|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * মাদারগঞ্জে তামাক বিরোধী প্রশিক্ষণ অনু্ষ্ঠিত   * লংলা ইউনাইটেড এর ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত   * জমকালো আয়োজনে দৈনিক ভোরের সময় পত্রিকার সাংবাদিক প্রতিনিধি সম্মেলন ২০২৩ অনুষ্ঠিত   * মাগুরা জেলায় ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চ ২০২৩ ইং উদযাপিত।   * ৭ই মার্চ উদযাপনে তিন কোটি ১২ লাখ টাকা বরাদ্দ   * ঘুড়ির কারণে আবারও বন্ধ থাকল মেট্রোরেল   * ধানমন্ডি লেক থেকে গাড়িচালকের মরদেহ উদ্ধার   * আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির তুলনা হয় না: প্রধানমন্ত্রী   * বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা অপরিহার্য ....... লায়ন গনি মিয়া বাবুল   * বঙ্গবন্ধুকে ফিরে না পেলে স্বাধীনতা পূর্ণতা পেত না: তাপস  

   আর্ন্তজাতিক -
                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                 
বাংলাদেশ দূতাবাস আঙ্কারা, তুরস্ক তুরস্কে যথাযথ মর্যাদায় মহান স্বাধীনতার ৫২তম বার্ষিকী ও জাতীয় দিবস উদযাপন

আবুল মনসুর আহমেদ বিশেষ প্রতিবেদক ঃ

উৎসবমূখর আবহের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস, আঙ্কারায় বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ৫২তম বার্ষিকী ও জাতীয় দিবস উদ্যাপন করা হয়। ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক-এর নেতৃত্বে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। অত:পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর আবক্ষ ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করার মধ্য দিয়ে দিবসটির কার্যক্রমের সুচনা হয় ।
দ্বিতীয়পর্বে দূতাবাস-এর মিলনায়তনে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করে উপস্থিত সকলকে শোনানো হয়। এরপর মুক্তিযুদ্ধের উপর নির্মিত একটি চলচিত্র প্রদর্শন করা হয় এবং মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক প্রদত্ত শুভেচ্ছা বাণী প্রদর্শন করা হয়।
রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতু নেছা মুজিবের অন্যন্য অবদানের কথা স্মরণ করেন। এছাড়াও বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্যা কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ- সামাজিক ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক উন্নয়নের চিত্র এবং বৈশ্বিক অর্থনীতিতে বাংলাদেশের বর্তমান অগ্রসরতার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। অত:পর তিনি বাংলাদেশের ইতিহাস, ভাষা আন্দোলন, সংস্কৃতিক ঐতিহ্য, বাণিজ্য-বিনিয়োগ এবং দেশের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে নিজ নিজ অবস্থানে ভূমিকা রেখে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।

বাংলাদেশ দূতাবাস আঙ্কারা, তুরস্ক তুরস্কে যথাযথ মর্যাদায় মহান স্বাধীনতার ৫২তম বার্ষিকী ও জাতীয় দিবস উদযাপন
                                  

আবুল মনসুর আহমেদ বিশেষ প্রতিবেদক ঃ

উৎসবমূখর আবহের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস, আঙ্কারায় বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ৫২তম বার্ষিকী ও জাতীয় দিবস উদ্যাপন করা হয়। ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক-এর নেতৃত্বে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। অত:পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর আবক্ষ ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করার মধ্য দিয়ে দিবসটির কার্যক্রমের সুচনা হয় ।
দ্বিতীয়পর্বে দূতাবাস-এর মিলনায়তনে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করে উপস্থিত সকলকে শোনানো হয়। এরপর মুক্তিযুদ্ধের উপর নির্মিত একটি চলচিত্র প্রদর্শন করা হয় এবং মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক প্রদত্ত শুভেচ্ছা বাণী প্রদর্শন করা হয়।
রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতু নেছা মুজিবের অন্যন্য অবদানের কথা স্মরণ করেন। এছাড়াও বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্যা কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ- সামাজিক ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক উন্নয়নের চিত্র এবং বৈশ্বিক অর্থনীতিতে বাংলাদেশের বর্তমান অগ্রসরতার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। অত:পর তিনি বাংলাদেশের ইতিহাস, ভাষা আন্দোলন, সংস্কৃতিক ঐতিহ্য, বাণিজ্য-বিনিয়োগ এবং দেশের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে নিজ নিজ অবস্থানে ভূমিকা রেখে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।

রাশিয়া মানবতাবিরোধী অপরাধ করছে: যুক্তরাষ্ট্র
                                  

আবুল মনসুর আহমেদ বিশেষ প্রতিবেদকঃ

মিউনিখে নিরাপত্তা সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। মিউনিখে নিরাপত্তা সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। ছবি: এএফপি
যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস বলেছেন, রাশিয়া ইউক্রেন মানবতাবিরোধী অপরাধ করছে বলে যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে। স্থানীয় সময় শনিবার জার্মানির মিউনিখে নিরাপত্তা সম্মেলনে বক্তৃতা দেওয়ার সময় তিনি এমন মন্তব্য করেছেন। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
কমলা হ্যারিস তাঁর বক্তৃতায় বলেন, ‘রাশিয়া প্রায় এক বছর ধরে ইউক্রেনে হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ ও নির্বাসনে পাঠানোর মতো জঘন্য মানবতাবিরোধী অপরাধ করছে।’
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে উপস্থিত অন্যান্য বিশ্বনেতারাও ইউক্রেনকে দীর্ঘমেয়াদি সাহায্য-সহযোগিতা ও সমর্থন দেওয়ার আহ্বান জানান। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, ইউক্রেনকে কীভাবে সুরক্ষা দেওয়া যায়, তার পরিকল্পনা পশ্চিমা মিত্রদের এখনই করা উচিত। তাদের এখন সময় এসেছে সামরিক সহায়তা আরও বাড়ানোর।
আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের এক বছর পূর্তি হবে। এর আগে জার্মানিতে নিরাপত্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কমলা হ্যারিস বলেন, ইউক্রেনে অপরাধ সংঘটনের জন্য রুশদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। তারা আমাদের মূল্যবোধ ও মানবতার ওপর আক্রমণ করেছে।
কোনো নির্দিষ্ট বেসামরিক জনগোষ্ঠীর ওপর বিস্তৃত ও পদ্ধতিগত আক্রমণকে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেছে জাতিসংঘ। তবে মস্কোর পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছে, তারা বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে আক্রমণ করছে না।
কমলা হ্যারিস আরও বলেছেন, ‘ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর হামলার প্রমাণগুলো আমরা পরীক্ষা করছি। আমরা আইনি মানগুলো জানি এবং কোনো সন্দেহ নেই যে তারা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করছে।’
রাশিয়া বর্বর ও অমানবিক নৃশংসতা চালাচ্ছে উল্লেখ করে কমলা হ্যারিস বলেন, ইউক্রেনের বুচায় ও মারিউপোলে অসংখ্য মরদেহ পাওয়া গেছে। রুশ বাহিনী বোমা হামলা করে এসব মানুষকে মেরে ফেলেছে।

কানাডার নির্বাচনে নাক গলানোর চেষ্টা করছে চীন, অভিযোগ ট্রুডোর
                                  

আবুল মনসুর আহমেদ বিশেষ প্রতিবেদকঃ

কানাডার নির্বাচন এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় চীন হস্তক্ষেপের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর বরাতে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম টরোন্টো সানের খবরে বলা হয়েছে, তবে কানাডার গোয়েন্দারা চীনের এ অপতৎপরতা ঠেকাতে প্রস্তুত রয়েছে।
সম্প্রতি স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত গোয়েন্দা বিভাগের কিছু নথি নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে এসব কথা বলেন ট্রুডো। তিনি বলেন, কয়েক বছর ধরেই দেখছি, চীন আমাদের গণতন্ত্রে নাক গলানোর চেষ্টা করছে, এমনকি প্রভাব খাটাতে চাইছে নির্বাচনেও।
তবে কানাডা বিষয়টি নিয়ে সচেতন জানিয়ে তিনি বলেন, গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা এজেন্সিগুলো চীনের অপতৎপরতা মোকাবেলায় উন্নত প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে।

