|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * জাতীয় গৃহায়ণ মিরপুর বিভাগের উপ বিভাগীয় ডিপ্লোমা প্রকৌশলী রাজু ও জনির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ   * সাতক্ষীরায় ৫৪৮টি পূজা মন্ডপে পালিত হচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসব   * আফতাবনগর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে ফাইল চিহ্ন(মার্ক) করে চলে ঘুসের কারবার   * সড়ক পরিবহনের শৃঙ্খলা ফেরাতে পুলিশের পাশাপাশি বিআরটিএ কর্মকর্তারা অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারবেন   * উপজেলাবাসীর সেবক হয়ে কাজ করতে চায় শুভ আহম্মেদ   * নরসিংদী মেহের পাড়ার সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুব হত্যা মামলার আসামি কাতার বিমানবন্দরে গ্রেফতার   * ময়মনসিংহ জেলা জজ আদালতে বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’ উদ্বোধন করেন : প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান   * সাঘাটায় ভাঙ্গা মোড়ে পুকুর থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন   * কুষ্টিয়ার মিরপুরে পাট উৎপাদনকারী চাষী প্রশিক্ষণ   * নন্দীগ্রামে আধা কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা জন্য দুই উপজেলাবাসীর চরম দুর্ভোগ  

   রাজনীতি -
                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                 
কোটাবিরোধী ও শিক্ষকদের আন্দোলনে সমর্থন দিল বিএনপি

সরকারি চাকরিতে কোটাপদ্ধতি বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও পেনশন স্কিমের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আন্দোলনে বিএনপির সমর্থন রয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার (৬ জুলাই) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান মির্জা ফখরুল।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, একবিংশ শতাব্দীর এই সময়ে এসে প্রযুক্তি ও জ্ঞানভিত্তিক বৈশ্বিক ব্যবস্থায় টিকে থাকতে হলে মেধাভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই। তাই সাধারণ ছাত্র সমাজের কোটা সংস্কার আন্দোলনের ন্যায্য ও যৌক্তিক দাবিসমূহের সঙ্গে আমরা একমত।

২০১৮ সাল পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা প্রচলিত ছিল বাংলাদেশে। তার মাঝে ৩০ শতাংশই ছিল মুক্তিযোদ্ধা কোটা। বাকি কোটার মাঝে ১০ শতাংশ নারী কোটা, ১০ শতাংশ জেলা কোটা, ৫ শতাংশ কোটা ছিল ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের জন্য এবং এক শতাংশ কোটা ছিল প্রতিবন্ধীদের।

ওই বছরই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কারের দাবিতে কোটাবিরোধী আন্দোলন শুরু করে।
শিক্ষার্থীদের দাবি ছিল যে কোটা ৫৬ শতাংশ না হয়ে ১০ শতাংশ করা হোক। তাদের দাবির মুখে সে বছর পুরো কোটা পদ্ধতিই বাতিল করে একটি পরিপত্র জারি করেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

কিন্তু ২০২১ সালে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা ফিরে পাবার জন্য উচ্চ আদালতে রিট করেন এবং গত পাঁচই জুন প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সরকারি সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেয় হাইকোর্ট। তারপর হাইকোর্টের ওই রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
 

গত বৃহস্পতিবার সকালে কোটার পক্ষের এক আইনজীবীর আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানি করেনি আদালত। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ হাইকোর্টের এই রায় স্থগিত না করায় পূর্বের নিয়মানুযায়ী সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা আপাতত বহাল রয়েছে।

হাইকোর্টের রায়ের পর গত ৬ জুন থেকেই তা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। মাঝে কিছুদিন আন্দোলন চললেও ঈদুল আজহার কারণে ২৯ জুন পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত রাখেন শিক্ষার্থীরা। পরদিন ৩০ জুন থেকে ফের আন্দোলন শুরু করেন তারা।

অন্যদিকে সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় ‘প্রত্যয়’ স্কিম বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচিতে ক্যাম্পাসগুলো অচল হয়ে পড়েছে।

আজ শনিবার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে দলের অবস্থান জানানো সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি। সেখানে কথা বলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শিক্ষকদের পেনশন স্কিমে অংশ নেওয়ার বিরোধিতা করে শুরু করে আন্দোলনের কথা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, রাষ্ট্রীয় কোষাগার প্রায় শূন্য। ব্যাংকিং খাত প্রায় দেউলিয়া, এরকম লুটেরাতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখার জন্য এরকম পেনশন স্কিমের মতো আরো স্কিম চালু করে জনগণের পকেট শূন্য করতে চায় এই লুটেরা সরকার।

মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার তথাকথিত উন্নয়নের নামে জনগণের ঘাড়ে ব্যয়ের বোঝা চাপাচ্ছে। সরকারের উন্নয়নের বুলি যদি এতই শক্তিশালী হয়ে থাকে তাহলে পেনশন বৃদ্ধি পাওয়ার কথা। অতএব জনগণ সরকারের হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও অনৈতিক তথাকথিত পেনশন স্কিমসহ ইত্যকার সকল প্রকল্প প্রত্যাখ্যান করছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও কর্মচারীদের এই যৌক্তিক আন্দোলন সমর্থন করছি এবং অবিলম্বে এই পেনশন স্কিম প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছি।’

কোটাবিরোধী ও শিক্ষকদের আন্দোলনে সমর্থন দিল বিএনপি
                                  

সরকারি চাকরিতে কোটাপদ্ধতি বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও পেনশন স্কিমের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আন্দোলনে বিএনপির সমর্থন রয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার (৬ জুলাই) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান মির্জা ফখরুল।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, একবিংশ শতাব্দীর এই সময়ে এসে প্রযুক্তি ও জ্ঞানভিত্তিক বৈশ্বিক ব্যবস্থায় টিকে থাকতে হলে মেধাভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই। তাই সাধারণ ছাত্র সমাজের কোটা সংস্কার আন্দোলনের ন্যায্য ও যৌক্তিক দাবিসমূহের সঙ্গে আমরা একমত।

২০১৮ সাল পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা প্রচলিত ছিল বাংলাদেশে। তার মাঝে ৩০ শতাংশই ছিল মুক্তিযোদ্ধা কোটা। বাকি কোটার মাঝে ১০ শতাংশ নারী কোটা, ১০ শতাংশ জেলা কোটা, ৫ শতাংশ কোটা ছিল ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের জন্য এবং এক শতাংশ কোটা ছিল প্রতিবন্ধীদের।

ওই বছরই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কারের দাবিতে কোটাবিরোধী আন্দোলন শুরু করে।
শিক্ষার্থীদের দাবি ছিল যে কোটা ৫৬ শতাংশ না হয়ে ১০ শতাংশ করা হোক। তাদের দাবির মুখে সে বছর পুরো কোটা পদ্ধতিই বাতিল করে একটি পরিপত্র জারি করেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

কিন্তু ২০২১ সালে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা ফিরে পাবার জন্য উচ্চ আদালতে রিট করেন এবং গত পাঁচই জুন প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সরকারি সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেয় হাইকোর্ট। তারপর হাইকোর্টের ওই রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
 

গত বৃহস্পতিবার সকালে কোটার পক্ষের এক আইনজীবীর আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানি করেনি আদালত। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ হাইকোর্টের এই রায় স্থগিত না করায় পূর্বের নিয়মানুযায়ী সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা আপাতত বহাল রয়েছে।

হাইকোর্টের রায়ের পর গত ৬ জুন থেকেই তা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। মাঝে কিছুদিন আন্দোলন চললেও ঈদুল আজহার কারণে ২৯ জুন পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত রাখেন শিক্ষার্থীরা। পরদিন ৩০ জুন থেকে ফের আন্দোলন শুরু করেন তারা।

অন্যদিকে সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় ‘প্রত্যয়’ স্কিম বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচিতে ক্যাম্পাসগুলো অচল হয়ে পড়েছে।

আজ শনিবার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে দলের অবস্থান জানানো সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি। সেখানে কথা বলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শিক্ষকদের পেনশন স্কিমে অংশ নেওয়ার বিরোধিতা করে শুরু করে আন্দোলনের কথা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, রাষ্ট্রীয় কোষাগার প্রায় শূন্য। ব্যাংকিং খাত প্রায় দেউলিয়া, এরকম লুটেরাতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখার জন্য এরকম পেনশন স্কিমের মতো আরো স্কিম চালু করে জনগণের পকেট শূন্য করতে চায় এই লুটেরা সরকার।

মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার তথাকথিত উন্নয়নের নামে জনগণের ঘাড়ে ব্যয়ের বোঝা চাপাচ্ছে। সরকারের উন্নয়নের বুলি যদি এতই শক্তিশালী হয়ে থাকে তাহলে পেনশন বৃদ্ধি পাওয়ার কথা। অতএব জনগণ সরকারের হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও অনৈতিক তথাকথিত পেনশন স্কিমসহ ইত্যকার সকল প্রকল্প প্রত্যাখ্যান করছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও কর্মচারীদের এই যৌক্তিক আন্দোলন সমর্থন করছি এবং অবিলম্বে এই পেনশন স্কিম প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছি।’

শনিবার ঢাকায় সমাবেশ, ৩ দিনের কর্মসূচি দিল বিএনপি
                                  

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আগামী শনিবার রাজধানী ঢাকায় সমাবেশ করবে বিএনপি। একই দাবিতে আগামী ১ জুলাই দেশের সকল মহানগরে এবং ৩ জুলাই জেলা সদরে সমাবেশ করবে দলটি।

