দুর্যোগ-দুর্দিনে অন্তর্বর্তী সরকার পাশে থাকবে: ধর্ম উপদেষ্টা
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হুসাইন বলছেন, দেশের দুর্যোগ দুর্দিনে এই অন্তর্বর্তী সরকার দেশবাসীর কল্যাণে পাশে আছে এবং থাকবে। পাশাপাশি আলেম ওলামারা আছেন। আমরা লক্ষ্য করছি- ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে বানভাসি মানুষের পাশে আলেম-ওলামা, মাদরাসার শিক্ষার্থীরা ঝাঁপিয়ে পড়ছে।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের চরমটুয়া আল-আরাবিয়া দারুল উলুম মাদরাসা প্রাঙ্গণে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। ধর্ম উপদেষ্টা আরও বলেন, ফেনীতে বেসরকারি উদ্যোগে এক কোটি টাকা ব্যয়ে একটি বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। সেখানেও সরকারি উদ্যোগে কাজ চলছে। ইনশাল্লাহ এ চলমান পরিস্থিতি থেকে আমরা উদ্ধার হবো। আমরা বেশি করে আল্লাহতালার সাহায্য চাইবো।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান, পুলিশ সুপার তারেক বিন রশিদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) সার্কেল মো. সোহেল রানা, সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুর রহমান ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিন মজুমদার প্রমুখ।
এর আগে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ধর্ম উপদেষ্টা সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ত্রাণসামগ্রী এবং বসতঘরের জন্য ঢেউটিন বিতরণ করেন।
|
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হুসাইন বলছেন, দেশের দুর্যোগ দুর্দিনে এই অন্তর্বর্তী সরকার দেশবাসীর কল্যাণে পাশে আছে এবং থাকবে। পাশাপাশি আলেম ওলামারা আছেন। আমরা লক্ষ্য করছি- ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে বানভাসি মানুষের পাশে আলেম-ওলামা, মাদরাসার শিক্ষার্থীরা ঝাঁপিয়ে পড়ছে।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের চরমটুয়া আল-আরাবিয়া দারুল উলুম মাদরাসা প্রাঙ্গণে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। ধর্ম উপদেষ্টা আরও বলেন, ফেনীতে বেসরকারি উদ্যোগে এক কোটি টাকা ব্যয়ে একটি বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। সেখানেও সরকারি উদ্যোগে কাজ চলছে। ইনশাল্লাহ এ চলমান পরিস্থিতি থেকে আমরা উদ্ধার হবো। আমরা বেশি করে আল্লাহতালার সাহায্য চাইবো।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান, পুলিশ সুপার তারেক বিন রশিদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) সার্কেল মো. সোহেল রানা, সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুর রহমান ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিন মজুমদার প্রমুখ।
এর আগে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ধর্ম উপদেষ্টা সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ত্রাণসামগ্রী এবং বসতঘরের জন্য ঢেউটিন বিতরণ করেন।
|
|
|
|
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হুসাইন বলছেন, দেশের দুর্যোগ দুর্দিনে এই অন্তর্বর্তী সরকার দেশবাসীর কল্যাণে পাশে আছে এবং থাকবে। পাশাপাশি আলেম ওলামারা আছেন। আমরা লক্ষ্য করছি- ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে বানভাসি মানুষের পাশে আলেম-ওলামা, মাদরাসার শিক্ষার্থীরা ঝাঁপিয়ে পড়ছে।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের চরমটুয়া আল-আরাবিয়া দারুল উলুম মাদরাসা প্রাঙ্গণে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। ধর্ম উপদেষ্টা আরও বলেন, ফেনীতে বেসরকারি উদ্যোগে এক কোটি টাকা ব্যয়ে একটি বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। সেখানেও সরকারি উদ্যোগে কাজ চলছে। ইনশাল্লাহ এ চলমান পরিস্থিতি থেকে আমরা উদ্ধার হবো। আমরা বেশি করে আল্লাহতালার সাহায্য চাইবো।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান, পুলিশ সুপার তারেক বিন রশিদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) সার্কেল মো. সোহেল রানা, সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুর রহমান ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিন মজুমদার প্রমুখ।
এর আগে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ধর্ম উপদেষ্টা সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ত্রাণসামগ্রী এবং বসতঘরের জন্য ঢেউটিন বিতরণ করেন।
|
|
|
|
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর কুমিল্লার সাবেক সংসদ সদস্য বাহাউদ্দিন বাহার ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানা গেছে। তার সঙ্গে দেশ ছেড়েছেন তার মেয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র তাহসিন বাহার সূচনাও।
বর্তমানে বাবা মেয়ে কলকাতায় এক রাজনৈতিক নেতার আশ্রয়ে রয়েছেন। সেখানে প্রতিদিন ১০ হাজার রুপির বিনিময়ে আছেন তারা।
‘ওপি ইন্ডিয়া’ নামে ভারতের একটি সর্বভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১০ দিন আগে সীমান্ত পেরিয়ে তারা কলকাতায় এক রাজনৈতিক নেতার ছত্রছায়ায় অবস্থান করছেন। এর জন্য প্রতিদিন ১০ হাজার রুপি গুণতে হচ্ছে তাদের। সংবাদ মাধ্যমটির দাবি ভারত থেকে লন্ডনে গিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় নিতে পারেন তারা।
৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং দেশ থেকে পলায়নের পরেই কুমিল্লার মনোহরপুর মুনসেফবাড়ি এলাকায় বাহারের বাড়ি ভাঙচুর হয়। এর পর থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য বাহার এবং তার মেয়ে সূচনা।
|
|
|
|
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবারের দেখাশোনাসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দেয়ার দায়িত্ব সরকারের।
আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অফিস কক্ষে বাইপাইলে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পুলিশের গুলিতে নিহত মো: রমজান আলীর পরিবারের সাথে সাক্ষাতকালে তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম একথা বলেন। উপদেষ্টা বলেন, গণঅভ্যুত্থানের সময় যেভাবে ছাত্র-জনতা রাস্তায় নেমে এসেছিলো, তাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। শহীদদের জন্যই আমরা বেঁচে আছি, বাক স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছি।
শহীদ রমজান আলীর পরিবারের খোঁজখবর নেন তথ্য উপদেষ্টা। তাদের সহ সকল শহীদ পরিবারের মাসিক ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দেয়ার অঙ্গীকার করেন। উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাতের সময় শহীদ রমজানের পরিবার থেকে তার বাবা ও ছোট বোন উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, শহীদ রমজান আলী নাটোরের সিংড়ায় ডিগ্রিতে পড়াশোনা করতেন। তার পরিবারের কেউ উপার্জনক্ষম না থাকায় বাইপাইলে একটি মাছের আড়তে কাজ করে তিনি পুরো পরিবারের খরচ চালাতেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময়ে তিনি আন্দোলনে অংশ নেন এবং ৫ আগস্ট পুলিশের গুলিতে তিনি মারা যান।
|
|
|
|
