স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
বিশেষ প্রতিবেদক আবুল মনসুর আহমেদ ঃ
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের গত ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে জারীকৃত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এলজিইডির জ্যেষ্ঠতম অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (গ্রেড-২), এলজিইডি সদর দপ্তর, ঢাকা, মোঃ আলি আখতার হোসেনকে এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলীর চলতি দায়িত্ব প্রদান করা হয়। তিনি প্রধান প্রকৌশলী সেখ মোহাম্মদ মহসিন-এর স্থলাভিষিক্ত হলেন। মোঃ আলি আখতার হোসেন ১৯৬৫ সালে ২০ অক্টোবর রাজশাহীর গোদাগাড়ি উপজেলার বিজয়নগর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আলাউদ্দিন মন্ডল এবং মাতার নাম হাজেরা খাতুন। তিনি কৃতিত্বের সাথে ১৯৮০ সালে চাঁপাই নবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর আলীনগর হাইস্কুল থেকে এসএসসি এবং ১৯৮২ সালে রাজশাহী কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। ১৯৮৬ সালে তৎকালীন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজী (বিআইটি), খুলনা (বর্তমানে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কুয়েট) থেকে পুরকৌশলে স্নাতক এবং ২০০২ সালে যুক্তরাজ্যের নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এনভায়রনমেন্টাল ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। মোঃ আলি আখতার হোসেন ১৯৮৯ সালে ১ জুন তৎকালীন এলজিইবিতে যোগদিয়ে ৩ জুন ১৯৮৯ থেকে পঞ্চগড় সদর উপজেলার উপজেলা প্রকৌশলী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ৩৪ বছরেরও অধিককালের কর্মজীবনে তিনি উপজেলা প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এসময় তিনি গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে সরাসরি সম্পৃক্ত থেকে বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নে অংশ নেন। প্রকল্প পরিচালক হিসেবে তিনি সফলভাবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক সহায়তাপুষ্ট সাসটেইনেবল রুরাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট (এসআরআইআইপি) বাস্তবায়ন কাজ সম্পন্ন করেন। তাছাড়া তিনি এলজিইডির বহু প্রকল্প প্রস্তুতকরণে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। তিনি একজন মেধাবী চৌকস কর্মঠ, দক্ষ ও সৎ প্রকৌশলী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন। কর্মজীবনে তিনি কেয়ার বাংলাদেশ-এর গোল্ডমেডেল এওয়ার্ড ১৯৯৫ এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এডিবি থেকে সাসটেইনেবল রুরাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট (এসআরআইআইপি)-এর জন্য পরপর তিনবছর (২০১৪, ২০১৫, ২০১৬) বেস্ট প্রজেক্ট এওয়ার্ড অর্জন করেন। এর আগে লিয়েনে থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সারাদেশ ব্যাপী (বিশ্বব্যাংক সহায়তায়) পিএমটি প্রোগ্রাম অত্যন্ত সাফল্যের সাথে পরিচালনা করেন। তিনি বর্তমানে এলজিইডির বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ-এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। কুয়েট এ্যালামনি এ্যাসোসিয়েশন ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য এবং যুক্তরাজ্যের নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয় এ্যালামনি এ্যাসোসিয়েশন-এর সদস্য। তিনি ঢাকা অফিসার্স ক্লাব এর সদস্য এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি) এর আজীবন ফেলো। জনাব আখতার ২০১৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে এলজিইডি সদর দপ্তরের পরিকল্পনা ইউনিটের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৯ সালে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে পদোন্নতি পান। এসময় তিনি এলজিইডি সদর দপ্তর, ঢাকায় ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট লোকাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার সেন্টার (ক্রিলিক)-এর পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনা এবং সড়ক ও সেতু রক্ষণাবেক্ষণ-এর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর দায়িত্ব পালন করেন। বিগত ৩ মার্চ ২০২৩ থেকে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (গ্রেড-২) হিসেবে পরিকল্পনা, ডিজাইন ও গবেষণা ইউনিটে দায়িত্ব পালন করেন। চাকুরীতে যোগদানের পর পেশাগত উৎকর্ষ সাধনে তিনি দেশে-বিদেশে বিভিন্ন কারিগরী, ব্যবস্থাপনা, পরিকল্পনা ও অন্যান্য বিষয়ে মোট ৩০টি প্রশিক্ষণ ও কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণ, আন্তর্জাতিক সেমিনার, ওয়ার্কশপ ও সরকারি দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে তিনি নেপাল. শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, ফ্রান্স, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, জার্মানী, হংকং, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস ও যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন। মোঃ আলি আখতার হোসেনের সহধর্মিনী নিলিমা জাহান কাকলী। তিনি একপুত্র (আল ইনজামাম আখতার) ও এক কন্যা (মিহদা লুবান আখতার) সন্তানের জনক। মোঃ আলি আখতার হোসেন একজন মেধাবী, চৌকস, সৎ এবং দক্ষ প্রকৌশলী হিসেবে দাপ্তরিকভাবে খ্যাতি অর্জন করেছেন। বর্তমান সরকারের ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তিনি দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। তিনি এলজিইডির মাধ্যমে দেশের আর্থ-সামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করে তথা আধুনিক শহর ও গ্রাম উন্নয়নের মাধ্যমে নাগরিক সুবিধা প্রদানে সরকার ঘোষিত সকল কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
|
বিশেষ প্রতিবেদক আবুল মনসুর আহমেদ ঃ
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের গত ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে জারীকৃত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এলজিইডির জ্যেষ্ঠতম অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (গ্রেড-২), এলজিইডি সদর দপ্তর, ঢাকা, মোঃ আলি আখতার হোসেনকে এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলীর চলতি দায়িত্ব প্রদান করা হয়। তিনি প্রধান প্রকৌশলী সেখ মোহাম্মদ মহসিন-এর স্থলাভিষিক্ত হলেন। মোঃ আলি আখতার হোসেন ১৯৬৫ সালে ২০ অক্টোবর রাজশাহীর গোদাগাড়ি উপজেলার বিজয়নগর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আলাউদ্দিন মন্ডল এবং মাতার নাম হাজেরা খাতুন। তিনি কৃতিত্বের সাথে ১৯৮০ সালে চাঁপাই নবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর আলীনগর হাইস্কুল থেকে এসএসসি এবং ১৯৮২ সালে রাজশাহী কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। ১৯৮৬ সালে তৎকালীন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজী (বিআইটি), খুলনা (বর্তমানে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কুয়েট) থেকে পুরকৌশলে স্নাতক এবং ২০০২ সালে যুক্তরাজ্যের নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এনভায়রনমেন্টাল ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। মোঃ আলি আখতার হোসেন ১৯৮৯ সালে ১ জুন তৎকালীন এলজিইবিতে যোগদিয়ে ৩ জুন ১৯৮৯ থেকে পঞ্চগড় সদর উপজেলার উপজেলা প্রকৌশলী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ৩৪ বছরেরও অধিককালের কর্মজীবনে তিনি উপজেলা প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এসময় তিনি গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে সরাসরি সম্পৃক্ত থেকে বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নে অংশ নেন। প্রকল্প পরিচালক হিসেবে তিনি সফলভাবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক সহায়তাপুষ্ট সাসটেইনেবল রুরাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট (এসআরআইআইপি) বাস্তবায়ন কাজ সম্পন্ন করেন। তাছাড়া তিনি এলজিইডির বহু প্রকল্প প্রস্তুতকরণে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। তিনি একজন মেধাবী চৌকস কর্মঠ, দক্ষ ও সৎ প্রকৌশলী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন। কর্মজীবনে তিনি কেয়ার বাংলাদেশ-এর গোল্ডমেডেল এওয়ার্ড ১৯৯৫ এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এডিবি থেকে সাসটেইনেবল রুরাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট (এসআরআইআইপি)-এর জন্য পরপর তিনবছর (২০১৪, ২০১৫, ২০১৬) বেস্ট প্রজেক্ট এওয়ার্ড অর্জন করেন। এর আগে লিয়েনে থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সারাদেশ ব্যাপী (বিশ্বব্যাংক সহায়তায়) পিএমটি প্রোগ্রাম অত্যন্ত সাফল্যের সাথে পরিচালনা করেন। তিনি বর্তমানে এলজিইডির বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ-এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। কুয়েট এ্যালামনি এ্যাসোসিয়েশন ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য এবং যুক্তরাজ্যের নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয় এ্যালামনি এ্যাসোসিয়েশন-এর সদস্য। তিনি ঢাকা অফিসার্স ক্লাব এর সদস্য এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি) এর আজীবন ফেলো। জনাব আখতার ২০১৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে এলজিইডি সদর দপ্তরের পরিকল্পনা ইউনিটের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৯ সালে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে পদোন্নতি পান। এসময় তিনি এলজিইডি সদর দপ্তর, ঢাকায় ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট লোকাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার সেন্টার (ক্রিলিক)-এর পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনা এবং সড়ক ও সেতু রক্ষণাবেক্ষণ-এর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর দায়িত্ব পালন করেন। বিগত ৩ মার্চ ২০২৩ থেকে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (গ্রেড-২) হিসেবে পরিকল্পনা, ডিজাইন ও গবেষণা ইউনিটে দায়িত্ব পালন করেন। চাকুরীতে যোগদানের পর পেশাগত উৎকর্ষ সাধনে তিনি দেশে-বিদেশে বিভিন্ন কারিগরী, ব্যবস্থাপনা, পরিকল্পনা ও অন্যান্য বিষয়ে মোট ৩০টি প্রশিক্ষণ ও কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণ, আন্তর্জাতিক সেমিনার, ওয়ার্কশপ ও সরকারি দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে তিনি নেপাল. শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, ফ্রান্স, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, জার্মানী, হংকং, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস ও যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন। মোঃ আলি আখতার হোসেনের সহধর্মিনী নিলিমা জাহান কাকলী। তিনি একপুত্র (আল ইনজামাম আখতার) ও এক কন্যা (মিহদা লুবান আখতার) সন্তানের জনক। মোঃ আলি আখতার হোসেন একজন মেধাবী, চৌকস, সৎ এবং দক্ষ প্রকৌশলী হিসেবে দাপ্তরিকভাবে খ্যাতি অর্জন করেছেন। বর্তমান সরকারের ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তিনি দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। তিনি এলজিইডির মাধ্যমে দেশের আর্থ-সামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করে তথা আধুনিক শহর ও গ্রাম উন্নয়নের মাধ্যমে নাগরিক সুবিধা প্রদানে সরকার ঘোষিত সকল কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
|
|
|
|
বিশেষ প্রতিবেদক আবুল মনসুর আহমেদ ঃ
জলাধার ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহবান জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো: আতিকুল ইসলাম।
আজ বিকালে রাজধানীর ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে `Transformative Change in stormwater management in Dhaka City` শিরোনামে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও দ্য ডেইলি স্টার কর্তৃক আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, `আমরা ওয়াসা থেকে খালগুলো বুঝে পাওয়ার পর খালগুলো দখলমুক্ত করছি। লাউতলা খাল অবৈধ দখল করে ট্রাক স্ট্যান্ড করে রাখা হয়েছিল। সেটি উচ্ছেদ করে সেখানে বৃক্ষরোপণ করে দিয়েছি। এখন সেখানে সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। খালে পানির প্রবাহ ফিরে এসেছে।`
মেয়র আরও বলেন, `অনেকে বলে খাল দখলকারীদের উচ্ছেদ করলে আপনাকে দখলদাররা অপছন্দ করবে। আমাকে কেউ পছন্দ করলো কিনা সেটা কোন বিষয় না। আমি জনগণের স্বার্থে, শহরকে বাঁচাতে উচ্ছেদ অভিযান করে খাল দখলমুক্ত করে যাব। কল্যাণপুর রিটেনশন পন্ডের প্রায় ৫০ একর জমি দীর্ঘদিন দখল ছিল। সেখানে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে প্রায় ৩২ একর জমি উদ্ধার করেছি। সেখানে কল্যাণপুর হাইড্রো ইকো পার্ক নির্মাণ করা হবে।`
এসময় তিনি বলেন, `কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক গাবতলীতে সরকারি সংস্থা বিএডিসি জলাধার ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ করছে। আমি বাধা দিয়েছি৷ আমরা চিঠি দিয়েছে আপনার জলাধার ভরাট করে ভবন নির্মাণ করতে পারবেন না। অথচ তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন উপেক্ষা করে জলাধার বালু দিয়ে ভরাট করা শুরু করেছে। গাবতলীর এই জলাধার ভরাট করলে মোহাম্মদপুর, শ্যামলীসহ মিরপুরের একটু অংশে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে।`
তিনি আরও বলেন, `ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় একসময় প্রধান সড়কে যেসব জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতো সেগুলো হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করে ড্রেনেজ ব্যবস্থা ডেভেলপ করে জলাবদ্ধতা দূর করা সম্ভব হয়েছে। কিছুদিন আগে অল্প সময়ের ভারী বৃষ্টিতে ডিএনসিসি এলাকার মেইন সড়কে কিন্তু দীর্ঘ সময় জলাবদ্ধতা হয়নি। আমাদের খালগুলো ও জলাধারগুলো যদি সিএস ও আরএস দাগ অনুযায়ী ফিরিয়ে আনা যায় তাহলে এই জলাবদ্ধতা পুরোপুরি নিরসন করা সম্ভব হবে। ঢাকাকে বাঁচাতে হলে শহরের নদী ও খাল গুলোর সীমানা সিএস দেখে নির্ধারণ করে দখলমুক্ত করতে হবে। ঢাকা শহরে বৃষ্টির পানির সঠিক ব্যবস্থাপনা এবং নগরায়নের মাধ্যমে উপযুক্ত করে ভবিষৎ প্রজন্মের জন্য গড়ে তুলতে হবে।` “ঢাকা শহরে বৃষ্টির পানি ব্যবস্থাপনায় রূপান্তরমূলক পরিবর্তন" শীর্ষক একটি সেমিনার আজ ০৩ অক্টোবর ২০২৩ রোজ মঙ্গলবার দুপুর ২:০০ টায় ইউআইইউ ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দ্যা ডেইলি স্টার পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক জনাব মাহফুজ আনাম, সভাপতিত্ব করেন ইউআইইউ`র উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মোঃ আবুল কাশেম মিয়া।
আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ আমিরুল ইসলাম, বুয়েটের পানি সম্পদ প্রকৌশল বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ আতাউর রহমান এবং ইউআইইউ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ মুজিবুর রহমান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ইউআইইউ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. আফজাল আহমেদ।
|
|
|
|
বিশেষ প্রতিবেদক আবুল মনসুর আহমেদ ঃ
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম জাতিসংঘের স্থানীয় ও আঞ্চলিক সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে মনোনীত হয়েছেন।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে জাতিসংঘের স্থানীয় ও আঞ্চলিক সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে মেয়র আতিকুল ইসলামের মনোনয়নের বিষয়টি জানানো হয়। পরে সম্মতি প্রদান করলে ডিএনসিসি মেয়রকে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে চূড়ান্তভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