৮৫ বছরের ‘ভূতুড়ে’ রেলস্টেশন এখন বিলাসী হোটেল
                                  

আবুল মনসুর আহমেদ বিশেষ প্রতিবেদকঃ

টন টন সোনা পাচার, গুপ্তচরবৃত্তি, গ্রেপ্তারি থেকে শুরু করে নাৎসিদের চোখ এড়াতে হাজার হাজার ইহুদির দেশত্যাগ— দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কালের বহু ঘটনারই সাক্ষী ছিল কানফ্র্যাঙ্ক আন্তর্জতিক রেলওয়ে স্টেশন। যদিও আজ আর সে স্টেশনের অস্তিত্ব নেই। ৪৩ বছর বন্ধ থাকার পর তা বিলাসী হোটেলে রূপ নিয়েছে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে স্পেনের অ্যারাগন উপত্যকায় দ্বার খুলেছে কানফ্র্যাঙ্ক। সেই সত্তরের দশক থেকেই যা বন্ধ হয়ে পড়েছিল। বছর কয়েক ধরে সংস্কারের পর এবার নতুন চেহারায় ধরা দিয়েছে এটি। ট্রেনযাত্রীদের বদলে সেখানে পর্যটকের ভিড় জমছে। ১৯২৮ সালে কানফ্র্যাঙ্ক স্টেশনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন স্পেনের সম্রাট সপ্তম ফার্দিনান্দ এবং ফরাসি প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট গ্যাস্তোঁ দুম্যাগ। স্টেশনটি স্পেনের এলাকাভুক্ত হলেও ফ্রান্সের সীমান্তঘেঁষা। ফলে দুই রাষ্ট্রপ্রধানই ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন।
দশকের পর দশক বন্ধ থাকার পর কানফ্র্যাঙ্কের ভোলবদলের প্রচেষ্টা শুরু করে স্পেনের বার্সেলো হোটেল গ্রুপ। অবশ্যই তাতে কানফ্র্যাঙ্ক প্রশাসনও জড়িয়েছিল। দীর্ঘদিন বন্ধ হয়ে পড়ে থাকার পর এর রূপান্তরিত চেহারায় স্থানীয় বাসিন্দাদের উৎসাহ চোখে পড়ার মতো ছিল বলে জানিয়েছেন কানফ্র্যাঙ্কের মেয়র ফার্নান্দো স্যাঞ্চেজ মোরালেস।
কানফ্র্যাঙ্কের টানে পর্যটকদের পাশাপাশি স্পেনে পা রাখছেন ইতিহাসের গন্ধবিলাসীরাও। আমেরিকার সংবাদমাধ্যম ‘সিএনএন’-কে মোরালেস বলেন, ‘কানফ্র্যাঙ্ক স্টেশনের পুনরুজ্জীবনে আমরা সন্তুষ্ট।’
সত্তরের দশকে প্রায় ধ্বংসাবশেষে পরিণত বলেও কানফ্র্যাঙ্কের সৌন্দর্যে তখন নাকি চোখ ফেরানো যেত না। সেই রূপের টানে চিত্রগ্রাহকেরা সেখানে ঘুরে বেড়াতেন। স্পেনীয় স্থাপত্যবিদ ফার্নান্দো রামিরেজ দি দমপিয়েরের চিন্তন ধরা পড়েছিল এর নকশায়। ইউরোপীয় রেলের ইতিহাসের আগ্রহী তার সব শিল্পসত্তা দিয়ে এর নকশা করেছিলেন।
অনেকের মতে, কানফ্র্যাঙ্কের পরিত্যক্ত ধ্বংসপ্রায় ভূতুড়ে চেহারাই তাদের কাছে আকর্ষণীয় মনে হতো। তবে আজকাল অভিজাত কানফ্র্যাঙ্ককে চেনাই দায়। ৪টি স্যুইট-সহ ১০০টি ঘর। সঙ্গে সুইমিং পুল, ওয়েলনেস এরিয়া এবং তিনটি রেস্তোরাঁ।
কানফ্র্যাঙ্কের সুইমিং পুলে নামতে গেলে আবার ১৫ পাউন্ড করে গাঁটের কড়ি গুনতে হবে। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় দেড় হাজার টাকা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় অবশ্য কানফ্র্যাঙ্কের চেহারায় এই মসৃণতা ছিল না। তবে হতাশা এবং আশার আলো, দুই-ই দেখেছে কানফ্র্যাঙ্ক।
র‌্যামন হাভিয়ের ক্যাম্পো ফ্রেইল নামে এক সাংবাদিক ‘সিএনএন’-কে বলেন, ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের গোড়ার দিকে ১৯৪০ থেকে ’৪২ পর্যন্ত হাজার হাজার ইহুদি এই স্টেশন দিয়েই দেশ ছেড়ে লিসবন এবং আমেরিকায় পালিয়েছিলেন।’
র‌্যামনের দাবি, জার্মানির একনায়ক হিটলারের ভয়ে ভিটেমাটিছাড়াদের দলে ছিলেন মার্ক্স আর্নস্ট এবং মার্ক শাগালের মতো বিশ্বখ্যাত চিত্রশিল্পী অথবা ফরাসি বংশোদ্ভূত আমেরিকার গায়িকা-অভিনেত্রী জোসেফিন বেকার। সবকিছুরই সাক্ষী থেকেছে কানফ্র্যাঙ্ক স্টেশন।
মিত্রশক্তির হয়ে নাৎসি বিরোধী ফরাসিদের দলে যোগ দিতে গিয়ে এই স্টেশন দিয়ে পাড়ি দিয়েছেন অসংখ্য গুপ্তচর। ২০১৭ সালে সংবাদমাধ্যমে এমনই দাবি করেছিলেন মোরালেস। তিনি বলেছিলেন, ‘মিত্রশক্তির নেতৃত্বও গুপ্তচরদের নেটওয়ার্ক কাজে লাগিয়ে এ স্টেশনের মাধ্যমে নানা তথ্য ফ্রান্স এবং স্পেনে পৌঁছে দিতেন।’
যদিও ১৯৪২-এ নাৎসিদের দখলে চলে যায় কানফ্র্যাঙ্ক পুরসভা। ১৯৪৪-এর জুন পর্যন্ত এই রাশ ছিল নাৎসিদের হাতে। সে সময় এই স্টেশন দিয়ে পালানো কঠিন হয়ে পড়ে। বহু গ্রেপ্তারিও সাক্ষী থেকেছে স্টেশনটি। বস্তুত, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কানফ্র্যাঙ্কই ছিল একমাত্র স্পেনীয় পৌরসভা, যা দখল করেছিলেন নাৎসিরা। ওই আমলে পর্তুগালের লিসবনে পালানোর সময় ৩০০ জনকে গ্রেপ্তার করেছিলেন তারা। তাদের স্পেনজুড়ে নানা জেলে রাখা হয়েছিল।
কানফ্র্যাঙ্ককে ঘিরে টন টন সোনা পাচারের জল্পনাও রয়েছে। মোরালেসের দাবি, ‘সে সময় এই স্টেশন দিয়ে সোনা এবং দামি ধাতুর পাচার নিয়ন্ত্রণ করতেন জার্মানরা। এমনকি ফ্রান্সের পতাকা নিচু করে রাখতেন তারা।’
র‌্যামনের দাবি, কানফ্র্যাঙ্ক দিয়ে নাৎসিদের সোনা পাচারের জল্পনা দিনের পর দিন বেড়েছে বই কমেনি। তবে ২০০০ সালে সেই জল্পনাকে সত্যি বলে জানায় প্রশাসন। র‌্যামনের কথায়, ‘১৯৪২ থেকে ১৯৪৪ সাল পর্যন্ত এখান দিয়ে ৮৬ টন সোনা পাচার করেছিলেন নাৎসিরা। এমনই প্রমাণ পেয়েছিলেন স্থানীয় এক বাসচালক।’
র‌্যামন আরও বলেন, ‘ইউরোপীয় এবং আমেরিকার আর্কাইভ থেকে আবার প্রমাণ মিলেছে, এই এলাকা দিয়ে ১০০ টনের বেশি সোনা পাচার হয়েছিল।’
যদি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ের সে সব অন্ধকার দিন আজ অতীত। আজকাল কানফ্র্যাঙ্কের এই হোটেলের টানে সেখান পা রাখছেন পর্যটকেরা। তাদের মধ্যে রয়েছেন উত্তর আয়ারল্যন্ডের বেলফাস্টের বাসিন্দা তথা স্থাপত্যবিদ টমাস ও’হেয়ার। কানফ্র্যাঙ্কের হোটেলের দরজা খোলার আগেই সংস্কারকাজের সময় এর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েছিলেন টমাস। হোটেলের দরজা খোলার পর আবার সেখানে গেছেন। তিনি বলেন, ‘এর বহিরঙ্গ চোখ ধাঁধানো। এমন একটা ধারণা হয়, যেন অন্য কোনো যুগে পৌঁছে গেছি।’

