এ এস আই সোহেল সমাচার
স্টাফ রিপোর্টার
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) সার্কেল-১, মিরপুর কার্যালয়ে দালাল ও বহিরাগত দ্বারা গ্রাহক হয়রানি ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে আকস্মিক অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন সময়ে প্রতারক চক্রের অনেককেই বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও বিভিন্ন ধরনের সাজা দিয়েছেন। বিআরটিএ’র ভ্রাম্যমাণ আদালত। এখন অনেকটাই দালাল শূণ্য দেখা যায় মিরপুর বিআরটিএ দপ্তর । যার সার্থকতার মূল নায়ক বিআরটিএ নতুন চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইয়াসিন । জানা যায়, আওয়ামী ফ্যাসিবাদ সরকার ক্ষমতা থেকে চলে যাবার পর বিভিন্ন সময়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট যৌথ অভিযান, মিরপুর বিআরটিএ পরিচালক ও ডিডি এদের সহযোগিতায় দালালদের ধরার অভিযান করে আসছিলো তাঁরা। যার ফলে বর্তমানে মিরপুর বিআরটিএ দালাল নেই বললেই চলে। এই সুযোগ নিয়ে মিরপুর বিআরটিএ সুনাম নষ্ট করার এক পায়তারা করে যাচ্ছে কাফরুল থানার এএসআই সোহেল। জানা যায় আওয়ামী সরকার ক্ষমতার থাকা কালীন এএসআই সোহেল অপরাধের স্বর্গরাজ্য গড়ে তোলেন মিরপুর বিআরটিএ তে। তাছাড়া কাফরুল থানার এএসআই সোহেল ছাত্র আন্দোলনে স্বৈরাচারী সরকারের পক্ষ নিয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের উপর হামলার তথ্যও পাওয়া যায়। কাফরুল থানার এই এ এস আই সোহেল বিআরটিএ তথা (বাংলাদেশ রোড ট্রান্সফার অথরিটির) মিরপুরের নির্বাহী পরিচালকের অভিযানে আটককৃত দালালদের থানায় নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব পালন করে আসছেন। যার ফলে মিরপুর বিআরটিএ সকলের পরিচিত মুখ হিসেবে চিহ্নিত এএসআই সোহেল। নিজের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে মিরপুরের দালালী কাজ করতেন বলে জানা যায়। স্বৈরাচারী সরকারের ক্ষমতা চলে যাবার পর থেকেই বিভিন্ন সময়ে কাফরুল থানার এ এস আই সোহেলের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন সাধারণ জনগণ। সেবা নিতে আসা অনেক গ্রহীতা আমাদের কাছে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেন। যেখানে এ এস আই সোহেল মিরপুর বিআরটিএ কে অর্থ উপার্জনের স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলেন বলে জানা যায়। উপরের মহলের আশীর্বাদ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা হওয়ায় অনেক সময় বিআরটিএর অফিস সহকারী কিংবা কর্মকর্তারা এএসআই সোহেলের কর্মকাণ্ডে মুখ খুলতেন না। আরো জানা যায়, ফ্যাসিবাদী সরকার পতনের পর সোহেলের বদলি অর্ডার হয়েছে। কিন্তু উপরের মহলের আশীর্বাদে এখনো কাফরুল থানায় বহাল রয়েছেন এএসআই সোহেল। জানা যায় এ এস আই সোহেল তার এই ক্ষমতা টিকে রাখতে এখনো তার থানার কিছু পুলিশ কর্মকর্তাকে মাসিক মাসোহারা দিয়ে চলেন। যার ফলে বদলি হবার পরেও এখনো পূর্ণদায়িত্বে রয়েছে এএসআই সোহেল। নিজের অস্তিত্ব ধরে রাখতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতি ছাড়াই আশেপাশের লোকজন ধরে বিআরটিএ হাজত খানায় ঢুকিয়ে রাখেন। পরবর্তীতে লোক বুঝে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তাদেরকে ছেড়ে দিতেন। যার প্রমান রয়েছে সাংবাদিকদের হাতে।