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের মাস পূর্তির দিন পদত্যাগ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারী পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য দায়িত্ব নেওয়া এই কমিশন আড়াই বছরে বিদায় নিল।
আজ বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিইসিসহ পাঁচ কমিশনার পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
ঘোষণা শেষে পদত্যাগপত্রে সই করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। এরপর অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারও পদত্যাগ করেন। সিইসিসহ তিন কমিশনার ইসি সচিব শফিউল আজিমের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন, যা রাষ্ট্রপতি বরাবর পাঠনো হবে বলে জনিয়েছে ইসি সূত্র।
সংবাদ সম্মেলনে সিইসিসহ নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) আহসান হাবিব খান ও মো. আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।
অপর দুই কমিশনার মো. আনিছুর রহমান ও বেগম রাশেদা সুলতানা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত না থাকলেও ইসি সচিব শফিউল আজিমের কাছে সকালে তারা পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ইসি সূত্র।
সংবাদ সম্মেলনে বিদায়ী বক্তব্য সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আপনাদের অবহিত করতে চাই, আমিসহ মাননীয় কমিশনারগণ দেশের পরিবর্তিত বিরাজিত অবস্থায় পদত্যাগ করতে মনস্থ করেছি। আমরা অদ্যই পদত্যাগপত্র মহামান্য রাষ্ট্রপতি সমীপে উপস্থাপনের নিমিত্ত কমিশনের সচিব মহোদয়ের হাতে দিব। কশিনের সদস্যরা সংবিধান মেনে দায়িত্ব পালন করে থাকেন।’
কমিশন বিভিন্ন কারণে নির্ভেজাল গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে অক্ষম বা অসমর্থ হতে পারে জানিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসির ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিষ্পন্ন করা অতিশয় কঠিন একটি কর্মযজ্ঞ। নির্বাচন গ্রহণযোগ্য না হওয়ার সকল দোষ বা দায়-দায়িত্ব সকল সময় কেবল নির্বাচন কমিশনের ওপর এককভাবে আরোপ করা হয়ে থাকে। একটি কমিশন না হয় অসৎ বা পক্ষপাতদুষ্ট হতে পারে। কিন্তু সকল সময় সকল কমিশনই অসৎ বা পক্ষপাতদুষ্ট হতে পারে না।
পদত্যাগের ঘোষণার আগে কমিশন সংস্কার প্রসঙ্গে বিদায়ী এই কমিশনার বলেন, আমাদের বিশ্বাস, বিদ্যমান ব্যবস্থায় কেবল কমিশনের পুনর্বিন্যাসের মাধ্যমে অবাধ, নিরপেক্ষ, কালো টাকা ও পেশি শক্তিবিবর্জিত এবং প্রশাসন-পুলিশের প্রভাবমুক্ত নির্বাচন নিশ্চিত করা যাবে না। নির্বাচন পদ্ধতিতে দুর্ভেদ্য মৌলিক সংস্কার প্রয়োজন হবে। রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও আচরণে এবং বিশেষত প্রার্থীদের আচরণে পরিবর্তন প্রয়োজন হবে।
তিনি আরো বলেন, ‘১৯৭৩ থেকে হওয়া অতীতের অন্যান্য সকল নির্বাচন ছাড়াও ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনের বিতর্কিত বা সন্দিপ্ত বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে কমিশন পরবর্তী সকল নির্বাচনগুলো সতর্কতার সাথে আয়োজনের চেষ্টা করেছে। জাতীয় এবং স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন স্তরের নির্বাচনে দিনের বেলায় ব্যালট পেপার প্রেরণ, কতিপয় উপনির্বাচনে ভিডিও পর্যবেক্ষণ, ইভিএম ব্যবহার, দেশের সকল জেলায় একই দিনে তবে প্রতিটি জেলার প্রশাসনিক সীমানার মধ্যে মাঝে ৩/৫ দিন বিরতি দিয়ে ৫/৬টি ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠান, সরকারি কর্মকর্তাদের ব্যাপকভাবে রদবদল ইত্যাদি গৃহীত ব্যবস্থা নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুশৃঙ্খল করতে অনেকটাই সহায়ক হয়েছিল। নির্বাচন মূলত একদলীয় হওয়ার কারণে কারচুপি বা সরকারিভাবে প্রভাবিত করার প্রয়োজনও ছিল না। নির্বাচন দলের ভেতরেই হয়েছে। মধ্যে হয়নি। Within হয়েছে Not Between.’
লিখিত বিদায়ী বক্তব্যে আরো বলা হয়, ‘কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে দুই বছর সময়ে ইউনিয়ন পরিষদের ৯৯২টি, উপজেলা পরিষদের ৪৯৬টি, জেলা পরিষদের ৭১টি, পৌরসভার ৯০টি এবং সিটি কর্পোরেশনের ১৬টি নির্বাচন করেছে। নির্বাচনগুলোর সততা, সিদ্ধতা, নিরপেক্ষতা অবাধ হওয়া নিয়ে অতীতের ন্যায় ব্যাপক বিতর্ক বা সমালোচনা হয়নি। উপ-নির্বাচনসহ জাতীয় সংসদের মোট ৩১৮ টি আসনে কমিশন নির্বাচন করেছে। দলীয়ভাবে ইনক্লুসিভ না হওয়ার কারণে নির্বাচন বিতর্কিত হয়েছে। এটি সঠিক ও যৌক্তিক। কিন্তু বাংলাদেশের ৫৩ বছরের ইতিহাসে কোনো নির্বাচন কমিশন সংবিধান উপেক্ষা করে সেচ্ছায় নির্বাচন বাতিল করে দিয়ে পদত্যাগ করেছে এবং সেই কারণে নির্বাচন হয়নি এমন উদাহরণ নেই। সরকার বারবার বলছেন, ব্যাপক সংস্কারের মাধ্যমে নির্বাচন ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। নির্বাচন বারংবার ব্যর্থ হওয়ার প্রকৃত সত্য ও কারণ এই কথাটির মধ্যেই নিহিত।’
সংবাদ সম্মেলনে বিদায়ী বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের কোন প্রশ্নের জবাব দেননি বিদায়ী সিইসি হাবিবুল আউয়াল। সংবাদ সম্মেলন শেষে নির্বাচন ভবন ত্যাগ করেন সিইসিসহ তিন নির্বাচন কমিশনার। এ সময় সিইসিকে তার ব্যক্তিগত গাড়িতে চড়ে চলে যেতে দেখা যায়।
এ দিকে সংবাদ সম্মেলনে না থাকলেও দুপুর পৌনে ১টায় নির্বাচন ভবন ত্যাগ করতে দেখা যায় নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা ও আনিছুর রহমানকে। তাদের সঙ্গে ছিলে কমিশনার মো. আলমগীর। এ সময় কমিশনের বাইরে অবস্থানকারী ছাত্র-জনতা কমিশনারদের গাড়ি উদ্দেশ্য করে জুতা ছুড়ে মারেন।
|
|
|
|
হত্যা মামলায় পুলিশের সাবেক দুই মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের আট ও শহীদুল হকের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের মুদি দোকানদার আবু স্ঈাদ হত্যা মামলায় আবদুল্লাহ আল মামুনের ও রাজধানীর নিউমার্কেট থানা এলাকায় ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় শহীদুলের এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
আজ সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তাদের ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর পৃথক দুই হত্যা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের দশ দিন করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা। অপর দিকে তাদের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আকতারুজ্জামান জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরআগে মঙ্গলবার রাতে তাদের গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।
কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের ওপর পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালালে গত ১৯ জুলাই বিকেল ৪টার দিকে মোহাম্মদপুর থানার বছিলায় ৪০ ফিট চৌরাস্তায় মুদি দোকানদার আবু সাঈদ নিহত হন।
এই ঘটনায় ১৩ আগস্ট ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে এস এম আমীর হামজা নামে এক ব্যক্তি মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ৭ জনকে আসামি করা হয়। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে মোহাম্মদপুর থানাকে নির্দেশ দেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত কমিশনার মো. হারুন অর রশীদ ও যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার।