বাংলাদেশ দূতাবাস আংঙ্কারায় বঙ্গবন্ধুর স্বদেশপ্রত্যাবর্তন দিবস উদ্যাপন
                                  

বিশেষ প্রতিবেদক, আবুল মনসুর আহমেদ ঃ আঙ্কারা, ১০ জানুয়ারি ২০২৩ঃ  আঙ্কারাস্থ বাংলাদেশ দুতাবাসের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদ্যাপন করা হয়। দূতাবাসের ”বিজয়-৭১ মিলনায়তন”-এ আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবার এবং শহিদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত, দোয়া ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
অত:পর দূতাবাসে কর্মকর্তা/কর্মচারীদের উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে একটি আলোচনা অনুষ্ঠানেরআয়োজন করা হয়। আলোচনার শুরুতে ঐতিহাসিক ১০ জানুয়ারি উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করেন চার্জ দ্য এ্যাফেয়ার্স শাহ্নাজ গাজী এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করেন মিশনের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা মোঃ রাশেদ ইকবাল।অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দ্বিতীয় সচিব ও দূতালয় প্রধান মোঃ রফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের উপর নির্মিত একটি তথ্যবহুলপ্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
আলোচনা পর্বে চার্জ দ্য এ্যাফেয়ার্স প্রথমেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। অত:পর বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর অসামান্য নেতৃত্ব গুণ এবং তাঁর অতুলনীয়অবদানের কথা গভীর কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন এবং বঙ্গবন্ধুর “সোনার বাংলা” গড়ে তোলার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গী শহীদদের স্মরণ করেন। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বের কথা বর্ণনাপূর্বক ১৯৭১ সালের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন এবং ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর পাকিস্তান কারাগার হতে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। তিনি উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সম্পাদনে এবং তাঁর স্বপ্নপূরণে বঙ্গবন্ধূ কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে  কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের ভূয়োসী প্রশংসা করে বলেন বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে দীপ্তগতিতে এগিয়ে যাওয়া দ্রুত অগ্রসরমান একটিঅর্থনৈতক শক্তি। চলমান অর্থনৈতিক, সামাজিক, শিক্ষা, স্বাস্থ্য প্রভৃতি খাতের উন্নয়ন আজ চোখে পড়ার মতো যা বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে রোল মডেলে পরিনত করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নেতৃত্বে ভিশন-২০৪১ এবং ডেলটা প্লান লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করবে বলে চার্জ দ্য এ্যাফেয়ার্স দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং এ অভিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে আমাদের সবাইকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়ে তাঁর বক্তব্যের পরিসমাপ্তি করেন।

বাংলাদেশের সঙ্গে স্থায়ী অংশীদারীত্বকে গুরুত্ব দেয় যুক্তরাষ্ট
                                  

বিশেষ প্রতিবেদক, মনসুর আহমেদ ঃ

রোববার (৮ জানুয়ারি) উত্তর আমেরিকান নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে মেক্সিকোর রাজধানী মেক্সিকো সিটির ‍উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এর এক ফাঁকে তিনি টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের এল পাসো সিটিতে যাত্রাবিরতী নেন ও সীমান্ত পরিদর্শনে যান। এল পাসো শহরটি মেক্সিকো সীমান্তে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম শহরগুলোর মধ্যে একটি ও মেক্সিকোর সিউদাদ জুয়ারেজের সঙ্গে সংযুক্ত। এ শহর দিয়েই প্রতিদিন হাজার হাজার অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেন। জানা যায়, জো বাইডেনের মেক্সিকো সফরের মূল উদ্দেশ্য হলো মেক্সিকো সীমান্ত ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রে বিপুলসংখ্যক অনুপ্রেবেশ বন্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। সোমবার (৯ জানুয়ারি) মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডরের সঙ্গেও দেখা করবেন তিনি।

প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই অভিবাসন নীতি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ডেমোক্রেটিক এ নেতা। অভিবাসনের বিরোধিতা করে আসা রিপাবলিকান দলের নেতারা ও বামপন্থী ডেমোক্র্যাট নেতাদের পক্ষ থেকে ক্রমাগত চাপের মুখোমুখি হচ্ছেন তিনি।

রিপাবলিকান নেতারা দাবি করছেন, বাইডেন প্রশাসন খুব নমনীয় ও তরা অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে। অন্যদিকে, দেশটির মানবাধিকার কর্মীদের দাবি, সরকারের নতুন ঘোষিত পদক্ষেপের ফলে আশ্রয়প্রার্থীদের জীবন ঝুঁকিতে পড়বে।

টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে সাংবাদিকদের প্রশ্নে বাইডেন বলেন, মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে কী ঘটছে, তা আমি নিজ চোখে দেখতে চাই। তাছাড়া, আমরা অভিবাসন প্রত্যাশীদের জন্য বৈধ প্রক্রিয়া প্রণয়ন করতে যাচ্ছি। এদিকে, বর্তমান অভিবাসন নীতিকে গভীর রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টির মূল কারণ হিসেবে দাবি করে জো বাইডেনকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের রিপাবলিকান গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট। সেখানে বলা হয়, কেন্দ্রীয় আইন প্রয়োগে প্রেসিডেন্টের ব্যর্থতার প্রত্যক্ষ ফলাফল হলো সীমান্তে সৃষ্ট বিশৃঙ্খলা।

এ সফরের আগে জো বাইডেন বলেছিলেন, তার নতুন পরিকল্পনার অধীনে টাইটেল ৪২ নামক আইনটিকে আরও সম্প্রসারিত করা হবে, যাতে সীমান্তরক্ষীরা স্থলপথে আসা বিপুলসংখ্যক অভিবাসীদের তাৎক্ষণিকভাবে ফিরিয়ে দিতে পারেন।অন্যদিকে, নিজের বামপন্থী সমর্থকদের থেকে আসা চাপ ঠেকাতে বাইডেন ঘোষণা দেন, প্রতি মাসে কিউবা, হাইতি, নিকারাগুয়া ও ভেনিজুয়েলা থেকে ৩০ হাজার অভিবাসী নেবে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এর জন্য প্রথমে অভিবাসন প্রত্যাশীদের নিজ দেশ থেকে আবেদন করতে হবে, অবশ্যই মার্কিন স্পন্সর থাকতে হবে ও সবার জীবনবৃত্তান্ত খুঁটিয়ে দেখার পর বৈধ অভিবাসী হিসেবে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে।

যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত পরিদর্শনে জো বাইডেন
                                  

আবুল মনসুর, ঢাকা

যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত পরিদর্শন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ২০২২ সালে ক্ষমতায় আসার পর এবারই প্রথম এ সীমান্ত পরিদর্শন করলেন তিনি। রোববার (৮ জানুয়ারি) উত্তর আমেরিকান নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে মেক্সিকোর রাজধানী মেক্সিকো সিটির ‍উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এর এক ফাঁকে তিনি টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের এল পাসো সিটিতে যাত্রাবিরতী নেন ও সীমান্ত পরিদর্শনে যান।

