মিরপুর জল্লাদখানা বধ্যভূমিতে ডিএনসিসির এসটিএস গ্রাফিটি আর্ট ওয়ার্ক এবং `মুক্তির সবুজায়ন` বৃক্ষরোপণ উদ্বোধন। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত স্থান সংরক্ষণ করতে হবে: মেয়র আতিকুল ইসলাম
আবুল মনসুর আহমেদ বিশেষ প্রতিবেদক ঃ
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেছেন, `মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত স্থান সংরক্ষণ করতে হবে।`
রোববার (২৬ মার্চ ২০২৩) দুপুরে রাজধানীর মিরপুরে জল্লাদখানা বধ্যভূমিতে এসটিএস গ্রাফিটি আর্ট ওয়ার্ক (STS Graffiti Art Work) এবং `মুক্তির সবুজায়ন` শীর্ষক বৃক্ষরোপণ প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে শুরু ডিএনসিসি মেয়র উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মঞ্চে নিয়ে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, `বীর মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাঁদের ত্যাগের বিনিময়ে আজ আমরা পেয়েছি লাল সবুজের পতাকা, পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ। তাঁদের ত্যাগের বিনিময়ে আজ আমি মেয়র, তাঁদের ত্যাগের বিনিময়ে আজ আমরা কাউন্সিলর ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী হতে পেরেছি। তাই সবার আগে বীর মুক্তিযোদ্ধারা সম্মান পাবেন তারপর অন্যরা।`
উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত অন্যতম স্থান ‘মিরপুর জল্লাদখানা বধ্যভূমি’কে কেন্দ্র করে একটি আধুনিক ও সবুজ শিশু বান্ধব গণপরিসর গড়ে তোলার লক্ষ্যে ডিএনসিসির উদ্যোগে শক্তি ফাউন্ডেশন এবং মেটলাইফ ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় জল্লাদখানা স্মৃতিসৌধের বিপরীতে পরিত্যক্ত জমিতে ছোট বড় মিলিয়ে সর্বমোট ১০০০ টি গাছ লাগানো হয়েছে। শিশুদের জন্য উন্মুক্ত খেলার জাগায় লাগানো হয়েছে সবুজ ঘাস। এছাড়াও দুর্গন্ধ যুক্ত ও দৃষ্টিকটু আবর্জনা ডাম্পিং করার সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) কে বিখ্যাত কার্টুনিস্ট সৈয়দ রাশাদ ইমাম তন্ময় এবং সহশিল্পীরা সাজিয়েছেন নতুন সাজে।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, `মিরপুরের জল্লাদখানা বধ্যভূমি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িত। এখানে হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছে। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তাক্ত ইতিহাসের সাথে সম্পৃক্ত জল্লাদখানা বধ্যভূমিকে সংরক্ষণ করা আমাদের দায়িত্ব।`
তিনি বলেন, `আমি দায়িত্ব নেয়ার আগে দেখেছি এই জায়গায়টায় নেশার ও ময়লার অভয়ারণ্য ছিল। দায়িত্ব নিয়ে সবার সহযোগিতায় আমি সিটি কর্পোরেশন থেকে পরিত্যক্ত এই জায়গাটিকে নান্দনিকভাবে সাজিয়েছি। এখন এই এলাকার জনগণের দায়িত্ব হবে জায়গাটিকে রক্ষণাবেক্ষণ করা।
অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে উল্লেখ্য করে মেয়র বলেন, `পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেমন আমাদের শত্রু ছিল। আর এখন মাঠ, পার্ক ও খালের জমি দখলদাররা আমাদের শত্রু। এসব ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে আমাদের কথা বলতে হবে। অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য শহর গড়তে হলে মাঠ ও পার্কের বিকল্প নাই। খেলার মাঠকে প্লট আকারে বরাদ্দ দিয়ে ভবন নির্মাণ করা যাবে না।
মাঠ ও পার্ক নির্মাণের বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এসময় জল্লাদখানা বধ্যভূমিতে কোন ধরনের যানবাহন পার্কিং করে জনগণের অসুবিধা সৃষ্টি করা যাবে না বলে হুশিয়ারি দেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।
ঢাকা শহরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে নগরবাসীকে দায়িত্ব নিতে হবে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, `ঢাকা শহরে যত্রতত্র অবৈধভাবে পোস্টার, রেক্সিন, দেওয়ালে লেখা, নামফলক, সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, ব্যানার এসব লাগানোর ফলে নগরীর সৌন্দর্য ব্যহত হচ্ছে। নগরী অপরিচ্ছন্ন হয়ে পরছে। ঢাকা শহরের সৌন্দর্য রক্ষায় এবং স্মার্ট সিটি গড়ে তুলতে হলে এসব বন্ধ করতে হবে। মেট্রোরেল আমাদের রাষ্ট্রীয় সম্পদ। এটি জনগণের সম্পদ। যেখানে আমাদের প্রধানমন্ত্রী মেট্রোরেলে পরে থাকা ময়লা নিজ হাতে কুড়িয়ে পরিষ্কার করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে, তাকে অনুসরণ করে আমাদের স্বপ্নের মেট্রোরেল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।`
বক্তৃতা শেষে মেয়র আতিকুল ইসলাম অন্যান্য অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে এসটিএস গ্রাফিটি আর্ট ওয়ার্ক (STS Graffiti Art Work) এবং `মুক্তির সবুজায়ন` শীর্ষক বৃক্ষরোপণ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এময় মেয়র বধ্যভূমিতে পতিত জমিতে শিশুদের জন্য স্থাপিত খেলার সামগ্রীতে শিশুদের সঙ্গে খেলায় অংশ নিয়ে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।
উল্লেখ্য, উক্ত জল্লাদখানা ও তার পাশের গণপরিসরটিকে আগামী দুই বছর রক্ষণাবেক্ষণ করবে শক্তি ফাউন্ডেশন। যাতে করে স্থানটি একটি টেকসই সবুজ এলাকায় পরিণত হতে পারে। এই লক্ষ্যে শক্তি ফাউন্ডেশন এর উপ নির্বাহী পরিচালক জনাব ইমরান আহমেদ বলেন, `শক্তি ফাউন্ডেশন এ প্রকল্পের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করে পরিত্যক্ত স্থানসমূহকে সবুজায়নের মাধ্যমে উন্মুক্ত গণপরিসরে পরিণত করছে। এতে শিশুবান্ধব গণপরিসর তৈরির পাশাপাশি ঢাকা শহরের বায়ুদূষণের মাত্রা হ্রাস পাবে বলে আমরা আশা করি।`
৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাজী জহুরুল ইসলাম মানিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ডিএনসিসির অঞ্চল-০২ এর নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জিয়াউর রহমান ও কাউন্সিলরবৃন্দ, মেটলাইফ বাংলাদেশের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা আলা আহমেদ, শক্তি ফাউন্ডেশনের উপ-নির্বাহী পরিচালক ইমরান আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
|
আবুল মনসুর আহমেদ বিশেষ প্রতিবেদক ঃ
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেছেন, `মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত স্থান সংরক্ষণ করতে হবে।`
রোববার (২৬ মার্চ ২০২৩) দুপুরে রাজধানীর মিরপুরে জল্লাদখানা বধ্যভূমিতে এসটিএস গ্রাফিটি আর্ট ওয়ার্ক (STS Graffiti Art Work) এবং `মুক্তির সবুজায়ন` শীর্ষক বৃক্ষরোপণ প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে শুরু ডিএনসিসি মেয়র উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মঞ্চে নিয়ে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, `বীর মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাঁদের ত্যাগের বিনিময়ে আজ আমরা পেয়েছি লাল সবুজের পতাকা, পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ। তাঁদের ত্যাগের বিনিময়ে আজ আমি মেয়র, তাঁদের ত্যাগের বিনিময়ে আজ আমরা কাউন্সিলর ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী হতে পেরেছি। তাই সবার আগে বীর মুক্তিযোদ্ধারা সম্মান পাবেন তারপর অন্যরা।`
উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত অন্যতম স্থান ‘মিরপুর জল্লাদখানা বধ্যভূমি’কে কেন্দ্র করে একটি আধুনিক ও সবুজ শিশু বান্ধব গণপরিসর গড়ে তোলার লক্ষ্যে ডিএনসিসির উদ্যোগে শক্তি ফাউন্ডেশন এবং মেটলাইফ ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় জল্লাদখানা স্মৃতিসৌধের বিপরীতে পরিত্যক্ত জমিতে ছোট বড় মিলিয়ে সর্বমোট ১০০০ টি গাছ লাগানো হয়েছে। শিশুদের জন্য উন্মুক্ত খেলার জাগায় লাগানো হয়েছে সবুজ ঘাস। এছাড়াও দুর্গন্ধ যুক্ত ও দৃষ্টিকটু আবর্জনা ডাম্পিং করার সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) কে বিখ্যাত কার্টুনিস্ট সৈয়দ রাশাদ ইমাম তন্ময় এবং সহশিল্পীরা সাজিয়েছেন নতুন সাজে।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, `মিরপুরের জল্লাদখানা বধ্যভূমি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িত। এখানে হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছে। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তাক্ত ইতিহাসের সাথে সম্পৃক্ত জল্লাদখানা বধ্যভূমিকে সংরক্ষণ করা আমাদের দায়িত্ব।`
তিনি বলেন, `আমি দায়িত্ব নেয়ার আগে দেখেছি এই জায়গায়টায় নেশার ও ময়লার অভয়ারণ্য ছিল। দায়িত্ব নিয়ে সবার সহযোগিতায় আমি সিটি কর্পোরেশন থেকে পরিত্যক্ত এই জায়গাটিকে নান্দনিকভাবে সাজিয়েছি। এখন এই এলাকার জনগণের দায়িত্ব হবে জায়গাটিকে রক্ষণাবেক্ষণ করা।
অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে উল্লেখ্য করে মেয়র বলেন, `পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেমন আমাদের শত্রু ছিল। আর এখন মাঠ, পার্ক ও খালের জমি দখলদাররা আমাদের শত্রু। এসব ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে আমাদের কথা বলতে হবে। অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য শহর গড়তে হলে মাঠ ও পার্কের বিকল্প নাই। খেলার মাঠকে প্লট আকারে বরাদ্দ দিয়ে ভবন নির্মাণ করা যাবে না।
মাঠ ও পার্ক নির্মাণের বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এসময় জল্লাদখানা বধ্যভূমিতে কোন ধরনের যানবাহন পার্কিং করে জনগণের অসুবিধা সৃষ্টি করা যাবে না বলে হুশিয়ারি দেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।