জাতিসংঘের মহাসচিব তার চিঠিতে উল্লেখ করেন, `আন্তঃসরকার ও জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়নে স্থানীয় ও আঞ্চলিক সরকারের সম্পৃক্ততা জোরদার করার ক্ষেত্রে এই উপদেষ্টা পরিষদের সময়োপোযোগী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDGs) অর্জনে এবং আধুনিক শহর গড়তে স্থানীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে এই উপদেষ্টা পরিষদ করণীয় বিষয় নির্দিষ্টকরণে ভূমিকা রাখবে।`
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, `উপদেষ্টা পরিষদ স্থানীয় এবং আঞ্চলিক সরকারের সংশ্লিষ্টতা এবং কার্যকর্ম সংক্রান্ত বিষয়ে পরামর্শ দেবে, সমন্বয় ও সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য, আমাদের বৈশ্বিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় বিষয় সংশোধনে ভূমিকা রাখবে। জাতীয় পর্যায়ে যেসব বিষয়ে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিৎ এবং জাতীয় লক্ষ্য বাস্তবায়নে স্থানীয় ও আঞ্চলিক সরকারগুলির ধারাবাহিকভাবে যে ভূমিকা পালন করা উচিত এবং বৈশ্বিক পদক্ষেপেও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যগণ অবদান রাখবে।
উল্লেখ, এই উপদেষ্টা পরিষদে মোট সদস্য ১৫ জন। এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে দুইজন সদস্য হলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম এবং ফিলিপাইনের মাকাতি শহরের মেয়র অ্যাবি বিনায়। অন্যান্য সদস্যগুলো হল ইউরোপ থেকে তিন জন, আফ্রিকা মহাদেশ থেকে তিনজন, উত্তর আমেরিকা থেকে দুইজন, ল্যাটিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয় অঞ্চল থেকে তিনজন, মধ্য প্রাচ্য ও মধ্য আফ্রিকা (MENA) থেকে দুইজন।
|
|
|
|
বিশেষ প্রতিবেদক আবুল মনসুর আহমেদ ঃ
ঈমানের ভিত্তি মজবুত করতে হলে আমাদেরকে প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-কে অন্তরের অন্তস্থল থেকে ধারণ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
আজ বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন কমিউনিটি সেন্টারে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবি (সাঃ) উপলক্ষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ মন্তব্য করেন।
ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, "আমাদের ৪ কালেমার প্রথম কালেমা হলো কালেমা তাইয়্যেবা। সেটা -- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ। সেটির দুটো অংশ। একটি অংশ হলো লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আরেকটি মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ। এই দুটি অংশের সংমিশ্রণ ছাড়া কালেমা হয়না। কালেমা হলো ঈমানের সবচেয়ে বড় অঙ্গ। ঈমানের সবচেয়ে বড় অঙ্গ থেকে যদি আমরা শিক্ষা গ্রহণ করি, তাহলে দেখা যায় -- আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের স্রষ্টা। তার কোনো শরিক নেই। একইসাথে নবীজীর প্রতি আমাদের ভালোবাসা থাকতে হবে। তাঁকে আমাদের অন্তরের অন্তস্থল হতে ধারণ করতে হবে।"
১২ রবিউল আওয়ালকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ উল্লেখ করে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "ঈদ-ই-মিলাদুন্নবি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। নবীজীর জীবনী থেকে, শিক্ষা থেকে, জীবন-সংগ্রাম থেকে, কর্ম থেকে যত শিক্ষা গ্রহণ করতে পারব আমরা প্রকৃত মুসলমান হিসেবে ততই সঠিক পথে চলতে পারব।"
এই আয়োজনের ধারাবাহিকতা রক্ষার প্রত্যয় জানিয়ে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "বিগত ২ বছরও আমরা এই আয়োজন করেছি। আল্লাহর অশেষ রহমতে এ বছরও আয়োজন করতে পেরেছি। ইনশাআল্লাহ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন প্রত্যেক বছরই এই আয়োজন অব্যাহত রাখবে।"
পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবি উপলক্ষে জাতীয়ভাবে ছুটি ঘোষণা করায় ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।
দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র মো. শহিদ উল্লাহ মিনু, ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. শামসুজ্জোহা, করপোরেশনের ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মোকাদ্দেস হোসেন জাহিদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
করপোরেশনের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম বাবুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে জাতীয় ইমাম ওলামা ঐক্য পরিষদের সভাপতি হাফেজ মাওলানা মুফতি মোতাহার উদ্দিন, ইমাম ওলামা ঐক্য পরিষদের মহাসচিব লিয়াকত হুসাইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সিনিয়র ইমাম হাফেজ মাওলানা নাজীর মাহমুদ, গ্রীন কর্নার জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মো. মাহবুবুর রহমানসহ জাতীয় ইমাম সমাজ এবং ইমাম ওলামা ঐক্য পরিষদের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বয়ান করেন।
|
|
|
|
বিশেষ প্রতিবেদক আবুল মনসুর আহমেদ ঃ
ঈমানের ভিত্তি মজবুত করতে হলে আমাদেরকে প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-কে অন্তরের অন্তস্থল থেকে ধারণ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
আজ বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন কমিউনিটি সেন্টারে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবি (সাঃ) উপলক্ষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ মন্তব্য করেন।
ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, "আমাদের ৪ কালেমার প্রথম কালেমা হলো কালেমা তাইয়্যেবা। সেটা -- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ। সেটির দুটো অংশ। একটি অংশ হলো লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আরেকটি মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ। এই দুটি অংশের সংমিশ্রণ ছাড়া কালেমা হয়না। কালেমা হলো ঈমানের সবচেয়ে বড় অঙ্গ। ঈমানের সবচেয়ে বড় অঙ্গ থেকে যদি আমরা শিক্ষা গ্রহণ করি, তাহলে দেখা যায় -- আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের স্রষ্টা। তার কোনো শরিক নেই। একইসাথে নবীজীর প্রতি আমাদের ভালোবাসা থাকতে হবে। তাঁকে আমাদের অন্তরের অন্তস্থল হতে ধারণ করতে হবে।"
১২ রবিউল আওয়ালকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ উল্লেখ করে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "ঈদ-ই-মিলাদুন্নবি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। নবীজীর জীবনী থেকে, শিক্ষা থেকে, জীবন-সংগ্রাম থেকে, কর্ম থেকে যত শিক্ষা গ্রহণ করতে পারব আমরা প্রকৃত মুসলমান হিসেবে ততই সঠিক পথে চলতে পারব।"
এই আয়োজনের ধারাবাহিকতা রক্ষার প্রত্যয় জানিয়ে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "বিগত ২ বছরও আমরা এই আয়োজন করেছি। আল্লাহর অশেষ রহমতে এ বছরও আয়োজন করতে পেরেছি। ইনশাআল্লাহ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন প্রত্যেক বছরই এই আয়োজন অব্যাহত রাখবে।"
পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবি উপলক্ষে জাতীয়ভাবে ছুটি ঘোষণা করায় ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।
দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র মো. শহিদ উল্লাহ মিনু, ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. শামসুজ্জোহা, করপোরেশনের ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মোকাদ্দেস হোসেন জাহিদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
করপোরেশনের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম বাবুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে জাতীয় ইমাম ওলামা ঐক্য পরিষদের সভাপতি হাফেজ মাওলানা মুফতি মোতাহার উদ্দিন, ইমাম ওলামা ঐক্য পরিষদের মহাসচিব লিয়াকত হুসাইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সিনিয়র ইমাম হাফেজ মাওলানা নাজীর মাহমুদ, গ্রীন কর্নার জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মো. মাহবুবুর রহমানসহ জাতীয় ইমাম সমাজ এবং ইমাম ওলামা ঐক্য পরিষদের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বয়ান করেন।