এল পাসো শহরটি মেক্সিকো সীমান্তে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম শহরগুলোর মধ্যে একটি ও মেক্সিকোর সিউদাদ জুয়ারেজের সঙ্গে সংযুক্ত। এ শহর দিয়েই প্রতিদিন হাজার হাজার অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেন। জানা যায়, জো বাইডেনের মেক্সিকো সফরের মূল উদ্দেশ্য হলো মেক্সিকো সীমান্ত ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রে বিপুলসংখ্যক অনুপ্রেবেশ বন্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। সোমবার (৯ জানুয়ারি) মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডরের সঙ্গেও দেখা করবেন তিনি।

প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই অভিবাসন নীতি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ডেমোক্রেটিক এ নেতা। অভিবাসনের বিরোধিতা করে আসা রিপাবলিকান দলের নেতারা ও বামপন্থী ডেমোক্র্যাট নেতাদের পক্ষ থেকে ক্রমাগত চাপের মুখোমুখি হচ্ছেন তিনি রিপাবলিকান নেতারা দাবি করছেন, বাইডেন প্রশাসন খুব নমনীয় ও তরা অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে। অন্যদিকে, দেশটির মানবাধিকার কর্মীদের দাবি, সরকারের নতুন ঘোষিত পদক্ষেপের ফলে আশ্রয়প্রার্থীদের জীবন ঝুঁকিতে পড়বে।

টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে সাংবাদিকদের প্রশ্নে বাইডেন বলেন, মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে কী ঘটছে, তা আমি নিজ চোখে দেখতে চাই। তাছাড়া, আমরা অভিবাসন প্রত্যাশীদের জন্য বৈধ প্রক্রিয়া প্রণয়ন করতে যাচ্ছি। এদিকে, বর্তমান অভিবাসন নীতিকে গভীর রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টির মূল কারণ হিসেবে দাবি করে জো বাইডেনকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের রিপাবলিকান গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট। সেখানে বলা হয়, কেন্দ্রীয় আইন প্রয়োগে প্রেসিডেন্টের ব্যর্থতার প্রত্যক্ষ ফলাফল হলো সীমান্তে সৃষ্ট বিশৃঙ্খলা।

এ সফরের আগে জো বাইডেন বলেছিলেন, তার নতুন পরিকল্পনার অধীনে টাইটেল ৪২ নামক আইনটিকে আরও সম্প্রসারিত করা হবে, যাতে সীমান্তরক্ষীরা স্থলপথে আসা বিপুলসংখ্যক অভিবাসীদের তাৎক্ষণিকভাবে ফিরিয়ে দিতে পারেন। অন্যদিকে, নিজের বামপন্থী সমর্থকদের থেকে আসা চাপ ঠেকাতে বাইডেন ঘোষণা দেন, প্রতি মাসে কিউবা, হাইতি, নিকারাগুয়া ও ভেনিজুয়েলা থেকে ৩০ হাজার অভিবাসী নেবে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এর জন্য প্রথমে অভিবাসন প্রত্যাশীদের নিজ দেশ থেকে আবেদন করতে হবে, অবশ্যই মার্কিন স্পন্সর থাকতে হবে ও সবার জীবনবৃত্তান্ত খুঁটিয়ে দেখার পর বৈধ অভিবাসী হিসেবে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে।

সূত্র: আল-জাজিরা

বাংলাদেশ দূতাবাস আঙ্কারা, তুরস্ক
                                  

আবুল মনসুর আহমেদ:

বাংলাদেশ দূতাবাস,  আনন্দ উৎসবের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের

৫১তম ‘মহান বিজয় দিবস’ উদযাপিত

১৬ ডিসেম্বর ২০২২ঃ আনন্দ উৎসবের মধ্যে
দিয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস আংকারা মহান বিজয়ের ৫১তম বার্ষিকী পালন করেছে।
সকালে চার্জ দ্যা এ্যাফেয়ার্স শাহ্ধসঢ়;নাজ গাজী-এর নেতৃত্বে দূতাবাস
প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বঙ্গবন্ধুর আবক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করার মধ্য
দিয়ে দিবসটি পালনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয়াংশে, দূতাবাসের ’বিজয় একাত্তর মিলনায়তন’-এ
মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির মঙ্গল
কামনায় পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত ও বিশেষ মোনাজাত করা হয় এবং
মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরনে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে
মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনান চার্জ দ্য এ্যাফেয়ার্স
শাহ্ধসঢ়;নাজ গাজী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ রাশেদ ইকবাল, মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পড়েন
দ্বিতীয় সচিব ও দূতালয় প্রধান মোঃ রফিকুল ইসলাম এবং মাননীয় পররাষ্ট্র
প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরীত বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের প্রতিরক্ষা দপ্তরের
সুপারেনটেনডেন্ট মোঃ ফরহাদ হোসেন। অত:পর দিবসটি উপর নির্মিত একটি
প্রমান্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। এরপর দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাঁদের
পরিবারবর্গ, প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিক/ছাত্র-ছাত্রী এবং বিপুল সংখ্যক তুর্কী
নাগরিকের উপ¯ি’তিতে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা
হয়। এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি শিশু-কিশোর এবং তুর্কী শিল্পীদের
কবিতা ও গান দর্শকদের মুগ্ধ করে।
চার্জ দ্য এ্যাফেয়ার্স, তাঁর বক্তব্যে স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকার জাতির জনক
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের প্রতি বিনম্র শ্ধসঢ়;্রদ্ধা
নিবেদন করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট এবং শহিদদের আত্মত্যাগের
বিনিময়ে প্রাপ্ত বাংলাদেশের বিজয় অর্জন নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি
বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণের স্বপ্ন বাস্তবায়ন এবং মাননীয়
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃৃত্বে বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন
কার্যক্রমে অংশীদার হওয়ার জন্য সকলকে নিজ নিজ অব¯’ান থেকে কাজ করার জন্য
সকলকে আহ্বান জানান। অত:পর ১২ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখের ‘ডিজিটাল
বাংলাদেশ’ শিরোনামের উপর ঘোষিত চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতায়

অংশগ্রহনকারীদের এবং বিজয় দিবস উপলক্ষে ‘বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস’
বিষয়ব¯‘র উপর চিত্রাঙ্কন, কবিতা আবৃত্তি-এর উপর শিশু-কিশোর ও প্রবাসী
বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
পরিশেষে, অনুষ্ঠানে আগত অতিথিবৃন্দদেরকে সাথে নিয়ে কেক কাটা হয় ও
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার পরিবেশিত হয়।
----------------

 ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্প : ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা বহু
                                  

এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় জাভা প্রদেশে আঘাত হেনেছে ৫.৬ মাত্রার ভূমিকম্প। সোমবারের এ কম্পনে এখন পর্যন্ত ১৬২ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া ধসে পড়েছে অসংখ্য বাড়ি-ঘর।
শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতে ধসে পড়া এসব স্কুল, বাড়ি-ঘর ও অন্যান্য স্থাপনার ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো অনেক মানুষ আটকে আছেন। এতে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কর্মকর্তারা। জানা গেছে, এখন পর্যন্ত যারা নিহত হয়েছেন তাদের বেশিরভাগই স্কুল শিক্ষার্থী ও শিশু।
ইন্দোনেশিয়ার সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ২১ মিনিটে ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে জাভা। ওই সময় চলছিল স্কুলের পাঠদান। কম্পনে স্কুলগুলো ধ্বংসপ্রাপ্ত হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েন। এখন ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের উদ্ধারে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা।
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল পশ্চিম জাভার পাহাড়ী এলাকা সিয়ানজুর। এটি ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ। ভূমিকম্পে এত মানুষ আহত হয়েছেন যে, সিয়ানজুরের হাসাপাতালের গাড়ি পার্কের স্থান, বেজমেন্টে মানুষের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। অন্যদিকে টর্চের আলোতে আহতদের কাটা-ছেঁড়া সেলাই করতে দেখা যায় চিকিৎসকদের।
ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে কান্নাজড়িত কণ্ঠে কুকু নামে ৪৮ বছর বয়সী এক নারী হাসপাতাল থেকে বলেন, ‘আমার নিচের সবকিছু ধসে পড়ে। বাচ্চাদের নিচে আমি চাপা পড়েছিলাম।’
কুকু রয়টার্সকে আরও জানান, ধ্বংসস্তুপ থেকে নিজের দুই সন্তানকে বের করে নিয়ে আসতে সমর্থ হন তিনি। এরপর তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসেন। কিন্তু তার এক সন্তান এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
ইন্দোনেশিয়ার পুলিশের একজন মুখপাত্রের বরাতে বার্তাসংস্থা অন্তরা নিউজ জানিয়েছে, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকালে ঘটনাস্থলে কয়েকশ পুলিশ সদস্যকে পাঠানো হয়েছে। আহত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে উদ্ধার করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাদের।
পশ্চিম জাভার গভর্নর রিদওয়ান কামিল জানান, সোমবারের ভূমিকম্পে ১৬২ জন নিহত হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছেন তারা। তিনি আরও জানান, দুর্গম কিছু এলাকায় মানুষ এখনো আটকে আছেন। এতে মৃতের সংখ্যা বাড়বে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আহত ও মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে এ বিষয়টি মাথায় রেখেই তারা কাজ করছেন।
ভূমিকম্পের প্রভাবে কিছু কিছু জায়গায় ভূমিধসও হয়েছে। ভূমিধসের কারণে কিউজেনাং নামে একটি অঞ্চল পুরোপুরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সেখানে উদ্ধারকারীরা যেতে পারছেন না। বিদ্যুৎ বিভ্রাটেও উদ্ধারকাজ ব্যহত হচ্ছে।
এদিকে বড় ভূমিকম্প আঘাত হানার পর অন্তত আরও ৮০ বার ছোট ছোট কম্পনে (আফ্টারশক) কেঁপে ওঠে জাভা। ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ ইন্দোনেশিয়ায় প্রায়ই এরকম কম্পন অনুভূত হয়।

পোল্যান্ডে বিস্ফোরণের পর বিশ্বনেতাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বাইডেন
                                  

টানা প্রায় ৯ মাস ধরে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ চলছে। দীর্ঘ সময় ধরে চলা এই যুদ্ধ উভয় দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়ে আসছে। আর এর মধ্যেই পূর্ব ইউরোপের দেশ পোল্যান্ডে আঘাত হেনেছে একটি ক্ষেপণাস্ত্র।
রাশিয়ার তৈরি ওই ক্ষেপণাস্ত্রের বিস্ফোরণের জন্য দায়ী করা হচ্ছে রাশিয়াকে। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, পোল্যান্ডে বিস্ফোরিত ক্ষেপণাস্ত্রটি রাশিয়া থেকে নাও ছোঁড়া হতে পারে। বুধবার (১৬ নভেম্বর) সকালে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পূর্ব ইউরোপের দেশ পোল্যান্ডে বুধবার স্থানীয় সময় সকালে আঘাত হেনেছে একটি ক্ষেপণাস্ত্র। পোল্যান্ডের দাবি এটি রাশিয়ার তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র। ওই ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় দু’জন নিহত হন এবং এর পরপরই যুক্তরাষ্ট্র এবং তার সামরিক জোট ন্যাটোর মিত্ররা বিস্ফোরণের তদন্ত শুরু করে।
এছাড়া পরিস্থিতি বিবেচনায় বিশ্বনেতাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, প্রাথমিক তথ্য থেকে যা জানা যাচ্ছে তাতে পোল্যান্ডে গিয়ে পড়া ক্ষেপণাস্ত্রটি রাশিয়া থেকে নাও নিক্ষেপ করা হতে পারে।a
রয়টার্স বলছে, বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী গ্রুপ অব টোয়েন্টির বা জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে বর্তমানে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ার বালিতে অবস্থান করছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ অন্য বিশ্বনেতারা। বুধবার সকালে পোল্যান্ডে মারাত্মক বিস্ফোরণের পরে বাইডেন বিশ্বনেতাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন এবং পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন।
ন্যাটোর সদস্য দেশ পোল্যান্ডে হওয়া এই বিস্ফোরণের ঘটনায় রাশিয়া জড়িত কিনা এমন প্রশ্নের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন: ‘প্রাথমিক যে তথ্য রয়েছে তাতে রাশিয়ার জড়িত থাকার দাবি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। আমরা এটি সম্পূর্ণরূপে তদন্ত না করা পর্যন্ত বলতে চাই না, তবে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ট্র্যাজেক্টোরির লাইন অনুযায়ী এটি অসম্ভাব্য যে রাশিয়া থেকেই এটি ছোঁড়া হয়েছিল। কিন্তু আমরা বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখব।’
বাইডেন আরও বলেন, ‘যেকোনো পদক্ষেপ বা প্রতিক্রিয়া দেখানোর আগে যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটো দেশগুলো বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে তদন্ত করবে।’
এদিকে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ইউক্রেনের সীমান্তের কাছে পূর্ব পোল্যান্ডের প্রজেওডো নামক গ্রামে ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরণে দুইজন নিহত হওয়ার পরে বাইডেন জরুরিভাবে নিজেই এই বৈঠকটি আহ্বান করেন। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, কানাডা, নেদারল্যান্ডস, জাপান, স্পেন, ইতালি, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের নেতারা অংশ নেন।
বৈঠকে অংশ নেওয়া জাপান ছাড়া বাকি সবাই সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য। এছাড়া মার্কিন নেতৃত্বাধীন এই প্রতিরক্ষা জোটের মধ্যে পোল্যান্ডও রয়েছে।
মূলত বিশ্বের বৃহত্তম সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য পোল্যান্ডে ক্ষেপণাস্ত্র পড়ায় উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ ন্যাটোর আর্টিকেল-৫ অনুযায়ী— জোটের কোনো একটি দেশের ওপর হামলা মানে পুরো জোটের ওপর হামলা। ক্ষেপণাস্ত্র পড়ার পর ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ জরুরি বৈঠক ডাকেন। এছাড়া জি-৭ জোট ও জাতিসংঘও বৈঠক ডেকেছে।
তবে পোল্যান্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা এ মূহুর্তে ক্ষেপণাস্ত্র পড়ার বিষয়টিকে ‘পোল্যান্ডের ওপর রাশিয়ার হামলা’ হিসেবে বিবেচনা করছে না।

এবার ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাই করবে অ্যামাজন
                                  

সম্প্রতি কর্মী ছাঁটাই করে আলোচনায় আসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার। এরপর একই পথে হাটে ফেসবুকের মূল কোম্পানি মেটা। এবার বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় আরেক প্রতিষ্ঠান অ্যামাজন তাদের কর্মী ছাঁটাই করতে যাচ্ছে। ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাই করবে প্রতিষ্ঠানটি। অ্যামাজন সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তির বরাতে এ তথ্য জানায় রয়টার্স।
মার্কিন গণমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ছাঁটাই হতে যাওয়া কর্মীদের বেশিরভাগই অ্যামাজনের ডিভাইস ইউনিটের। এছাড়া সংস্থার রিটেইল বিভাগ এবং মানবসম্পদ বিভাগেও কর্মী ছাঁটাই হবে। শুধু তাই নয়, কর্মী নিয়োগও স্থগিত করা হয়েছে।
অ্যামাজনের সূত্রটি বলছে, মার্কিন অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খুব একটা ভালো নয়। এই অবস্থায় অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো অ্যামাজনও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মুখে রয়েছে।
অ্যামাজন মনে করছে, চলতি বছরে উৎসবের সময়গুলোতে, যেমন বড়দিন বা নববর্ষে তাদের ব্যবসা আগের তুলনায় কমে যাবে।
গত মাসে সাংবাদিকদের অ্যামাজনের চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার ব্রায়ান ওলসাভস্কি বলেছিলেন যে, মানুষ কেনাকাটায় তাদের বাজেট কমিয়ে ফেলেছে।