ঢাকা শহরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে নগরবাসীকে দায়িত্ব নিতে হবে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, `ঢাকা শহরে যত্রতত্র অবৈধভাবে পোস্টার, রেক্সিন, দেওয়ালে লেখা, নামফলক, সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, ব্যানার এসব লাগানোর ফলে নগরীর সৌন্দর্য ব্যহত হচ্ছে। নগরী অপরিচ্ছন্ন হয়ে পরছে। ঢাকা শহরের সৌন্দর্য রক্ষায় এবং স্মার্ট সিটি গড়ে তুলতে হলে এসব বন্ধ করতে হবে। মেট্রোরেল আমাদের রাষ্ট্রীয় সম্পদ। এটি জনগণের সম্পদ। যেখানে আমাদের প্রধানমন্ত্রী মেট্রোরেলে পরে থাকা ময়লা নিজ হাতে কুড়িয়ে পরিষ্কার করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে, তাকে অনুসরণ করে আমাদের স্বপ্নের মেট্রোরেল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।`
বক্তৃতা শেষে মেয়র আতিকুল ইসলাম অন্যান্য অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে এসটিএস গ্রাফিটি আর্ট ওয়ার্ক (STS Graffiti Art Work) এবং `মুক্তির সবুজায়ন` শীর্ষক বৃক্ষরোপণ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এময় মেয়র বধ্যভূমিতে পতিত জমিতে শিশুদের জন্য স্থাপিত খেলার সামগ্রীতে শিশুদের সঙ্গে খেলায় অংশ নিয়ে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।
উল্লেখ্য, উক্ত জল্লাদখানা ও তার পাশের গণপরিসরটিকে আগামী দুই বছর রক্ষণাবেক্ষণ করবে শক্তি ফাউন্ডেশন। যাতে করে স্থানটি একটি টেকসই সবুজ এলাকায় পরিণত হতে পারে। এই লক্ষ্যে শক্তি ফাউন্ডেশন এর উপ নির্বাহী পরিচালক জনাব ইমরান আহমেদ বলেন, `শক্তি ফাউন্ডেশন এ প্রকল্পের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করে পরিত্যক্ত স্থানসমূহকে সবুজায়নের মাধ্যমে উন্মুক্ত গণপরিসরে পরিণত করছে। এতে শিশুবান্ধব গণপরিসর তৈরির পাশাপাশি ঢাকা শহরের বায়ুদূষণের মাত্রা হ্রাস পাবে বলে আমরা আশা করি।`
৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাজী জহুরুল ইসলাম মানিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ডিএনসিসির অঞ্চল-০২ এর নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জিয়াউর রহমান ও কাউন্সিলরবৃন্দ, মেটলাইফ বাংলাদেশের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা আলা আহমেদ, শক্তি ফাউন্ডেশনের উপ-নির্বাহী পরিচালক ইমরান আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
|
|
|
|
আজ ২৫ মার্চ, পৃথিবীর ইতিহাসে কলঙ্কময় একটি দিন ও জাতীয় গণহত্যা দিবস। ভয়াল সে কালরাত্রিতে স্বাধীনতাকামী শহীদদের স্মরণে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে “কালরাত্রি স্মরণ” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, শেখ ফজলে শামস্ পরশ-চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আমির হোসেন আমু-উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, সমন্বয়ক ও মুখপাত্র ১৪ দল, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন-শিক্ষাবিদ, লেখক, গবেষক ও ইতিহাসবিদ, রকিবুল হাসান-স্বাধীনতা পুরষ্কারপ্রাপ্ত, প্রাক্তন অধিনায়ক, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল, সঞ্চালনা করেন, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
সভাপতির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, সভ্যতার ইতিহাসের ভয়ঙ্কর একটা রাত, ২৫ মার্চের কালরাত। অষ্ট্রেলিযার ‘সিডনি মর্নিং হেরাল্ড’ পত্রিকা অনুযায়ী শুধুমাত্র ২৫ মার্চ রাতেই বাংলাদেশে প্রায় ১ লাখ মানুষকে, ঘুমন্ত নিরীহ বাঙালিকে বিনা বিচারে হত্যা করেছিল পাকিস্তান হানাদার বাহিনী। যা গণহত্যার ইতিহাসে এক জঘন্যতম ভয়াবহ ঘটনা। সেই থেকে আত্মরক্ষার স্বার্থে শুরু হয় আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ। আর ঐই দিনের হত্যাকাণ্ডের সমর্থন ও সহযোগিতা করেছিল আমাদের দেশেরই রাজাকারদের দল। নিজের পরিবার, প্রতিবেশী অথবা নিজ দেশের নাগরিকের উপর পরিকল্পিতভাবে এই নৃশংস হত্যাযজ্ঞ সহযোগিতা করে মানুষ হিসাবে ওরা সমগ্র মানুষ জাতিকে কলঙ্কিত করেছে, ছোট করেছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সৌভাগ্য আমাদের দেশে জন্মেছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, যার অপ্রতিরোধ্য প্রতিবাদ ও সাহসী সংগ্রামের ফলে আমরা আমাদের এদেশের মানুষকে ঐ সকল হায়নাদের গ্রাস থেকে রক্ষা করতে পেরেছি। ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী স্বাধীনতাকামী বাঙালির ওপর হত্যাযজ্ঞ শুরু করলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, আজকের অনেকে গণতান্ত্রিক অধিকারের কথা বলছে। তাদের উদ্দেশ্যে আমার প্রশ্ন, ১৯৭১ সালে যখন রাজাকার, আলবদর, আল-সামস বাহিনী গণহত্যা চালিয়েছে, ধর্ষণ, নারী-শিশু নির্বিচারে হত্যা ও অগ্নি সন্ত্রাস করেছে তখন এই সকল প্রশ্রয়দাতাদের ভূমিকা কি ছিল? নিশ্চয়ই তারা প্রশ্রয় দিয়েছেন। কেন এখোনো ২৫ মার্চ গণহত্যা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায় না? এসব ব্যাপারে তারা কি মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রশ্ন তুলে? বা প্রতিবাদ করে? আমি সেটা জানতে চাই। এমনকি ২০০১ সালেও ঐ জামাত-বিএনপি সরকার যখন সেই পাকিস্তানী কায়দায় যখন আমাদের হিন্দু ভোটারদের গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়া দিয়ে তাদেরকে উৎখাত করেছিল. তখনো কি এই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ধারক এবং বাহকেরা প্রশ্ন তুলেছিলেন? বাংলাদেশে প্রায় এক যুুগের বেশি সময় যে অগণতান্ত্রিক মিলিটারি শাসকদের দ্বারা রাষ্ট্র পরিচালিত হয়েছিল। সে ব্যাপারে এবং সেই সময়ও কি তারা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের রক্ষক হিসাবে সরব ছিল? ১৫ই আগস্টে যখন নারী শিশু হত্যা করা হয়েছিল, সে ব্যাপারে তাদের কোন প্রতিক্রিয়া ছিল কিনা, আমার বড্ড জানতে ইচ্ছে করে। কেন এখনো ২৫ মার্চের হত্যাকা- আন্তর্জাতিক গণহত্যার স্বীকৃতির জন্য অপেক্ষা করতে হয়। তরুণ প্রজন্মের নেতা-কর্মীদের বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে হবে এবং তাঁর উদার গণতান্ত্রিক, মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধ ধারণ করতে হবে। তা না হলে আমরা একটা উন্নয়নশীল, মর্যাদাশীল জাতি হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে পারব না। আমাদের লক্ষ্য একটা সুখী-সমৃদ্ধ মর্যাদাশীল বাংলাদেশ। তিনি আরও বলেন, আমাদের নতুন প্রজন্মকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে হবে এবং একই সাথে শুধু দেশপ্রেমী নয়, বাঙালি সংস্কৃতির ও ইতিহাসের অনুরাগী হতে হবে। শুধু আবেগ নির্ভর রাজনীতি নয়, নৈতিক এবং যুক্তিশীল রাজনীতি করতে হবে। একই সাথে বাঙালি মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে হবে। নিজেকে জানতে হবে এবং আত্মসমালোচনাও করতে হবে। কেবল তাহলেই শহীদের আত্মত্যাগের সম্মান আমরা দিতে পারব। ভুলে গেলে চলবে না, এদেশ সহজে স্বাধীন হয় নাই, বহু বাঙালির মা-বাবা, ভাই-বোনদের রক্তের বিনিময়ে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়েছিল। এই বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের সচেতন থাকতে হবে এবং একই সাথে দায়িত্বশীল হতে হবে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে মৌলবাদী ধর্মান্ধতা এবং অশিক্ষা, কুশিক্ষা, কুসংস্কার ও অন্ধবিশ্বাসকে প্রতিহত করে একটি প্রগতিশীল বিজ্ঞান-ভিত্তিক, গঠনমূলক রাজনীতি তরুণ প্রজন্ম বেছে নিবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সারা জাতি যখন ঐক্যবদ্ধ তখন বাঙালি জাতিকেই পাকিস্তানী শাসকরা শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করেছিল। তাই বাঙালি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্যেই ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ ইতিহাসের কলঙ্কময় গণহত্যা চালিয়েছিল পাকিস্তানি হায়নারা। তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ সালে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর মুক্তিযুদ্ধের সমস্ত ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের গৌরব এই সমস্ত গণহত্যা, নারি ধর্ষণের মত জঘন্যতম ঘটনাকে ধামা চাপা দিয়ে এই দেশটাকে নব্য পাকিস্তানে রূপান্তরিত করেছিল খুনি জিয়া। তিনি আরও বলেন, আমরা যদি ২৫ মার্চ গণহত্যার সঠিক ইতিহাস মানুষের সামনে তুলে ধরতে পারি তাহলে রাজাকার আলবদরদের মানুষ যেভাবে ঘৃণা করে ঠিক সেইভাবে ঘৃণা করবে বিএনপি-জামাতকে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে যেকন বার বার প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়া হয়? তিনি তো কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নিয়ে টানাটানি করেন না। শুধু মাত্র রাজনৈতিক কারণেই তার প্রাণ নাশের চেষ্টা, যে কারণে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল। একাত্তরের পরাজিত শত্রুরাই বার বার হত্যা চেষ্টা করছে। আজকে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মানে কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়, এ ষড়যন্ত্র দেশের বিরুদ্ধে, দেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মুনতাসির মামুন বলেন, আজকে আমি যুবলীগের প্রোগ্রামে আসার অন্যতম কারণ সেটা হল সংবাদ পত্রে গত ১ থেকে ২ বছর যুবলীগের নামে কোন নেতিবাচক সংবাদ দেখি নাই। সংগঠনের জন্য ইতিবাচক সংবাদ সবসময় আনন্দদায়ক। তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশে গণহত্যা হয়েছে। কিন্তু সময়ের পরিসরে যদি চিন্তা করেন তাহলে বাংলাদেশের গণহত্যার চেয়ে বড় গণহত্যা আর কখনো হয়নি; আর কখনো হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আমি কখনো ভাবি নাই যে, এই বাংলাদেশে মানুষ দুবেলা খেতে পাচ্ছে, দুটো পোশাক গায়ে দিচ্ছে আর এক জোড়া স্যান্ডেল পায়ে দিচ্ছে। এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণে। এটার ভিত্তি তৈরি করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তার দেখানো পাথেই আজকের বাংলাদেশ।