|
|
|
|
বিশেষ প্রতিবেদক আবুল মনসুর আহমেদ ঃ
আমিন মোহাম্মদ ল্যান্ড ডেভেলপমেন্টস লিমিটেডের গ্রীন মডেল টাউনের পুরাতন সাইট অফিসের ড্রাম, বালতি, রান্নার তৈজসপত্র ও টায়ারে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ঢাদসিক) পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) অঞ্চল-৭ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. এরশাদ উদ্দিন ঢাদসিক এর আওতাধীন এলাকার ৭১ নম্বর ওয়ার্ডস্থ আমিন মোহাম্মদ ল্যান্ড ডেভেলপমেন্টস লি. এর মালিকানাধীন গ্রীন মডেল টাউনের পুরাতন সাইট অফিসের সাইট ইনচার্জ বদরুদ্দোজা খানকে এই জরিমানা করা হয়।
এর আগে গত ২৪ জুলাই ঢাদসিক এর আওতাধীন ৭১ ও ৭২ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত আমিন মোহাম্মদ ল্যান্ড ডেভেলপমেন্টস লি. এর প্রকল্প এলাকার নর্দমা ও চৌবাচ্চায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় এবং অবিক্রিত প্লটগুলো অপরিষ্কার রাখায় সাইট ইনচার্জ জামিলকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করেছিল অঞ্চল-৭ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তাওসীফ রহমান।
এছাড়াও আজ আরও ৮টি ভ্রাম্যমাণ আদালত করপোরেশনের আওতাধীন ফ্রি স্কুল স্ট্রিট, হাতিরপুল, ভূতের গলি, উত্তর মুগদা, পূর্ব রসুলপুর, কামরাঙ্গীরচর, আগা সাদেক রোড, আব্দুল হাদী রোড, বাংলাদেশ মাঠ, পশ্চিম জুরাইন, শ্যামপুর, মীরহাজিরবাগ রোড, যাত্রাবাড়ী, পশ্চিম নন্দীপাড়া, বড় বটতলা, গ্রীন মডেল টাউন ও প্রিভেইল স্কুলের পার্শ্ববর্তী এলাকায় এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এক নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট একরামুল হক ছিদ্দিক ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ফ্রি স্কুল স্ট্রিট, হাতিরপুল ও ভুতের গলি এলাকায় ২১টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। আদালত এ সময় কোনো স্থাপনায় মশার লার্ভা পাননি।
দুই নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাসলীমা বেগম ৬ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর মুগদা এলাকায় ৪৮টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ২টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ২ মামলায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
তিন নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট একরামুল হক ছিদ্দিক ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব রসুলপুর ও কামরাঙ্গীরচর এলাকায় ৪২টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। আদালত এ সময় কোনো স্থাপনায় মশার লার্ভা পাননি।
চার নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের আগা সাদেক রোড, আব্দুল হাদী রোড ও বাংলাদেশ মাঠ এলাকায় ৮৮টি স্থাপনা ও বাসাবাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন এবং ২টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ২ মামলায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
পাঁচ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মৌসুমি জেরিন কান্তা ৫১ নম্বর ওয়ার্ডের মীর হাজিরবাগ রোড ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় ৬০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পংকজ চন্দ্র দেবনাথ ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম জুরাইন ও শ্যামপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। ২ আদালত এ সময় ৩টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ৩ মামলায় ৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
ছয় নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শুভাশিস ঘোষ ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম নন্দীপাড়া ও বড় বটতলা এলাকায় ৮৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। আদালত এ সময় কোনো স্থাপনায় মশার লার্ভা পাননি।
দশ অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনজুর হোসেন ৬১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রিভেইল স্কুল সংলগ্ন এলাকায় ৮১টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ১টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ১ মামলায় ৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
আজকের অভিযানে ৯টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে সর্বমোট ৫৪২টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করা হয়েছে। এ সময় ৯টি বাসাবাড়ি, সাইট অফিস ও নির্মাণাধীন ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় ৯ মামলায় সর্বমোট ২ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
|
|
|
|
বিশেষ প্রতিবেদক আবুল মনসুর আহমেদ ঃ
গত ১ মাস ধরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ঢাদসিক) এলাকায় প্রতিদিন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৫০ হতে ৫৪ জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
আজ শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে রেড জোন ঘোষিত ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ঝিগাতলা এলাকায় ডেঙ্গু বিস্তাররোধে মশক নিধনে জনসম্পৃক্ততা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ পরবর্তী গণমাধ্যমের সাথে মতবিনিময়কালে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ তথ্য জানান। ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, "আমরা উৎস নিধনের মাধ্যমে এডিস মশার প্রজন্মস্থল ধ্বংস করার কার্যক্রম গতিশীল রেখেছি, বেগবান রেখেছি। তার ফলশ্রুতিতে গত ১ মাস ধরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় রোগীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরও বলছে, ঢাকায় এখন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা স্থিতিশীল। প্রতিদিন যে তদারকি করা হচ্ছে, সে অনুযায়ী তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনায় আমরা লক্ষ্য করেছি -- ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় দৈনন্দিন ৫০/ ৫২/ ৫৪ জন করে রোগী পাওয়া যাচ্ছে। সুতরাং আমরা মনে করি যে, ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু কোনোভাবেই যেন এটা আর বাড়তে না পারে সেজন্যই আমাদের এই ব্যাপক কার্যক্রম।"
সকলে সচেতন হলে অচিরেই রোগীর সংখ্যা আরও কমে আসবে মন্তব্য করে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "গত সপ্তাহের পর্যালোচনায় ১৪ নম্বর ও ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড দুটিতে ১০ জনের বেশি রোগী সনাক্ত হয়েছে। তাই আমরা এই দুটি ওয়ার্ডকে লাল চিহ্নিত এলাকা (রেড জোন) ঘোষণা করেছি। সে প্রেক্ষিতে আমরা ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা, চিরুনি অভিযান ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করে চলেছি। সেজন্য আমরা এলাকাবাসী, সামাজিক সংগঠন, রেড ক্রিসেন্ট, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে এলাকার সকল বাসাবাড়ি, স্থাপনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার আহবান করছি এবং তাদেরকে সাথে নিয়েই আমরা দিনব্যাপী ব্যাপক চিরুনি অভিযান পরিচালনা করছি। আমরা আশা করি, এতে এলাকাবাসী আরো সচেতন হবে এবং অচিরেই রোগী সংখ্যা আরো কমে আসবে।"
ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ ঐক্যবদ্ধ সামাজিক আন্দোলনের ওপর জোর দিয়ে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "আমরা এলাকাবাসীর ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। আমরা কয়েকটি জায়গা পরিদর্শন করেছি। সবাই দায়িত্ব নিয়ে নিজ নিজ বাসাবাড়ি, আঙ্গিনা, স্থাপনা পরিষ্কার রাখবে। পানি জমতে দিবে না। আমরা এটাই চাই। ঐক্যবদ্ধ সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা এডিসের প্রজননস্থল নির্মূল করতে হবে।"
