|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * জাতীয় গৃহায়ণ মিরপুর বিভাগের উপ বিভাগীয় ডিপ্লোমা প্রকৌশলী রাজু ও জনির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ   * সাতক্ষীরায় ৫৪৮টি পূজা মন্ডপে পালিত হচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসব   * আফতাবনগর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে ফাইল চিহ্ন(মার্ক) করে চলে ঘুসের কারবার   * সড়ক পরিবহনের শৃঙ্খলা ফেরাতে পুলিশের পাশাপাশি বিআরটিএ কর্মকর্তারা অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারবেন   * উপজেলাবাসীর সেবক হয়ে কাজ করতে চায় শুভ আহম্মেদ   * নরসিংদী মেহের পাড়ার সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুব হত্যা মামলার আসামি কাতার বিমানবন্দরে গ্রেফতার   * ময়মনসিংহ জেলা জজ আদালতে বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’ উদ্বোধন করেন : প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান   * সাঘাটায় ভাঙ্গা মোড়ে পুকুর থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন   * কুষ্টিয়ার মিরপুরে পাট উৎপাদনকারী চাষী প্রশিক্ষণ   * নন্দীগ্রামে আধা কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা জন্য দুই উপজেলাবাসীর চরম দুর্ভোগ  

   ফিচার
  "প্রাথমিক শিক্ষাক্রমে শিখন-শেখানো ও মূল্যায়ন"
  Date : 5-9-2023
প্রবন্ধ লেখক: জিনিয়া জিন্নাত, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, শিবপুর, নরসিংদী।
 
আধুনিক শিক্ষাক্রমের পরিধি অনেক ব্যাপক। শিক্ষাক্রমকে কেবল পাঠ্য বিষয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা যায় না। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সকল অভিজ্ঞতার যোগফলই হলো প্রকৃত শিক্ষাক্রম। শ্রেণীকক্ষে, খেলার মাঠে, লাইব্রেরিতে, প্রদর্শনীতে শিশুরা পারস্পরিক ভাবের আদান-প্রদান ও সংযোগের মাধ্যমে যে বৈচিত্র্যময় অভিজ্ঞতা অর্জন করে তার সবগুলোই শিক্ষাক্রমের অংশ। প্রাথমিক শিক্ষাস্তরের এ ধরনের পরিকল্পনার নাম প্রাথমিক শিক্ষাক্রম। কাদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা, শিক্ষা কার্যক্রম থেকে শিক্ষার্থী কী কী যোগ্যতা অর্জন করবে, কতদিন এ কার্যক্রম চলবে, কোন কোন বিষয় কত সময় যাবত কীভাবে কারা শিখবে, কী কী শিখন সামগ্রী ব্যবহার করা হবে, শিক্ষা প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীরা কীভাবে অংশগ্রহণ করবে, শিক্ষার্থীদের অর্জনসমূহ কীভাবে মূল্যায়ন করা হবে এ সবকিছুর বিবরণ প্রাথমিক শিক্ষাক্রমে রয়েছে। বাংলাদেশের প্রাথমিক স্তরে ১৯৯২ সালে যোগ্যতাভিত্তিক শিক্ষাক্রম প্রবর্তন করা হয়।
 