বুধবার (২৬ জুন) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত যৌথসভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব  রুহুল কবির রিজভী, যুগ্মমহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, হাবিব উন নবী খান সোহেল, আবদুস সালাম আজাদসহ বিএনপি ও অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।


কর্মসূচি ঘোষণা করতে গিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের জনগণের সবচেয়ে প্রিয় নেতা সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া জটিল রোগে দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। তার শারীরিক অবস্থা এমন জায়গায় এসে পৌঁছেছে যে, যে কোনো সময় তার জীবনহানী হতে পারে। পরিকল্পিতভাবে একটি চক্রান্তের মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান বীরউত্তমকে হত্যা করা হয়েছিল। একইভাবে গণতন্ত্রের লেবাসে ক্ষমতা দখল করে থাকা আওয়ামী লীগ সরকার মিথ্যা ভিত্তিহীন মামলায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ফরমায়েশি সাজা; পরবর্তীকালে ৫ বছরের স্থলে ১০ বছর করা হয়।
জামিনযোগ্য হওয়া সত্ত্বেও তাকে জামিন দেওয়া হচ্ছে না। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশনেত্রীকে রাজনীতি থেকে ধূরে সরিয়ে রাখা।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপি সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনকে বেগবান করার। ইতোমধ্যে যুগপৎ আন্দোলনের সাথে জড়িত দেশের সকল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল বিবৃতি দিয়ে দেশনেত্রীর মুকি দাবি করেছে।
আমরা আশা করি, দেশের জনগণ এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত হবেন। আমরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনকে চূড়ান্ত অবস্থায় নিয়ে যেতে চাই।


কমসূচি ঘোষণা করে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিএনপির উদ্যোগে আগামী ২৯ জুলাই শনিবার বেলা ৩টায় রাজধানীর ঢাকার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ১ জুলাই সোমবার মহানগরে ও ৩ জুলাই জেলা সদরে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এই কর্মসূচি সফল করতে নেতাকর্মীসহ দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।

জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী আলহাজ্ব ডা: মুরাদ হাসানের সমাবেশে জনতার ঢল।
                                  

“সন্ত্রাস, দুর্নীতি, মাদক, বেকারত্ব, জঙ্গিবাদ ও রাজাকারমুক্ত সরিষাবাড়ী গড়তে সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব ডাক্তার মুরাদ হাসান এমপি’র বিশাল মুক্তিযোদ্ধা-জনতার মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

১৫ ই অক্টোবর (রোববার) বিকেলে রেলওয়ে ময়দানে সরিষাবাড়ী আওয়ামী পরিবারের ব্যানারে এ মহা সমাবেশ আয়োজন করা হয়।

মহাসমাবেশে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন পাঠানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব ডাক্তার মুরাদ হাসান এমপি।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সুজাত আলী ফকির, উপজেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক তাইফুল ইসলাম বাবুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক প্রভাষক খোরশেদ আলম ভিপি, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজল হোসেন, উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের সাবেক উপ-পরিচালক ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রতিনিধি বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান, এডভোকেট মতিউর রহমান তালুকদার স্মৃতি সংসদের সভাপতি সভাপতি আজমত আলী মাস্টার। 

অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন -সাবেক পৌর কাউন্সিলর কালাচাঁন পাল।

এ মহা সমাবেশে উন্নয়নের ধারা অব‍্যাহত রাখতে নৌকা প্রতীককে ভোট দিয়ে আবারও শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী করতে সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। বিশাল জনসভাটি মুরাদ এমপি ভক্ত ও নৌকা পাগল জনগণ জনসমুদ্রে তৈরি করেন।

মির্জা ফখরুল মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে উপহাস করেছেন: ওবায়দুল কাদের
                                  

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, বিএনপির তথাকথিত আন্দোলনকে মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে তুলনা করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধের প্রতি উপহাস করেছেন। যারা ক্ষমতায় এসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নসাৎ করেছে, স্বাধীনতা বিরোধীদের রাজনৈতিকভাবে পুনর্বাসিত করেছে তাদের মুখে মুক্তিযুদ্ধের কথা মানায় না। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। সূত্র: বাসসওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধ বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাসে শ্রেষ্ঠতম অধ্যায়। সামরিক ছাউনিতে গড়ে ওঠা রাজনৈতিক দল বিএনপি’র তথাকথিত আন্দোলনের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের তুলনা হতে পারে না। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই অপপ্রয়াস প্রমাণ করে তাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী অবস্থান।ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণের সম্মিলিত ইতিহাসের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে নতুন বয়ান তৈরির অপচেষ্টা বিএনপির ফ্যাসিবাদী মনোভাবের বহিপ্রকাশ। আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এদেশের স্বাধীনতা অর্জিত এবং তা অর্থবহ হয়েছে। স্বাধীনতার সুফল প্রত্যেকের ঘরে পৌঁছে দিতে আওয়ামী লীগ সর্বদা মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। বিপরীতে বিএনপির নেতৃত্বে স্বাধীনতা বিরোধী পরাজিত শক্তি সেই অগ্রযাত্রা বার বার বাধাগ্রস্ত করছে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ একটি গণতান্ত্রিক দল যারা কখনো নির্বাচন ব্যতীত ক্ষমতায় আসেনি। আমরা চাই সকল দলের অংশগ্রহণে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন। নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে জনগণের প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার গঠিত হবে। তিনি বলেন, বিগত দিনে নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিএনপি বিভিন্ন ধরনের অপকৌশল গ্রহণ করেছিল। তাদের গৃহীত অপকৌশলের কারণে নির্বাচন ও গণতন্ত্রে যে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে সেটার দায়ভার তাদের নিতে হবে। এসব কারণে বিএনপি জনগণের সামনে দাঁড়াতে ভয় পাচ্ছে এবং নিজেদের নির্বাচন আতঙ্ক কাটাতে তাদের নেতৃবৃন্দ প্রতিনিয়ত পাগলের প্রলাপ বকছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল নেতাকর্মীদের পণ করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। আবার বিএনপির রাজনৈতিক স্লোগান হলো ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’। তাহলে কি তাদের নেতাকর্মীরা পণ করে বিএনপি শাসনামলে দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত বাংলাদেশ পুনঃপ্রতিষ্ঠার মিছিলে অংশগ্রহণ করবে, প্রশ্ন করেন তিনি। তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিবের প্রতি আহ্বান জানাবো, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অব্যাহত অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত হয় এমন কর্মকাণ্ড থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরত থাকার পণ করানোর। তাহলে সেটা দেশ ও দেশের জনগণ সবার জন্য মঙ্গলজনক হবে।ত্রিশ লাখ শহীদ ও আড়াই লাখ মা-বোনের অবিস্মরণীয় আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে অর্জিত স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র কোনো অপশক্তির রাজনৈতিক প্রত্যয়ে ব্র্যাকেট বন্দী হতে দেবেন না বলে দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন ওবায়দুল কাদের। সম্পাদনা: শামসুল হক বসুনিয়া

৭ বছর পর ভাটারা থানা ছাত্রদল নতুন কমিটি অনুমোদন সভাপতি- রিয়াজ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক- ফয়সাল হোসেন রনি
                                  

ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের আওতাধীন ভাটারা থানা ছাত্রদলের কমিটি অনুমোদন দিয়েছে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সভাপতি মেহেদী হাসান রুয়েল ও সাধারণ সম্পাদক রাসেল বাবু।
গত ০৮-০৯-২০২৩ ইং তারিখে কেন্দ্রীয় সংসদের নির্দেশনয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ভাটারা থানা ছাত্রদলের ১১ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি অনুমোদন করেন।
১,সভাপতি-মোঃ রিয়াজ চৌধুরী, ২.সিনিয়র সহ-সভাপতি-মো:নাঈম হোসেন, ৩.সহ-সভাপতি আজিজুল ইসলাম, ৪. সাধারণ সম্পাদক-ফয়সাল হোসেন রনি, ৫.সি:যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাসেল ব্যাপারী, ৬.যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাব্বি ছোটন, ৭ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো:পিয়াল তালুকদার, ৮.যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান রাফি, ৯.যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাফিউল তুষার, ১০ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, ১১. সাংগঠনিক সম্পাদক মো:রাকিবুল ইসলাম রাকিব।
উক্ত নব গঠিত কমিটিকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে থানা কমিটি পূর্নাঙ্গ করে ছাত্রদল ঢাকা মহানগর উত্তরের দপ্তরে জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

দীর্ঘ ১৪বছর পর তেজগাঁও থানা ছাত্রদলের নব গঠিত কমিটি গঠন
                                  
ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদল এর সভাপতি মেহেদী হাসান রুয়েল ও সাধারণ সম্পাদক রাসেল বাবু গত- ৮-৯-২০২৩ইং তারিখ রাত ৮টায় সময় ১৪টি থানা ১টি কলেজে কমিটি অনুমোদন করেন।
তেজগাঁও থানা ছাত্রদল নবগঠিত কমিটির সভাপতি :- মোঃ আকতার হোসেন ফরাজী ও সাধারণ সম্পাদক ঃ মাহবুবুল ইসলাম রাজন কে দিয়ে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটির অনুমোদন করা হয়। 
তেজগাঁও থানা ছাত্রদল নবগঠিত কমিটির অনন্য পদে দায়িত্ব পেয়েছেন - 
১। সভাপতি :- মোঃ আকতার হোসেন ফরাজী 
২। সিনিয়র - সভাপতি ঃ  তরিকুল ইসলাম ড্যানিস 
সহ সভাপতি :- নাহিদুল ইসলাম অনিক, হারুনর রশীদ রুবেল, জহিরুল ইসলাম অমি, 
সাধারণ সম্পাদক :- মাহবুবুর রহমান রাজন,
সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক : মোঃ রাশেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক :- কাজী সোহেল রানা, মোঃ হোসেন অভী,সাইফুল ইসলাম, আমিনুর রহমান অন্তুু, জাকির হোসেন রকি,
সাংগঠনিক সম্পাদক ঃ  মোঃ আলী ইউসুফ আলভী 
সহ মোট ১৩সদস্য আংশিক কমিটির অনুমোদন করেন।
১০দিনের মধ্যে পূনাঙ্গ কমিটি গঠন করে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদল দপ্তরে জমা দেওয়ার  নির্দেশ দেওয়া হলো।
 