সঞ্চালকের বক্তব্যে যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, ২৫ মার্চ, ১৯৭১ পৃথিবীর ইতিহাসে একটি জঘন্যতম নির্মম হত্যাকাণ্ড। এদিন ঘুমন্ত নিরস্ত্র বাঙালির উপর সশস্ত্র পাকিস্তানি বাহিনী নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালায়। ঐ রাতেই তারা বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। আজকের মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে কথা বলেছেন কিন্তু সেদিন ঘুমন্ত নিরস্ত্র বাঙালি জাতির উপর সশস্ত্র পাকিস্তানি বাহিনী হামলা করে নির্বিচারে বাংলার মানুষকে হত্যা করেছিল। তখন কোথায় ছিল আপনাদের মানবতা, তখনতো আপনারা পাকিস্তানি বাহিনীকে হুমকি দেন নাই। তাদের প্রতি কোন নিষেধাজ্ঞা জারি করেননি। আসলে আপনারা কি চান, আপনারা চান বাংলাদেশ একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হোক। আর বিএনপি-জামাতও চায় বাংলাদেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হোক। তারা বাংলাদেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়। ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে ও ২ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত এই বাংলাদেশ কারো কাছে মাথা নত করবে না। তিনি যুবলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে, দেশের বিরুদ্ধে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় রাজপথে যুবলীগের বন্ধুদের সাহসী ভূমিকা পালন করতে হবে।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, স্বাধীনতা পুরষ্কারপ্রাপ্ত, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক রকিবুল হাসান, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইসমাইল হোসেন, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মুস্তাফিজ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আব্দুল মুকিত চৌধুরী, উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ গোলাম কিবরিয়া শামীম।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. মামুনুর রশীদ, মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ হাবিবুর রহমান পবন, ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটন, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, মোঃ আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মোঃ মাজহারুল ইসলাম, ডা: হেলাল উদ্দিন, মোঃ সাইফুর রহমান সোহাগ, মোঃ জহির উদ্দিন খসরু, মোঃ সোহেল পারভেজ, অ্যাড. ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ জহুরুল ইসলাম মিল্টন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোঃ সাদ্দাম হোসেন পাভেল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক মোঃ শামছুল আলম অনিক, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক ডা. মোঃ ফরিদ রায়হান, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ হারিছ মিয়া শেখ সাগর, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মোঃ হেমায়েত উদ্দিন মোল্লা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আব্দুল মুকিত চৌধুরী, ধর্ম সম্পাদক মাওলানা খলিলুর রহমান সরদার, উপ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক অ্যাড. শেখ নবীরুজ্জামান বাবু, উপ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক মোঃ সফেদ আশফাক আকন্দ তুহিন, উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মোঃ রাশেদুল হাসান সুপ্ত, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-ক্রীড়া সম্পাদক মোঃ আবদুর রহমান, উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সামছুল ইসলাম পাটোয়ারী, উপ-ধর্ম সম্পাদক হরে কৃষ্ণ বৈদ্যসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।
|
|
|
|
মাহবুবুর রহমান ঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত সচিব জনাব মোঃ তাজুল ইসলাম গত ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১ তারিখে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি) এ চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদান করেন। যোগদানের পর সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ও সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সম্মানিত সচিব এর প্রত্যক্ষ দিক-নির্দেশনায় ‘আয় বৃদ্ধি, ব্যয় সংকোচন ও যাত্রী সেবার মান উন্নয়ন’ এই ব্রত নিয়ে তিনি কাজ শুরু করেন। তাঁরই হাত ধরে এক সময়ের জ্বরাজীর্ণ ও অলাভজনক প্রতিষ্ঠান বিআরটিসি আজ সার্বিকভাবে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রুপান্তরিত হয়েছে। কিংবদন্তী হওয়ার জন্য কারো স্বীকৃতির প্রয়োজন হয় না, তাঁর অদম্য ইচ্ছা এবং কর্মই তাঁকে কিংবদন্তী হিসেবে গড়ে তোলে। বিআরটিসি একটি রাষ্ট্রায়াত্ত্ব পরিবহন সংস্থা এবং এর কর্ম পরিবেশ দেশের অন্যান্য সকল প্রতিষ্ঠান হতে সম্পূর্ণ ভিন্ন। শত প্রতিকূল পরিবেশ থাকা অবস্থায় এবং নানাবিধ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে কিভাবে সততা, প্রজ্ঞা ও মেধা দিয়ে জ্বরাজীর্ণ ও অলাভজনক প্রতিষ্ঠানকে সার্বিকভাবে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রুপান্তরিত করা যায় বর্তমান চেয়ারম্যান তার একটি জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি) এর চেয়ারম্যান জনাব মোঃ তাজুল ইসলাম (অতিরিক্ত সচিব) মহোদয়ের সময়োপযোগী ও সুক্ষ্ম দিক-নির্দেশনা এবং সঠিক নেতৃত্বে গত ০৭/০২/২০২১ হতে ০৬/০২/২০২৩ পর্যন্ত বিআরটিসি’র অর্জনসমূহঃ ১.প্রধান কার্যালয়সহ ডিপো/ইউনিটের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন ভাতা নিজস্ব আয় হতে প্রতিমাসের ০১ তারিখে পরিশোধ করা হচ্ছে। ২.প্রতি ০৩ মাস অন্তর অন্তর গ্র্যাচুইটি, সিপিএফ ও ছুটি নগদায়নের অর্থ অনলাইনে পরিশোধ করা হচ্ছে। বর্ণিত সময়ের মধ্যে সিপিফান্ড, গ্র্যাচুইটি এবং ছুটি নগদায়ন বাবদ মোট ১১৫২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সর্বমোট ৩৭,৫৮,৮৮,৯৩৪ (সাঁইত্রিশ কোটি আটান্ন লক্ষ আটাশি হাজার নয়শত চৌত্রিশ) টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। ৩.চেয়ারম্যান মহোদয় যোগদানের (০৭/০২/২০২১) পর বর্ণিত সময়ের মধ্যে কর্পোরেশনে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পূর্বের বকেয়া বেতন বাবদ মোট ৯,৬৮,৭০,৬৬৩ (নয় কোটি আটষট্টি লক্ষ সত্তর হাজার ছয়শত তেষট্টি) টাকা অনলাইন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে তাদের স্ব-স্ব ব্যাংক হিসাবে পরিশোধ করেছেন। ৪.শিক্ষা সহায়তা তহবিল নির্দেশিকা-২০২১ পর্ষদ কর্তৃক এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন কর্মচারী কল্যাণ তহবিল (সংশোধিত) নীতিমালা-২০২২ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে প্রনয়ণ করা হয়েছে। ২০২২ সালে কল্যাণ তহবিল ও শিক্ষা সহায়তা তহবিল খাতে মোট ১৮৪ জনকে =৩৯,৩৮,০০০ (ঊনচল্লিশ লক্ষ আটত্রিশ হাজার) টাকা প্রদান করা হয়েছে। ৫.সাফ জয়ী নারী ফুটবল খেলোয়ারদের বরণের জন্য ২৪ ঘন্টার মধ্যে নিজস্ব দক্ষ কারিগর দ্বারা ছাদ খোলা বাস প্রস্তুত করা হয় যা বর্তমান চেয়ারম্যান, বিআরটিসি’র যুগান্তকারী পদক্ষেপ। ৬.বিআরটিসি’র নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে ১৪৭৯৪ জন ও ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে ৬৯৬২ জন নারী ও পুরুষকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। ৭.ইজঞঈ-ঝঊওচ প্রকল্পে আওতায় ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে ১০৫৮৩ জন ও ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে ৫৭৪৯ জন নারী ও পুরুষকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। ৮.বর্তমানে বিভিন্ন পদে মোট ৭৪০ জনকে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে এবং বিভিন্ন পদে ১৩৮ জনের নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। ৯.দীর্ঘ দিনের পদ বঞ্চিত ২৬৭ জন চালক-সি’কে চেয়ারম্যান মহোদয়ের আন্তরিকয় ও দিক নির্দেশনায় অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে ‘চালক-বি’ পদে পদোন্নতি প্রদান করা হয়। ১০.স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে বিআরটিসি’র ১০টি বাসে প্রাথমিক ভাবে চালকদের জন্য ফ্যাটিগ সতর্কীকরণ ডিভাইস সংযোজন করা হয়েছে। ১১.পদ্মা সেতু উদ্বোধনের প্রেক্ষিতে রাজধানী ঢাকার সাথে দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগের সুবিধার্থে ২১টি জেলার ২৩টি রুটে ৬০টি বাস সার্ভিস চালু করা হয়েছে। ১২.মেট্রোরেলের যাত্রী পরিবহনের জন্য বিআরটিসি ও ডিএমটিসিএল এর মধ্যে গঙট স্বাক্ষরিত হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে মেট্রোরেলের যাত্রী পরিবহন সেবা চলমান রয়েছে। ১৩.দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা বিআরটিসি’র পর্ষদ পুনর্গঠন ও কার্যক্রম পুনরায় চালু করা হয়েছে। ১৪.মেরামত ব্যয়ে সচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে গাড়ির নম্বর অনুসারে মেরামত বাজেট প্রদান এবং যথাযথ ভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে। ১৫.পুরাতন গাড়ি নিলাম বিক্রয়ের দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। গত ০১ বছরে ০২টি লটে মোট ২৯৪টি বাস নিলামে বিক্রয় করা হয়েছে। ১৬.বর্ণিত সময়ের মধ্যে মোট ৬০৬টি গাড়ি ভারী মেরামত করে বিআরটিসির গাড়ি বহরে সংযুক্ত করে রাজস্ব বৃদ্ধি করা হয়েছে। ১৭.প্রত্যেক ডিপো/ইউনিটে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ক্রয় করা হয়েছে, যা দ্বারা ভারী মেরামতের কার্যক্রম চলমান আছে। ১৮.বর্তমানে কারিগর নিয়োগ দিয়ে তাদের প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কাজে দক্ষ করে তোলা হয়েছে। ১৯.