মার্কিন সিনেটের নিয়ন্ত্রণ বাইডেনের দলের হাতেই
                                  

যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদা অঙ্গরাজ্যে জয় পেয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। এর মধ্য দিয়ে গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হওয়া মার্কিন মধ্যবর্তী নির্বাচনে কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখল ডেমোক্রেটরা।
অবশ্য মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগাম ফলাফলে মার্কিন কংগ্রেসের উভয় কক্ষে রিপাবলিকানদের জয়ের ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন অনেকে। তবে সেসব ভবিষ্যদ্বাণীকে ভুল প্রমাণ করল বাইডেনের দল। রোববার (১৩ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি এবং সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনগুলোতে ঐতিহ্যগতভাবে ক্ষমতায় থাকা দলের বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে থাকেন মার্কিন নাগরিকরা। মূলত মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি এবং বাইডেনের জনপ্রিয়তা কমে যাওয়াকে কেন্দ্র করে সর্বশেষ মধ্যবর্তী নির্বাচনে সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদ দখল করার প্রত্যাশা করেছিল রিপাবলিকানরা।
বিবিসি বলছে, ডেমোক্র্যাটিক পার্টি নেভাদায় একটি গুরুত্বপূর্ণ লড়াইয়ে জেতার পর মার্কিন সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ নিয়ন্ত্রণ এখন এই দলটির হাতেই বজায় থাকবে। মূলত নেভাদায় ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী ক্যাথরিন কর্টেজ মাস্টো জয় পেয়েছেন। তিনি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অ্যাডাম ল্যাক্সাল্টকে পরাজিত করেন।
এতে করে মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির আসনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫০টিতে। আর রিপাবলিকান পার্টি জয় পেয়েছে ৪৯টি আসনে।
এছাড়া মার্কিন সিনেটের জন্য জর্জিয়ার ফলাফল এখনও পাওয়া যায়নি। মূলত গত সপ্তাহের নির্বাচনে কোনো প্রার্থীই সরাসরি সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় আগামী ৬ ডিসেম্বর সেখানে রান-অফ নির্বাচন অর্থাৎ দ্বিতীয় দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে, কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টি এখন পর্যন্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের কাছাকাছি রয়েছে।
সংবাদমাধ্যম বলছে, সিনেটের নিয়ন্ত্রণ পেয়ে গেলেও নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ নিয়ে চিন্তায় রয়েছে ডেমোক্র্যাটরা। কারণ রিপাবলিকানরা প্রতিনিধি পরিষদে এখন পর্যন্ত ২১১টি আসনে জয় পেয়েছে।
অন্যদিকে ডেমোক্র্যাটরা জয় পেয়েছে ২০৪টি আসনে। প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ২১৮টি আসন। ফলে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ রিপাবলিকানদের হাতেই যাচ্ছে বলে আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে।

১৫ নভেম্বর বিশ্বের জনসংখ্যা হবে ৮০০ কোটি
                                  

আগামী ১৫ নভেম্বর বিশ্বের জনসংখ্যা নতুন এক মাইলফলক স্পর্শ করতে যাচ্ছে। তা হলো গ্রহ হিসেবে পৃথিবীতে জনসংখ্যা হবে ৮০০ কোটি।
জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের প্রধান নাতালিয়া কানেম বলেন, ৮০০ কোটি মানুষ, মানবসভ্যতার জন্য একটি স্মরণীয় মুহূর্ত। তিনি প্রত্যাশিত আয়ু বৃদ্ধি এবং মা ও শিশুমৃত্যু কমে যাওয়ার প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, যদিও আমি বুঝতে পারছি স্মরণীয় এই মুহূর্তটি সবাই উদযাপন নাও করতে পারেন। পৃথিবীতে জনসংখ্যা বেশি বলে অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। আমি এখানে পরিষ্কার করে বলতে চাই, মানুষের এই সংখ্যা ভয়ের কোনো কারণ নয়।
অতিরিক্ত জনসংখ্যার ভয়ের পরিবর্তে, আমাদের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের গ্রহের সম্পদের অতিরিক্ত ব্যবহারের দিকে মনোনিবেশ করা উচিত বলেও উল্লেখ করেন কানেম।
নিউইয়র্কের রকফেলর বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরি অব পপুলেশনসের জোয়েল কোহেন বলেন, জনসংখ্যা কাদের জন্য অনেক বেশি, কিসের জন্য অনেক বেশি? যদি আপনি আমাকে প্রশ্ন করেন, আমিও কি অনেক বেশি? আমি এমন মনে করি না।
জাতিসংঘের এক পরিসংখ্যান বলছে, ২০৫০ সাল নাগাদ পৃথিবীর জনসংখ্যা হবে ৯৭০ কোটি। ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, ২০২২ সালে বিশ্বে ১১ কোটি ৯৫ লাখের বেশি মানুষ জন্মগ্রহণ করেছেন।
এদিকে থিঙ্কট্যাঙ্ক গ্লোবাল ফুটপ্রিন্ট নেটওয়ার্ক ও ডব্লিউডব্লিউএফ বলছে, যদি আমরা সবাই একজন মার্কিনির মতো খাবার গ্রহণ করি তাহলে প্রতিবছর আমাদের এরকম ৫টি গ্রহের প্রয়োজন হবে।

শ্রীলঙ্কায় কমলো জ্বালানি তেলের দাম
                                  

এবার জ্বালানি তেলের দাম কমালো শ্রীলঙ্কার সরকার। অক্টোবর মাসেই দ্বিতীয় দফায় জ্বালানি তেলের দাম কমালো অর্থনৈতিক গোলযোগে পড়া দেশটি। শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি এ বছর ৯ দশমিক ২ শতাংশ সংকুচিত হতে পারে, এমন পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এর মাঝে জ্বালানি তেলের দাম কমানো হলো।
শ্রীলঙ্কার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রী কাঞ্চনা উইজেসেকেরা জানান, সিলন পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (সিপিসি) প্রতি লিটার পেট্রলের দাম ৪০ রুপি কমিয়েছে এবং ডিজেলের দাম কমিয়েছে ১৫ রুপি। সোমবার থেকেই এক লিটার পেট্রল বিক্রি হচ্ছে ৩৭০ রুপি করে। অক্টোবরের শুরুতে প্রতি লিটার পেট্রলের দাম ১০ শতাংশ কমানো হয়েছিল। আর ডিজেল বিক্রি হচ্ছে ৪১৫ রুপিতে। সোমবার রাত ৯ টা থেকে কার্যকর হয় এ সিদ্ধান্ত।
অন্যান্য পেট্রোলিয়াম জাতীয় পণ্যের দাম একই থাকবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রী কাঞ্চনা।
বিদ্যুৎ বিভ্রাট, গ্যাস ও পানির তীব্র সংকট, খাদ্য সংকট, প্রয়োজনীয় পণ্যের আকাশছোঁয়া দামসহ নানা সমস্যার বেড়াজালে আটকা পড়েছে শ্রীলঙ্কার সাধারণ মানুষ। শ্রীলঙ্কার নাগরিকরা বলছেন, ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতার পর এমন বিপর্যয়ের মুখে পড়েনি দেশটির অর্থনীতি। অর্থনৈতিক সংকটের জেরে ফুঁসে উঠে দেশটির সাধারণ মানুষ। চরম আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। এরপর দেশের হাল ধরেন কয়েকবারের প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে।
এখন সরকার বিরোধী আন্দোলন না হলেও অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। পর্যটন নির্ভর দেশটি দেউলিয়াত্বের খাতায় নাম লিখিয়েছে। যদিও সরকারের নীতি নির্ধারকরা এখন পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
এদিকে, পালিয়ে দেশত্যাগের দেড় মাসেরও বেশি সময় পর দেশে ফিরেছেন শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। শ্রীলঙ্কায় ব্যাপক গণবিক্ষোভের মুখে গত ১৩ জুলাইয়ের পর থেকে দেশের বাইরে অবস্থান করেন গোতাবায়া। তবে দেশে ফিরলেও তাকে আর সেভাবে জনসম্মুখে খুব একটা দেখা যায়নি।