তেজগাঁও থানা ছাত্রদল নবগঠিত কমিটির সভাপতি বলেন:- বাংলাদেশ মানুষ তাদের ভোটারধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি বর্তমান সরকার আমলে , দ্রব্যমূল্য উর্ধ্বগতি , শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখন শিক্ষার পরিবেশ নেই তার একমাত্র কারণ হলো ছাত্রলীগের দখল দারিত্ব, বাংলাদেশের দেশ নায়ক জনাব তারেক রহমান নেতৃত্বে রাষ্ট্র ক্ষমতার পরিবর্তন চায়। এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল(বিএনপি)  ক্ষমতা দেখতে চায়।
এখন  বিশ্বের সকল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গুলো  বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার কে ক্ষমতা দেখতে চায় না। আমরা তরুণ প্রজন্ম এটা বুঝতে পারছি আওয়ামী লীগের  দুঃশাসন কতটা ভয়াবহ। আগামীতে বিএনপির কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান এর নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের সকল বাঁধা  উপক্ষেকা করে রাজপথে থাকবে তেজগাঁও থানা ছাত্রদল। তেজগাঁও থানা ছাত্রদল নবগঠিত কমিটির সকল নেতৃবৃন্দ ও কর্মীদের নিয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সাথে রাজপথে থাকবে তেজগাঁও থানা ছাত্রদল।
কিশোরগঞ্জে একশত আশি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে চাতলপাড়া মেঘনা নদীতে বাঙালপাড়া সংযোগ সেতু।
                                  
মহর আলী স্টাফ রিপোর্টার 
 
কিশোরগঞ্জ জেলা টি কে সারা দেশে ১২মাস চলাচলের উপযোগী করার সুবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মধ্যবর্তী মেঘনা নদীর উপর বাঙালপাড়া-চাতলপাড় সংযোগ  সেতুর নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। সংযোগ সেতুটি নির্মিত হলে হাওরাঞ্চলের মানুষ খুব সহজেই যে কোন যানবাহনে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ১২মাসই যাতায়াত করার সুবিধা পাবে।অন্যদিকে  দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে সাথে সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থার সফলতা ও পরিপূর্ণতা পাবে। ১৪ মে (রোববার) দুপুরে অষ্টগ্রাম উপজেলার বাঙালপাড়া ইউনিয়নের নোয়াগাও এলাকায় কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ভাটি এলাকার গণমানুষের নয়নের মনি ইঞ্জিনিয়ার  রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন এ সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায,  কিশোরগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আমিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও অষ্টগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা সায়েদুর রহমানের সঞ্চালনায় অষ্টগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হারুন-অর-রশিদ, অষ্টগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক বাচ্চু, নাসিরনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. রফি উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অসীম কুমার পাল, সাধারণ সম্পাদক লতিফ হোসেন, অষ্টগ্রাম উপজেলা প্রকৌশলী গোলাম সামদানী শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রথমসারির নেতারা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 
 
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ইটনা মিঠামইন অষ্টগ্রামের কর্ণধর ইঞ্জিনিয়ার  রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক। তিনি বলেন,সেতুটির একপ্রান্তে অষ্টগ্রাম উপজেলার বাঙালপাড়া ইউনিয়নের নোয়াগাও এবং অপর প্রান্তে নাসিরনগর উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়নের দূর্গাপুর ও বালিখলা এলাকা। এই সংযোগ সেতুটি নির্মিত হলে কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলারসহ সারাবছর দ্রুত যেই কোন যানবাহনে যোগাযোগ ব্যবস্থার পূর্ণতা পাবে । যার ফলে হাওরাঞ্চলের মানুষ খুব সহজেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করতে পারবে। ফলে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। সংযোগ সেতুটি নির্মিত হলে সারাদেশে অর্থনীতি ও যোগাযোগ ব্যবস্থার ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা  হবে। তিনি আরও বলেন, বঙ্গ কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা চিন্তাচেতনা মানুষের  সুখ-শান্তির ও কল্যাণে নিরলস ভাবে কাজ করছেন । বর্তমানের বাংলাদেশ  বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সুখি সমৃদ্ধ ডিজিটাল দেশ গড়ার দ্বারপ্রান্তে। 
 
কিশোরগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আমিরুল ইসলাম জানান, মেঘনা নদীর উপর বাঙাল পাড়া বনাম চাতলপাড় এক কিলোমিটারের এ সেতুটি নিমার্ণে প্রায় ১৭৮ কোটি টাকা ব্যয় হবে। ২০২৪,২০২৫ সালের মধ্যেই সেতুটির নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করার কথা রয়েছে। তমা কনস্ট্রাকশন প্রতিষ্ঠান সেতুটি নির্মাণ কাজের ঠিকাদারি দায়িত্বে রয়েছেন।
পূর্ব জাফলং ইউপি ছাত্রলীগের নব কমিটিতে বিবাহিত ও ছাত্রদল কর্মী
                                  

ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের ৫-এর গ ধারা অনুযায়ী বিবাহিত ব্যক্তি ছাত্রলীগের কমিটিতে স্থান পাবেন না। এর পরেও নবগঠিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গোয়াইনঘাট উপজেলার ৩নং পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্থান পেয়েছেন বিবাহিত ও সাবেক ছাত্রদলের কয়েকজন নেতাকর্মী। যে কারণে বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে উপজেলা জুড়ে। গতকাল বুধবার (১০ মে) ৬১ সদস্যবিশিষ্ট এই ইউনিয়ন কমিটির অনুমোদন দেন গোয়াইনঘাট উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সুফিয়ান আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রেজওয়ান রাজীব।

ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে নতুন কমিটির অনুমোদন,বিলুপ্ত পূর্বের কমিটি
                                  

মাহমুদুল হাসান

জাতীয় শ্রমিক লীগ ঢাকা মহানগর উত্তর এর সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির অনুমোদন পেয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন যাবত জাতীয় শ্রমিক লীগ ঢাকা মহানগর উত্তর এর কোন সাংগঠনিক কার্যক্রম না থাকায় সংগঠনকে গতিশীল ও শক্তিশালী এবং বিএনপি-জামাতের নৈরাজ্য, অগ্নী সন্ত্রাস ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে এই কমিটি দায়িত্বশীল ভূমিকা ও সাহসের সাথে পালন করবে বলে জানান।

ঢাকা মহানগর উত্তর জাতীয় শ্রমিক লীগ এর সম্মেলন প্রকৃতি কমিটির আহ্বায়ক মোঃ আজিজুল হাকিম ও সদস্য সচিব মোঃ ইকবাল হোসেন পলাশ এর নেতৃত্বাধীন ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি সম্মেলন করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব ওবায়দুল কাদের (এমপি) এর নির্দেশ ক্রমে এবং নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ন (এমপি) মন্ত্রী শিল্প মন্ত্রণালয়, এ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসাইন হুমায়ুন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বাংলাদেশ আওয়া লীগ, ড. মির্জা আব্দুল জলিল উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর সুপারিশ ক্রমে এই কমিটি জাতীয় শ্রমিক লীগের গঠনতন্ত্রের ১৫ এর (খ) ধারা অনুযায়ী আগামী ৬ (ছয়) মাসের জন্য অনুমোদন প্রদান করেছেন এবং তার পাশাপাশি পূর্বের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে

কী হতে চলেছে ১০ ডিসেম্বর?
                                  