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "মৌসুম শুরু হওয়ার অনেক আগেই আমরা মন্ত্রী পর্যায়ে এবং সিটি করপোরেশনেও আমরা আলাদাভাবে রেলওয়ে, গণপূর্ত, পুলিশসহ ঢাকা শহরে যাদের বৃহত্তর স্থাপনা রয়েছে, এরকম বিভিন্ন সংস্থার উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে সভা করেছি। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করি যে, যথার্থ ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। তারপরও আমরা তাদেরকে সাথে নিয়ে রেলওয়ে কলোনি, থানাগুলো, হাসপাতাল এলাকা, বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা পরিষ্কার করেছি। আমরা আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাবো। তবে আমরা আশা করব, তারা আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে।"
মতবিনিময়কালে ঢাদসিক এর আগে যে ৪টি ওয়ার্ডকে রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে এবং সে প্রেক্ষিতে সেখানে যে প্রচার-প্রচারণা, চিরুনি অভিযান ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে, বর্তমানে সেসব ওয়ার্ডে রোগীর সংখ্যা কমে এসেছে বলে জানান।
পরে ঢাদসিক মেয়র ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডস্থ কামরাঙ্গীরচরের কয়েকটি এলাকায় বেশ ক`টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং জনসম্পৃক্ততা কার্যক্রমে অংশ নেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা বাবর আলী মীর, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির এবং কাউন্সিলরদের মধ্যে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইলিয়াছুর রহমান, ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ হোসেন, সংরক্ষিত আসনের শিরিন গাফ্ফার ও শেফালী আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
|
|
|
|
বিশেষ প্রতিবেদক আবুল মনসুর আহমেদ ঃ
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) সহযোগিতায় ইউএস সিডিসি এর অর্থায়নে নগর জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের আওতায় সেভ দ্যা চিলড্রেন ডিএনসিসি`র ৭০০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীর হেপাটাইটিস-বি সংক্রমণ পরীক্ষা সম্পন্ন করে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গুলশান নগর ভবনে ডিএনসিসি`র ৭০০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীর হেপাটাইটিস-বি সংক্রমণ পরীক্ষার ফলাফল অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় তুলে ধরা হয় এ কার্যক্রমের মাধ্যমে ২.০৯% পরিচ্ছন্নতাকর্মীর হেপাটাইটিস-বি ইনফেকশন শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া এ কার্যক্রমের মাধ্যমে সেবকদের কর্মক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা অবলম্বনে উৎসাহিত করার জন্য বিভিন্ন সচেতনতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। এর মাঝে উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম সমূহ হলঃ যথাযথ কাউন্সেলিং এর মাধ্যমে কর্মীদের আচরণগত পরিবর্তন আনা, লিফলেট, পোস্টার, স্টিকার বিতরণ ও তাঁদের ঝুঁকিপূর্ণ পেশাগত কার্যাবলীর ঝুঁকি হ্রাসের ক্ষেত্রে প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থাকে জোরদারকরণে রাবার গ্লাভস প্রদান করা হয়।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে নিযুক্ত সেভ দ্যা চিলড্রেনের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. সাদিয়া ফাতেমা কবীর জানান, `সমগ্র উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৫৪ টি ওয়ার্ডে এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এ কার্যক্রমে সেভ দা চিলড্রেনের পক্ষ থেকে ৬ জন ভলেন্টিয়ার নিয়োগ করা হয়, যারা কর্মীদের হেপাটাইটিস বি সংক্রমণ পরীক্ষার পাশাপাশি এ রোগ প্রতিরোধে সচেতনতামূলক বার্তা প্রেরণ করেন।`
সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেঃ জেনাঃ এ.কে.এম শফিকুর রহমান। অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসি`র উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা লে: কর্ণেল মোঃ গোলাম মোস্তফা সারওয়ার এবং ডিএনসিসি`র সকল সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
|
|
|
|
বিশেষ প্রতিবেদক আবুল মনসুর আহমেদ ঃ
এডিস মশার প্রজননস্থল সম্পর্কিত কিংবা প্রজননস্থল সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে এমন তথ্য দিলে সেখানে ১৫ মিনিটের মধ্যে করপোরেশনের মশককর্মী উপস্থিত হয়ে এডিস মশার প্রজননস্থল নির্মূল করবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
আজ বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নগরীর ওয়ারী এলাকার ফকির চাঁন কমিউনিটি সেন্টারে `৪১ নম্বর ওয়ার্ডস্থ উন্নয়ন উৎসব` এ যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ কথা বলেন।
ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "আমার যে অঙ্গিকার, প্রতিশ্রুতি -- আমি নির্দ্বিধায় বলতে পারি, যদি আপনারা তথ্য দেন, স্টপ ওয়াচে ১৫ মিনিট সময় নিবেন, ইনশাআল্লাহ আমার মশককর্মী সেই জায়গায় উপস্থিত হয়ে যাবে। ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে এডিস মশার প্রজননস্থল নির্মূল করবে। আত্মবিশ্বাসের সাথে আমি সেই প্রতিশ্রুতি দিতে পারি। এর কোনো ব্যত্যয় হবে না।"
এডিস মশার প্রজননস্থল নির্মূলে জনগণের সহযোগিতা কামনা করে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "ডেঙ্গু এখন সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা প্রতিদিনের পরিসংখ্যান নিয়ে দেখেছি যে, সারা বাংলাদেশে এখন দৈনিক প্রায় তিন হাজার রোগী হয়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় গত সাত দিনে গড়ে পঞ্চাশের উপরে রোগী পাওয়া যায়নি। গতকাল আমরা রোগী পেয়েছি ৫২ জন। তার আগেরদিন আমরা পেয়েছি ৫৪ জন। তার আগেরদিন সে সংখ্যা ছিল ৪৮ জন। আমরা কাজ করে চলেছি বলেই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু তা পূর্ণরূপে নির্মূল করার জন্য আপনাদের সহযোগিতা আশা করছি। আপনাদের সামগ্রিক ও ঐক্যবদ্ধ সহযোগিতা ছাড়া আমরা পূর্ণরূপে এডিস মশা নির্মূল করতে পারবো না।"
সম্ভাব্য প্রজননস্থল সম্পর্কিত তথ্য দিতে আহবান জানিয়ে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "আপনার নিজ বাড়ি, আঙিনা, ছাদ ও ছাদবাগান এবং নির্মাণাধীন ভবন আপনারা নিজেরা দায়িত্ব নিয়ে পরিষ্কার করবেন। তারপরও আপনাদের যদি নজরে আসে এবং কোনো আশঙ্কা থেকে থাকে, পাড়া-প্রতিবেশীর কোনো বাড়ি বা স্থাপনায় পানি জমে আছে। সেখানে লার্ভা হতে পারে। আপনারা আমাদের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে, আমাদের কাউন্সিলর কিংবা মশক সুপারভাইজারকে তথ্য দিবেন। ১৫ মিনিটের মধ্যেই আমাদের মশককর্মী সেখানে হাজির হবে এবং সেটা পরিষ্কার করবে। সেখানে লার্ভিসাইডিং করবে, ফগিং করবে।"
ঢাদসিক এলাকায় এ বছরের জানুয়ারী হতে অদ্যবধি সাড়ে ৮ হাজার ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গিয়েছে এবং প্রতিটি রোগীর ঠিকানা নিয়ে সেখানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। একজন রোগীও বলতে পারবে না যে, তার ঠিকানা পাওয়া সত্ত্বেও আমরা কোনো কার্যক্রম বা উদ্যোগ গ্রহণ করিনি বলে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস এ সময় জানান।
এখানে উল্লেখ যে, ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ ও এডিস মশার প্রজননস্থল নিয়ন্ত্রণে করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনে যে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করা হয়েছে তার ফোন নাম্বার হলো ০১৭০৯৯০০৮৮৮।