২০২২ সালে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা বিআরটিসি সমন্বিত কেন্দ্রীয় ?মেরামত কারখানা, গাজীপুর’কে পুন:চালু করে আধুনিকায়ন করা হয়েছে। ২০.বর্তমানে বিআরটিসি’র বহরে সচল বাস সংখ্যা প্রায় ১৩৫০টি। আরো নতুন কিছু গাড়ি বিআরটিসি’র বহরে শীঘ্রই যুক্ত হবে। ২১.বিআরটিসি’র বিভিন্ন বাস ডিপোতে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা পেট্রোল পাম্পগুলো সচল করা হয়েছে। ফলে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ও জ্বালানী খাতে ব্যয় সাশ্রয় করা সম্ভব হচ্ছে। ২২.বর্তমানে ১৯১টি এসি বাসে আনলিমিটে ডরভর সুবিধা চালু করা হয়েছে। ২৩.বর্তমানে ১২০০ এর অধিক গাড়িতে ঠঞঝ (ঠবযরপষব ঞৎধপশরহম ঝুংঃবস) প্রক্রিয়ার সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ২৪.প্রাথমিকভাবে ০৬টি ডিপোতে বিআরটিসি ফ্লিট ম্যানেজমেন্ট অটোমেশন সিস্টেম চালু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বিআরটিসি’র সকল ডিপোতে পূর্ণাঙ্গ অটোমেশন ব্যবস্থা চালু করা হবে। ফ্লিট ম্যানেজমেন্ট অটোমেন সিষ্টেম এর ফলে বাস ও ট্রাকের আয়-ব্যয়, যন্ত্রাংশ, জ্বালানীসহ সকল কার্যক্রম অনলাইন ও অফলাইনে মনিটরিং করে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। ২৫.বিআরটিসি’তে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্ম দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আভ্যন্তরীন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। ২৬.বিআরটিসি তার জনকল্যাণকর কাজের জন্য জনসাধারণ, সংবাদ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে প্রশংসিত হয়েছে। যার স্বীকৃতিস্বরুপ ২০২১-২২ অর্থ বছরে এপিএ বাস্তবায়নে প্রথম স্থান অর্জন, মন্ত্রণালয়ের অধিনস্ত প্রতিষ্ঠান প্রধানদের মধ্যে শুদ্ধাচার পুরষ্কার প্রাপ্তি এবং সেবা সহজিকরণ ও বিভিন্ন উদ্ভাবনী উদ্যোগের জন্য বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক প্রদান সংক্রান্ত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বাছাই কমিটির সুপারিশক্রমে জাতীয় কমিটিতে উপস্থাপিত হয়েছে এবং উদ্যোগসমূহ গুরুত্বপূর্ণ জনকল্যাণকর কাজ হিসেবে প্রশংসিত হয়েছে। ২৭.বর্তমানে বিআরটিসি কর্তৃক নিয়মিত ত্রৈমাসিক সমাচার ও বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ২৮.বিআরটিসি কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ ইনিস্টিটিউট, গাজীপুরে পদ্মা সেতু প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্থদের পুণর্বাসন উপলক্ষে মোটরযান ড্রাইভিং এবং গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণ প্রশিক্ষণ চালু করেন । ২৯.প্রধান কার্যালয়সহ প্রতিটি ডিপো/ইউনিটে আইসিটি সেল গঠন করা হয়েছে। ৩০.বর্তমানে ৮৫% কাজ ই-ফাইলের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। ৩১.যুগের চাহিদার প্রেক্ষিতে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণে নতুন মাত্রা আনয়নের লক্ষ্যে অনলাইন ব্যবস্থার মাধ্যমে ভর্তি এবং আধুনিক প্রশিক্ষণের জন্য সিমুলেটর সংযোজন করা হয়েছে। ৩২.বর্তমানে প্রত্যেক ডিপো/ইউনিটে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে এবং সার্বক্ষণিক প্রধান কার্যালয় হতে মনিটরিং করা হচ্ছে। ৩৩.বিআরটিসি’র প্রধান কার্যালয়সহ সকল ডিপো/ইউনিটে ডিজিটাল হাজিরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৩৪.চেয়ারম্যান মহোদয়ের আন্তরিকতায় ও দিক নির্দেশনায় কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো প্রাথমিক চিকিৎসা সামগ্রী ক্রয় করা হয়েছে।
৩৫.কর্পোরেশনের সম্পত্তি রক্ষার্থে অগ্নি নির্বাপক প্রশিক্ষণ এর কার্যক্রমের ব্যবস্থা গ্রহণ নিশ্চিত করেন। ৩৬.বর্তমানে ১১টি রুটে ই-টিকেটিং ও ০৩টি রুটে অনলাইন টিকিট ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। ৩৭.প্রধান কার্যালয় ও ডিপো/ইউনিটগুলোতে অপেক্ষাগারসহ অন্যান্য স্থাপনাসমূহ দৃষ্টি নন্দন করা হয়েছে। ৩৮.বিআরটিসির প্রধান কার্যালয়সহ প্রত্যেক ডিপো/ইউনিটে ‘বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ’ কর্ণার স্থাপন করা হয়েছে। ৩৯.প্রধান কার্যালয়ের সভা কক্ষ আধুনিকায়ন করা হয়েছে। ৪০.মতিঝিল বাস ডিপোতে একটি অত্যাধুনিক আন্তর্জাতিক মানের কাউন্টার নির্মাণ করা হয়েছে। ৪১.বর্তমানে যাত্রী সেবা প্রদানের জন্য “আমাদের বিআরটিসি” নামক এ্যাপ চালু করা হয়েছে। এই এ্যাপ এর মাধ্যমে জনসাধারণ/সেবাগ্রহনকারী মোবাইল ও ওয়েব ব্রাউজিং এর মাধ্যমে বাসের রুট, সঠিক সময় ও অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারে। ৪২.চেয়ারম্যান এর যুগোপযোগী ও বহুমুখী সিদ্ধান্তের ফলে প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে অনেক গতি সঞ্চারিত হয়েছে। বর্তমানে ০৪টি প্রশিক্ষণ ইনষ্টিটিউট ও ২০টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে বিআরটিসি ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ ও কারিগরি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ৪৩.গাজীপুরে অবস্থিত বিআরটিসি কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ ইনিস্টিটিউট এর আধুনিক হলরুম এর শুভ উদ্বোধন ও কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। ৪৪.ঝঊওচ প্রকল্পের মাধ্যমে ঞঙঞ এর আওতায় ১৪২০ জন প্রশিক্ষককে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। ৪৫.বিআরটিসি’র সকল ডিপো/ইউনিট’কে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। ফলে নিরাপত্তা জোরদার করার পাশাপাশি প্রধান কার্যালয় হতে ডিপো হালকা মেরামত, ভারী মেরামত ও নিরাপত্তাসহ সকল কার্যক্রম অন-লাইন এর মাধ্যমে তাৎক্ষনিক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ৪৬.প্রধান কার্যালয়সহ সকল ডিপো/ইউনিটের কর্মকর্তাদের ল্যাপটপ প্রদান করা হয়েছে এবং উচ্চগতি সম্পন্ন ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করা হয়েছে। ৪৭.ডিপো/ইউনিটের অফিস এ্যাডমিনদের ওয়েবসাইট সংক্রান্ত, এপিএএমএস সফটওয়্যার বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। ৪৮.২৭তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২৩ এ আগত দর্শনার্থীদের নিরাপদে মেলায় যাতায়াতের সফল পদক্ষেপ গ্রহণ করায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব টিপু মুন্সী মহোদয়ের নিকট হতে স্বীকৃতি স্মারক গ্রহণ করেন বিআরটিসি’র চেয়ারম্যান জনাব মোঃ তাজুল ইসলাম (অতিরিক্ত সচিব)। বিআরটিসির উন্নতির ধারা অব্যহত রাখতে আগামী দিনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও চ্যালেঞ্জসমূহর কথা দৈনিক ভোরের সময়কে জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান মোঃ তাজুল ইসলাম- ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা- ¦* ইলেক্ট্রিক ভেহিকলসহ নতুন মডেলের বাস বিআরটিসি বহরে সংযুক্ত করা; ¦* আধুনিক সুবিধা সম্বলিত অফিস ভবনসহ কর্মচারীদের আবাসন ভবন নির্মাণ; ¦* ডিপোসমূহে (বাস/ট্রাক) ওয়াশিং প্যান্ট স্থাপন; ¦* তেজগাঁও কেন্দ্রীয় মেরামত কারখানা এবং গাজীপুর সমন্বিত কেন্দ্রীয় মেরামত কারখানা যুগোপযোগী ও আধুনিকায়ন; *পর্যায়ক্রমে সকল রুটে যাত্রী পরিবহনে দ্রুত ই-টিকেটিং সিস্টেম চালু করা; * সকল ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ এবং অনিয়ম দূর করার জন্য দৈনন্দিন কার্যক্রমসহ ডিপো ব্যবস্থাপনায় অটোমেশন সিস্টেম চালু করা; ¦* বাংলাবান্ধা ও সিরাজগঞ্জে নতুন ২টি বাস ডিপো এবং খুলনা ও বগুড়ায় ২টি ট্রাক ডিপো স্থাপন। ¦* বরিশাল-কোলকাতা, চট্টগ্রাম-কোলকাতা ও ঢাকা-গ্যাংটক (সিকিম)-দার্জিলিং, ঢাকা-নেপাল আন্তর্জাতিক বাস রুট চালু করা; ¦* বাস ও ট্রাকের অনলাইন ঐরংঃড়ৎু নড়ড়শ চালু করার মাধ্যমে গাড়ীর তথ্য আপডেট রাখা। চ্যালেঞ্জসমূহ- ¦*শূন্য পদে জনবল নিয়োগ; * নতুন মডেলের গাড়ী বিআরটিসি বহরে সংযুক্ত করা; * নিয়মিত বেতন-ভাতাদি পরিশোধ করা; * বকেয়া বেতন, সিপিএফ, গ্র্যাচুইটি ও ছুটিনগদায়ন পরিশোধ করা; ¦* দুর্নীতি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা; ¦* মালিক সমিতি ও বেসরকারী মালিক পক্ষের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে ১০০% রুট পরিচালনা করা; ¦* রাজস্ব বৃদ্ধি করা; * ব্যয় সংকোচন করা এবং * যাত্রী সেবার মানোন্নয়ন করা।
|
|
|
|
আবুল মনসুর আহমেদ, বিশেষ প্রতিবেদকঃ
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম জানিয়েছেন আসন্ন পবিত্র মাহে রমজান মাসে অত্যাবশকীয় পণ্যসামগ্রীর মূল্য স্থিতিশীল রাখা ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহ স্বভাবিক রাখতে কঠোর মনিটরিং করবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। বুধবার (২২ মার্চ ২০২৩) দুপুরে গুলশানস্থ ডিএনসিসি’র নগর ভবনে আসন্ন পবিত্র মাহে রমজান মাসে অত্যাবশকীয় পণ্যসামগ্রীর মূল্য স্থিতিশীল রাখা ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহ স্বভাবিক রাখা এবং বাজার মনিটরিংসহ অন্যান্য বিষয়ে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তৃতায় ডিএনসিসি মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম এ কথা জানান।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির মালিকানাধীন মার্কেট ও কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ীদের সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ। সভায় মেয়র বলেন, ‘বিশ্বের সকল দেশে দেখেছি অন্য সময়ের তুলনায় বিভিন্ন উৎসবে বিশেষ করে ধর্মীয় উৎসবের সময় পণ্যদ্রব্যের দাম কমে যায়। কিন্তু আমাদের দেশে দেখা যায় উল্টো চিত্র। এবছর রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্যের অহেতুক দাম বাড়ালে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।`