 ঘোষণা ‘খেলা হবে’
১০ ডিসেম্বর যত ঘনিয়ে আসছে তত উত্তেজনা বাড়ছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। বিএনপির এ বিভাগীয় সমাবেশ ঘিরে নেতাদের মধ্যে চলছে উত্তপ্ত বাক্যবাণ। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতারা যেভাবে প্রতিদিন ‘খেলা হবে’ ঘোষণা দিচ্ছেন তাতে জনমনে শঙ্কা বাড়ছে আরও। এর আগেই ছাত্রলীগের কাউন্সিল ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সমাবেশ দুই পক্ষকে মুখোমুখি করবে বলে মনে করছেন অনেকে। কী হতে চলেছে তাহলে ১০ ডিসেম্বর? তা নিয়েও রয়েছে নানান গুঞ্জন।
আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির পূর্বঘোষিত ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ। এখান থেকেই ঘোষণা করা হবে আগামী দিনের কর্মসূচি। এর আগে ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন ও ৯ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সমাবেশ। প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের পদচারণায় মুখর থাকবে রাজধানী ঢাকা। এ অবস্থায় প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের নেতারা কথার যে উত্তাপ ছড়াচ্ছেন তাতে শঙ্কিত সাধারণ মানুষ।
ঢাকায় সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হবে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ। দলটির লক্ষ্য কয়েক লাখ নেতাকর্মীর জমায়েত। এর আগে ‘১০ ডিসেম্বরের পর দেশ চলবে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের কথায়!’ ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানের এমন বক্তব্যে তোলপাড় শুরু হয় রাজনৈতিক অঙ্গনে। এর মধ্যেই বিভাগীয় সমাবেশের স্থান নিয়ে বিএনপি ও সরকার মুখোমুখি অবস্থানে। দুই পক্ষই কঠোর অবস্থানে। রাজনৈতিক সংঘাত এড়াতে সরকার চাইছে তাদের ঠিক করে দেওয়া স্থান সোহরাওয়ার্দীতে সমাবেশ করুক বিএনপি। তবে নয়াপল্টনে সমাবেশের ব্যাপারে অনড়} দলটি, যা পরিস্থিতি ক্রমে আরও ঘোলাটে করে তুলছে।
সমাবেশের জন্য অনুমতি চাইলে সাধারণত জনসভার কয়েক ঘণ্টা আগে বিএনপিকে অনুমতি দেওয়া হয়। এবার ১১ দিন আগেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সরকার সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু নয়াপল্টনে সমাবেশ করার বিষয়ে এখনো অনড় বিএনপি। যদি শেষ পর্যন্ত তারা অনড় থাকে তাহলে সরকারের কঠোর বাধার মুখে পড়তে হবে স্বাভাবিকভাবেই।
১০ ডিসেম্বর নিয়ে যত গুঞ্জন
>> ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশে খালেদা জিয়া যোগ দেবেন।
>>বিএনপি রাজধানী দখল করে সরকারের পতন ঘটাবে।
>> বিএনপির কর্মসূচি সরকার হেফাজতে ইসলামের শাপলা চত্বরের কর্মসূচির মতো দমন করবে।
>> প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের রাজধানীতে উপস্থিতিতে তৃতীয়পক্ষ বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে।
>>পশ্চিমা বিশ্ব আওয়ামী লীগ সরকার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত ও বিশ্বস্ত বন্ধু ভারতও আওয়ামী লীগ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। আগামী ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। এই দিনে আমেরিকা বিভিন্ন দেশ ব্যক্তি-সংস্থার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার তালিকা প্রকাশ করে। এবারের নিষেধাজ্ঞা তালিকায় বাংলাদেশি এমপি-মন্ত্রী, ব্যবসায়ী-আমলাদের তালিকা দীর্ঘ হবে। প্রশাসন পেশাদার আচরণ করবে। ‘নির্বাচনকালীন সরকার’ প্রতিষ্ঠা পাবে।
>> পশ্চিমা বিশ্ব বিএনপির জন্য কাজ করবে না, তারা মূলত আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে নিজেদের চাওয়া-পাওয়ার বিষয় নিয়ে দেন-দরবার করার জন্য তারা চাপ দিচ্ছে।
>> দুই রাজনৈতিক দলের সমঝোতার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন হবে।
বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর নেতারা যা বলছেন
বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ বলেন, এটা আমাদের ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ কর্মসূচি। আমরা দুই মাস আগে কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। তারপরে ছাত্রলীগ, মহানগর আওয়ামী লীগ তাদের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। সরকার সংঘাতের পথ বেছে নিয়েছে। এর দায়ভার সরকারকে নিতে হবে। সরকারের এসব আচরণ জনগণ ভালোভাবে নিচ্ছে না।
১০ ডিসেম্বর সম্পর্কে সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি বলেন, সরকারের শক্ত অবস্থান পরিস্থিতি ঘোলাটে করেছে। পত্রিকায় দেখলাম প্রধানমন্ত্রী যশোর থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন। উনি করতে পারলে বিএনপি কেন পারবে না? তাদের অধিকার নেই? আমার মনে হয় আওয়ামী লীগের আগামী কাউন্সিল ঘিরে কিছু নেতা নিজেকে তুলে ধরার জন্য চেষ্টা করছেন। বিএনপির বিরুদ্ধে গরম গরম বক্তৃতা দিয়ে নিজেকে সোচ্চার দেখিয়ে তাদের ত্যাগ প্রমাণের চেষ্টা করছেন।
তিনি বলেন, ১০ ডিসেম্বরকে কেন্দ্র করে এতকিছু তো বলার প্রয়োজন নেই। আর সত্যি সত্যি যদি তাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য থাকে তারা অন্য পরিকল্পনা করছে, সেটা তো আপনার বক্তৃতা দিয়ে মোকাবিলা করা যাবে না। সেটা খুঁজে বের করেন। বিএনপি রাজনৈতিক দল, তারা কী করতে পারে? বিএনপি বলছে ১০ তারিখ বিভাগীয় সমাবেশে তারা আন্দোলনের রোডম্যাপ ঘোষণা করবে। সেটা আমরা দেখি কী হয়, কিন্তু সেটা কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ পাল্টাপাল্টি যেভাবে সমাবেশ করছে তাতে মনে হচ্ছে ডিসেম্বর মাস ঢাকা অচলের মাস।
‘সব পক্ষের কাছে কেন যেন মনে হচ্ছে যে নির্বাচন জানুয়ারি মাসে হচ্ছে। ১০ তারিখ কী হতে পারে? বিএনপি একটি সমাবেশ করবে। শেষ পর্যায়ে তারা সরকারকে হুঁশিয়ারি, পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিতে পারে, তারা নিজস্ব যে আন্দোলন গড়ে তুলতে চাচ্ছে তার রোডম্যাপ ঘোষণা করতে পারে।’
১০ তারিখ ঘিরে রাজনৈতিক সংঘাতের আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, এভাবে দুটি দল যদি তাদের নেতাকর্মীদের একে অপরের মুখোমুখি করিয়ে দেয়, সংঘাত বাঁধতেই পারে। সেরকম একটা সংঘাত দেশ ও রাজনীতির জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে বলে মনে করি না। ১০ তারিখ ঘিরে যদি সবাই মোড়ে মোড়ে লাঠিসোঁটা নিয়ে বসে পড়ে তাহলে সবাই হেরে যাবে।
তিনি বলেন, এক বছর ধরে শুনে আসছি বর্তমান সরকারের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্পর্কগুলোর যে কারণেই হোক ব্যালেন্স নেই। আন্তর্জাতিক বন্ধু যারা রয়েছেন তারা অসন্তুষ্ট। এই অসন্তুষ্টির কারণে বাংলাদেশে পরিবর্তন এলে তারা খুব বেশি নাকচ করবেন না। কারণ আমার শত্রুকে তুমি শত্রু না মনে করলে তুমি আমার মিত্র না।
বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের চেয়ারম্যান বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভালো নয়। স্বাধীনতার ৫০-৫২ বছর পর আমাদের এরকম হওয়া উচিত নয়। প্রত্যেক দিন যে আমরা বলছি- খেলা হবে, খেলা হবে। মানুষ তো তাতে শঙ্কিত হচ্ছে। মানুষের ওপর মানসিক চাপ পড়ছে। একটা দেশ তার জনগণের প্রতি চাপ সৃষ্টি করতে পারে না।
ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি এনডিপি চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা জাগো নিউজকে বলেন, একজন সমাবেশ করবে আর একজন বাধা দেবে- আমরা সংবিধান মানি কি না সেটা এখন প্রশ্ন। আমি সংঘাতের আশঙ্কা করছি, সন্তোষজনক কিছু দেখছি না।
গণতন্ত্র মঞ্চের শরিক গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকি বলেন, আওয়ামী লীগ বিভিন্নভাবে বাধার মাধ্যমে বিরোধীদলের শান্তিপূর্ণ সমাবেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এসব উপেক্ষা করে বিএনপির সমাবেশে ব্যাপক জনসমাগম দেখে সরকার ভীত। তারা রাজনৈতিক সমাবেশ ভন্ডুল করার জন্য কৌশল নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।