ইউক্রেনে আর কোনো বড় হামলা ঘটবে না, ঘোষণা পুতিনের
                                  

ইউক্রেনে রুশ বাহিনী আর বড় কোনো হামলা ঘটাবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, রাশিয়া ইউক্রেনকে ধ্বংস করতে চায় না।
এছাড়া ইউক্রেন যুদ্ধে ‘রিজার্ভ সেনা’ হিসেবে দেশের সক্ষম নাগরিকদের বাধ্যতামূলক যোগদানের যে প্রক্রিয়া চলছে, তা আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে বলে নিশ্চিত করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। তবে তিনি এ ও বলেছেন, ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের জন্য তিনি অনুতপ্ত নন।
শুক্রবার কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পুতিন বলেন, ‘ইউক্রেনকে ধ্বংস করে দেওয়ার কোনো ইচ্ছে বা পরিকল্পনা আমাদের নেই। একটি দেশ ধ্বংস হয়ে যাক, তা আমরা কখনও চাইব না। এই কারণে সেখানে আর বড় কোনো হামলা ঘটবে না।’
‘সেই সঙ্গে আমি আমি আরও একটি তথ্য দিতে চাই; তা হলো—সামরিক অভিযানে রিজার্ভ সেনা হিসেবে রুশ নাগরিকদের নিয়োগের যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তা আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে।’
এশীয় এবং ইউরেশীয় দেশগুলোর জোট কনফারেন্স অন ইন্টার‌্যাকশন অ্যান্ড কনফিডেন্স বিল্ডিং মেজার্স ইন এশিয়ার (সিআইসিএ) সম্মেলনে যোগ দিতে গত ১৩ অক্টোবর কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় গিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। সেখানেই আয়োজন করা হয়েছিল এই সংবাদ সম্মেলনের।
আস্তানার সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের একাধিক সাংবাদিক জানিয়েছেন, শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলনে পুতিনের চিরাচরিত গম্ভীর-দৃঢ় চেহারা দেখা যায়নি, বর‌ং এদিন তার চেহারা ও কণ্ঠস্বর ছিল বেশ কোমল।
সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্যতম অঙ্গরাজ্য ইউক্রেন ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ভেঙে যাওয়ার পর স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। দেশটির মোট জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ সরাসরি রুশ বংশোদ্ভূত এবং রুশভাষী। সোভিয়েত আমলে রুশ জনগোষ্ঠীর সঙ্গে ইউক্রেনীয় জনগোষ্ঠীর মোটামুটি সদ্ভাব বজায় থাকলেও ইউক্রেন স্বাধীন হওয়ার পর দ্বন্দ্ব শুরু হয় এই দুই জনগোষ্ঠীর মধ্যে।
ইউক্রেনের রুশভাষী লোকজন বরাবরই নিজেদের রাশিয়ার অংশ হিসেবে বিবেচনা করে। অন্যদিকে ইউক্রেনীয়রা সবসময়ই নিজেদের স্বাধীন ও স্বতন্ত্র জাতি মনে করতে অভ্যস্ত। এটিই মূলত দুই জনগোষ্ঠীল দ্বন্দ্বের মূল কারণ এবং স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই ইউক্রেনে এই ইস্যুতে দুই জনগোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাত লেগেই ছিল। গত প্রায় ৩ দশকে ইউক্রেনে জাতিগত দ্বন্দ্বে নিহত হয়েছেন ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ।
২০১৪ সালে ইউক্রেনের সীমানাভুক্ত ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখল করে রাশিয়া। এক্ষেত্রে ইউক্রেনের রুশভাষী জনগোষ্ঠী রাশিয়ার সেনাবাহিনী ও সরকারকে সরাসরি সহায়তা করেছিল।
এদিকে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই রাশিয়ার প্রধান বৈরীপক্ষ যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের রাজনৈতিক বলয়ে ঢুকতে দেন-দরবার করছিল ইউক্রেন। রাশিয়ার কাছে ক্রিমিয়া হারানোর পর এই তৎপরতা আরও বৃদ্ধি পায়। ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন করে ইউক্রেন।
ইউক্রেনের এসব কর্মকাণ্ডে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ হয় মস্কো এবং ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন প্রত্যাহার করে নেওয়ার আহ্বানও জানানো হয়। কিন্তু কিয়েভ তাতে কান দেয়নি।
প্রায় চার বছর এই ইস্যুতে ‍দুই দেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলার পর অবশেষে ২০২২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রুশ বাহিনীকে ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন পুতিন।
গত ৯ মাসের অভিযানে ইউক্রেনের চার প্রদেশ খেরসন, ঝাপোরিজ্জিয়া, দনেৎস্ক ও লুহানস্ক প্রদেশ দখল করে নিজের সীমানভূক্ত করেছে রাশিয়া। হাজার হাজার সামরিক-বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন, ছোট-বড় প্রায় সব শহর গোলার আঘাতে বিধ্বস্ত হয়েছে।
অভিযানে অবশ্য রাশিয়ারও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৬ হাজারেরও বেশি রুশ সেনা। এছাড়া যুদ্ধ শুরুর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ একের পর এক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাশিয়ার ওপর। এসব নিষেধাজ্ঞার কারণে বেশ বড় ধাক্কা খেয়েছে রাশিয়ার অর্থনীতি।
তবে আস্তানার সংবাদ সম্মেলনে পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের জন্য তিনি অনুতপ্ত নন। কারণ তার মতে, এই অভিযান অবশ্যম্ভাবী ছিল।
‘আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, (ইউক্রেনে) আজ যা হচ্ছে, তা অপ্রীতিকর ও অনাকাঙ্ক্ষিত; কিন্তু পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছিল—তাতে চলতি বছরই, কিংবা তার পরের বছর এই সংঘাত অবশ্যম্ভাবী ছিল এবং সেক্ষেত্রে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হতো আরও অনেক অনেক বেশি। আমরা ঠিক সময়ে ঠিক কাজটি করেছি।’

জাতিসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দিলো বাংলাদেশসহ ১৪৩ দেশ
                                  