গত ১৯ জুলাই বিকেল ৫টায় নিউমার্কেটের ১নং গেটের সামনে গুলিতে নিহত হন ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ। এই ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের হয়। নিহত ব্যবসায়ীর ভাগ্নে জামাই আব্দুর রহমান বাদী হয়ে গত ২১ আগস্ট নিউমার্কেট থানায় এই মামলা দায়ের করেন।
মামলার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন,সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাবেক সংসদ সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সাবেক মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব চৌধুরী জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক আইজিপি শহীদুল হক, সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ প্রমুখ।
|
|
|
|
সরকারি অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার নিদের্শনা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তেজগাঁওয়ে অবস্থিত প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সচিব সভায় এ নিদের্শনা দেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
সচিবদের প্রতি নির্দেশনা দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সরকারের সব পর্যায়ে সংস্কার কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নে ‘মার্চিং অর্ডার’ প্রদান করতে হবে। সংস্কার কর্মসূচি প্রণয়নে প্রয়োজন অনুযায়ী সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা ও মতামত গ্রহণ করতে হবে। জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা বৈষম্যহীন মানবিক দেশ গড়ার যে প্রত্যয়, যে ভয়হীন চিত্ত আমাদের উপহার দিয়েছে, তার ওপর দাঁড়িয়ে বিবেক ও ন্যায়বোধে উজ্জীবিত হয়ে আমাদের স্ব স্ব ক্ষেত্রে সততা, নিষ্ঠা, জবাবদিহিতা নিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে। নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য গৎবাঁধা চিন্তাভাবনা থেকে বেরিয়ে এসে, চিন্তার সংস্কার করে, সৃজনশীল উপায়ে জনস্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সরকারি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
দুর্নীতির মূলোৎপাটন করার নিদের্শ দিয়ে তিনি বলেন, সেবা সহজিকরণের মাধ্যমে জনগণের সর্বোচ্চ সন্তুষ্টি অর্জন করতে হবে। সরকারি অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। সরকারি ক্রয়ে যথার্থ প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করতে হবে।
ড. ইউনূস বলেন, সৃষ্টিশীল, নাগরিকবান্ধব মানসিকতা নিয়ে প্রতিটি মন্ত্রণালয়/বিভাগ স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার কর্মসূচির কর্মপরিকল্পনা দাখিল করবে, যা নিয়মিত মূল্যায়ন/পরিবীক্ষণ করা হবে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সৃষ্ট নতুন বাংলাদেশ নিয়ে বিশ্বব্যাপী যে আগ্রহ, ইতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে, দেশের স্বার্থে তা সর্বোত্তম উপায়ে কাজে লাগাতে হবে।
|
|
|
|
স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতনের এক মাস পূর্তি উপলক্ষ্যে পুলিশের গুলিতে নিহত শহীদদের স্মরণে বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) ‘শহীদি মার্চ’ করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) থেকে সারা দেশে বিভাগীয় ও জেলা শহরে সফর কর্মসূচি শুরু করা হবে।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তনে (টিএসসি) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, আমরা মনে করি, যারা বুলেটের সামনে বুক পেতে দিয়েছে তাদের স্মরণ করার সময় এটি। এজন্য আমরা আগামীকাল শেখ হাসিনা সরকারের পতনের এক মাস পূর্তি উপলক্ষ্যে সারা দেশে শহীদি মার্চ করব। এতে সব শহীদের পরিবারকে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানাই। আমরা চাই, আগামীকালও সারা দেশে ছাত্র-জনতার গণজোয়ার নামবে। বিকেল তিনটায় রাজু ভাস্কর্য থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে শহীদি মার্চ শুরু হবে।
তিনি বলেন, রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি। এখনো আমাদের ভাইয়েরা শরীরে ক্ষতচিহ্ন নিয়ে কাতরাচ্ছে। গণমাধ্যমের কাছে অনুরোধ, কীভাবে আমাদের ভাইদের হত্যা করা হয়েছে তার ডকুমেন্টেশন করতে হবে। অনেকে আমাদের বিজয় মিছিল করতে বলছে। কিন্তু যতদিন না নতুন বাংলাদেশ নির্মিত হচ্ছে, যতদিন না মানুষ তার অধিকার ফিরৈ পাচ্ছে ততদিন বিজয় মিছিল করা সম্ভব নয়।
সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, ৬ সেপ্টেম্বর থেকে সবাইকে সংগঠিত করার জন্য বিভাগীয় ও জেলা শহরে সফর শুরু করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আমরা জনগণের সাথে কথা বলব, তারা কী চায় সেটা জানব, আমরাও কিছু পরামর্শ দেব। এরপর মানুষ যা চায় আমরা তা বাস্তবায়ন করব।
বাকের বলেন, আওয়ামী লীগ তাদের অপকর্মের জন্য সারা দেশে সিন্ডিকেট তৈরি করেছিল। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অনেক জায়গায় এখনো এসব সিন্ডিকেট চলছে। অনেক জায়গায় শুধু মাথা পরিবর্তন হয়েছে, সিস্টেম একই রয়ে গেছে। আমরা সব ধরনের চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রাখব।
কাউকে আইন নিজের হাতে না তোলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নতুন প্রজন্ম যে বাংলাদেশে চায় সবাইকে সেই বাংলাদেশকে স্বাগত জানাতে হবে। তাই আপনারা আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রশাসনকে সহায়তা করুন। আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। কারও অপরাধ খুঁজে পেলে তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেবেন। আমরা একটি আইনের শাসনের দেশ চাই। যারাই জুলাই-আগস্টের হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, বিগত ১৬ বছরে দলের সংবিধানকে দেশের সংবিধান হিসেবে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আওয়ামী লীগ একটি ধর্মে পরিণত হয়েছিল। সবকিছুকে আওয়ামীকরণ করা হয়েছিল। এখন এর থেকে বের হওয়ার জন্য সবাইকে এক হতে হবে। কিন্তু আমাদের মধ্যে বিভাজনের সুর দেখা যাচ্ছে। আর কখনো ফ্যাসিজম যেন ফিরতে না পারে সেজন্য সবাইকে এক হতে হবে। যারা ক্ষমতায় আসার আগেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে তারা ক্ষমতায় আসলে কী করতে পারে তা চিন্তার বিষয়। আমরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা চাই। ক্ষমতাকে প্রশ্ন করতে পারে এমন গণমাধ্যম আমরা চাই।
|
|
|
|
সরকারের সব পর্যায়ে সংস্কার কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নে ‘মার্চিং অর্ডার’ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (০৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সচিব সভায় প্রধান উপদেষ্টা এ নির্দেশনা দেন।
উপদেষ্টার নির্দেশনাগুলো হলো:
১. সরকারের সব পর্যায়ে সংস্কার কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নে ‘মার্চিং অর্ডার’ দিয়েছেন।
২. সংস্কার কর্মসূচি প্রণয়নে প্রয়োজন অনুযায়ী সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা ও মতামত গ্রহণ করতে হবে।