আরো উল্লেখ যে, কাউন্সিলরদের ১ কোটি টাকা পর্যন্ত উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের যে সীমা রয়েছে তার আওতায় ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে চিনি ঠিকরা মসজিদ লেন, দক্ষিণ মুহসেন্দী বড় মসজিদ লেন, ১৮৬ লাল মোহন সাহা স্ট্রীট লেন, ৫৫ লাল মোহন সাহা স্ট্রীট লেন, মুসলিম গভ: প্রাইমারী স্কুল লেন এবং ৪৪ লাল মোহন সাহা স্ট্রীট লেন পর্যন্ত সড়ক ও নর্দমা উন্নয়ন, ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে উত্তর মৈশুন্ডি হতে ৭ শশী মোহন বসাক লেন, ২৯ জোড়পুল লেন হতে ৪৬/৬ লাল মোহন সাহা স্ট্রীট, জোড়পুল বাই লেন ১৩নং হতে ১৩৪নং ও ২৩নং হয়ে ১৬/২ হয়ে ২৩/১ পর্যন্ত এবং জোড়পুল ৫/১ হয়ে ৪৩নং জোড়পুল হতে ৪৬ উত্তর মুহসেন্দী বাই লেন পর্যন্ত সড়ক ও নর্দমা উন্নয়ন এবং ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে ভজহরি সাহা স্ট্রীট রোডে আরসিসি নর্দমাসহ রাস্তার মেরামত ও উন্নয়ন এবং আব্দুর রহিম কমিউনিটি সেন্টার হতে ভজহরি সাহা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত সড়ক ও নর্দমা উন্নয়ন করা হয়েছে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।
এছাড়াও ২০২২-২৩ অর্থবছরে ওয়ারী এলাকার নবাব স্ট্রীট বলদা গার্ডেনের পেছনে ৩১৫ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৯ ফুট প্রশস্ততা বিশিষ্ট নতুন রাস্তা নির্মাণ করা হয়।
এছাড়াও ডিসিএনইউপি প্রকল্পের আওতায় ১৭ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ফকির চাঁন কমিউনিটি সেন্টার এবং ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে ওয়ারী কমিউনিটি সেন্টার (আব্দুর রহিম কমিউনিটি সেন্টার) নির্মাণে দরপত্র কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে এবং শীঘ্রই সেসব কাজ বাস্তবায়ন শুরু করা হবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে করপোরেশনের সঙ্গীত শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ এ সময় উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ জারি গানসহ বিভিন্ন ধরনের উন্নয়নমূলক গান পরিবেশন করেন।
৪১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সারোয়ার হাসান আলোর আয়োজন ও সভাপতিত্বে এবং করপোরেশনের অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন সরকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, কাউন্সিলরদের মধ্যে ১০ নম্বর ওয়ার্ডের মারুফ আহমেদ মনসুর, ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের রোকন উদ্দিন আহমেদ, ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের মো. আরিফ হোসেন ছোটন, ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের মিজানুর রহমান ইমন, ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের মো. শামসুজ্জোহা, ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের মাসুদ মোল্লা, ৫২ নম্বর ওয়ার্ডের মো. রুহুল আমিন, ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডের সালাহউদ্দিন আহম্মেদ এবং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর শাহিনুর বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
|
|
|
|
মোঃ আকবর হোসেন ঃ
গেণ্ডারিয়ার ডিআইটি প্লট জোন ৭/২ এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধভাবে দখলকরা পুকুরের চারিপাশের দোকানপাট ও স্থানীয় কাউন্সিলারের অফিস ভেঙ্গে দিয়ে উদ্ধার করেন শতবর্ষী এই পুকুর,গত বৃহস্পতিবার উদ্ধার অভিযান পরিচালানা করেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ( রাজউক)।
পুকুরটি উদ্ধার করার সময় স্থানীয় সাবেক কাউন্সিলর সাহিদুর রহমান শহীদের প্রতিনিধিরা পুকুর উদ্ধার কাজে বাধা প্রদান করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। নির্বাহী ম্যজিষ্ট্রটের নিকট সময় চাইলে সময় স্থিতি হওয়ার কারনে সময় দেয়া হয় নি। উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে বিপুল পরিমান পুলিশ মোতায়েন করা হয়।স্থানীয় বাসীন্দাদের দাবি এই শতবর্ষী পুকুরটি উন্মুক্ত করে দিয়ে সকাল বিকেল ওয়াক ওয়ে করার দাবি জানান।অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এ সময় পুকুর রক্ষা কমিটির আহব্বায়ক ইব্রাহীম হাবিব বলেন জলাশয় আইন ২০০০ কার্যক্রম কলরেই পুকুর সব সময় উন্মুক্ত থাকবে। পুকুরের চারিপাশ উন্মুক্ত থাকলে এলাকাবাসী সহ আশপাশের লোকজন হাটাচলা করতে আসতে পরবে,বিভিন্ন কাজে পুকুরের পানি ব্যবহার করতে পারবে,এলাকায় অগ্নিকান্ড ঘটলে পুকুর থেকে পানি নিয়ে অগ্নি নির্বাপনে সহায়ক ভুমিকা পালন করবে।
এ সময় বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মী,পুলিশ ও রাজউকের কর্মকর্তাদেরকে ডিআইটি প্লটের এলাকাবসীরা অভিনন্দন জানান।
রাজউকের উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যজিষ্ট্রেট শারমীন আরা। উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব প্রদান করেন অথরাইজড অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন অথরাইজড অফিসার জোটন দেবনাথ পরিচালক ভূইঞা।অভিযানে প্রধান ইমারত কর্মকর্তা কামাল হোসেন,ইমারত কর্মকর্তা সোহাগ,ইমারত কর্মকর্তা বিটু মন্ডল সহ আরও অনেক কর্মকর্তা অভিযানে অংশ নেন।
|
|
|
|
বিশেষ প্রতিবেদক আবুল মনসুর আহমেদ ঃ
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মশক নিধন অভিযানে ০৬টি ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ০৬টি মামলায় মোট ০৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অঞ্চল-০৫ এর আওতাধীন ২৬ নম্বর ওয়ার্ডস্থ তেজকুনি পাড়া এলাকায় মশক নিধন অভিযানে ০৬টি ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ০৬টি মামলায় মোট ০৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বির আহমেদ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারাওয়াত মেহজাবীন ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রমথ রনজন ঘটক।
অঞ্চল-৩ এর আওতাধীন বাড্ডা এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জুলকার নায়ন এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাখী আহমেদ মশক নিধন অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান পরিচালনাকালে বাসা বাড়ী, বাণিজ্যিক ভবন ও নির্মানাধীন ভবনে, ফাঁকা প্লটে মশক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এছাড়াও আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তাগণ ডিএনসিসির দশটি অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে লিফলেট বিতরণ করে এবং মাইকিং করে জনসাধারণকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতন করেন।
|
|
|
|
অদ্য ১২/০৯/২০২৩ খ্রি. তারিখে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মিরের বাজার এলাকার বাজারে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন শপিং ব্যাগের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন, গাজীপুর এবং পরিবেশ অধিদপ্তর, গাজীপুর। এই মোবাইল কোর্টে মেহেদি স্টোর ও পলক এন্টারপ্রাইজকে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন বিক্রির দায়ে ১০ হাজার ও ৫ হাজার টাকা করে মোট ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং প্রায় ৫৮০কেজি নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন শপিং ব্যাগ জব্দ করা হয়েছে।
এই অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন গাজীপুর সদর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব সৈয়দ মোরাদ আলী। অভিযানে পরিবেশ অধিদপ্তর গাজীপুর জেলা কার্যালয়ের রিসার্চ অফিসার জনাব মকবুল হোসেন, পরিদর্শক জনাব সঞ্জিত বিশ্বাস, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্যবৃন্দ, আনসারের সদস্যবৃন্দ এবং প্রিন্ট মিডিয়ার লোকজন উপস্থিত ছিলেন। অবৈধ পলিথিন শপিং ব্যাগের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
|
|
|
|
