মাহমুদুল হাসান
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) উদ্যোগে আজ বুধবার রাজধানীর মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে অনুষ্ঠিত হলো “জুলাই শহীদদের স্মরণে” এক অনন্য আলোচনা সভা।
এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য ছিলো একদিকে স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানো, অন্যদিকে পরিবহন খাতে জনসচেতনতা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন,“জুলাই মাস আমাদের জাতীয় ইতিহাসে বেদনার মাস, এই মাসে আমাদের অনেক গৌরবময় আত্মত্যাগের ইতিহাস রয়েছে, যা নতুন প্রজন্মকে জানতে হবে।”
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেনঃ
- বর্তমান পরিচালক শফিকুজ্জামান ভূঁইয়া।
- পরিচালক প্রশাসন কামরুল ইসলাম।
- বিআরটিএ ঢাকা বিভাগীয় সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ।
- উপ পরিচালক প্রশাসন মাসুম বিল্লাহ।
- উপ-পরিচালক স্বদেশ কুমার।
- বিআরটিএ ঢাকা মেট্রো -১ উপ-পরিচালক কামরুল ইসলাম।
- ঢাকা মেট্রো-১, সরকারি পরিচালক শামসুল কবির।
- বিআরটিএ ঢাকা মেট্রো -৪ সহকারি পরিচালক ইমরান খান।
- সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আলী আহসান মিলন।
- মোটরযান পরিদক আলমগীর।
- অসীম কুমার পাল।
- হারুন অর রশিদ।
- লোকমান ফারুকী।
- বিআরটিএ ঢাকা মেট্রো -১ সরকারি রাজস্ব কর্মকর্তা গোলাম জাকারিয়া।
- বিআরটিএ চেয়ারম্যানের পিএস আনোয়ারুল কিবরিয়া এবং
- এনামুল হক সহ আরো অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
লিফলেট বিতরণের পূর্বে বিআরটিএ চেয়ারম্যান মহোদয় উপস্থিত গাড়ী চালক ও শ্রমিকদের এবং মালিকদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ধরনের দিকনির্দেশনা দেন। সেগুলো হলো গাড়ি চালকদের মোটরযান চালানো কালে নিয়োগ পত্র বৈধ ড্রাইভিংও হালনাগাদ কাগজপত্র সঙ্গে রাখতে হবে। চালকদের পরিচয় পত্র ও মোবাইল নাম্বার গাড়িতে দৃশ্যমান স্থানে ঝুলিয়ে রাখতে হবে। নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবল করে ও ঘুম ঘুম ভাব হলে গাড়ি চালানো যাবে না। গাড়ি চালানোর সময় ড্রাইভারের সিট বেল বাঁধতে হবে। গাড়ির মালিকদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, নিয়োগপত্র প্রদানের মাধ্যমে গাড়িতে সঠিক ড্রাইভিং লাইসেন্সধারী চালক নিয়োগ করুন। চালককে একটানা পাঁচ ঘন্টা থেকে দিনে আটঘন্টা বেশি গাড়ি চালাইতে বাধ্য করবেন না। গণ-পরিবহনের ক্ষেত্রে নারী ও প্রতিবন্ধী এবং বয়স্কদের জন্য নির্ধারিত আসন সংগ্রহ করুন। ফিটনেসবিহীন যান্ত্রিক ত্রুটি ও ধোয়া নির্মাণকারী গাড়ি রাস্তায় নামাবেন না। আইন নিজের হাতে তুলে নিবেন না প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করুন। এছাড়াও পথচারীদের কে বিভিন্ন ধরনের দিকনির্দেশনা মানিয়ে চলার বিশেষভাবে আহবান করেন। তাছাড়া “শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য আমাদের সড়ক নিরাপদ করতে হবে, নিয়মশৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া সভায় সড়ক নিরাপত্তা, লাইসেন্স প্রক্রিয়া, যাত্রী সেবা ও পরিবহন খাতে স্বচ্ছতা বৃদ্ধির বিষয়ে বিআরটিএ’র চলমান উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা হয়।
শেষে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। বক্তারা এই ধরনের আয়োজন আরও বিস্তৃত করার জন্য বিআরটিএ’র প্রশংসা করেন।
সভা শেষে শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয় এবং তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়।
বিআরটিএ’র এমন মানবিক, দায়িত্বশীল আয়োজন প্রশংসিত হয় অংশগ্রহণকারী ও যাত্রীদের কাছে। অনেকে আশা প্রকাশ করেন, এই আলোচনা বাস্তব প্রয়োগের মাধ্যমেই শহীদদের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা দেখানো সম্ভব।