৩. জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা বৈষম্যহীন মানবিক দেশ গড়ার যে প্রত্যয়, যে ভয়হীন চিত্ত আমাদের উপহার দিয়েছে, তার ওপর দাঁড়িয়ে বিবেক ও ন্যায়বোধে উজ্জীবিত হয়ে আমাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে সততা, নিষ্ঠা, জবাবদিহিতা নিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে।
৪. নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য গৎবাঁধা চিন্তা-ভাবনা থেকে বেরিয়ে এসে, চিন্তার সংস্কার করে, সৃজনশীল উপায়ে জনস্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সরকারি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
৫. দুর্নীতির মূলোৎপাটন করে, সেবা সহজীকরণের মাধ্যমে জনগণের সর্বোচ্চ সন্তুষ্টি অর্জন করতে হবে।
৬. সরকারি অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
৭. সরকারি ক্রয়ে যথার্থ প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে এবং স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিতে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতাগুলো দুর করতে হবে।
৮. সৃষ্টিশীল, নাগরিক-বান্ধব মানসিকতা নিয়ে প্রতিটি মন্ত্রণালয়/বিভাগ স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার কর্মসূচির সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা দাখিল করবে, যা নিয়মিত মূল্যায়ন/পরিবীক্ষণ করা হবে।
৯. ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সৃষ্ট নতুন বাংলাদেশ নিয়ে বিশ্বব্যাপী যে আগ্রহ, ইতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে, দেশের স্বার্থে তা সর্বোত্তম উপায়ে কাজে লাগাতে হবে।
|
|
|
|
স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলের রাজনীতি পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে জেলায় জেলায় ইতোমধ্যে সম্মেলন শুরু করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি। এর অংশ হিসেবে অতি শিগগিরই কেন্দ্রীয় কমিটির আংশিক পূর্ণাঙ্গকরণ সম্পূর্ণ হয়েছে, আবার পদবঞ্চিদের বিক্ষোভ দেখা গেছে, কেন্দ্রীয় সংসদ ছাত্রদল বর্ধিত করন হতে পারে। কমিটি গঠনের আলোচনা আছে,জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জাহানঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, চট্রগাম,রাজশাহী, বিশ্ববিদ্যালয়,ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ কলেজ কমিটি গঠন হতে পারে,ঢাবি পূর্নাঙ্গ কমিটি ও ঢাবি হল কমিটি। ঢাকা মহানগর শাখাগুলোর কমিটি দেওয়ার কথা রয়েছে সংগঠনটির। তাই ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব এবং পশ্চিম, রাজধানীর এই গুরুত্বপূর্ণ চার ইউনিটের কমিটি নিয়ে নানা মহলে চলছে বিশ্লেষণ। এদিকে, সংগঠনের শীর্ষ নেতারা বলছেন, যারা জিয়াউর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে আন্দোলন-সংগ্রামে ভূমিকা রেখেছে, বিপদের সময় দলকে ছেড়ে যায়নি, ইতিবাচক ভাবমূর্তির অধিকারী এবং শিক্ষাগতসহ সব দিক থেকেই যোগ্য, এমন কর্মীদেরকেই গুরুত্বপূর্ণ এই ইউনিটগুলোর দায়িত্ব প্রদান করা হবে। অন্যদিকে, চার মহানগরের বেশ কিছু থানার শীর্ষ নেতাদের দাবি-সংগঠনের জন্য ত্যাগ, আন্দোলন সংগ্রামে ভূমিকা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়ে যেন অবশ্যই প্রাধান্য দেওয়া হয়। ছাত্রদলে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই বলে তারা মনে করেন। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে অন্তত অনার্স পাস ব্যক্তিদের দেখতে চান তারা। একটি থানা শাখার এক সভাপতি , ভোরের সময় কে বলেন:- ঢাকা মহানগর ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের আশা অনেক। দলের এ ক্রান্তিকালে একটি সুন্দর কমিটিই পারে ছাত্রদলের ভাবমূর্তি ইতিবাচক দিকে এগিয়ে নিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সামনে থেকে ভূমিকা পালন করতে। যেহেতু মহানগর ইউনিটগুলো গুরুত্বপূর্ণ, তাই আমি ব্যক্তিগত ভাবে চাই কমিটিতে যেনো শিক্ষিত মার্জিত এবং সাহসিকতার একটি সুন্দর মিশ্রণ থাকে। আমাদের কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ পরিচালিত হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রদের সমন্বয়ে, ঢাকা মহানগর ছাত্রদলেও যেন আমরা তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারি। ঢাকা মহানগর পূর্বে আলোচনায় যারা ঢাকা মহানগর পূর্বের সর্বশেষ কমিটি হয়েছিল ২০২১ সালের জুলাই মাসে। দীর্ঘদিন কমিটি না থাকায় নেতাকর্মীদের মাঝে বহুদিন ধরেই হতাশা বিরাজ করছে। নতুন কমিটিতে শীর্ষ পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে আলোচনায় আছেন বর্তমান কমিটির সদস্য সচিব মো. আল আমিন, মো. হুমায়ুন কবির, সোহাগ ভুঁইয়া, আব্দুল জামাল চৌধুরী আদিত্য, ইফতেখার উদ্দিন ফয়সাল, মো. সাব্বির আহমেদ, রিয়াজুল হাসান রাসেল এবং হাসান মাহমুদ। এদের মধ্য বর্তমানে মহানগর কমিটির সদস্য সচিব আল আমিন পার্টি অফিসে নিয়মিত না হলেও নিজস্ব বলয়ে বেশ সক্রিয় এবং মির্জা আব্বাস পরিবারের ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর ঘনিষ্ঠজন বলে পরিচিত। মো. হুমায়ুন কবির, আব্বাস পত্নী আফরোজা আব্বাসের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত। আন্দোলন, সংগ্রামে সক্রিয় থাকলেও অভিযোগ আছে তিনি শুধু দাখিল পাশ করেছেন। অভিযোগের ব্যাপারে হুমায়ুন কবির বলেন, আমার বিরুদ্ধে আমার প্রতিপক্ষ যারা আছে তারা এসব ছড়াচ্ছে। যাদের কোনো যোগ্যতা নেই তারা আমার পিছনে লেগেছে, এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমি আমার যোগ্যতা দিয়ে মহানগরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছি এবং আমার সব যাচাইবাছাই করেই আমাকে এসব গুরত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমার সার্টিফিকেট বা অন্যান্য বিষয়গুলো দলের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছেই শুধু প্রদর্শন করবো, আর কাউকে দেব না। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সোহাগ ভুঁইয়া বলেন, আমার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ মিথ্যা। আমার পরিবারের লোকজনকে নিয়ে একবার কক্সবাজার ঘুরতে গিয়েছিলাম। সেখানে আমার চাচাতো বোনের সঙ্গের কিছু ছবি নিয়ে আমাকে বিবাহিত বলে প্রচার করা হচ্ছে। আর শেখ হাসিনার জন্মদিনের কেক কাটার ছবিটাও এডিট করা। এটার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। আব্দুল জামাল চোধুরী আদিত্য বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের ভাগনে হিসেবে রাজনীতিতে অল্পদিনে বেশ প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছেন। এ ছাড়াও যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্নার খালাতো ভাই হিসেবেও তিনি সুবিধাজনক অবস্থায় আছেন। আরেক পদপ্রার্থী ইফতেখার উদ্দিন ফয়সাল সাবেক ছাত্রনেতা হাবিবুর রশিদ হাবিবের কর্মী হিসেবে বেশি পরিচিত। বর্তমান সভাপতি রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাসিরের অত্যন্ত বিশ্বস্ত বলেও গুঞ্জন আছে। ২৮শে অক্টোবর পরবর্তী আন্দোলনে ও বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিরুদ্ধে