ডিএনসিসির সব বাজারে নজরদারি আরও জোরদার করা হবে জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘কাউন্সিলর সৈয়দ হাসান নূর ইসলামকে আহবায়ক করে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের সমন্বয়ে একটি বাজার মনিটরিং কমিটি করা হবে। পুরো রমজান মাস জুড়ে এই কমিটি বাজারগুলো মনিটরিং করবে। রমজানে জনগণের যেন কোন ভোগান্তি না হয় সেটি নিশ্চিত করা হবে। আমি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সহযোগিতা চাই। আপনারা দয়া করে ভেজালমুক্ত, সঠিক ওজন ও টাটকা পণ্য সরবরাহ করবেন।`
মেয়র আরও বলেন, `রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্য জনসাধারনের অবগতির জন্য ডিএনসিসির সাতটি মার্কেটে মূল্য তালিকাসহ প্রতিটি (১০x৬) ফুট সাইজের ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড স্থাপন করে দেয়া হবে। এছাড়াও প্রতিটি দোকানে প্রকাশ্যে মূল্য তালিকা টানিয়ে রাখাতে হবে। নির্ধারিত মূল্যের বেশি মূল্যে পণ্য বিক্রি করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এসময় মূল্য তালিকা থেকে বেশি মূল্যে পণ্য বিক্রি করলে দোকান বন্ধ করে দেয়ার হুশিয়ারিও দেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম।
ভোক্তারা যেন অভিযোগ জানাতে পারে সেজন্য ডিসপ্লে বোর্ডে মোবাইল নাম্বার প্রদর্শন করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশ দেন ডিএনসিসি মেয়র। ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি ভোক্তাদেরও সচেতন হওয়ার আহবান করেন তিনি।
মেয়র আরও বলেন, `বাজারে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। বাজারে প্রবেশের ও প্রস্থানের রাস্তাগুলোতে মালামাল রেখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না।` বিভিন্ন মার্কেট থেকে আগত ব্যবসায়ী প্রতিনিধিগণ ভেজালমুক্ত পণ্য বিক্রয়ে এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। তারা কমিটির পক্ষ থেকেও দ্রব্যমূল্য ও বাজারের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়মিত মনিটরিং করবে বলে জানান।
ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিকের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ জোবায়দুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহঃ আমিরুল ইসলাম, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মাহে আলম, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আ. ন. ম তরিকুল ইসলাম, ৩২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ হাসান নূর ইসলাম, সকল আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
|
|
|
|
আবুল মনসুর আহমেদ, বিশেষ প্রতিবেদকঃ
ঢাকাবাসীকে জলমগ্নতার দুর্দশা হতে রক্ষা করতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পূর্ণ প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। বুধবার (২২ মার্চ) দুপুরে নগরীর যাত্রাবাড়ীস্থ ধলপুর আউটফল এলাকায় কেন্দ্রীয় যানবাহন বিরামাগার (মটর গ্যারেজ) এর নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ তথ্য জানান।
ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "আমরা নর্দমাগুলো পরিষ্কার করছি। ঢাকা ওয়াসার কাছ থেকে খাল ও নর্দমাগুলো পাওয়ার পর হতে আমরা সূচি অনুযায়ী বছরের প্রথম থেকেই এগুলো পরিষ্কার আরম্ভ করি। যাতে করে জলাবাদ্ধতা না হয়। আপনারা দেখেছেন, এরই মাঝে বৃষ্টি হয়েছে কয়েক পসলা। তাতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কোথাও কোনও জলমগ্নতা হয়নি। এজন্য আমাদের যে প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম সেগুলো আমরা করে চলেছি। যাতে করে আগামী বর্ষা মৌসুমে আমরা পূর্ণভাবে প্রস্তুত থাকতে পারি। আমাদের লক্ষ্য, ঢাকা শহরে অতিবৃষ্টি হলেও আমরা ১৫ মিনিটের মধ্যেই জলমগ্নতা বা জলবদ্ধতা নিরসন করতে পারি, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে পারি।"
কেন্দ্রীয় মোটর গ্যারেজ বিরামাগার সম্পর্কে অবগত করে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "এই জায়গাটায় ১৫ একর জমি দীর্ঘদিন ধরে বহিরাগতরা দখল করে রেখেছিল। আমরা সেটা পূর্ণভাবে দখলমুক্ত করেছি। এর মধ্যে পাঁচ একর জমিতে আমাদের যারা কর্মচারী তাদেরকে এবং তেলেগু সম্প্রদায়ের ১২৬টি পরিবারকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছি। বাকি ১০ একর সাত শতাংশ জমিতে আমাদের সকল যান-যন্ত্রপাতি, গাড়ি রাখার জন্য একটি আধুনিক বিরামাগার স্থাপনের কার্যক্রম আমরা হাতে নিয়েছি। এটা একটি প্রকল্পের মাধ্যমে করা হবে। এখানে সর্বমোট ৩৩৩ কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দ করা হয়েছে।"
এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের গাড়ি ও যান-যন্ত্রপাতি ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা আসবে জানিয়ে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "এর মাধ্যমে টাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সকল গাড়ি, যান-যন্ত্রপাতি রাখতে আর কোনও অসুবিধা হবে না। মেরামত, ধোয়ামোছার জন্য আধুনিক সকল সুযোগ সুবিধা এখানে থাকবে। এখন আমাদেরকে অনেক গাড়িই বাইরে রাখতে হচ্ছে, রাস্তার উপর রাখতে হচ্ছে, বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখতে হচ্ছে। (কেন্দ্রীয় মোটর গ্যারেজ নির্মাণ সম্পন্ন হলে) এটা আর হবে না। এককভাবে একটি কেন্দ্রীয় বিরামাগারে গাড়ি রাখার সংস্থান হবে এবং এর মাধ্যমে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।"
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "এখানে যে তেলেগু সম্প্রদায় রয়েছে তাদের মধ্যে যদিও ১২৬টি পরিবার আমাদের কর্মচারী না। তারপরও মানবিক দিক বিবেচনা করে আমরা তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছি। এছাড়াও আমাদের প্রায় ৮০০ মতো কর্মচারী আছে, তাদেরকেও আমরা এই পাঁচ একরে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছি। আপনারা দেখবেন, এখানে অনেকগুলো ভবন করা হয়েছে। পরিচ্ছন্নকর্মীদের জন্য এখানে আধুনিক আবাসন ব্যবস্থা করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুদান ও নির্দেশনার প্রেক্ষিতে ৫ একর জমিতে নতুন আবাসিক ভবন হবে। সেখানে আমাদের পরিচ্ছন্নকর্মীদের বরাদ্দ দিব।"
এরপরে ঢাদসিক মেয়র ধলপুর সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র সংলগ্ন সড়কের নর্দমা পরিষ্কার কার্যক্রম পরিদর্শন এবং রায়ের বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, পুরষ্কার বিতরণী ও শহিদ শামসুন্নেসা আরজু মণি স্মৃতি ট্রাস্ট কর্তৃক জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা-৫ আসেনর সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনু, করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, কাউন্সিলদের মধ্যে ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের মো আবুল কালাম অনু, ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাদল সরদার ও সংরক্ষিত আসনের লাভলী চৌধুরী, করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনিছুর রহমান, অঞ্চল-৫ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম জয় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
|
|
|
|
এবারও সবচেয়ে সুখী দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে ফিনল্যান্ড। এ নিয়ে পরপর ছয়বার দেশটি সুখী দেশের তালিকায় শীর্ষ স্থান লাভ করেছে। বিশ্বের সবচেয়ে সুখ দেশগুলোর এই তালিকায় শীর্ষ ১০০ এর মধ্যে নেই বাংলাদেশ। এ তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১১৮। ২০২২ সালের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৯৪। প্রতিবেশী দেশগুলোর মাঝে তালিকায় স্থান পেয়েছে নেপাল (৭৮), পাকিস্তান (১০৮), ভারত (১২৬), মিয়ানমার (১১৭) ও শ্রীলঙ্কা (১১২)।
প্রতিবছর ২০ মার্চ সুখ দিবসের প্রাক্কালে সুখী দেশের তালিকা প্রকাশ করে জাতিসংঘ। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। প্রকাশ করা হয়েছে ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট ২০২৩।
সুখী দেশের তালিকায় ফিনল্যান্ডের পর দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ডেনমার্ক ও আইসল্যান্ড। চতুর্থ ইসরায়েল ও পঞ্চম নেদারল্যান্ডস। সেরা ১০টি সুখী দেশের মধ্যে এরপর রয়েছে সুইডেন (ষষ্ঠ), নরওয়ে (সপ্তম), সুইজারল্যান্ড (অষ্টম), লুক্সেমবার্গ (নবম) ও নিউজিল্যান্ড (দশম)।
এবারের সুখী দেশের তালিকায় তলানিতে রয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের নাম (১৩৭)। এর এক ধাপ ওপরে লেবানন (১৩৬)। প্রায় প্রতিটি সূচকেই সবচেয়ে সুখী ১০ দেশের চেয়ে ৫ পয়েন্ট করে কম পেয়েছে (০ থেকে ১০ এর মধ্যে) তালিকার তলানিতে থাকা দেশগুলো। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে ২ পক্ষের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হলেও এখনো দেশ ২টি শীর্ষ ১০০ দেশের তালিকায় রয়েছে। রাশিয়া ও ইউক্রেনের অবস্থান যথাক্রমে ৭০ ও ৯২।
সুখী দেশের তালিকা করার ক্ষেত্রে মানুষের সুখের নিজস্ব মূল্যায়ন, সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে শূন্য থেকে ১০ সূচকে নম্বর পরিমাপ করা হয়। পাশাপাশি প্রতিটি দেশের মানুষের ব্যক্তিগত সুস্থতার অনুভূতি, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা, জিডিপি ও দুর্নীতির মাত্রা বিবেচনায় নেওয়া হয়।
|
|
|
|