চা বাগান শ্রমিক-সংখ্যালঘু ভোটেই সংসদ সদস্য
                                  

 মৌলভীবাজার-৪

শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত জাতীয় সংসদের ২৩৮ নম্বর আসন মৌলভীবাজার-৪। টিলা, চা বাগান আর সংরক্ষিত বনাঞ্চল ঘেরা আসন এটি। ভোটারদের বড় একটি অংশ চা বাগানের শ্রমিক ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। সংসদ সদস্য কে হবেন সেটা অনেকটা নির্ভর করে তাদের ভোটের ওপর। এদিক থেকে এগিয়ে আওয়ামী লীগ। এই দুই সম্প্রদায়ের মানুষই এ আসনে তাদের বড় ভোটব্যাংক। গত তিন দশক এখানে টানা ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ।
সম্প্রতি মৌলভীবাজার-৪ ৃআসনের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভৈরবগঞ্জ বাজারে চায়ের দোকানে আড্ডায় উপস্থিত নাগরিকদের সঙ্গে এমপি এলাকায় আসেন কি না, রাজনৈতিক দলের নেতারা কেমন? আগামী নির্বাচনে কার অবস্থান কেমন, কাদের ভোট বেশি এসব বিষয়ে কথা হয় জাগো নিউজ টিমের।
আবদুর রশিদ নামে ষাটোর্ধ্ব এক ব্যক্তি বলেন, ‘নেতারা নির্বাচনে দোয়া নিবার লাগি আসে। দোয়া নেওয়ার পর জয়ী হলে তো আর কাজ থাকে না।’
মুরগির ফার্মের ম্যানেজার সোহেল (২৮) বলেন, এখানে বিএনপি-আওয়ামী লীগ দুই দলের নেতাদেরই একই অবস্থা, ভোট ছাড়া কেউ আসেন না।
পাশ থেকে সাইফুল নামে এক দিনমজুর বলেন, ‘এটা আওয়ামী লীগের আসন। সুষ্ঠু ভোট হলেও এখানে নৌকা পাস করে।’
সত্তরোর্ধ্ব সোহেল নামে এক দোকানি বলেন, ‘আমার বয়সে আমি আমাদের ভোটকেন্দ্রে দেখিনি নৌকা হারতে। কিন্তু এবার হারছে। শুধু আমাদের কেন্দ্রে ধানের শীষ পাস করছে।’
নৌকা জেতার কারণ কী? জানতে চাইলে আড্ডায় একাধিক লোক বলেন, ‘এখানে চা বাগান বেশি। এক সাইডে চা বাগান আরেক সাইডে বস্তি। বস্তিতে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি বিএনপিরও ভোট আছে বেশ কিছু। কিন্তু চা বাগানের শ্রমিকরা একচেটিয়া নৌকায় ভোট দেয়। এছাড়া এখানে বেশ কিছু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোক আছে। তাদের ভোটও নৌকায় পড়ে। যে কারণে নৌকা এগিয়ে থাকে সব সময়।’
বিষয়টি স্বীকার করেছেন ওই আসনের সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমার এখানে সব জাতি ধর্ম-বর্ণের লোকদের ভোট আছে। ৪৬টি চা বাগান। চা বাগানের শ্রমিকরা বেশিরভাগ আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়। বাগানের শ্রমিকরা আমাকে প্রাণ দিয়ে ভালোবাসে। আমি তাদের সব ধরনের সুযোগ সুবিধা দিচ্ছি। বাগানে একটা স্কুলও করে দিচ্ছি।’
এই আসনে আওয়ামী লীগের আরেক প্রার্থী অধ্যাপক রফিকুর রহমানও বলেন, ‘এখানে সংখ্যালঘু বেশি। চা শ্রমিক বেশি। তারা নৌকায় ভোট দেন। এখানে ৬০ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোটার। নৌকা নিয়ে যে আসবে, সেই ভোট পাবে। ব্যক্তিগত ক্রেডিট নেই।’
মৌলভীবাজার-৪ আসনে ১৯৯১ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দলীয় মনোনয়ন পেয়ে আসছেন এবং নির্বাচিতও হচ্ছেন উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ। টানা ছয়বার মনোনয়ন পাওয়া এবং নির্বাচিত হওয়ার সুযোগে তিনি ‘স্বৈরাচারী’ হয়ে উঠেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। পরিবার বা নিজের স্বার্থে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর বিরোধিতাও করেছেন। তবে আবদুস শহীদের দাবি, তিনি দলের নেত্রী ও জনগণের মন জয় করতে পেরেছেন বলেই মনোনয়ন এবং জয় পান।
এলাকা ঘুরে জানা যায়, মৌলভীবাজার-৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইবেন বর্তমান এমপি উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ, কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও তিনবারের উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক রফিকুর রহমান এবং মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মনসুরুল হক।
শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত জাতীয় সংসদের ২৩৮ নম্বর আসন মৌলভীবাজার-৪। এখানে মোট ভোটার ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৮৩০। ১ লাখ ৯৯ হাজার ৭৪২ পুরুষ এবং ১ লাখ ৯৯ হাজার ৮৮ জন নারী ভোটার।
ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, একাদশ জাতীয় সংসদ (২০১৮) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আব্দুস শহীদ পান ২ লাখ ১৬ হাজার ৬১৩ ভোট এবং বিএনপির মুজিবর রহমান চৌধুরী ৯৩ হাজার ২৯৫ ভোট পেয়েছেন।
১০ম সংসদ নির্বাচনে (২০১৪) আওয়ামী লীগের আবদুস শহীদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী।
৯ম সংসদ নির্বাচনে (২০০৮) আওয়ামী লীগের আবদুস শহীদ ১ লাখ ৩৪ হাজার ৭৪০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। বিএনপির মুজিবুর রহমান চৌধুরী পান ৭৯ হাজার ৫৯৯ ভোট।
৮ম সংসদ নির্বাচনে (২০০১) আওয়ামী লীগের আবদুস শহীদ পান ৯৬ হাজার ৩২৯ ভোট এবং মুজিবুর রহমান চৌধুরী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে পান ৭০ হাজার ৩৬৪ ভোট।
৭ম সংসদ নির্বাচনে (১৯৯৬) আওয়ামী লীগের আবদুস শহীদ ৯১ হাজার ৮১১ ভোট পান। জাতীয় পার্টির আহাদ মিয়া পান ৫৯ হাজার ৮২৫ ভোট।
৫ম সংসদ নির্বাচনে (১৯৯১) আওয়ামী লীগের আবদুস শহীদ পান ৭৫ হাজার ৩২১ ভোট এবং জাতীয় পার্টির আহাদ মিয়া পান ৬০ হাজার ২১৫ ভোট।

আগামী নির্বাচনে ফাইনাল খেলা হবে: ওবায়দুল কাদের
                                  

আগামী জাতীয় নির্বাচনে ফাইনাল খেলায় ফয়সালা হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘আন্দোলন আন্দোলন করতে করতে মির্জা ফখরুল সাহেব গলা শুকিয়ে ফেলছেন। কিন্তু মরা নদীতে তো জোয়ার আসে না। জোয়ার কি আসবে কখনো? কর্মীদের আন্দোলন দিয়ে সরকার হটানোর ইতিহাস নেই। এখনো আপনাদের সঙ্গে দলের নেতাকর্মীর বাইরে জনগণ যোগ দেয়নি। কোন মুখে বলেন ফয়সালা হবে? ফয়সালা হবে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ফাইনাল খেলায়। তখন দেখা যাবে কে হারে, কে জেতে।’
শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ছাত্রলীগ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। ছাত্রলীগের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিশ্ব পরিস্থিতিতে একটা সংকটময় অবস্থা চলছে। সারা বিশ্বেই অস্থিরতার মধ্যে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনিই প্রথম সরকারপ্রধান, যিনি বলেছেন জনগণ কষ্টে আছে। তার মানে বাস্তবতা স্বীকার করে নিয়েছেন। তারপরও এখানে আন্দোলনের হাঁক-ডাক শোনা যায়।’
তিনি বলেন, ‘রাজপথে এখন আপনারা কোন চক্রে আছেন, আমরা জানি। টেমস নদীর ওপার থেকে দণ্ডিত অর্থপাচারকারী, অপরাধী যুবরাজ হাঁক-ডাক দিচ্ছে। সেই ডাকে টেমস নদীতে ঢেউ উঠেছে কি না, জানি না। তবে পদ্মা, মেঘনা, যমুনায় ঢেউ নেই। বিএনপির শুকিয়ে যাওয়া নদীতে জোয়ার আর আসে না। চিৎকার যত পারেন করুন, ফয়সালা হবে নির্বাচনে।’
বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘রাজপথে হুমকি দিয়ে লাশ ফেলতে চান? আপনারা লাশ ফেলার দুষ্টচক্রে ঢুকে গেছেন। লাশ ফেলে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন কোনো আন্দোলনে ফয়সালা বিরোধী দল করতে পারেনি। সরকার হটাবেন? জনগণ সাড়া দিক, কই তা তো দেখি না। এখনো কোথাও জনগণ সাড়া দেওয়ার কেউ নেই। জনগণ কারও সঙ্গে মারামারি করে না। আপনাদের আন্দোলন মানেই হচ্ছে নিজেরা নিজেরা মারামারি। আপনাদের বিক্ষোভ মানেই হচ্ছে পুলিশের দোষ, পুলিশের ওপর হামলা। পুলিশের ওপর হামলা পুলিশ আত্মরক্ষা করবে না?’
কাদের বলেন, ‘আপনাদের হাতে রক্তের দাগ। মির্জা ফখরুল আপনাকে সতর্ক করে দিতে চাই। ২১ হাজার আওয়ামী লীগকর্মী, আহসান উল্লাহ মাস্টার, মঞ্জুরুল ইমাম, শাহ এ এম এস কিবরিয়া, এদের রক্তে আপনাদের হাত রঞ্জিত। আমরা আপনাদের কাউকে হত্যা করিনি। হত্যা ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে আমরা বিশ্বাস করি না। আমাদের নেত্রী ২০ বার হত্যার টার্গেটে পড়েছেন, কিন্তু খালেদা জিয়াকে কেউ মারতে যায়নি। কাকে অপবাদ দেন?’
তিনি বলেন, ‘যখনই আইনমন্ত্রী বললেন কমিশন হবে, সঙ্গে সঙ্গেই বলে জিয়াউর রহমান হত্যার তদন্তে কমিশন হবে। এ কমিশন ক্ষমতায় গেলে হবে, কবে? ক্ষমতায় যখন ছিলেন, তখন কেন করলেন না? তাহলে নিশ্চয়ই আপনাদের মধ্যেও অনেকেই আছেন জিয়াউর রহমানকে হত্যার পেছনে দূরভিসন্ধি আছে, চক্রান্তও আছে। তা না হলে কেন কমিশন করলেন না? লাশের কাহিনীও সবাই জানে। আমার প্রশ্নের জবাবে ফখরুল সবসময় নিরুত্তর।’

রাজনীতিতে ‘অলঙ্ঘনীয় দেওয়াল’, ভাঙবে কে?
                                  