লাগাতার কর্মসূচি পালনে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ছিলেন। শীর্ষ পদপ্রত্যাশী মো. সাব্বির আহমেদ ঢাকা-১০ সংসদীয় আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী শেখ রবিউল ইসলাম রবির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত। গুঞ্জন আছে, তিনিও এসএসসির পর আর পড়ালেখা চালাননি। বেশি আলোচনায় :- ইফতেখার উদ্দিন ফয়সাল, আব্দুল জামাল চৌধুরী আদিত্য, হুমায়ুন কবির, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা ছাত্রদলের সর্বশেষ আহ্বায়ক কমিটি হয়েছিল ২০২১ সালের জুলাই মাসে। এরপর আর কোন কমিটি গঠিত হয়নি। এবারের কমিটিতে পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে আলোচনায় আছেন নিয়াজ মাহমুদ নিলয়, রাজু আহমেদ, শামীম আহমেদ, আব্দুর রহিম ভূঁইয়া, মো. রফিকুল ইসলাম, গোলাম রাব্বানী রবিন, সাখাওয়াত হোসেন আনান এবং রোকনুজ্জামান রোকন। এদের মধ্যে নিয়াজ মাহমুদ নিলয় বর্তমান কমিটির সদস্য সচিব। রাজনৈতিক দক্ষতা ও মাঠে বেশ সক্রিয় থাকলেও তার বিরুদ্ধে বিবাহিত হওয়া এবং মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে আগের কমিটিতে পদ নেয়ার অভিযোগ আছে। শীর্ষ পদপ্রত্যাশী রাজু আহমেদ বর্তমান মহানগর দক্ষিণ কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও মাস্টার্স পাস করেও স্থানীয় রাজনীতির সাথে জড়িয়েছেন বহুবছর আগে। এ ছাড়াও শামীম আহমেদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। বয়স ও শিক্ষার বিষয় নিয়ে বিতর্ক থাকলেও বিগত আন্দোলন সংগ্রামে সকল কর্মসূচিতে তার সক্রিয় ভূমিকার জন্য এবার আলোচনায় আছেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আরেক শীর্ষ পদপ্রত্যাশী আব্দুর রহিম ভূঁইয়া দীর্ঘদিন থেকে রাজনীতিতে সক্রিয় এবং সাংগঠনিকভাবে দক্ষ বলে সংগঠনসূত্রে জানা গেছে। পদপ্রার্থী মো. রফিকুল ইসলামের অল্প বয়সেই জেল নির্যাতনের শিকার এবং অনেক মামলার আসামি হলেও তার শিক্ষাগত যোগ্যতাও উন্মুক্ত থেকে এসএসসি বলে জানিয়েছে এক সূত্র। গোলাম রাব্বানী রবিন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সাবেক সভাপতি হামিদের ঘনিষ্ঠ ও আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত। তার নামে ৩৮টি রাজনৈতিক মামলা চলমান আছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। ২৮ শে অক্টোবর পরবর্তী আন্দোলন সংগ্রামে বেশ সক্রিয় ছিলেন। সাখাওয়াত হোসেন আনান গুমের শিকার হয়েছিলেন। তার নামে ৮০ এর অধিক রাজনৈতিক মামলা আছে বলে জানা যায়। বেশ কয়েকবার জেল ও পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। উচ্চ শিক্ষিত না হলেও দীর্ঘ দিন থেকে স্থানীয় রাজনীতিতে বেশ সক্রিয়। এ ছাড়াও রোকনুজ্জামান রোকন আগেও সফলভাবে বেশ কয়েকটি দায়িত্ব পালন করে আলোচনায় আছেন। রাজু আহমেদ ও সাখায়াত হোসেন, রোকোনু জামান, গোলাম রাব্বানী রবিন,আলোচনায় রয়েছেন। ঢাকা মহানগর উত্তর:- ঢাকা মহানগর উত্তরের বিএনপির কমিটি গঠন পর ছাত্রদল কমিটি গঠন হিসাব পরিবর্তন হয়েছে ইতিমধ্যে, মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সকল থানা কমিটির পদে নেতারাই অগ্রাধিকার পাবেন এবার,তরুন নেতৃত্ব যাচাই বাচাই চলছে। আলোচনায় আছেন রাজিব আহমেদ, কেন্দ্রীয় সংসদ ছাত্রদল পদায়ন করা হয়াছে, বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ পদে ব্যক্তিগন নিশ্চিত করেছেন।মো. সালাহউদ্দিন, পূর্বের থানার নেতৃত্বে ছিলেন না, তেজগাঁও কলেজ, কেন্দ্রীয় সংসদ এর ইউনিট,মিজানুর রহমান রাজ এর আস্থাভাজন হওয়া মহানগরে বলয়ের জন্য আগে পদায়ন করা হয়েছে, মো. মনির হোসেন, ঢাকা পলিটেকনিক,সাবেক কেন্দ্রীয় সংসদ পদে ছিলেন, সে পিছিয়ে পড়তে পারেন। মো. মনির, তেজগাঁও কলেজ কিংবা থানা ওয়ার্ড ছাত্রদল কোন পদে ছিলেন না,সে তুলনা পিছিয়ে রয়েছেন, মো. সালাহউদ্দিন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে ২৮ অক্টোবরের পরবর্তী আন্দোলনে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন। মো. মনির মহানগর উত্তর বিএনপির নেতা আমিনুল হকের সমর্থক, মোঃ মনির বিকল্প হিসেবে সাগর আহমেদ বাবু আলোচনা রয়েছেন। মেহেদী হাসান রুয়েল অনুসারী হিসাবে রবি ভূইয়া, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক সাইফুল আলম নীরব অনুসারী থেকে একজন আসতে পারেন মহানগর উত্তর গুরুত্বপূর্ণ পদে , তাদের মধ্যে বর্তমানে সবাই যোগ্যতা সম্পূর্ণ, তেজগাঁও জোন থেকে আসতে পারেন,তেজগাঁও শিল্প থানা ছাত্রদলের সভাপতি, আবু বকর সিদ্দিক সুমন, একাধিক মামলার জর্জরিত, শিক্ষাগত যোগ্যতা, মাষ্টার্স পাশ এবং ইউনিট কমিটি থেকে যাত্রা শুরু, ২৮আক্টোবর মিছিল মিটিং রাজপথে একটিভ ছিলেন। সাধারণ সম্পাদক, আনিসুর রহমান মানিক, একাধিক মামলার জর্জরিত বর্তমানে অধ্যায়নরত ও রাজপথ একটিভ ও সুপরিচিত, এবং স্লোগান মাষ্টার হিসাবে পরিচিত মানিক। তেজগাঁও থানা ছাত্রদলের সভাপতি, মোঃ আকতার হোসেন ফরাজী, সাবেক গুরুত্বপূর্ন তিনপদে দায়িত্ব পালন করেছেন,দীর্ঘদিন রাজপথের পরিচিত মুখ তৃনমূলে থানা ওয়ার্ড ছাত্রদল গুলোতে পরিচিত মুখ, কর্মী বান্ধব,ঢাকা মহানগর উত্তরের ছাত্রদলের সাবেক সহ -সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন আকতার ফরাজী,। একাধিক মামলার জর্জরিত, দীর্ঘদিন জেল খেটেছেন, জাকির হোসেন মিলন এর সাথে ডিবি কতৃক রিমান্ডে নির্যাতনের স্কীকার হয়েছেন। ২৮আক্টোবর আগে ও পরে ৭জানুয়ারী নির্বাচনের পর কর্মসূচী পালন করেছেন,তার শিক্ষাগত যোগ্যতা, সরকারি তিতুমীর কলেজ থেকে, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ অনার্স এবং মাষ্টার্স সম্পূর্ণ করেছেন। শেরেবাংলা নগর থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক, ইয়াছিন আহমেদ দীপু, তেজগাও কলেজ থেকে মাষ্টার্স সম্পূর্ণ করেন, এর আগে মহানগরে আহবায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন, আবার রাজ কমিটির সদস্য ছিলেন মহানগরে,দীর্ঘদিনের পরিচিত মুখ, ২৮আক্টোবর পর মাঠে একটিভ ছিলেন, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রদলে সভাপতি ,হাদীসুর রহমান শাহীন, ২৮ আক্টোবর পর মাঠে একটিভ ছিলেন, এবং ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেছেন, সিরামিক্স ছাত্রদলের সভাপতি সুরুজ্জামান সুরুজ, ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেছেন এবং মহানগরে উত্তর ছাত্রদলের পদ পেতে তদবীর ও লবিং করতেছেন।