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলামের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রিতভা কাউক্কু রুনদি। মঙ্গলবার (২১ মার্চ ২০২৩) সকালে রাজধানীর গুলশানে নগর ভবনে ডিএনসিসি মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলামের কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতা প্রদানের আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত। বৈঠকে আলাপকালে ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতকে ডিএনসিসি মেয়র ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অনলাইনে হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় ও ট্রেডলাইসেন্স প্রদান, সবার ঢাকা অ্যাপে সেবা প্রদানসহ অন্যান্য সেবা সম্পর্কে অবগত করে বলেন, `মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের মাধ্যমে অনলাইনে বিভিন্ন সেবা প্রদান করছি। এ মুহুর্তে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছি। ফিনল্যান্ড প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে অনেক এগিয়ে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ফিনল্যান্ড আমাদেরকে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা প্রদান করতে পারে। ফলে দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে।`
ফিনল্যান্ডের উন্নত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কথা উল্লেখ করে মেয়র বলেন, `ঢাকায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজনীয় সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন নির্মাণের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা নেই। ঢাকা শহরে ফিনল্যান্ডের মতো আন্ডারগ্রাউন্ড সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) নির্মাণের মাধ্যমে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সঠিক সমাধান করা যেতে পারে।` ডিএনসিসিতে এসটিএস নির্মাণে ফিনল্যান্ডের কারিগরি ও আর্থিক সহযোগিতার আহবান করেন মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম।
এসময় সুখী দেশের তালিকায় ফিনল্যান্ড আবারও শীর্ষে অবস্থান করায় রাষ্ট্রদূতকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান ডিএনসিসি মেয়র। ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রিতভা কাউক্কু রুনদি ঢাকা শহরের অবকাঠামোগত উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে বলেন, `প্রযুক্তির বিভিন্ন খাতে ফিনল্যান্ডের কাজ করার সুযোগ রয়েছে। স্মার্ট সিটি গড়তে আধুনিক প্রযুক্তি সরবরাহে ফিনল্যান্ড বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে পারে। টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ফিনল্যান্ড প্রযুক্তিগত সহযোগিতা প্রদান করবে। নোকিয়াসহ অন্যান্য কোম্পানীও বাংলাদেশে কার্যক্রম প্রসারিত করতে আগ্রহী।
নগর ভবনে বৈঠকের শুরুতে ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রিতভা কাউক্কু রুনদিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান ডিএনসিসি মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম। বৈঠক শেষে ডিএনসিসি মেয়র এবং ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত একে অপরকে সম্মাননা স্মারক ও উপহারসামগ্রী তুলে দেন।
এসময় ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, নয়াদিল্লির ফিনল্যান্ড দূতাবাসের ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কনসুলার কিমো সিরা, সেকেন্ড সেক্রেটারি রাউলি কোস্টামো, ইকোনমি অ্যান্ড কমার্শিয়াল বিষয়ক উপদেষ্টা রায় চক্রবর্তী, অনারারি কনস্যুলেট জেনারেল অব ফিনল্যান্ড ঢাকার সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার কর্ণেল (অবঃ) জাওয়াদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
|
|
|
|
আবুল মনসুর আহমেদ, বিশেষ প্রতিবেদকঃ
যথাযথভাবে শিক্ষা গ্রহণ করে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করা এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সমাজ ও রাষ্ট্রকে গর্বিত করতে ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। মঙ্গলবার (২১ মার্চ) দুপুরে নগরীর লক্ষীবাজারস্থ ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজের নবীণ বরণ-২০২৩ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ আহবান জানান।
ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি আব্রাহাম লিংকন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। একদিন যখন শুয়েছিলেন, তিনি তার খাতায় লিখলেন -- আমি শিক্ষা গ্রহণ করব, আমি নিজেকে তৈরি করব এবং হয়তোবা একদিন আমার সুযোগ আসবে। তিনি শিক্ষা গ্রহণ করেছেন, নিজেকে তৈরি করেছেন এবং তার সেই সুযোগটাও একদিন আসলো। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো বৃহৎ জাতিসত্তার একটি রাষ্ট্র গঠন করেছেন। আপনারা অনেক স্বপ্ন নিয়ে ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজে এসেছেন। আপনাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে আপনারা যথাযথ শিক্ষা গ্রহণ করবেন এবং সকল ক্ষেত্রে নিজেদেরকে তৈরি করবেন, প্রতিষ্ঠা করবেন। যাতে করে একদিন আপনাদেরও সেই সুযোগ আসে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সবাইকে একটি পূর্ণ সুযোগ দেন। কিন্তু সেই সুযোগটা সবাই গ্রহণ করতে পারে না। আমি মনে করি, আপনারা আপনাদেরকে সেভাবে তৈরি করবেন যেন যখনই কোনও সুযোগ আসে সেটাকে গ্রহণ করতে পারেন। অর্জন করতে পারেন। এই সুযোগ গ্রহণের মাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করবেন, পিতা-মাতার স্বপ্ন পূরণ করবেন। তাদেরকে গর্বিত করবেন। দেশপ্রেমে উদ্বেলিত হয়ে সমাজ এবং দেশকে গর্বিত করবেন।"
স্বপ্ন দেখা এবং সেই স্বপ্নের বাস্তবায়নে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হয় জানিয়ে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "সবকিছুর শুরু হয় একটি স্বপ্ন দিয়ে। আপনারা এখানে এসেছেন আপনাদের নিজের, পিতা-মাতা ও অভিভাবকদের স্বপ্ন পূরণ করতে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার নেতা লুথার কিং জুনিয়রকে ১৯৬৮ সালে হত্যা করা হয়। কৃষাঙ্গ এই নেতা বলেছিলেন -- আই হ্যাভ এ ড্রিম। আমার একটি স্বপ্ন আছে। একসময় যুক্তরাষ্ট্রে কৃষাঙ্গদের কোনও অধিকার ছিল না। তাদেরকে ক্রীতদাস হিসেবে ব্যবহার করা হতো। তিনি চেয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ-শ্বেতাঙ্গ সবাই সমান অধিকার পাবে। উনি সেটা পরিপূর্ণভাবে দেখে যেতে পারেননি। কিন্তু তার সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে ৫ দশক পরে। ২০০৮ সালে একজন কৃষ্ণাঙ্গ নেতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। ইতিহাস রচনা করে বারাক ওবামা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হয়েছেন।"
এ সময় নবীনদেরকে স্বাগত জানিয়ে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "আজ আমাদেরকে স্বাগত জানানো হচ্ছে। আসলে বিষয়টি কিন্তু তা নয়। আজ আমরা উপস্থিত হয়েছি আপনাদেরকে স্বাগত জানাতে। এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে আপনাদেরকে বরণ করে নিতে। ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন পরিচালিত একমাত্র কলেজ। আমি এই কলেজে নবাগত শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানাচ্ছি।"
ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর তাহমিনা হকের সভাপতিত্বে এবং সহকারী অধ্যাপক মো. গোলাম রসুলের সঞ্চালনায় নবীব বরণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান, করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান ও ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাজি মোহাম্মদ সেলিম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
|
|
|
|
বিশেষ প্রতিবেদক আবুল মনসুর আহমেদ ঃ
বাংলাদেশ দূতাবাস আঙ্কারায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করা হয়। সকালে তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা/কর্মচারীদের উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং দূতাবাস প্রাঙ্গণে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরবর্তী দিন বিকালে দূতাবাসের বিজয়-৭১ মিলনায়তনে একটি বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে দূতাবাসের ফয়ারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান- এর জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩ উপলক্ষ্যে “বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু” এই বিষয়ের উপর ১৮ জন শিশু "চিত্রাংকন” ও “যেমন খুশী তেমন সাজো” প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করে। এরপর মান্যবর রাষ্ট্রদূত শিশুদের নিয়ে চিত্র প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষ্যে কেক কাটেন। আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতেই কুরআন থেকে তিলওয়াত এবং দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয় এবং দিবসটি উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করেন মান্যবর রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করেন প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা মোঃ রাশেদ ইকবাল, মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী কর্তৃক পেরিত বাণী পাঠ করেন দ্বিতীয় সচিব ও দূতালয় প্রধান মোঃ রফিকুল ইসলাম এবং মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী-এর বাণী পাঠ করেন প্রতিরক্ষা উইংয়ের সুপারিনটেনডেন্ট মোঃ ফরহাদ হোসেন। দিবসটি উপলক্ষ্যে মন্ত্রণালয় হতে প্রাপ্ত একটি বিশেষ ভিডিও ক্লিপ প্রদর্শিত হয়। অত:পর আলোনায় অংশগ্রহন করেন তিন জন প্রবাসী বাংলাদেশি ও দূতাবাসের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা। প্রবাসী বাংলাদেশি লেঃ কর্নেল (অবঃ) নাছির হায়দার তাঁর স্মৃতিচারণামূলক বক্তব্যে ১৯৭৫ সালের ১৭ই মার্চ গনভবনে বঙ্গবন্ধুর শেষ জন্মদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা উল্লেখ করেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্বে শিশু-কিশোররা বঙ্গবন্ধু-কে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের ছড়া, কবিতা আবৃত্তি ও গান পরিবেশন করেন। অতপরঃ রাষ্ট্রদূত শিশু-কিশোরদের সকলের মাঝে "চিত্রাংকন” ও “যেমন খুশী তেমন সাজো” প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহনকারীদের মধ্যে পুরস্কার প্রদান করেন। রাষ্ট্রদূত হক তাঁর বক্তব্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘটনাবহুল জীবনের বিবরণ তুলে ধরেন। জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রদূত বঙ্গবন্ধুর শিশুদের প্রতি ভালবাসার বিভিন্ন স্মৃতির কথা উল্লেখ করে বলেন বঙ্গবন্ধু শিশুদের প্রতি অত্যন্ত স্নেহশীল ছিলেন এবং স্বাধীন বাংলাদেশে তিনি শিশুদের কল্যাণে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব গুন ও তাঁর সংগ্রামী ও কর্মময় জীবন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও ঐতিহাসিক বিজয় অর্জনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের ভূয়েসী প্রশংসা করেন এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে অচিরেই বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে সক্ষম হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। পরিশেষে, আগত তুর্কিশ এবং প্রবাসী বাংলাদেশি অতিথিদের মধ্যে বাংলাদেশের চিরাচরিত খাবার পরিবেশনের ভিতর দিয়ে অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি হয়।