আগস্ট মাস এলেই আওয়ামী লীগ নেতারা দাবি করেন, রাজনীতিতে একটা অলঙ্ঘনীয় দেওয়াল তৈরি হয়েছে। ১৫ আগস্টের খুনিদের এবং ২১ আগস্টের হামলাকারীদের সহায়তা করে এই দেওয়াল তৈরি করেছে বিএনপি। আসলেই কি তাই? যদি তাই হয়, তবে বর্তমান সংকটকালে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশ রক্ষা এবং আসন্ন নির্বাচন আয়োজনে রাজনীতির এই দেওয়াল অতিক্রম করা প্রয়োজন।
এই দেওয়াল অতিক্রমের দায়িত্ব বিএনপির কাঁধেই দিচ্ছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতারা। তারা বলছেন, এই দেওয়াল ধ্বংস করে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার হাতিয়ার কেবল বিএনপির হাতেই রয়েছে। ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড এবং ২১ আগস্ট ঘটনায় সম্পৃক্ততার জন্য ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি ভবিষ্যতে এমন কাণ্ডে যুক্ত হওয়া থেকে বিরত থাকার প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।
তারা নিজেদের সব ব্যর্থতা, লজ্জা লুকানোর জন্য এবং জনরোষ থেকে দৃষ্টি ফেরানোর জন্য নতুন নতুন গল্প বানায়। কারণ অনুসন্ধান চালিয়ে নিজের ঘরের লোকের বিচার করার সাহস, শক্তি এবং সততা আওয়ামী লীগের নেই। এজন্য তারা এরকম বয়ান তৈরি করে তাদের অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখে এবং দীর্ঘায়িত করে।
একই পরামর্শ বিশিষ্টজনদের। তারা বলছেন, দেওয়ালটি মূলত অনাস্থার, অবিশ্বাসের। এটি অতিক্রম করার জন্য উভয়পক্ষকে সংবেদনশীল হতে হবে। বিএনপি এবং তাদের সহযোগীদের এক্ষেত্রে এগিয়ে আসা দরকার।
তবে বিএনপির দাবি, রাজনীতিতে কোনো দেওয়াল নেই। এটা আওয়ামী লীগের তৈরি কল্পকাহিনি। তারা এরকম বয়ান তৈরি করে অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখে এবং দীর্ঘায়িত করে। এটা তাদের একটা মিথ্যা বয়ান।
কয়েক বছর ধরেই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলে আসছেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটা অলঙ্ঘনীয় দেওয়াল উঁচু হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এই দেওয়াল আমাদের কর্ম সম্পর্কের পথে গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই দেওয়ালের সৃষ্টি হয়েছে ৭৫’র ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা এবং ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য গ্রেনেড হামলার মধ্য দিয়ে। তারপরও এই অলঙ্ঘনীয় দেওয়াল কীভাবে ভাঙবো। আমাদের চেষ্টার কমতি ছিল না। এতো কিছুর পরও খালেদা জিয়ার ছেলের মৃত্যুর পর শেখ হাসিনা তার বাড়িতে ছুটে গিয়েছিলেন, কিন্তু দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ২০১৪ সালের আগে শেখ হাসিনা গণভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন খালেদা জিয়াকে। তিনি ঘৃণাভরে গালাগাল করে যে ভাষা প্রয়োগ করেছিলেন...
জাতির পিতাকে হত্যা এবং ২১ আগস্ট জাতির পিতার কন্যাকে হত্যা প্রচেষ্টার সঙ্গে জিয়াউর রহমান ও তার পরিবারের সম্পৃক্ততা এবং এই জঘন্য কর্মের প্রতি আপামর বিএনপির সমর্থন বাংলাদেশের রাজনীতি ও জাতি গঠন প্রক্রিয়ায় সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা। এ এক অলঙ্ঘনীয় শক্ত দেওয়াল।
এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য উভয়পক্ষকে সংবেদনশীল হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘দেওয়ালটা হচ্ছে অনাস্থার দেওয়াল, অবিশ্বাসের দেওয়াল। এই দেওয়াল যদি আমাদের অতিক্রম করে যেতে হয়, তাহলে যারা ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বর এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের মতো জঘন্য ঘটনাগুলোর সঙ্গে যুক্ত; তাদেরই প্রধান দায়িত্ব যে, এই ধরনের বিশ্বাসঘাতকতা, এই ধরনের হত্যাকাণ্ড তারা আর ভবিষ্যতে করবে না- সেই পরিবেশ সৃষ্টি করা। কারণ এটা তো স্বাভাবিক, আওয়ামী মনে করছে— আমাদের তো শেষ করে দিতে চেয়েছিল। যারা আমাদের শেষ করে দিতে চেয়েছে বার বার, তাদের সঙ্গে কতটা বিশ্বাস নিয়ে আমরা কাজ করতে পারবো! এটা বড় ধরনের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে আমাদের রাজনীতিতে একটা সুসম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে। এখন দুপক্ষকেই হয়তো অনেক বেশি সংবেদনশীলতার পরিচয় দিতে হবে, তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিএনপি এবং তাদের সহযোগী যারা ছিল এই ষড়যন্ত্রে, তাদের আজ এগিয়ে আসা দরকার।’
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন জাগো নিউজকে বলেন, ‘জাতির পিতাকে হত্যা এবং ২১ আগস্ট জাতির পিতার কন্যাকে হত্যা প্রচেষ্টার সঙ্গে জিয়াউর রহমান ও তার পরিবারের সম্পৃক্ততা এবং এ জঘন্য কর্মের প্রতি আপামর বিএনপির সমর্থন বাংলাদেশের রাজনীতি ও জাতিগঠন প্রক্রিয়ায় সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা। এ এক অলঙ্ঘনীয় শক্ত দেওয়াল।’
তিনি বলেন, ‘এই দেওয়াল ধ্বংস করে জাতিকে ন্যূনতম জাতীয় ইস্যুতে ঐক্যবদ্ধ করার হাতিয়ার কেবল বিএনপির হাতেই রয়েছে। প্রথমত তাদের এই পৃথিবীর নির্মমতম ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড এবং ২১ আগস্ট ২৪ জন আওয়ামী লীগ নেতার হত্যা ও জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাপ্রচেষ্টার সঙ্গে বিএনপির শীর্ষ পরিবারের সম্পৃক্ততার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে, এ ঘটনার নিরপেক্ষ বিচার প্রক্রিয়াকে সহযোগিতা ও সমর্থন করতে হবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস ও মূল্যবোধের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে ভবিষ্যতে দেশবিরোধী যে কোনো কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকা ও যে কোনো দেশবিরোধী অপশক্তির প্রতি কোনো প্রকার সমর্থন দান থেকে বিরত থাকতে হবে। এই মৌলিক বিষয়গুলোতে বিএনপি ইতিবাচক হলে ভবিষ্যতে বিভাজনের মহাপ্রাচীর ধ্বংস হতে পারে।’
 নিয়ে বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা জাগো নিউজকে বলেন, যখন নিজের ঘরের শত্রু বিভীষণ হবে। নিজের ঘরের শত্রু নিজের ঘরে আগুন জ্বালাবে, কিন্তু সেটা বলার মতো সাহস, সততা এবং শক্তি আপনার থাকবে না। তখন আপনি চেষ্টা করবেন দোষটা আশপাশের পড়শি বা দূরের কারও ঘাড়ে চাপানোর, যাদের সঙ্গে আপনার বিরোধ আছে। আওয়ামী লীগের হয়েছে সেই অবস্থা। ’৭৫ এ বিএনপির জন্মই হয়নি। তার বহু বছর পরে বিএনপির জন্ম। ’৭৫ ঘটিয়েছে খন্দকার মোশতাক ও তাহরে উদ্দিন ঠাকুর। ’৭৫ এর পরে মোশতাকের মন্ত্রিসভায় বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভার ১৯ জন মন্ত্রী শপথ নিয়েছিলেন। সফিউল্লাহ সেনাপ্রধান ছিলেন, তিনি বলেছিলেন, বঙ্গবন্ধুকে পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যেতে। একটা ফোর্স নিয়েও তিনি আগানোর চেষ্টা পর্যন্ত করেননি। সেই সময় বিমানবাহিনী প্রধান ছিলেন এ কে খন্দকার, তিনি কি আঙুল চুষছিলেন? তাকে তো আওয়ামী লীগ পরিকল্পনামন্ত্রী বানিয়েছে। সফিউল্লাহকে বানিয়েছে এমপি। যারা প্রেক্ষাপট তৈরি করেছে, সেই জাসদ আছে আওয়ামী লীগের সঙ্গে।
তিনি বলেন, আমার প্রশ্ন হচ্ছে কয়েক বছর ধরে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কথায় কথায় বলেন, আওয়ামী লীগের এত নেতাকর্মী ‘৭৫ এর ১৫ আগস্ট কোথায় ছিলেন? তার সঙ্গে আমিও এই প্রশ্ন ছুড়ে দিলাম- আওয়ামী লীগ সে সময় কী করেছে? তখন তো বিএনপির জন্মই হয়নি। এখন আপনার নিজের লোককে চিহ্নিত করার সাহস ও সততা আপনার নেই। বরং আপনি স্বস্তিদায়ক অবস্থানে থাকেন, যখন বিরোধীদের ঘাঁড়ে দোষটা চাপাতে পারেন।
২১ আগস্টের দায় সম্পর্কে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘২০০৪ সালের ২১ আগস্টের সময় বিএনপি ক্ষমতায় ছিল। ক্ষমতায় থাকলেই যদি এ ধরনের ঘটনার দায় নিতে হয়, তাহলে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পুরো দায় আওয়ামী লীগকে নিতে হবে। কোনো দল সরকারে থাকা অবস্থায় চায় না, সে সরকার অস্থিতিশীল হয়ে যাক। ২১ আগস্ট ঘটিয়ে বিএনপির কী লাভ হতো? বিএনপি কি পাগল ২১ আগস্ট ঘটাতে যাবে? বিএনপির সঙ্গে ২১ আগস্ট হামলার কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। এমনকি ১/১১ সরকার যারা বিএনপিকে ধ্বংস করার সব রকম চেষ্টা করেছে, যেই সরকার আওয়ামী লীগের আন্দোলনের ফসল, যেই সরকার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তের মধ্য দিয়ে ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসিয়ে দিয়ে গেছে- সেই সরকারও তো কোনো দিন বলেনি ২১ আগস্টের ঘটনার সঙ্গে বিএনপি জড়িত।’
কেন ১৫ এবং ২১ আগস্টের সঙ্গে বিএনপির সম্পৃক্ততার প্রশ্ন আসে? কারণ হিসেবে বিএনপির এই নেত্রী বলেন, তারা নিজেদের সব ব্যর্থতা, লজ্জা লুকানোর জন্য এবং জনরোষ থেকে দৃষ্টি ফেরানোর জন্য নতুন নতুন গল্প বানায়। কারণ অনুসন্ধান চালিয়ে নিজের ঘরের লোকের বিচার করার সাহস, শক্তি এবং সততা আওয়ামী লীগের নেই। এজন্য তারা এরকম বয়ান তৈরি করে তাদের অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখে এবং দীর্ঘায়িত করে। এটা তাদের একটা মিথ্যা বয়ান।