হাতিরঝিল থানা ছাত্রদলের সভাপতি, আবু জাফর, ২৮ আক্টোবর পর মাঠে ছিলেন। এদের সবাই যোগ্যতা সম্পূর্ণ মনে করেন কর্মীরা, তবে বিষয়টি নির্ভর করেছে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক সাইফুল আলম নীরব এর আস্থাভাজন ঘনিষ্ঠ তাকে মহানগরের জন্য নামটি সেলেক্ট করবেন। সে হবেন মহানগর উত্তর ছাত্রদলের একটি শীর্ষে পদে আসতে পারেন ঐ ব্যক্তি। বাড্ডার সভাপতি, আশরাফুল ইসলাম, রামপুরা সভাপতি, ফয়সাল আহমেদ, বিএনপি নেতা এম এ কাইয়ুম অনসারী হিসাবে পরিচিত, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সাবেক সহ -দপ্তর সম্পাদক, মোঃ শাহীন ছাত্রদল নেতা আমানের অনুসারী হিসাবে তদবীর করবেন। সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক, আব্দুল্লাহ আল হামিদ নীরব ও আলোচনা রয়েছেন। ঢাকা মহানগর পশ্চিম জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা মহানগর পশ্চিমের কমিটিতে আলোচনায় আছেন গোলাম মাওলা গোলাপ, জুয়েল হাসান রাজ এবং আকরাম আহমেদসহ বেশ কয়েকজন নেতা। তাদের মধ্যে গোলাম মাওলা গোলাপ সহসভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসাবে ২৮ অক্টোবরের পরবর্তী আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছেন। যুবনেতা মিল্টনের একক প্রার্থী হিসাবে ব্যাপক আলোচনায় আছেন। জুয়েল হাসান রাজ মহানগর উত্তর বিএনপি নেতা আমিনুলের প্রার্থী এবং বর্তমান বিলুপ্তি কমিটির সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক। আন্দোলন সংগ্রামে তার ভূমিকা নিয়ে কিছুটা সমালোচনা রয়েছে। আকরাম আহমেদ মহানগরের সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক এবং বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম বকুলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। মহানগর পশ্চিমে এই তিনজন ছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন পদপ্রার্থী তাদের চেষ্টা অব্যহত রেখেছেন। গোলাপ, জুয়েল রাজ,আকরাম,বিপ্লব বর্তমানে আলোচনা রয়েছেন। সার্বিক বিষয়ে ছাত্রদল মহানগরে নেতৃত্বের জন্য যাচাই বাচাই কার্যক্রম চলছে। কেন্দ্রীয় সংসদ ছাত্রদলের এক নেতা বলেন:-যারা নেতৃত্বের দৌড়ে এগিয়ে আছে তাদের সবাই শিক্ষাগত যোগ্যতায়ও এগিয়ে আছে। পূর্বের ত্যাগ, পূর্বের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে দায়িত্ব পালন করছে কিনা , আন্দোলন সংগ্রামের ফুটেজ গুলো, মামলা, হামলা, বিশ্লোষন চলছে। আর আমরা সাংগঠনিকভাবে নির্দিষ্ট কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে তা অবশ্যই আমলে নেওয়া হবে। তবে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, যারা একটু এগিয়ে থাকে তাদের ব্যাপারে অনেকেই অনেক কথা বলে থাকে। এটা আসলে ছাত্ররাজনীতিতে হয়ে থাকে। বক্তব্য জানতে ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবকে কল দিয়ে পাওয়া যায়নি।
|
|
|
|
মাহমুদুল হাসান :
রাজধানীর গুলশান ডিপ্লোমেটিক জোন কুটনীতিক পাড়া। গুলশান , হেয়ার কাটিং সেলুন, বিউটি পার্লার, স্পা সেন্টার,নানান নামে-বেনামে তরুণ-তরুণী দিয়ে চলছে জমজমাট মাদক সহ ব্ল্যাকমেইল রমরমা বাণিজ্য। ভয়ংকর অপরাধমূলোক কর্মকান্ড। আইন শৃংখ্যলা পরিস্থিতি চরম অবক্ষয়ের কারনে অনেকটা প্রকশ্যেই নীতিহীন ঘৃনীত জেনা ব্যাভিচার আর মাদকতায় সয়লাভ করে দিচ্ছে। কি ভাবে স্থানীয় থানা পুলিশের নাকের ডগার উপরে অনৈতিক কর্মকান্ড চলছে তা সকলের বোধগম্য নয়। উর্তিবয়সী রমনীদের পুঁজি করে মানবপাচার চক্রের সক্রিয় কিছু সদস্যরা ইতিমধ্যে তাদের সুবিধা মতো স্থানে অশ্লীলতার নিরাপদ আখড়া গড়ে তুলেছে। অসামাজিক কাজের মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের চিন্তা নিয়ে তৈরি করা হয়েছে স্পা নামে অনৈতিক কাজের প্রতিষ্ঠানগুলো। বডি ম্যাসাজ স্যালুনের আড়ালে অবৈধ যৌন ব্যবসা করা সেন্টারগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে অতি চিহ্নিত একাধিক মানব পাচার প্রতিরোধ আইনে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। এদের পরিচালিত অশ্লীল কর্মের প্রতিষ্ঠানগুলো অনেকটা স্বীকৃত ব্যবসার মতো উন্মুক্ত ভাবে চলছে।
অনুসন্ধানে জানা যায় গুলশানে প্রতিটি স্পা প্রায় তারা একটা ট্রেড লাইসেন্স আর বাড়ী ভাড়া নিয়ে বিউটি পার্লার অথবা হেয়ার কাটিং দেদারসে মাদক বিক্রি ও দেহপসারিনির পতিতা বৃত্তির যৌন ধান্ধার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
সমাজবিরোধী কাজের মাধ্যমে তারা অর্থ হাতিয়ে নিতে অভিজাত এলাকাকে নিজেদের নিরাপদ স্থান হিসেবে বেঁচে নিয়েছে। এসব এলাকায় উচ্চ বিত্ত পরিবারের ছেলে মেয়েদের চলাফেরাও থাকে খুব বেশী। মূলত এদের লক্ষ্য করে তাদের অনৈতিক কাজের আকৃষ্ট করণ পসরাটা সাজানো হয়েছে। পূর্বের ধরপাকড় আতঙ্ক কাটিয়ে অনেকটা স্বস্থিতে তাদের আখড়া গড়ে তুলছে ।
(অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের ঠিকানা)
সম্পত্তি, গুলশান ১-এ বীর উত্তম মীর শওকত সড়কের সিটি ব্যাংকের রাস্তার পশ্চিম পাশে, মালিক নাম–মিজানুর রহমান মিলন মোল্লা, আবার পরিচয় দেয় বনানী থানা শ্রমিকলীগের সভাপতি। তাছাড়া মিলন মোল্লা সে নিজেকে দাবি করেন তিনি নাকি সাংবাদিক।
লিফটের ২, গুলশান ১ সিটি সেন্টারের অপজিটে স্পা আড়ালে মাদক, মানব পাচার এ বিষয়ে আমাদের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। তবে পুলিশ প্রতিদিন এসব প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালালে কাউকে পায় না। এর অন্যতম কারন হচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলো সিসি ক্যামেরা দ্বাড়া নিয়ন্ত্রিত এবং পুলিশ আশার আগেই একটি কুচক্র মহল তাদেরকে জানিয়ে দেয়। যার ফলে অপরাধীরা নিরাপদ স্থানে ছিটকে পড়ে। এবং হেয়ারিং সেন্টার খুলে তারা অনৈতিক কর্মকান্ড করছে। সেখানে রয়েছে অত্যাধুনিক সয়ংক্রিয় অটোমেটিক লক সিস্টেম সু-সজ্জিত ১০টি কামরা, যেখানে অত্যান্ত সুদ্ররী যুবতি রমনিরা অর্থের বিনিময়ে প্রতি নিয়ত অসংখ্য খরিদ্দারের কামনার তৃপ্তির খোরাক মেটাতে সজ্জাসংগি হচ্ছে। খোজ নিয়ে জানা যায় ,মিজানুর রহমান মিলন মোল্লা, অন্যদিকে গোপন ক্যামেরার সাহায্যে ডিজিটাল ব্ল্যাকমেইল হয়রানির মাধ্যমে মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে দিচ্ছে। কথিত স্পা সেন্টারের অন্তরালে চলছে ভয়ংকর মাদক দ্রব্য স্মাগলিং চোরাকারবারী আর সুন্দরী যুবতি রমনিদের দেহ বিক্রি করে পাশ্চাত্য স্টাইলে সবচেয়ে নোংড়া ও নিকৃষ্ট পাপাচার, তারা জেনা ব্যাভিচারের অবৈধ যৌনতার বিষ বাস্প ছড়িয়ে দিয়ে সমাজকে প্রতিনিয়ত ধংষ করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়। সেখানে প্রতিদিন সন্ধার পর সব ভয়ংকর প্রকৃতির লোকের সমাগম লক্ষ করা যায়। এমনকি প্রশাসনের কতিপয় অফিসার ও সেখানে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে এবং অশ্লীল কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে। গুলশান সোসাইটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করে সমাজ থেকে অশ্লীলতা পাপাচার দুর করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানায় স্থানীয় সচেতন নাগরিক সমাজ।
এসব সেন্টারগুলোতে তথ্য অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা যায় সূসজ্জিত রুমের ভিতরে কেউ সেবা নিয়ে বের হচ্ছে আবার কেউ অপেক্ষা করছে তার কাঙ্ক্ষিত রমনীর সাথে অশ্লীল মনরঞ্জন ভোগ করার জন্য। আর ভিতরে কয়েকটি রুমে দেদাড়ছে চলছে অসামাজিক কর্মকাণ্ড। তাছাড়া আরো খোঁজ নিয়ে জানা যায় গুলশান ২৫ ও ১৩০ বাড়ি নং ২৮ লিপ্টের -৪ লাবনী আক্তার ইভা ভবনটিতে একটি অশ্লীল কর্মযজ্ঞের প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাহলে এই হচ্ছে বাস্তবতা এদের এমন কর্মকাণ্ডের কারণে আজ সমাজের ভদ্র নারীরাও নিরাপদ নয়। তাই এই ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপের সাথে জড়িত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো নির্মূল করতে প্রশাসনের নজর বৃদ্ধি করা অতিব জরুরী হয়ে পড়েছে বলে মনে করেন অনেকে।