বিশেষ প্রতিবেদক আবুল মনসুর আহমেদ ঃ
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেছেন, `ঢাকা শহরে ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। উন্নয়নের ফলে রাস্তা নির্মাণ হচ্ছে, ভবন নির্মাণ হচ্ছে। কিন্তু পরিবশের ক্ষতি করে উন্নয়ন করা যাবে না। আমরা সিটি কর্পোরেশন থেকে বৃক্ষরোপণ করছি। দুই বছরে দুই লাখ গাছ লাগানোর কার্যক্রম শুরু করেছি। পাশাপাশি শহরের পরিবেশ রক্ষায় প্রতিটি বাড়িতে অন্তত ২টি করে গাছ লাগানোর আহবান করছি। এ বিষয়ে রাজউক একটি নীতিমালা প্রনয়ণ করলে বাস্তবায়ন সহজ হবে`
শনিবার (০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩) দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন কলেজে পরিবেশের উন্নয়নে কাজ করা সংগঠন ওয়েস (WAYS) কর্তৃক আয়োজিত টেকসই নগর ও জনপদের জন্য সবুজায়ন শীর্ষক আলোচনা সভা ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, `ঢাকা শহরকে অক্সিজেন হাবে পরিণত করতে হবে। পরিবেশ বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। পরিবেশের ক্ষতি করায় আজ পরিবেশ তার প্রতিশোধ নিচ্ছে। কোথাও কোন গাছ কাটতে দেয়া যাবে না। বিশেষ করে নতুন প্রজন্মকে এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। যেখানেই সুযোগ আছে গাছ লাগাতে হবে।`
তিনি আরও বলেন, `আমরা ডিএনসিসি থেকে ছাদবাগানের জন্য ১০% কর ছাড়ের আবেদন করেছিলাম। আমাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সারা দেশের সকল সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভায় ছাদ বাগান করলে ১০% কর ছাড়ের অনুমোদন দিয়েছে। ডিএনসিসিতে শিশুদের জন্ম নিবন্ধনের সময় একটি করে চারা বিতরণ করা হচ্ছে।`
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, `শহরটাকে আপন করে নিতে হবে। আমরা এই শহরের উপর নির্ভরশীল। এখান থেকেই আমরা উপার্জন করি, এখানেই আমরা বসবাস করি। অতএব এই শহরকে আপন করে নিতে না পারলে শহর রক্ষা করা কঠিন হবে। সবাই সচেতন হলে শহরের অনেক সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। প্রতিজ্ঞা করতে হবে কোথাও গাছ কাটা যাবে না। শহরের সবুজায়ন বাড়াতে গাছ লাগাতে হবে, গাছের পরিচর্যা করতে হবে।`
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসি`র কার্যক্রম সম্পর্কে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, `ডেঙ্গু প্রতিরোধে উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ব্যর্থতা ও সফলতা বিচারের ভার জনগণের হাতে। জনগণ দেখছে ডিএনসিসি সক্রিয় অবস্থানে আছে। কোথাও অবহেলা পেলে অভিযোগ করুন। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসি নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করছে। আমরা বসে নেই। নিয়মিত মশক নিধন কার্যক্রমের পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় ছুটে যাচ্ছি। জনগণকে সম্পৃক্ত করতে, সচেতনতা বাড়াতে এলাকায় এলাকায় যাচ্ছি। মাইকিং করে সচেতন করা হচ্ছে৷ শিশুদের মধ্যে সচেতনতামূলক কার্টুন বই বিতরণ করা হচ্ছে। ডিএনসিসি`র ওয়েবসাইটে, সবার ঢাকা অ্যাপসে ও ফেসবুক পেজে এলাকাভিত্তিক মশক কর্মীদের তালিকা দেওয়া আছে। সবাই সরাসরি মশক কর্মীদের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন।`
তিনি আরও বলেন, `ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সিটি কর্পোরেশনের পাশাপাশি জনগণের সচেতনতা অত্যন্ত জরুরী। আমি ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে মোহাম্মদপুরে জাপান গার্ডেন সিটিতে অভিযানে গিয়েছিলাম। সেখানে ভবনের বেজমেন্টে প্রচুর লার্ভা পেয়েছি, ম্যাজিস্ট্রেট তখন ০৫ লাখ টাকা জরিমানা করে৷ এক মাস পরে আমি পুনরায় জাপান গার্ডেনে অভিযানে গিয়েছি এবং সাংবাদিক ভাই-বোনদের সঙ্গে নিয়ে দেখেছি ভবনগুলোর বেজমেন্টে কোন লার্ভা নেই। পরিচ্ছন্ন পরিবেশ, কোথাও জমা পানি নেই। অতএব সবাই সচেতন হলে, পানি জমিয়ে না রাখলে ডেঙ্গু প্রতিরোধ সম্ভব।`
মেয়র বলেন, `অভিযানের বা জেল জরিমানার ভয়ে নয় বরং শহরটাকে ভালোবেসে পরিষ্কার রাখুন। সবাই যার যার আঙিনা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন। কোথাও পানি জমতে দিবেন না। তাহলেই আমরা ডেঙ্গু থেকে রেহাই পাব।`
আলোচনা সভা শেষে ডিএনসিসি মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম অন্যান্য অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে কলেজের একাডেমিক ভবনের সামনে একটি গাছ রোপণ করে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মোঃ আশরাফুল ইসলাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ ও অধ্যাপক আদিল মোহাম্মদ খান, ডিএনসিসি`র প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহঃ আমিরুল ইসলাম, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আর্শট-রকফেলার ফাউন্ডেশন কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত চীফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন, মাইলস্টোন কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জিয়াউল আলম প্রমুখ।
|
|
|
|
বিশেষ প্রতিবেদক আবুল মনসুর আহমেদ ঃ
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেছেন, `ঢাকা শহরের যানজট নিরসনে ও পরিবেশ রক্ষায় ডিএনসিসি`র আওতাধীন খালগুলোতে নৌপথ চালু করা হবে। হাতিরঝিলের আদলে মিরপুরের রূপনগর খাল দিয়ে তুরাগ নদী পর্যন্ত নৌপথ চালু করা হবে। রূপনগর খালে মোট ১১টি ব্রিজ রয়েছে সেগুলোকে আর্চ ব্রিজ নির্মাণের মাধ্যমে এই পথে নৌযান চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে। এই শহরকে বাঁচাতে ন্যাচার বেজড সলিউশন করতে হবে। নৌপথ চালুর মাধ্যমে যানজট যেমন কমবে সেই সাথে পরিবেশ দূষণ রোধ করা সম্ভব হবে।`
রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩) দুপুরে Climate Parliament Bangladesh কর্তৃক আয়োজিত Harmony with Nature: Balancing Development and Ecosystem Management শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, `গুলশান, বনানী ও বারিধারা অনেকটা ম্যানহাটন শহরের মতোই অভিজাত ও ব্যয়বহুল। কিন্তু এটি অত্যন্ত দুঃখজনক এসব এলাকায় কোটি কোটি টাকা খরচ করে বাড়ি বানালেও সুয়ারেজের ব্লাক ওয়াটারের সংযোগ আমাদের সারফেস ড্রেনে দিয়ে রেখেছে। অভিজাত এলাকায় পয়ঃবর্জ্যের অবৈধ সংযোগ দুঃখজনক। অল্প টাকা খরচ করে সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট করেনি।`
মেয়র বলেন, `আমরা চাই একটি সুন্দর শহর, একটি দূষণমুক্ত শহর। আমরা চাই শহরের খালগুলো হবে দূষণমুক্ত। এজন্য আমাদের সিটি কর্পোরেশনের পাশাপাশি জনগণকেও সচেতন হতে হবে, দায়িত্ব পালন করতে হবে। বাসা-বাড়ির পয়ঃবর্জ্যের সংযোগ সারফেস ড্রেন (স্ট্রম ড্রেন) অথবা খালে দেওয়া যাবে না। পয়ঃবর্জ্যের লাইন খালে গিয়ে প্রতিনিয়ত খালকে দূষণ করছে। দূষণের ফলে খালে মাছের চাষ না হয়ে সেখানে মশার চাষ হচ্ছে। সেটি আর হতে দেয়া যাবে না। গ্রামের বাড়িতে সবাই সোক ওয়েলের মাধ্যমে নিজস্ব ব্যবস্থায় পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা করলেও শহরে সবাই সরকারের দিকে তাকিয়ে আছে। অথচ অল্প খরচে ভবনের বেজমেন্টে অনসাইটে স্যানিটেশন ব্যবস্থা সম্ভব।`
তিনি আরও বলেন, `আমি অত্যন্ত আনন্দের সাথে জানাচ্ছি আমিন বাজার ল্যান্ডফিলে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ইনসিনারেশন প্লান্ট নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। এই ইনসিনারেশন প্লান্ট থেকে দৈনিক ৪২.৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। ২০৪১ সালের বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় প্রতিদিন গড়ে ৩২০০-৩৬০০ টন বর্জ্য উৎপাদিত হয়৷ এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাসা-বাড়ির মিক্সড বর্জ্যকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে শক্তিতে রুপান্তর করা হবে৷ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে বর্জ্য সম্পদে রুপান্তরিত হবে। পাশাপাশি পরিবেশে কার্বন নিঃসরণের পরিমান হ্রাসকরণ ও বর্জ্যকে পরিবেশ বান্ধব ও মান সম্মত উপায়ে ব্যবস্থাকরণ সম্ভব হবে।`