আমরা রাজপথের পুরাতন খেলোয়াড় : ওবায়দুল কাদের
                                  

বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমরা রাজপথের পুরাতন খেলোয়াড়। বিএনপি তো এই পথে নতুন।বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার (৮ আগস্ট) সকালে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে কাদের এসব কথা বলেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর যেকোনো ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি রাজপথে মোকাবিলা করা হবে। রাজপথে মোকাবিলা হবে, ফয়সালা হবে।
বিএনপিকে আগুন নিয়ে না খেলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আগুন নিয়ে খেলতে আসলে পরিণাম হবে ভয়াবহ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ মুজিব বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির পিতা হতে পেরেছেন তার পাশে সহযোদ্ধা, সহযাত্রী হিসেবে ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের মতো মহীয়সী নারী ছিলেন বলেই। তার মতো প্রজ্ঞা ও ধৈর্যশীল নারী না থাকলে একটি জাতিকে স্বাধীনতা এনে দেওয়া জাতির পিতার জন্য দুরূহ হতো।
শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ১ মিনিট নিরবতা পালন করে আওয়ামী লীগ। পরে বঙ্গমাতা ও ১৫ আগস্টের হত্যাযজ্ঞে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করেন তারা। এ সময় জাতির শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শাজাহান খান, খায়রুজ্জামান লিটন, ড. আব্দুর রাজ্জাক, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ড.হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর প্রমুখ।

চূড়ান্ত আন্দোলনে ধীরে চলো নীতি
                                  

তৃণমূল থেকে বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের চাপ থাকা সত্ত্বেও আপাতত কঠোর কর্মসূচিতে যাচ্ছে না বিএনপি। ভোলায় পুলিশের হামলায় দুই নেতা নিহত হওয়ার পরও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতেই আছেন তারা।
ঘোষণা করা হয়েছে শোক ও বিক্ষোভ কর্মসূচি। এসব কর্মসূচিতে যাতে বিশৃঙ্খলা বা সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দলটির নীতিনির্ধারকরা জানান, সরকারবিরোধী আন্দোলন নিয়ে অতীতে তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে। সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছাড়া সরকার বা বিভিন্ন শক্তির প্রলোভনে পড়ে হটকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যার নেতিবাচক ফল আমরা পেয়েছি। কিন্তু এবার খুব ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। চূড়ান্ত আন্দোলনে অনেকটাই ধীরে চলো নীতিতে দলের হাইকমান্ড।
তাদের মতে, ভোলায় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশের হামলা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। সেখানে এমন কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি যার জন্য এভাবে গুলি চালাতে হবে। একটি পরিস্থিতি তৈরি করে বিএনপিকে এখনই রাজপথে নামানোর কৌশল হতে পারে। তাই আমরাও এবার সে ফাঁদে পা দেব না। আপাতত ইস্যুভিত্তিক নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচি, দল গোছানো আর বৃহত্তর ঐক্যেই গুরুত্ব দেওয়া হবে।
জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর  বলেন, অনেকে জানতে চান কবে কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। তাদের কথা শুনে আমি অবাক হই। বিএনপি তো আন্দোলনের মধ্যেই আছে। সরকারের নানা ব্যর্থতায় আমরা রাজপথেই প্রতিবাদ করছি। আন্দোলন মানে তো গাড়ি ভাঙচুর, জ্বালাও-পোড়াও নয়। আমরা এসবে বিশ্বাস করি না। জনগণও সেটা চায় না। আমরা চাই সরকারবিরোধী একটি গণআন্দোলন। সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করর্ছি। বৃহত্তর ঐক্য তৈরিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করছি। গণঅভ্যুত্থান ছাড়া এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে হটানো সম্ভব হবে না।
তিনি বলেন, বিএনপির সব সময় গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাসী। কিন্তু সরকার তার গোয়েন্দা বাহিনী দিয়ে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করে সব সময় বিএনপির ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা করে। অতীতে আমরা সরকারের এমন নীলনকশা দেখেছি। সরকার একটা বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করে বিএনপিকে আন্দোলনে উসকে দিতে চাইছে। কিন্তু আমরা সরকারের কোনো উসকানিতে পা দেব না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সময়মতো চূড়ান্ত আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
জানা গেছে, ভোলায় পুলিশি হামলার পরপরই দলের নীতিনির্ধারকরা রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। পুরো পরিস্থিতি মূল্যায়ন ও পর্যবেক্ষণ করেন তারা। বৈঠকে প্রায় সব নেতাই একমত হন, এ ঘটনার পেছনে সরকারের কোনো পরিকল্পনা রয়েছে। তারা মনে করেন, এর পেছনে সরকারের মূলত দুটি উদ্দেশ্য থাকতে পারে। এক, যে কোনো ভাবে এই মুহূর্তে বিএনপিকে রাজপথে নামাতে চায় সরকার। এমন বার্তা তাদের কাছে রয়েছে।
দ্বিতীয়ত, রাজপথে নামলে সরকার কতটা কঠিন হতে পারে বিরোধী দলগুলোকে এমন বার্তা দেওয়া। তবে সরকার যে কৌশলই নিক আমাদের ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এ মুহূর্তে ইস্যুভিত্তিক শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সরকারবিরোধী জনমত তৈরির দিকেই গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলে নেতারা মত দেন। তারা জানান, কঠোর কর্মসূচি দিলেই সংঘাত ও সহিংসতা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
এতে দলের সাধারণ নেতাকর্মীরা নতুন করে মামলা-হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তাছাড়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রায় দেড় বছর বাকি। নির্বাচনকালীন সরকারের দাবিতে এত আগে মাঠে নামলে ফল নিয়ে ঘরে ফেরা কঠিন হবে। আন্দোলনের ফল এবার যাতে ঘরে আনা যায় সেই কৌশলেই এগোতে হবে।
দলটির নীতিনির্ধারকরা জানান-দুর্নীতি, অনিয়ম আর সবশেষ ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা নাজুক। দ্রব্যমূলের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতি, লোডশেডিংয়ে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস। জনগণ সরকারের ওপর ক্ষুব্ধ। জন ক্ষোভকে ভিন্ন খাতে নিতে সরকার নানা কৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে। বিএনপিকে রাজপথে নামিয়ে তাদের ব্যর্থতার দায় বিএনপির ঘাড়ে চাপাতে চাইছে। কিন্তু বিএনপি সে পথে পা বাড়াবে না। তাছাড়া দেশের এমন পরিস্থিতিতে হরতাল, অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হলে জনদুর্ভোগ আরও বাড়বে। জনগণের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করেও এই মুহূর্তে কঠোর আন্দোলনে না যাওয়ার পক্ষে হাইকমান্ড।
বিএনপির দুজন নীতিনির্ধারক বলেন, ভোলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভের নামে কোথাও যেন সহিংসতা না হয় এ ব্যাপারে সব স্তরের নেতাদের বার্তা দেওয়া হয়। মিছিলকে কেন্দ্র করে তৃতীয় কোনো পক্ষ যাতে ভাঙচুর চালিয়ে বিএনপির ওপর দায় চাপাতে না পারে সেদিকে সতর্ক থাকতে দায়িত্বশীল নেতাদের বলা হয়। হাইকমান্ডের এমন বার্তা পাওয়ার পর সারা দেশে বিক্ষোভ হলেও কোথাও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। এমনকি ভোলা জেলা ছাত্রদল সভাপতির মৃত্যুর পরও কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
নয়াপল্টনে তার জানাজা ঘিরে উত্তেজনা সৃষ্টি হতে পারে কিন্তু সেটা যাতে সংঘর্ষে রূপ না নেয় সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখেন কেন্দ্রীয় ও অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ নেতারা। কেউ যাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘাতে না জড়ান সেটা তারা দেখভাল করেন। পুলিশ যেখানে দায়িত্ব পালন করে তার আশপাশে কেন্দ্রীয় ও অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এছাড়া নয়াপল্টনের বিভিন্ন গলি ও সড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টেও ছিল তাদের কড়া নজরদারি। ফলে শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হয় জানাজা।
জানাজা থেকে ৩ দিনের শোক ও ৩ দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে জনগণকে সম্পৃক্ত করার পাশাপাশি বিদেশিদের সমর্থন আদায়ে কাজ করে যাচ্ছেন দলটির নেতারা। এদিকে ভোলায় নেতাদের হত্যা এবং সরকারের নানা ব্যর্থতার প্রতিবাদে দলের কট্টরপন্থি সিনিয়র নেতা ও তরুণ নেতাদের একাংশ এখনই হার্ডলাইনে যাওয়ার পক্ষে। তারা মনে করেন, কঠোর কর্মসূচি পালন করলে সারা দেশে নেতাকর্মীদের মনোবল আরও চাঙ্গা হবে। ক্ষমতাসীন দল ও বিদেশিদের কাছেও একটি বার্তা পৌঁছে যাবে।
এজন্য এ অংশটি কঠোর কর্মসূচির পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। সম্প্রতি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক আলোচনা সভায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য চলাকালে নেতাকর্মীরা উচ্চৈঃস্বরে ‘হরতাল, হরতাল’ বলে চিৎকার করেন। এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, আগে রাস্তা দখল করতে হবে।
এ বিষয়ে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকার নানাভাবে বিএনপি ও নেতাকর্মীদের উসকানি দিচ্ছে। নির্যাতন করছে। গুলি চালিয়ে হত্যা করছে। কিন্তু এরপরও তারা সরকারের ফাঁদে পা দেবে না। শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি চালিয়ে জনগণকে আরও সম্পৃক্ত করা হবে। এর ধারাবাহিকতায় তারা কঠোর আন্দোলনে যাবেন।