এছাড়াও এসব স্পার আড়ালে চলে মাদক বাণিজ্যও ব্ল্যাকমেইলিংয়ের কর্মযজ্ঞ। স্থানীয় কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান তাদের বিরুদ্ধে গুলশান বিভাগের ডিসির কাছে কয়েকবার অভিযোগ করলেও অ্যাকশনে যায়নি পুলিশ। তবে পূর্বে এমন ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অনেক গুলো মানবপাচার মামলাও হয়েছিলো। তবুও অসামাজিক কার্যকলাপ থেমে নেই। তারা আবারো তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া এখনো বসবাসকারীদের কাছে অন্যতম প্রত্যাশা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
|
|
|
|
নরসিংদীর রায়পুরায় ট্রেনে কাটা পড়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচায় জানা যায়নি।
সোমবার (৮ জুলাই) ভোর পৌনে ৬টার দিকে উপজেলার পলাশতলী ইউনিয়নের কমলপুর নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা পুরুষ। ধারণা করা হচ্ছে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা তূর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেনে তারা কাটা পড়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেছে পুলিশ।
মেথিকান্দা স্টেশনের মাস্টার আশরাত আলী ট্রেনে কাটা পড়ে পাঁচজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রেললাইনের পাশে ৫টি মরদেহ ছিন্নবিচ্ছিন্ন অবস্থায় দেখা যায়। পরে খবর দিলে পুলিশ সকাল পৌনে ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তারা ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে কাটা পড়েছে নাকি রেললাইনে বসে থাকা অবস্থায় কাটা পড়েছে এ বিষয়ে নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।
এ ব্যাপারে নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশের ইনচার্জ (উপপরিদর্শক) মো.শহিদুল্লা জানান, মরদেহ উদ্ধার করে আইনি প্রক্রিয়া চলমান।
|
|
|
|
চার দিনের দ্বিপক্ষীয় সফরে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার বেলা ১১ টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে বেইজিংয়ের উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী। সন্ধ্যা ৬টায় (বেইজিং সময়) বিমানটি বেইজিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা।
বেইজিং সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিংপিং এবং চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন। শেখ হাসিনার এ সফরে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে।
চীন সফরের দ্বিতীয় দিনে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (এআইআইবি) প্রেসিডেন্ট জিন লিকুন। এরপর প্রধানমন্ত্রী বেইজিংয়ের সাংগ্রি-লা সার্কেলে চীনের ওয়ার্ল্ড সামিট উইংয়ে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, ব্যবসা ও বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধা বিষয়ক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। ওই দিন বিকেলে বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপল-এ প্রধানমন্ত্রী ও কনসাল্টেটিভ পার্টির প্রেসিডেন্ট মি. ওয়াং- এর মধ্যে একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী পরে তিয়েনানমেন স্কয়ারে পিপলস হিরোদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। সন্ধ্যায় তিনি বেইজিংয়ে বাংলাদেশ হাউসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে সেদেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আয়োজিত এক নৈশভোজে যোগ দেবেন।
১০ জুলাই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও চীনের স্টেট কাউন্সিলের প্রিমিয়ার লি কিয়াং-এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক গ্রেট হল অব দ্য পিপল-এ অনুষ্ঠিত হবে। এ সময় তাদের উপস্থিতিতে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ)সহ বেশ কিছু নথিতে স্বাক্ষর করা হবে। পরে তিনি একই স্থানে চীনের স্টেট কাউন্সিলের প্রিমিয়ার আয়োজিত মধ্যাহ্ন ভোজসভায় যোগ দেবেন। বিকেলে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপল-এ চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
চীন সফর শেষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বেইজিং ক্যাপিটাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে (বিজি১৭০৪) বেইজিং সময় ১১ জুলাই বেলা ১১ টা ০৫ মিনিটে দেশের উদ্দেশে রওনা দিবেন। ফ্লাইটটি একই দিন বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
এ সফরে দুই দেশের সম্পর্ক ‘কৌশলগত অংশীদারত্ব’ থেকে ‘বিস্তৃত কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারত্বে’ উন্নীত হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
|
|
|
|
গত এক বছরে (২০২৩ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত) নানাভাবে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার শিকার হয়েছেন ৫৮৮ জন। এর মধ্যে ৫২ জন নিহত হয়েছেন।
ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে এই পরিস্থিতি উত্তরণে জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন ও সংখ্যালঘু বিশেষ সুরক্ষা আইন প্রণয়নসহ ৬ দফা সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে।
সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য তুলে ধরেন ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঐক্য পরিষদের অন্যতম সভাপতি ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক ও নির্মল রোজারিও, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ভিক্ষু সুনন্দ প্রিয়, কাজল দেবনাথ, বাসুদেব ধর ও সুব্রত চৌধুরী, সাংবাদিক নিখিল মানকিন, ইঞ্জিনিয়ার শুভদেব কর প্রমুখ।
মূল প্রবন্ধে বলা হয়েছে, বিগত বছরগুলোর সাম্প্রদায়িক সহিংসতার তুলনামূলক পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত বছরে সহিংসতার ঘটনার খুব বেশি হেরফের হয়নি। এক বছরে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় ৪৫টি হত্যাকণ্ড ঘটেছে। এ ছাড়া সাতজনের মরদেহ উদ্ধার (হত্যাকাণ্ড বলে প্রতীয়মান) হয়েছে। এই সময়ে ১০ জনকে হত্যার চেষ্টা হয়েছে, ৩৬ জনকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে, ৪৭৯ জন হামলা ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার এবং ১১ জনের কাছে চাঁদা দাবি করা হয়েছে। বসতঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে ১০২টি। বসতবাড়ি ও জমি দখলের ঘটনা ঘটেছে ৪৭টি, বসতবাড়ি ও জমিজমা দখল ও উচ্ছেদের তৎপরতা ও হুমকির ঘটনা ঘটেছে ৪৫টি এবং ১১টি দেশত্যাগের বাধ্য করার চেষ্টা হয়েছে। দেবোত্তর, মন্দির ও গীর্জার সম্পত্তি দখল ও দখল চেষ্টার ১৫টি ঘটনা ঘটেছে। শ্মশানভূমি দখল ও দখলের চেষ্টার ৭টি ঘটনা ঘটেছে, মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ৯৪টি ঘটনা ঘটেছে, প্রতিমা ভাঙচুর হয়েছে ৪০টি, গণধর্ষণ, ধর্ষণ ও ধর্ষণ চেষ্টা হয়েছে ২৫টি, অপহরণ, নিখোঁজ ও জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণের ১২টি ঘটনা ঘটেছে এবং ধর্ম অবমাননার কল্পিত অভিযোগে আটজন আটক হয়েছে। এ ছাড়া জাতীয় নির্বাচনে ৩২টি ও স্থানীয় নির্বাচনে ৫টি সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটেছে।
ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন বন্ধে ওই প্রতিবেদনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অঙ্গীকারগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের সুপারিশ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন এবং সংখ্যালঘু বিশেষ সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করতে হবে। অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন প্রয়োগের বাধা দূর করতে হবে। সংবিধানের ২৩(ক) অনুচ্ছেদে বর্ণিত ‘বিভিন্ন উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিসত্ত্বা, নৃ-গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের অনন্য বৈশিষ্ট্যপূর্ব আঞ্চলিক সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও বিকাশের ব্যবস্থা গ্রহণের’ ধারা সুরক্ষার উদ্যোগ নিতে হবে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের ‘এথনিক ক্লিনজিং’ অপনীতির কবলে যেসব অমানবিক ঘটনা ঘটেছে, তার বিচারকার্য সম্পন্ন ও তার পুনরাবৃত্তি রোধ করতে হবে। ধর্মীয় সংখ্যালঘু, ক্ষুদ্র জাতিসত্ত্বা ও চা বাগানে কর্মরত শ্রমজীবী জনগোষ্ঠীর ওপর সন্ত্রাস, বৈষম্যমূলক আচরণ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অবসান ঘটাতে হবে। সকল অনগ্রসর অঞ্চলের সুষম উন্নয়ন ও জনগণের জীবনমান উন্নয়নে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
আওয়ামী লীগের দেওয়া নির্বাচনী অঙ্গীকারগুলো বাস্তবায়নে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানিয়ে ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত বলেন, ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন, বৈষম্য বিলোপ আইন ও দেবোত্তর সম্পত্তি সংরক্ষণ আইন করবে। জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করা হবে। কিন্তু সেই অঙ্গীকারগুলো এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেও সরকার, রাষ্ট্র, প্রশাসন ও রাজনীতিতে সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদ থাকায় প্রধানমন্ত্রীর অনেক সদিচ্ছা বাস্তবায়ন হয় না। তারপরও আমরা আশা করি, নির্বাচনী ইশতেহারে প্রদত্ত অঙ্গীকার বাস্তবায়নে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে সরকার।
|
|
|
|
বঙ্গবন্ধুকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আজকের ছোট শিশুরাই হবে আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশের কারিগর। সবাইকে সেভাবেই প্রস্তুত করতে হবে।
শনিবার (৬ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত স্কুল গিমাডাঙ্গা টুঙ্গিপাড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্ণারের উদ্বোধন শেষে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর অন্যতম চাওয়া ছিল সুন্দর জীবন ও দেশের মানুষের কল্যাণ। আজকের শিশুরাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশের পরিচালক। তারাই দেশ চালাবে, তারা চাঁদেও যাবে। সেভাবেই সবাইকে প্রস্তুতি নিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ’৭৫ এর পর ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছে। সবাইকে উপলব্ধি করতে হবে কীভাবে স্বাধীনতা পেলাম।স্বাধীনতার পরে যে কাজগুলো সেগুলোও জানতে হবে।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার ঐতিহাসিক বিদ্যালয় গিমাডাঙ্গা টুঙ্গিপাড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। যেখানে জড়িয়ে আছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি। এখানেই শৈশবে পড়ালেখা করেছেন বঙ্গবন্ধু। বাবার স্মৃতি বিজড়িত সেই স্কুলে এলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
টুঙ্গিপাড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্ণারের উদ্বোধনের পর টুঙ্গিপাড়ার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় শিশুদের সঙ্গে সময় কাটান সরকার প্রধান।
এরপর নবনির্মিত টুঙ্গিপাড়া মাল্টিপারপাস পৌর সুপার মার্কেট পরিদর্শন করেন তিনি। পরে জাতির পিতার সমাধিসৌধে ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করেন।
এর আগে শুক্রবার (৫ জুলাই) পদ্মা সেতু প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই দিন সন্ধ্যায় পদ্মা সেতু হয়ে গোপালগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছান তিনি।
|
|
|
|
ভারত রাজনৈতিক আর চীন বাংলাদেশের উন্নয়নের বন্ধু। উন্নয়নের জন্য যেখানে সুযোগ-সুবিধা পাবো, তা কেন নেব না? বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ শনিবার দুপুরে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সাত দিনব্যাপী পাহাড়ি ফলমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
কাদের বলেন, উন্নয়নের জন্য যেখানে সুযোগ সুবিধা পাব তা কেন নেব না? এতে কারও কারও অন্তর্জ্বালা। সরকারের মেগা উন্নয়ন নিয়ে অনেকের অন্তর্জালা। আমাদের ফরেন পলিসি হচ্ছে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে শত্রুতা নয়। ১৯৭১ সাল থেকে ভারত আমাদের বিশ্বস্ত বন্ধু। দুঃসময়ের বন্ধুদের আমরা ভুলে যেতে পারি না। ২১ বছর ভারতের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক রেখে কী অর্জন করেছে ’৭৫ পরবর্তী সরকারগুলো?
ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ৬৮ বছর পর আমরা আমাদের সীমান্ত সমস্যা সমাধান করতে পেরেছি। ছিটমহল সমস্যা সমাধান করেছে শেখ হাসিনা। গঙ্গার পানি চুক্তি করেছে শেখ হাসিনা। যারা বড় বড় কথা বলে তারা গঙ্গার পানি চুক্তির কথা ভুলেই গিয়েছিল। এবার ভারত থেকে শেখ হাসিনা খালি হাতে ফিরেননি।
চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের পার্টনারশিপ রয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ভারত আমাদের রাজনৈতিক বন্ধু, চীন আমাদের উন্নয়নের বন্ধু। এ দেশে বহু উন্নয়নে চীনের অবদান আছে। সাহায্য পেলে আমরা সাহায্য কেনো নেব না? দেশের উন্নয়নের জন্য যেখানে সাহায্য দরকার, আমরা সেখান থেকে সাহায্য নেব। মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু, এক্সপ্রেসওয়ে এসব নিয়ে অনেকের জ্বলে, যাদের জ্বলে তাদের মন্তব্যের কোনো জবাব আমরা দেব না।
বিএনপি খালেদা জিয়া ঢাল বানাচ্ছে মন্তব্য করে সেতুমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার সুকিচিৎসা নিয়ে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ চায় বিএনপি। খালেদা জিয়ার বিষয়ে জাতিসংঘ দেখিয়ে লাভ নেই, এটা আইনের ব্যাপার। খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে রাজনীতি করছে বিএনপি। তাকে ঢাল বানাচ্ছে। একটা আন্দোলনও করেনি চিকিৎসা নিয়ে। আন্দোলনে ব্যর্থ বিএনপি এখন কোটা আন্দোলন আর শিক্ষকদের আন্দোলনের ওপর ভর করেছে।
রাজধানীর বেইলি রোডের শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রে এ ফলমেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলা ১২ জুলাই (শুক্রবার) পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০ থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত একটানা সাত দিন চলবে। সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে মেলা।
|
|
|
|
|
|
|