|
|
|
|
যেখানে শেষ, সেখান থেকেই শুরু...’ বাংলাদেশের ক্রিকেটের সুখের দিন চলছেই। চট্টগ্রাম থেকে মিরপুর, এবার সিলেটেও; জিতেই চলেছে দল।
তৌহিদ হৃদয়-সাকিব আল হাসানের ব্যাটে সর্বোচ্চ রানের সংগ্রহ পেয়েছিল বাংলাদেশ, বাকি কাজটুকু করেছেন বোলাররা। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তামিম ইকবালের দল পেয়েছে রেকর্ড গড়া জয়।
শনিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আইরিশদের ১৮৩ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করে স্কোরকার্ডে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৩৮ রান যোগ করে স্বাগতিকরা। জবাব দিতে নেমে সব উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রানের বেশি করতে পারেনি সফরকারীরা। বাংলাদেশের জন্য এটাই রানের ব্যবধানে সবচেয়ে বড় জয়। এর আগে ২০২০ সালে সিলেটেই জিম্বাবুয়েকে ১৬৯ রানে হারিয়েছিল টাইগাররা।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা একদমই ভালো হয়নি বাংলাদেশের। মার্ক আডইয়ারের বলে প্রথম স্লিপে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যান ৯ বলে ৩ রান করা অধিনায়ক তামিম ইকবাল। এরপর নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে ৩৪ রানের জুটি গড়েন আরেক উদ্বোধনী ব্যাটার লিটন দাস। কিন্তু দুজনের কেউই পারেননি ইনিংস লম্বা করতে।
২ চার ও ১ ছক্কায় ৩১ বলে ২৬ রান করে ক্যাম্পারের বলে স্টার্লিংয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন লিটন। শান্ত লাইন মিস করে বোল্ড হন ম্যাকব্রিনের বলে, ৩৪ বল খেলে ২৫ রান করেন। ৮১ রানে তিন উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন সাকিব আল হাসান ও তাওহীদ হৃদয়।
সাকিব আল হাসান শুরুর দিকে কিছুটা ভুগেছেন। কিন্তু যত সময় গড়িয়েছে, তিনি হয়েছেন সাবলীল। ৩৫তম ওভারে হ্যারি টেক্টরকে তো দুঃস্বপ্নই দেখিয়েছেন সাকিব। ছয় বলের পাঁচটিতেই চার মেরে নিয়েছেন ২২ রান। প্রায় ১৩৭০ দিন আগে সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া সাকিবের জন্য ছিল বেশ বড় সুযোগ।
কিন্তু তিনি আউট হয়েছেন খুবই সাদামাটাভাবে। ৯ চারে ৮৯ বলে ৯৩ রান করে গ্রাহাম হিউমের বলে উইকেটে পেছনে ক্যাচ দেন সাকিব। ‘নব্বই’তে এ নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অষ্টমবার আটকে গেলেন তিনি। মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে এটি যৌথভাবে সর্বোচ্চবার। তার সঙ্গে তাওহীদের ১২৫ বলে ১৩৫ রানের জুটি দশ ম্যাচ পর মিডল অর্ডারে বাংলাদেশে প্রথম তিন অঙ্ক ছাড়ানো জুটি।
এরপর ক্রিজে এসে ‘ক্যারিয়ার বাঁচানোর লড়াই’য়ে উতরে যাওয়ার মতো এক ইনিংসই খেলেছেন মুশফিক। সাত নম্বরে নেমে ৩ চার ও সমান ছক্কায় ২৬ বলে ৪৪ রান করেছেন তিনি। পরের পুরো আলোটাই ছিল তাওহীদ হৃদয়ের দিকে। দুর্দান্ত খেলতে থাকা এই ব্যাটার পেতে পারতেন সেঞ্চুরির দেখা।
তিন অঙ্কের দেখা পেলে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে অভিষেকে সেঞ্চুরি করার কীর্তি হতো। কিন্তু কেবল ৮ রানের জন্য সেটি করতে পারেননি তিনি। হিউমের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তাওহীদ। ৮ চার ও ২ ছক্কার ইনিংসে ৮৫ বলে ৯২ রান করেন তিনি।
শেষদিকে ইয়াসির আলির ১০ বলে ১৭, তাসকিন আহমেদের ৭ বলে ১১ ও নাসুম আহমেদের ৭ বলে ১১ রানে ইনিংসে বাংলাদেশ পায় রেকর্ড গড়া সংগ্রহ। আয়ারল্যান্ডের পক্ষে ১০ ওভারে ৬০ রান দিয়ে চার উইকেট নেন গ্রাহাম হিউম।
এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই হয়েছিল আয়ারল্যান্ডের। স্টেফেন ডোহানি ও পল স্টার্লিং মিলে তাদের এনে দেন ৬০ রানের উদ্বোধনী জুটি। ৪ চার ও ১ ছক্কায় ২৮ বলে ৩৪ রান করা স্টেফেনকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য দেন সাকিব আল হাসান।
১ চার ও ছক্কায় ৩১ বলে ২২ রান করে স্টার্লিংও ফেরেন এবাদত হোসেনের বলে, উইকেটের পেছনে ক্যাচ নেন মুশফিকুর রহিম। এরপরই যেন তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে আইরিশ ব্যাটিং লাইন আপ। ১৬ রানের ব্যবধানে তারা হারায় ৫ উইকেট। তাসকিন আহমেদ ও এবাদত হোসেনের বোলিং সামলেই উঠতে পারেনি তারা।
মাঝে কার্টিস ক্যাম্পারকে নিয়ে কিছুক্ষণ চেষ্টা করেন জর্জ ডকরেল। তাদের দুজনের ২৯ রানের জুটি ভাঙেন নাসুম আহমেদ। এই স্পিনার এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন ১৭ বলে ১৬ রান করা ক্যাম্পারকে। এরপরের লড়াইটা একাই লড়েন জর্জ ডকরেল। তিনি আউট হন শেষ ব্যাটার হিসেবে।
এবাদত হোসেনের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৬ চারে ৪৭ বলে ৪৫ রান আসে তার ব্যাট থেকে। বাংলাদেশের বোলারদের ভেতর উইকেটশূন্য ছিলেন কেবল মোস্তাফিজুর রহমান। ৬ ওভারে ৩১ রান দেন তিনি। এছাড়া তাসকিন ছয় ওভারের দুটিই মেডেন দিয়ে ১৫ রান দেন, নেন দুই উইকেট। নাসুম ৮ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে ৩, সাকিব ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ১ ও এবাদত হোসেন ৬ ওভার ৫ বল হাত ঘুরিয়ে ৪২ রান দিয়ে ৪ উইকেট পেয়েছেন।
|
|
|
|
বিশেষ প্রতিবেদক আবুল মনসুর আহমেদ ঃ
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়ে অংশ নিয়েছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) নেতৃবৃন্দ।
আজ বুধবার (১৫ মার্চ) বিকালে নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে এই সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।
সাক্ষাতকালে লিখিত দাবি-দাওয়া সংবলিত স্মারক লিপি পাঠ করেন ডিইউজে সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে সাংবাদিকদের অবদান নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়া ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের ১৩ জন সদস্যের নামে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৩টি সড়কের নামকরণ করা এবং সাংবাদিকদের কল্যাণে আরও কয়েকটি সুনির্দিষ্ট বিষয় স্মারক লিপিতে সন্নিবেশ করা হয়। পঠিত স্মারক লিপির জবাবে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন সাংবাদিকদের ঐতিহ্যবাহী একটি সংগঠন। সড়ক নামকরণ সিটি করপোরেশনই করে থাকে। মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সাংবাদিকদের নামে সড়কের নামকরণের মাধ্যমে তাদেরকে আমরা এটুকু সম্মান দেখাতেই পারি। ওনারা এটুকু সম্মান পাওয়ার দাবিদার। এতদিন নামকরণ হয়নি, সেটাই দুঃখজনক। যেহেতু সড়কের নামকরণে একটি প্রক্রিয়া রয়েছে, সেহেতু এ প্রক্রিয়ায় করপোরেশনের অংশটুকু আমরা দ্রুতই শেষ করতে পারব। আশা করি, আপনাদের সকলের সহযোগিতায় করপোরেশনের বাইরে `সড়ক নামকরণে সম্পৃক্ত` বাকী অংশীজনদের কাছ থেকেও এ প্রক্রিয়ার বাকী অংশ দ্রুত শেষ করতে পারব।"
সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, "আপনার পিতা শেখ ফজলুল হক মণি সাংবাদিক সমাজকে প্রাণের চেয়েও বেশি ভালোবাসতেন। আমি মনে করি, শেখ ফজলুল হক মণির যোগ্য উত্তরাধিকার হিসেবে সাংবাদিকদের কল্যাণ সাধনে আপনারও কিছু দায় ও দায়িত্ব রয়েছে।"
ডিইউজে সভাপতির বক্তব্যের জবাবে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "আমি নিজেও সাংবাদিক পরিবারের সন্তান। আমি আপনাদের পরিবারেরই একজন। সেজন্য সাংবাদিকদের কল্যাণে আমি আপনাদের সুখে-দুঃখে পাশে থাকবে।"
মতবিনিময়কালে অন্যান্যের মধ্যে ডিইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক এ জিহাদুর রহমান জিহাদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রাজু হামিদ, দপ্তর সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাকিলা পারভীন, কল্যাণ সম্পাদক জুবায়ের রহমান চৌধুরী, নির্বাহী পরিষদ সদস্য ইব্রাহিম খলিল খোকন, দুলাল খান, সলিমুল্লাহ সেলিম, আসাদুর রহমান, মহিউদ্দিন পলাশ, সফিকুল করিম সাবু, সফিক বাশার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
|
|
|
|