সরকার নয়, বিএনপি চোখে সর্ষে ফুল দেখছে: কাদের
                                  

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন— সরকার নয়, চোখে সর্ষে ফুল দেখছে বিএনপি। সামনে যখন আরও প্রকল্পের উদ্বোধন হবে তখন বিএনপি নেতারা চোখে সর্ষে ফুল ছাড়া আর কিছুই দেখতে পাবেন না।
বুধবার (২০ জুলাই) সকালে রাজধানীর সেতুভবনে ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন সেতুমন্ত্রী। ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকার চোখে সর্ষে ফুল দেখছে’ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এমন বক্তব্যের প্রসঙ্গে টেনে এ কথা বলেন তিনি।
পদ্মাসেতু হয়ে যাওয়ায় বিএনপি নেতাদের যে অন্তর জ্বালা বেড়েছে তা এখনো কমেনি বরং দিনদিন বাড়ছে এমন মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সমানেই আসছে তরুণ প্রজন্মের মেট্রোরেল, কর্ণফুলীতে বঙ্গবন্ধু টানেলসহ অনেক মেগাপ্রকল্প, তাই বিএনপি নেতারা চোখে শুধু সর্ষে ফুলই দেখতে পাচ্ছেন। সামনে যখন এসব প্রকল্পের উদ্বোধন হবে তখন তারা চোখে সর্ষে ফুল ছাড়া আর কিছুই দেখতে পাবেন না।
বিদ্যুৎ নিয়ে সাময়িক যে সংকট সেটা নাকি সীমাহীন দুর্নীতির কারণে হয়েছে এবং এ সংকট নাকি সরকারের পতনের দিকে নিয়ে যাবে— বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার পতনের যে দিবাস্বপ্ন বিএনপি দেখছে সেটা অচীরেই দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে।
দুর্নীতিতে সিদ্ধহস্ত বিএনপি নেতারা সবকিছুতেই দুর্নীতির গন্ধ খুঁজে বেড়ান। সবকিছু নিয়ে মিথ্যাচার করা বিএনপির এখন দৈনন্দিন রুটিন হয়ে গিয়েছে। দেশবাসী জানেন বিশ্বব্যাপী এখন জ্বালানি সংকট দেখা দিয়েছে এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এ সংকটকে আরও প্রকট করেছে।
যুদ্ধের প্রভাবে জ্বালানি মার্কেট চরম অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে, এ পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতি যাতে বড় ধরনের কোনো ক্ষতির সম্মুখীন না হয় সে লক্ষ্যে সরকারকে আগেভাগেই কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে বলে জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা বিশ্বব্যাপী এ সংকটের কোনো সমাধানের কথা না বলে বরং দুর্নীতির কাল্পনিক অভিযোগ তুলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছে এবং দুরভিসন্ধিমূলক শান্ত জনগণকে উস্কে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু বিএনপির এসব মিথ্যাচার আর ষড়যন্ত্র জাতির কাছে এখন স্পষ্ট। বিএনপির কথা মানুষ এখন আর বিশ্বাস করে না। যেকোনো সংকট ও দুর্যোগে আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব আজ পরীক্ষিত।
তিনি বলেন, করোনা সংকট মোকাবিলায় যেখানে বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ হিমশিম খেয়েছে সেখানে শেখ হাসিনা সরকার অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে এ সংকট মোকাবিলা করে দেশের অর্থনীতিকে সচল রেখেছে।
দেশবাসী ভালো করেই জানেন, যেকোন সংকট মোকাবিলায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ অন্য যেকোন দলের থেকে অনেক এগিয়ে। কাজেই মিথ্যাচার আর অপপ্রচার করে জনগণকে উস্কে দেওয়ার যে ষড়যন্ত্র বিএনপি করছে সে ফাঁদে দেশবাসী পা দেবে না। অতীতেও জনগণ শেখ হাসিনা সরকারের ওপর আস্থা রেখেছে এবং এখনো রাখছে।
বিশ্ব পরিস্থিতি ও বাস্তবতা বিএনপি অনুধাবন করতে না পারলেও জনগণ ঠিকই বিষয়টি অনুধাবন করে সরকারকে সহযোগিতা করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অল্প সময়ের মধ্যেই এ সংকটের সমাধান হবে ইনশাআল্লাহ।


   Page 1 of 1
     রাজনীতি
কোটাবিরোধী ও শিক্ষকদের আন্দোলনে সমর্থন দিল বিএনপি
.............................................................................................
শনিবার ঢাকায় সমাবেশ, ৩ দিনের কর্মসূচি দিল বিএনপি
.............................................................................................
জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী আলহাজ্ব ডা: মুরাদ হাসানের সমাবেশে জনতার ঢল।
.............................................................................................
মির্জা ফখরুল মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে উপহাস করেছেন: ওবায়দুল কাদের
.............................................................................................
৭ বছর পর ভাটারা থানা ছাত্রদল নতুন কমিটি অনুমোদন সভাপতি- রিয়াজ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক- ফয়সাল হোসেন রনি
.............................................................................................
দীর্ঘ ১৪বছর পর তেজগাঁও থানা ছাত্রদলের নব গঠিত কমিটি গঠন
.............................................................................................
কিশোরগঞ্জে একশত আশি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে চাতলপাড়া মেঘনা নদীতে বাঙালপাড়া সংযোগ সেতু।
.............................................................................................
পূর্ব জাফলং ইউপি ছাত্রলীগের নব কমিটিতে বিবাহিত ও ছাত্রদল কর্মী
.............................................................................................
ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে নতুন কমিটির অনুমোদন,বিলুপ্ত পূর্বের কমিটি
.............................................................................................
কী হতে চলেছে ১০ ডিসেম্বর?
.............................................................................................
চা বাগান শ্রমিক-সংখ্যালঘু ভোটেই সংসদ সদস্য
.............................................................................................
আগামী নির্বাচনে ফাইনাল খেলা হবে: ওবায়দুল কাদের
.............................................................................................
রাজনীতিতে ‘অলঙ্ঘনীয় দেওয়াল’, ভাঙবে কে?
.............................................................................................
আমরা রাজপথের পুরাতন খেলোয়াড় : ওবায়দুল কাদের
.............................................................................................
চূড়ান্ত আন্দোলনে ধীরে চলো নীতি
.............................................................................................
সরকার নয়, বিএনপি চোখে সর্ষে ফুল দেখছে: কাদের
.............................................................................................

|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
প্রকাশক: রিনা বেগম
প্রধান সম্পাদক : মো: হাবিবুর রহমান
প্রকাশক কতৃক ৫১/৫১ এ পুরানা পল্টন থেকে প্রকাশিত । সোনালী প্রিন্টিং প্রেস ২/১/এ ইডেন ভবন ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত । বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয় : ৫১/৫১ এ পুরানা পল্টন (৪র্থ তলা) , ঢাকা - ১০০০।
ফোন: ০২২২৩৩৮০৮৭২ , মোবাইল: ০১৭১১১৩৬২২৬

Web: www.bhorersomoy.com E-mail : dbsomoy2010@gmail.com
   All Right Reserved By www.bhorersomoy.com    
Dynamic SOlution IT Dynamic POS | Super Shop | Dealer Ship | Show Room Software | Trading Software | Inventory Management Software Computer | Mobile | Electronics Item Software Accounts,HR & Payroll Software Hospital | Clinic Management Software Dynamic Scale BD Digital Truck Scale | Platform Scale | Weighing Bridge Scale Digital Load Cell Digital Indicator Digital Score Board Junction Box | Chequer Plate | Girder Digital Scale | Digital Floor Scale