০০।
ফোনঃ-০২-৯৫৫০৮৭২ , ০১৭১১১৩৬২২৬
Web: www.bhorersomoy.com E-mail : dbsomoy2010@gmail.com
|
|
|
|