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনের চার অঞ্চলকে সীমানাভুক্ত করায় রাশিয়ার নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘের একটি প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে বাংলাদেশসহ ১৪৩টি দেশ। তবে ভোটদানে বিরত ছিল ভারত, পাকিস্তান, চীনসহ ৩৫টি দেশ। আর এ প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে উত্তর কোরিয়া-সিরিয়াসহ মোট পাঁচ দেশ।
বুধবার (১২ অক্টোবর) আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সীমানার মধ্যে ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা, ঐক্য এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা পুনর্নিশ্চিত করতে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয় জাতিসংঘে। এতে সাধারণ পরিষদের তিন-চতুর্থাংশ সদস্যই রাশিয়ার বিপক্ষে ভোট দেয়।
নিন্দা প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে কেবল রাশিয়া, সিরিয়া, নিকারাগুয়া, উত্তর কোরিয়া ও বেলারুশ। সাধারণ পরিষদের ১৯৩ সদস্যের মধ্যে বাকি ১০ সদস্য কোনো মতামতই দেয়নি।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ সৈন্যরা ইউক্রেন আক্রমণ করার পর থেকে এ পর্যন্ত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে রাশিয়ার বিরুদ্ধে চারটি নিন্দা প্রস্তাব পাস হয়েছে। তবে এগুলোর মধ্যে বুধবারই মস্কোর বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে।
ভোটের আগে জাতিসংঘে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া অভিযোগ করেন, এই প্রস্তাব রাজনৈতিক ও উসকানিমূলক। এটি চলমান সংকটের কূটনৈতিক সমাধানের পক্ষে সব প্রচেষ্টা নস্যাৎ করতে পারে।
তবে ভোটের ফলাফলকে ‘আশ্চর্যজনক’ উল্লেখ করে উল্লাস প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘে ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত সের্গেই কিসলিয়্যাস। আর সংস্থাটিতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস গ্রিনফিল্ড বলেছেন, এই ফলাফল দেখিয়ে দিয়েছে, রাশিয়া বিশ্বকে ভয় দেখাতে পারেনি।
২০১৪ সালে রাশিয়া ক্রিমিয়া দখল করার পর একই ধরনের নিন্দা প্রস্তাব উত্থাপন করেছিল জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ। সেদিন এর পক্ষে ভোট দিয়েছিল ১০০টি দেশ, বিপক্ষে ১১টি এবং ভোটদানে বিরত ছিল ৫৮টি দেশ।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, বুধবার ভোটের আগে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার বিপক্ষে জনমত বাড়াতে লবিং করেছিল। গত মঙ্গলবার ১০০টির বেশি দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এর পরিপ্রেক্ষিতেই ২০১৪ সালের তুলনায় রাশিয়ার বিপক্ষে এবার কয়েক ডজন ভোট বেশি পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে, গত ২ মার্চ ইউক্রেনে হামলা বন্ধে সাধারণ পরিষদে একটি প্রস্তাব পাস হয়। এর পক্ষে ভোট পড়ে ১৪১টি। এদিন ভোটদানে বিরত ছিল বাংলাদেশ।
তবে গত ২৪ মার্চ ইউক্রেনে সৃষ্ট মানবিক সংকট মোকাবিলায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রশ্নে জাতিসংঘের প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছিল বাংলাদেশ। সেদিন ১৪০ ভোটে প্রস্তাবটি পাস হয়।
এছাড়া গত ৭ এপ্রিল মানবাধিকার পরিষদ থেকে রাশিয়াকে বরখাস্ত করার প্রশ্নেও ভোটদানে বিরত ছিল বাংলাদেশ। সেদিন যুক্তরাষ্ট্রের উত্থাপিত প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়ে ৯৩টি। বিপক্ষে ভোট দেয় ২৪টি দেশ এবং ভোটদানে বিরত ছিল ৫৮ দেশ। সদস্য দেশগুলোর দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থন পাওয়ায় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ থেকে রাশিয়াকে বরখাস্ত করা হয়।


   Page 1 of 3
     আর্ন্তজাতিক
বাংলাদেশ দূতাবাস আঙ্কারা, তুরস্ক তুরস্কে যথাযথ মর্যাদায় মহান স্বাধীনতার ৫২তম বার্ষিকী ও জাতীয় দিবস উদযাপন
.............................................................................................
রাশিয়া মানবতাবিরোধী অপরাধ করছে: যুক্তরাষ্ট্র
.............................................................................................
কানাডার নির্বাচনে নাক গলানোর চেষ্টা করছে চীন, অভিযোগ ট্রুডোর
.............................................................................................
৮৫ বছরের ‘ভূতুড়ে’ রেলস্টেশন এখন বিলাসী হোটেল
.............................................................................................
বাংলাদেশ দূতাবাস আংঙ্কারায় বঙ্গবন্ধুর স্বদেশপ্রত্যাবর্তন দিবস উদ্যাপন
.............................................................................................
বাংলাদেশের সঙ্গে স্থায়ী অংশীদারীত্বকে গুরুত্ব দেয় যুক্তরাষ্ট
.............................................................................................
যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত পরিদর্শনে জো বাইডেন
.............................................................................................
বাংলাদেশ দূতাবাস আঙ্কারা, তুরস্ক
.............................................................................................
 ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্প : ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা বহু
.............................................................................................
পোল্যান্ডে বিস্ফোরণের পর বিশ্বনেতাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বাইডেন
.............................................................................................
এবার ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাই করবে অ্যামাজন
.............................................................................................
মার্কিন সিনেটের নিয়ন্ত্রণ বাইডেনের দলের হাতেই
.............................................................................................
১৫ নভেম্বর বিশ্বের জনসংখ্যা হবে ৮০০ কোটি
.............................................................................................
শ্রীলঙ্কায় কমলো জ্বালানি তেলের দাম
.............................................................................................
ইউক্রেনে আর কোনো বড় হামলা ঘটবে না, ঘোষণা পুতিনের
.............................................................................................
জাতিসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দিলো বাংলাদেশসহ ১৪৩ দেশ
.............................................................................................
পরমাণু হামলা করলে রাশিয়াকে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে: যুক্তরাষ্ট্র
.............................................................................................
বিশ্বে দুর্ভিক্ষের মুখে সাড়ে ৩৪ কোটিরও বেশি মানুষ : জাতিসংঘ
.............................................................................................
ক্ষুধার্ত থাকছে লঙ্কান শিশুরা, প্রতিবেশীদেরও সতর্ক করলো জাতিসংঘ
.............................................................................................
ইউরোপে ফের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করছে রাশিয়া
.............................................................................................
পারমাণবিক কেন্দ্রে বিপর্যয়ের ঝুঁকি ‘প্রতিদিন বাড়ছে’: ইউক্রেন
.............................................................................................
তেলের মূল্যবৃদ্ধি: রাস্তায় ভিক্ষা না হয় অনাহারে মৃত্যুর আশঙ্কা
.............................................................................................
ট্রাম্পের বাসভবন থেকে গোপন নথি উদ্ধার
.............................................................................................
ইউক্রেনের পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছে রাশিয়ার হামলায় ১৪ জন নিহত
.............................................................................................
জুলাইয়ের তীব্র তাপপ্রবাহে ব্রিটেনে হাজারো মানুষের মৃত্যু হতে পারে
.............................................................................................
করোনায় কমেছে প্রাণহানি, শনাক্ত-মৃত্যুর শীর্ষে জাপান
.............................................................................................
বিশ্ববাজারে আরও কমলো জ্বালানি তেলের দাম
.............................................................................................
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের ‘পূর্বপরিকল্পিত’ হামলা, শিশুসহ নিহত ১০
.............................................................................................
আঞ্চলিক শান্তির জন্য তাইওয়ানে এসেছি: পেলোসি
.............................................................................................
ইউক্রেন যুদ্ধে সরাসরি জড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র, অভিযোগ রাশিয়ার
.............................................................................................
যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে গোলাগুলি, হতাহত ৬
.............................................................................................
আফগানিস্তানে মার্কিন ড্রোন হামলায় আল-কায়েদা প্রধান নিহত
.............................................................................................
জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ছে মিয়ানমারে
.............................................................................................
রাশিয়ার হামলায় ইউক্রেনের শীর্ষ ধনী ব্যবসায়ী নিহত
.............................................................................................
পশ্চিমবঙ্গের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি গ্রেফতার
.............................................................................................
যুক্তরাজ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় জরুরি অবস্থা জারি
.............................................................................................
যুক্তরাষ্ট্রে স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজে গুলি, নিহত ৬
.............................................................................................

|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
প্রকাশক: রিনা বেগম
প্রধান সম্পাদক : মো: হাবিবুর রহমান
প্রকাশক কতৃক ৫১/৫১ এ পুরানা পল্টন থেকে প্রকাশিত । সোনালী প্রিন্টিং প্রেস ২/১/এ ইডেন ভবন ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত । বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয় : ৫১/৫১ এ পুরানা পল্টন (৪র্থ তলা) , ঢাকা - ১০০০।
ফোন: ০২২২৩৩৮০৮৭২ , মোবাইল: ০১৭১১১৩৬২২৬

Web: www.bhorersomoy.com E-mail : dbsomoy2010@gmail.com
   All Right Reserved By www.bhorersomoy.com    
Dynamic SOlution IT Dynamic POS | Super Shop | Dealer Ship | Show Room Software | Trading Software | Inventory Management Software Computer | Mobile | Electronics Item Software Accounts,HR & Payroll Software Hospital | Clinic Management Software Dynamic Scale BD Digital Truck Scale | Platform Scale | Weighing Bridge Scale Digital Load Cell Digital Indicator Digital Score Board Junction Box | Chequer Plate | Girder Digital Scale | Digital Floor Scale