শিক্ষাক্ষেত্রে শিখন ও শেখানোর মধ্য দিয়ে কোন জ্ঞান, দক্ষতা ও দৃষ্টিভঙ্গি পরিপূর্ণভাবে আয়ত্ত করার পর শিশু তার বাস্তব জীবনে প্রয়োজনের সময়ে তা কাজে লাগাতে পারলে সেই জ্ঞান, দক্ষতা ও দৃষ্টিভঙ্গিকে তার একটি যোগ্যতা বলা হয়। যেমন বাংলা বিষয়ে শিখন-শেখানো প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শুদ্ধভাবে ও স্পষ্টস্বরে কথা বলতে পারার দক্ষতা আয়ত্ত করার পর শিশু যদি নিজ গৃহে এবং বন্ধুদের সঙ্গে শুদ্ধ ভাষায় ও স্পষ্ট স্বরে কথা বলতে পারে অর্থাৎ জীবনে সর্বক্ষেত্রে তা প্রয়োগ করতে পারে তবে সেটি তার যোগ্যতা বলে বিবেচিত হবে। শিক্ষার্থীদের জন্য অর্জন উপযোগী সুনির্দিষ্ট যোগ্যতা বা পারদর্শিতাকে ভিত্তি করে যে শিক্ষাক্রম প্রণীত হয় তাকে যোগ্যতাভিত্তিক শিক্ষাক্রম বলা হয়। ১ম শ্রেণী থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত কোন কোন শ্রেণীতে কোন কোন প্রান্তিক যোগ্যতার কতটুকু অর্জন করবে তার জন্য পরিকল্পিত শিক্ষাক্রমই যোগ্যতাভিত্তিক শিক্ষাক্রম। শিক্ষার্থীদের বয়স, মেধা ও চাহিদাকে বিবেচনায় রেখে অর্জন উপযোগী যোগ্যতা চিহ্নিত করে প্রথমিক স্তরে যোগ্যতাভিত্তিক শিক্ষাক্রম প্রণীত হয়। ১ম থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত ৫ বছর মেয়াদি প্রাথমিক শিক্ষা শেষে যে নির্ধারিত যোগ্যতাগুলো অর্জন করবে বলে আশা করা হয় সেগুলো প্রাথমিক শিক্ষা স্তরের প্রান্তিক যোগ্যতা। 
এ শিক্ষাক্রমের উল্লেখযোগ্য দিক হলো বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক স্তরের শিক্ষা শেষে প্রান্তিক যোগ্যতা অর্জন করে প্রাথমিক শিক্ষার লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হবে। এক্ষেত্রে বিষয় সংশ্লিষ্ট প্রান্তিক যোগ্যতার সংখ্যা একরকম নয়। আবার শিক্ষার্থীরা একবারে বা একসঙ্গে প্রান্তিক যোগ্যতা অর্জন করবে না। ধাপে ধাপে বিভিন্ন শ্রেণীতে প্রান্তিক যোগ্যতার অংশ বিশেষ অর্জনের মাধ্যমে একটি প্রান্তিক যোগ্যতা পুরোপুরি অর্জনে সক্ষম হবে। ২০০২ সালে যোগ্যতাভিত্তিক শিক্ষাক্রম প্রথমবারের মতো পরিমার্জন করে ৫০টি প্রান্তিক যোগ্যতা এবং জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ এর আলোকে ২০১২ সালে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রমে ২৯টি প্রান্তিক যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছিল। বিভিন্ন শিক্ষানীতি, গবেষণা, নীতি-নির্ধারকগণের দিক নির্দেশনায় প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থার দিনে দিনে পরিমানগত ও গুনগতমানের উন্নয়ন ঘটেছে। যেমন- শিশু ভর্তির হার বৃদ্ধি, ঝড়ে পড়ার হার হ্রাস, পাঁচ বছর মেয়াদি শিক্ষাচক্র সমাপ্তি হার বৃদ্ধি, শতভাগ উপবৃত্তির ব্যবস্থা, শিক্ষক প্রশিক্ষণ, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম পাঠদান পদ্ধতি, উপকরণ ও মূল্যায়ন ব্যবস্থা ইত্যাদি।
 