বায়ু দূষণ রোধে করণীয় বিষয়ে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, `বায়ু দূষণ রোধে সিটি কর্পোরেশন থেকে ব্রাউজার দিয়ে পানি ছিটানো হয়। নির্মাণকাজের সময় সৃষ্ট ধুলা যেন বায়ু দূষণ না করে সে বিষয়ে আমরা ডেভেলপার কোম্পানিগুলোর সাথে সভা করেছি। পাশাপাশি সারফেস ড্রেনে দেওয়া পয়ঃবর্জ্যের সংযোগের ফলেও পানি দূষণের সাথে সাথে বায়ু দূষণও হচ্ছে। তাই অনসাইটে স্যানিটেশন ব্যবস্থা জরুরি। আমরা পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষরোপণে গুরুত্বারোপ করেছি। ইলেকট্রিক স্কুল বাস চালুর পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে।`
শক্তি ফাউন্ডেশনের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ইমরান আহমেদের সঞ্চালনায় প্যানেল আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্টের নির্বাহী পরিচালক ড. এস এম মনজুরুল হান্নান খান, ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ইকোনমিক অফিসার এমি চ্যাশ, সুইডেন দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি ড্যানিয়েল নোভাগ, বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র নগর পরিবহন বিশেষজ্ঞ ক্যাটালিনা ওচুয়া এবং আইসিডিডিআরবি`র প্রজেক্ট কোর্ডিনেটর ডাঃ মোঃ মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।
|
|
|
|
বিশেষ প্রতিবেদক আবুল মনসুর আহমেদ ঃ
প্রতিক্রিয়াশীল, সাম্প্রদায়িক ও জঙ্গীবাদী শক্তি যেন এদেশে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে সেজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
আজ বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে রাজধানীর পলাশী মোড়ে কেন্দ্রীয় জন্মাষ্টমী উৎসব ২০২৩ এর অংশ হিসেবে মহানগর সর্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটি আয়োজিত `ঐতিহাসিক কেন্দ্রীয় জন্মাষ্টমী মিছিল` পূর্ববর্তী সংক্ষিপ্ত সভায় উদ্বোধকের বক্তব্যে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ কথা বলেন।
ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "আজকের এই জন্মাষ্টমী উৎসব হতে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে যেন সেই প্রতিক্রিয়াশীল, সাম্প্রদায়িক ও জঙ্গিবাদী শক্তি এই বাংলাদেশে আর মাথা উঁচু করে দাড়াতে না পারে। এবার আমাদের সংগ্রাম হবে, সেই সাম্প্রদায়িক-প্রতিক্রিয়াশীল শক্তিকে বাংলাদেশ থেকে চিরতরে নির্মূল করে ধর্মনিরপেক্ষ, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণ করার।"
২০০১-২০০৬ সালে তৎকালীন সরকারের আমলে সংগঠিত নানা অপকর্ম তুলে ধরে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "৭৫ এর পরে যারা এদেশকে একটি জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিল, যারা সাম্প্রদায়িক ও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিল তারা ২০০১-২০০৬ সালে আবারও এই বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ ও কালো তালিকাভূক্ত রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। ২০০১ সালের ১ অক্টোবরের নির্বাচনের পরে সেই শক্তি সারা বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়সহ সকল সম্প্রদায়ের মানুষের ওপরে অকথ্য নির্যাতন, অত্যাচার শুরু করেছিল। বাড়ি-ঘরে আক্রমণ, ডাকাতি, ধর্ষণ করে তারা হিন্দু সম্প্রদায়কে তাদের বাড়ি-ভিটা থেকে উচ্ছেদ করেছিল। পরে জননেত্রী শেখ হাসিনা বিপুল ভোটের বিজয় লাভ করে বাংলাদেশকে একটি অসাম্প্রদায়িক, ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে রূপান্তর করেছেন।"
ঢাদসিক মেয়র এ সময় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
পরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি ও ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে জন্মাষ্টমী মিছিলের উদ্বোধন করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা ৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিম, মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি মনীন্দ্র কুমার নাথ ও সাধারণ সম্পাদক রমেন মণ্ডল এবং করপোরেশনের কাউন্সিলরদের মধ্যে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চিত্তরঞ্জন দাস, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের মো. মোহাদ্দেস হোসেন জাহিদ, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের মো. আনোয়ার ইকবাল সান্টু ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ হাসিবুর রহমান মানিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
|
|
|
|
বিশেষ প্রতিবেদক আবুল মনসুর আহমেদ ঃ
প্রতিক্রিয়াশীল, সাম্প্রদায়িক ও জঙ্গীবাদী শক্তি যেন এদেশে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে সেজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
আজ বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে রাজধানীর পলাশী মোড়ে কেন্দ্রীয় জন্মাষ্টমী উৎসব ২০২৩ এর অংশ হিসেবে মহানগর সর্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটি আয়োজিত `ঐতিহাসিক কেন্দ্রীয় জন্মাষ্টমী মিছিল` পূর্ববর্তী সংক্ষিপ্ত সভায় উদ্বোধকের বক্তব্যে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ কথা বলেন।
ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "আজকের এই জন্মাষ্টমী উৎসব হতে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে যেন সেই প্রতিক্রিয়াশীল, সাম্প্রদায়িক ও জঙ্গিবাদী শক্তি এই বাংলাদেশে আর মাথা উঁচু করে দাড়াতে না পারে। এবার আমাদের সংগ্রাম হবে, সেই সাম্প্রদায়িক-প্রতিক্রিয়াশীল শক্তিকে বাংলাদেশ থেকে চিরতরে নির্মূল করে ধর্মনিরপেক্ষ, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণ করার।"
২০০১-২০০৬ সালে তৎকালীন সরকারের আমলে সংগঠিত নানা অপকর্ম তুলে ধরে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "৭৫ এর পরে যারা এদেশকে একটি জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিল, যারা সাম্প্রদায়িক ও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিল তারা ২০০১-২০০৬ সালে আবারও এই বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ ও কালো তালিকাভূক্ত রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। ২০০১ সালের ১ অক্টোবরের নির্বাচনের পরে সেই শক্তি সারা বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়সহ সকল সম্প্রদায়ের মানুষের ওপরে অকথ্য নির্যাতন, অত্যাচার শুরু করেছিল। বাড়ি-ঘরে আক্রমণ, ডাকাতি, ধর্ষণ করে তারা হিন্দু সম্প্রদায়কে তাদের বাড়ি-ভিটা থেকে উচ্ছেদ করেছিল। পরে জননেত্রী শেখ হাসিনা বিপুল ভোটের বিজয় লাভ করে বাংলাদেশকে একটি অসাম্প্রদায়িক, ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে রূপান্তর করেছেন।"
ঢাদসিক মেয়র এ সময় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
পরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি ও ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে জন্মাষ্টমী মিছিলের উদ্বোধন করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা ৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিম, মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি মনীন্দ্র কুমার নাথ ও সাধারণ সম্পাদক রমেন মণ্ডল এবং করপোরেশনের কাউন্সিলরদের মধ্যে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চিত্তরঞ্জন দাস, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের মো. মোহাদ্দেস হোসেন জাহিদ, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের মো. আনোয়ার ইকবাল সান্টু ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ হাসিবুর রহমান মানিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
|
|
|
|
|
|
|