বশির আহাম্মদ বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি। বান্দরবানের সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ অভিযানের কারনে গত বছরের ১৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ফের রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় আরোপ করা হয়েছে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসমিন পারভীন তিবরীজির সই করা গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে বান্দরবান পার্বত্য জেলার রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত স্থানীয় ও বিদেশি পর্যটক ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হলো। এছাড়া বান্দরবান জেলার অন্যান্য উপজেলায় পর্যটকরা ভ্রমণ করতে পারবেন। প্রতিবছর শীত মৌসুমে জেলায় হাজার হাজার পর্যটকের আগমন ঘটলেও এবার দফায় দফায় নিষেধাজ্ঞা জারি থাকায় দেশি-বিদেশি পর্যটক না যাওয়ার কারনে জেলার দুই শতাধিক হোটেল-মোটেল ও পাঁচ শতাধিক পর্যটক গাইড কর্মশূন্য হয়ে পড়ে। বান্দরবান হোটেল মোটেল মালিক সমিতির অর্থ সম্পাদক রাজিব বড়ুয়া বলেন, নিষেধাজ্ঞার কারণে জেলায় পর্যটকের আগমন ফের কমবে। গত ১০ ফেব্রুয়ারি রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলার ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে প্রশাসন। বুধবার সে নিষেধাজ্ঞা আবার জারি করে। পাহাড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জঙ্গি বিরোধী অভিযানের কারণে পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে গত ১৮ অক্টোবর থেকে রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে স্থানীয় প্রশাসন। এরপর ধারাবাহিকভাবে থানচি ও আলীকদম উপজেলাও নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। পরবর্তীতে দফায় দফায় উপজেলা ভিত্তিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও পুনরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আসছে প্রশাসন।
|
|
|
|
তাজমুন আহমেদ।
ময়মনসিংহ, গফরগাঁও পাগলা, মশাখালি ইউনিয়নে মূখী শাহ্ মিসকিন মাজারের পশ্চিম পাশে পাথর ঘাটের সাথে সাত দিন আগে শ্বশুরবাড়ি থেকে দেড় লক্ষ টাকা যৌতুক আনার পরেও বউকে নির্যাতন করা থামেনি । মেয়েটির বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের টাকার জন্য ফজলুল হকের ছেলে, আজিজুল হক দুই বছর হয়েছে তাদের বিয়ে বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের টাকার জন্য নির্যাতন করে আসছে মেয়েটিকে । গত ৭ দিন আগে মেয়ের বাড়ি থেকে মা, মামা, বোন সকলে মিলে অনেক কষ্ট করে মেয়ের সুখের জন্য দের লক্ষ যৌতুকের টাকা জামাই ও তার বাবার হাতে কয়েকজন সাক্ষীর মাধ্যমে তুলে দেয়। ছেলে জানায় দেড় লক্ষ টাকা দিয়ে তার সমস্যা সমাধান হবে না। তার গার্জিয়ান অল্প টাকা দেওয়াতে অসন্তুষ্ট। তোদের বাড়ি থেকে দেড় লক্ষ টাকা কেন দিয়েছে সে প্রশ্ন করে মেয়ের উপর ভীষণভাবে উত্তেজিত হয়। আরো দুই লক্ষ টাকা এনে দেওয়ার জন্য মেয়ের পরিবারকে কঠিন ভাবে চাপ সৃষ্টি করে। তার স্ত্রী এই মুহূর্তে টাকা আর আনতে পারবে না জানাই স্বামীর পরিবারকে । তারপর থেকেই মারপিট শুরু করে। মার খেয়ে বহুবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। টাকা দেওয়ার পরেও বন্ধ হয়নি অত্যাচার নির্যাতন। সোমবার রাতে ম-ম স্ব অবস্থায় স্বামীর ঘরে পড়েছিল এই মেয়েটি ছিল।, চিকিৎসা করতে নিয়ে যায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়নি স্বামী আজিজুল হক সহ শশুর বাড়ির কোন লোকজন,, মঙ্গলবার সকালে মেয়ের বাড়ির লোক জন এসে মেয়েকে স্বামীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে ভালুকা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে ভর্তি করা হয় । মেয়ের মামা বাদী হয়ে পাগলা থানায় আভিযোগ দায়ের করা হয়েছে । পাগলা থানার পুলিশ জানাই তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা হবে।
|
|
|
|
বিশেষ প্রতিবেদক আবুল মনসুর আহমেদ ঃ
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ঢাকার যানজট মূলত সমস্যা নয়, এটি রীতিমতো একটি চ্যালেঞ্জ
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ ২০২৩) স্থানীয় সময় দুপুরে ওয়াশিংটন ডিসির বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে দু’দিনের ট্রান্সপোর্টেশন সামিটের প্রথমদিন শেষে এসব কথা জানান ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম।
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, `রাজধানী শহর ঢাকার যানজট মূলত সমস্যা নয়, এটি রীতিমতো একটি চ্যালেঞ্জ। জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিনই ঢাকায় মানুষ আসছে। যারা অধিকাংশই রিকশা চালক কিংবা হকার হিসেবে কাজ করছে। এদের নিয়ন্ত্রণ রীতিমতো একটি চ্যালেঞ্জ, তাই দরকার সমন্বিত ব্যবস্থাপনা।`
তিনি বলেন, `আমাদের লক্ষ্য মেগাসিটির গণপরিবহন ব্যবস্থার সংকট উত্তরণের উপায় ও জ্বালানি সাশ্রয়ী আগামীর পরিবহন ব্যবস্থা চালু করা। ঢাকায় মেট্রোরেল চালু হয়েছে, বাস রুটে র্যাশনালাইজেশনের মাধ্যমে সিটি বাস সার্ভিসকে নিয়মের মধ্যে আনার চেষ্টা চলছে। পরবর্তী ধাপে ঢাকার রাস্তায় জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব ইলেকট্রিক বাস নামানোর পরিকল্পনা রয়েছে। মেট্রোরেলের স্টেশনকেন্দ্রিক করিডোর ব্যবস্থাপনার জন্য ডিএনসিসিকে প্রায় ১৬০০ কোটি টাকার ঋণ সহায়তা দিবে বিশ্বব্যাংক।`
মেয়র আরও বলেন, `ঢাকা শহরের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে জনসংখ্যা ঘনত্ব। ঢাকার জনসংখ্যার ঘনত্ব ৪৯০০/বর্গ কিমি। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঢাকা শহরে প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার জন মানুষ প্রবেশ করছে। যা মেনটেইন করা বেশ কষ্টকর। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতায় প্রায় দেড় কোটি মানুষের জন্য মাত্র ৭% রাস্তা রয়েছে। যেখানে দরকার ন্যূনতম ২৫%। ঢাকার রাস্তায় যানবাহনের গড় গতি ঘন্টায় মাত্র ৬ কিলোমিটার ফলে উৎপাদনশীলতা হ্রাস পাচ্ছে।`
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, `ঢাকায় বাসের তুলনায় ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা ৩৩ গুণ বেশি। আমি কিছু স্বল্পমেয়াদী এবং মধ্য মেয়াদী পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা ঢাকার বাস রুটরেশনালাইজেশনে ২৪ টি রুটে ২২ টি কোম্পানির বাস ৬ টি রুটে চলাচল করতে পরিকল্পনা নিয়েছি এবং ইতিমধ্যে ৩ টি রুট চলমান রয়েছে। শীঘ্রই আরও দুটি রুট চালু হবে। স্বল্পমেয়াদী কর্ম পরিকল্পনায় আরও রয়েছে স্কুল বাস চালু, অ্যাপভিত্তিক রাস্তায় কার পার্কিং ইত্যাদি। মিড টার্ম অ্যাকশনের মধ্যে আছে ICM প্রোজেক্ট, ডেডিকেটেড বাস বে তৈরী।
এছাড়াও সম্মেলন থেকে অন্তর্ভুক্তিমূলক গণপরিবহন ব্যবস্থপনার জন্য পথচারীবান্ধব ফুটপাত, প্রতিটি সড়কে আলাদা সাইকেল লেন করাসহ বেশকিছু সুপারিশ উঠে আসে।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংক এর ট্রান্সফর্মিং ট্রান্সপোর্টেশন এর ২০ তম সম্মেলন উপলক্ষ্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের নেতৃত্বে একটি দল ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থান করছে।
|
|
|
|
সৌর ব্যতিচারের (সান আউটেজ) কারণে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর সম্প্রচার কার্যক্রম ৮ দিন সাময়িক বন্ধ থাকতে পারে। এ সময়ের মধ্যে সর্বনিম্ন ৫ মিনিট থেকে সর্বোচ্চ ১৩ মিনিট পর্যন্ত সম্প্রচারে বিঘ্ন ঘটতে পারে।
সোমবার (৬ মার্চ) বিএসসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর সম্প্রচার কার্যক্রম সাময়িক বিঘ্ন ঘটার সময়গুলো হচ্ছে—
৭ মার্চ স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৫৫ মিনিট থেকে ১০টা পর্যন্ত ৫ মিনিট;
৮ মার্চ ৯টা ৫২ মিনিট থেকে ১০টা ২ মিনিট পর্যন্ত মোট ১০ মিনিট;
৯ মার্চ সকাল ৯টা ৫১ মিনিট থেকে ১০টা ৩ মিনিট পর্যন্ত ১২ মিনিট;
১০ মাস সকাল ৯টা ৫০ মিনিট থেকে ১০টা ৩ মিনিট পর্যন্ত মোট ১৩ মিনিট;
১১ মার্চ সকাল ৯টা ৫০ মিনিট থেকে ১০টা ৩ মিনিট পর্যন্ত মোট ১৩ মিনিট;
১২ মার্চ সকাল ৯টা ৫১ মিনিট থেকে ১০টা ২ মিনিট পর্যন্ত মোট ১১ মিনিট;
১৩ মার্চ সকাল ৯টা ৫১ মিনিট থেকে সকাল ১০টা ১ মিনিট পর্যন্ত ১০ মিনিট এবং ১৪ মাস ৯টা ২২ মিনিট থেকে ৯টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত মোট ৭ মিনিট। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রাকৃতিক কারণ ঘটিত এই সাময়িক বিঘ্নের জন্য বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।
|
|
|
|
রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকার একটি তিনতলা ভবনে বিস্ফোরণকে প্রাথমিকভাবে দুর্ঘটনা বলে ধারণা করছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে এখন পর্যন্ত কোনো বিস্ফোরকের আলামত পায়নি পুলিশ।
রোববার (৫ মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
তিনি বলেন, এখানে আমাদের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা এসেছেন। তারা কাজ করছেন। প্রাথমিকভাবে আমাদের মনে হচ্ছে এটি একটি দুর্ঘটনা। গ্যাস কিংবা অন্য কোনো কারণে বিস্ফোরণ হতে পারে। আমরা একটি তদন্ত কমিটি করা হবে, তদন্তের মাধ্যমে তারা মতামত দিতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, পুলিশের বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থলে কাজ করেছেন। এখনো কোনো বিস্ফোরক, নাশকতামূলক কিছু বা স্প্রিন্টার জাতীয় কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।
সায়েন্সল্যাব এলাকায় রোববার (৫ মার্চ) সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে প্রিয়াঙ্গন শপিং মলের পাশের একটি ভবনে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে ভবনটি আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহত হয়েছেন তিনজন। আহত অন্তত আরও পাঁচজন। ধানমণ্ডি থানার উপ-পরিদর্শক আজিজুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন- শফিকুজ্জামান, আব্দুল মান্নান, তুষার। আহতদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- পথচারী খাইরুল, প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা হান্নান ও শিক্ষার্থী পায়েল।
|
|
|
|
|
|
|