আর শিক্ষার্থীর বিকাশ ও পরিবর্তন উদ্দেশ্য অনুযায়ী, কতটুকু কীভাবে সংগঠিত হচ্ছে তা জানার অন্যতম হাতিয়ার হলো মূল্যায়ন। মূল্যায়ন ছাড়া শিখন-শেখানো প্রক্রিয়ার সফলতার মাত্রা যাচাই করা যায় না। তাই মূল্যায়ন শিখন শেখানো প্রক্রিয়ার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। শিক্ষাদান পদ্ধতির সঙ্গে সঙ্গে মূল্যায়ন পদ্ধতির সামঞ্জস্য থাকা দরকার। মূল্যায়ন হলো একটি উপকরণ বা কৌশল, যার দ্বারা শিক্ষার্থীরা তাদের জন্য নির্ধারিত শিখনফল কতটা ভালোভাবে অর্জন করতে পেরেছে তা নিরুপণ করা বা মাপা যায়। প্রতিটি শিক্ষার্থীর নির্ধারিত জ্ঞান, দক্ষতা ও দৃষ্টিভঙ্গি অর্জনের জন্য তাকে সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে গাঠনিক মূল্যায়ন একটি অপরিহার্য কৌশল হিসেবে সর্বজনস্বীকৃত। সামষ্টিক মূল্যায়ন কোনো টার্ম বা কোর্সের শেষেশ অনুষ্ঠিত হয়। প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের একাধিক পর্যায়ে মূল্যায়ন করা হয়। যেমন-পাঠ চলাকালে শ্রেণী শিক্ষক দ্বারা, বছরের বিভিন্ন সময়ে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন পরীক্ষা দ্বারা এবং প্রাথমিক স্তর শেষে শিক্ষাথীদের মূল্যায়ন করা হয়। মূল্যায়ন ব্যবস্থায় মুখস্থ নির্ভরতা বেশি থাকায় শিক্ষার্থীরা কিছু বিষয় পড়ে পাশ করে পরবর্তী শ্রেণিতে অগ্রসর হওয়ার প্রবণতা রয়েছে। 
 
শিক্ষার্থীদের জ্ঞানকে প্রসারিত করার জন্য যোগ্যাতাভিত্তিক মূল্যায়ন ব্যবস্থা উত্তরণ ঘটছে। ২০০৯ সালে প্রথম সারা দেশব্যাপী অভিন্ন প্রশ্নপত্রের আলোকে ৫ম শ্রেণীতে সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০১২ সালে প্রথম যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্নের আলোকে সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২০১২ সালে সমাপনী পরীক্ষায় ১০% যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্নপত্র, ২০১৩ সালে ২৫% যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্নপত্রের আলোকে মূল্যায়ন করা হয়। এভাবে ধাপে ধাপে উত্তরণ ঘটিয়ে ২০১৮ সাল থেকে শতভাগ প্রশ্নপত্রের আলোকে মূল্যায়ন করা হয়। মানের উৎকর্ষ সাধনের জন্য ৩য় শ্রেণী থেকেই যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্নপত্রের আলোকে মূল্যায়ন করা হয়।
 
সুতরাং প্রাথমিক শিক্ষাক্রমের শিখন-শেখানো কার্যক্রম সুন্দরভাবে বাস্তবায়ন করে শিক্ষার্থীদের সঠিক ও যথাযথ মূল্যায়ন নিশ্চিত করতে হবে।


       
   শেয়ার করুন
Share Button
   আপনার মতামত দিন
     ফিচার
"প্রাথমিক শিক্ষাক্রমে শিখন-শেখানো ও মূল্যায়ন"
.............................................................................................
"এসডিজি বাস্তবায়নে টেকসই প্রাথমিক শিক্ষা"
.............................................................................................
জমকালো আয়োজনে দৈনিক ভোরের সময় পত্রিকার সাংবাদিক প্রতিনিধি সম্মেলন ২০২৩ অনুষ্ঠিত
.............................................................................................

|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
প্রকাশক: রিনা বেগম
প্রধান সম্পাদক : মো: হাবিবুর রহমান
প্রকাশক কতৃক ৫১/৫১ এ পুরানা পল্টন থেকে প্রকাশিত । সোনালী প্রিন্টিং প্রেস ২/১/এ ইডেন ভবন ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত । বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয় : ৫১/৫১ এ পুরানা পল্টন (৪র্থ তলা) , ঢাকা - ১০০০।
ফোন: ০২২২৩৩৮০৮৭২ , মোবাইল: ০১৭১১১৩৬২২৬

Web: www.bhorersomoy.com E-mail : dbsomoy2010@gmail.com
   All Right Reserved By www.bhorersomoy.com    
Dynamic SOlution IT Dynamic POS | Super Shop | Dealer Ship | Show Room Software | Trading Software | Inventory Management Software Computer | Mobile | Electronics Item Software Accounts,HR & Payroll Software Hospital | Clinic Management Software Dynamic Scale BD Digital Truck Scale | Platform Scale | Weighing Bridge Scale Digital Load Cell Digital Indicator Digital Score Board Junction Box | Chequer Plate | Girder Digital Scale | Digital Floor Scale