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায় এএসআই সোহেল পুলিশের পোষাক খুলে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিআরটিএ তে দালালি করে বেড়ায়। তার দালালি করার সুযোগ দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে কাফরুল থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এ এস আই আইনি নিয়মে বিআরটিএ তে কাজ করে যাচ্ছেন। আমাদের কাছে এর চেয়ে বেশি খবর নেই। তাছাড়া তার বদলির বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপরস্থ কর্মকর্তারা বলতে পারবেন আমি জানি না।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআরটিএ হেড অফিসের প্রশাসন শাখার পরিচালক (অডিট ও আইন) মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম চৌধুরী এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, সঠিক প্রমাণ থাকলে নিশ্চয়ই আমাদের চেয়ারম্যান মহোদয় বিষয়টি নজরে নিবেন।
|
স্টাফ রিপোর্টার
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) সার্কেল-১, মিরপুর কার্যালয়ে দালাল ও বহিরাগত দ্বারা গ্রাহক হয়রানি ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে আকস্মিক অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন সময়ে প্রতারক চক্রের অনেককেই বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও বিভিন্ন ধরনের সাজা দিয়েছেন। বিআরটিএ’র ভ্রাম্যমাণ আদালত। এখন অনেকটাই দালাল শূণ্য দেখা যায় মিরপুর বিআরটিএ দপ্তর । যার সার্থকতার মূল নায়ক বিআরটিএ নতুন চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইয়াসিন । জানা যায়, আওয়ামী ফ্যাসিবাদ সরকার ক্ষমতা থেকে চলে যাবার পর বিভিন্ন সময়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট যৌথ অভিযান, মিরপুর বিআরটিএ পরিচালক ও ডিডি এদের সহযোগিতায় দালালদের ধরার অভিযান করে আসছিলো তাঁরা। যার ফলে বর্তমানে মিরপুর বিআরটিএ দালাল নেই বললেই চলে। এই সুযোগ নিয়ে মিরপুর বিআরটিএ সুনাম নষ্ট করার এক পায়তারা করে যাচ্ছে কাফরুল থানার এএসআই সোহেল। জানা যায় আওয়ামী সরকার ক্ষমতার থাকা কালীন এএসআই সোহেল অপরাধের স্বর্গরাজ্য গড়ে তোলেন মিরপুর বিআরটিএ তে। তাছাড়া কাফরুল থানার এএসআই সোহেল ছাত্র আন্দোলনে স্বৈরাচারী সরকারের পক্ষ নিয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের উপর হামলার তথ্যও পাওয়া যায়। কাফরুল থানার এই এ এস আই সোহেল বিআরটিএ তথা (বাংলাদেশ রোড ট্রান্সফার অথরিটির) মিরপুরের নির্বাহী পরিচালকের অভিযানে আটককৃত দালালদের থানায় নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব পালন করে আসছেন। যার ফলে মিরপুর বিআরটিএ সকলের পরিচিত মুখ হিসেবে চিহ্নিত এএসআই সোহেল। নিজের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে মিরপুরের দালালী কাজ করতেন বলে জানা যায়। স্বৈরাচারী সরকারের ক্ষমতা চলে যাবার পর থেকেই বিভিন্ন সময়ে কাফরুল থানার এ এস আই সোহেলের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন সাধারণ জনগণ। সেবা নিতে আসা অনেক গ্রহীতা আমাদের কাছে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেন। যেখানে এ এস আই সোহেল মিরপুর বিআরটিএ কে অর্থ উপার্জনের স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলেন বলে জানা যায়। উপরের মহলের আশীর্বাদ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা হওয়ায় অনেক সময় বিআরটিএর অফিস সহকারী কিংবা কর্মকর্তারা এএসআই সোহেলের কর্মকাণ্ডে মুখ খুলতেন না। আরো জানা যায়, ফ্যাসিবাদী সরকার পতনের পর সোহেলের বদলি অর্ডার হয়েছে। কিন্তু উপরের মহলের আশীর্বাদে এখনো কাফরুল থানায় বহাল রয়েছেন এএসআই সোহেল। জানা যায় এ এস আই সোহেল তার এই ক্ষমতা টিকে রাখতে এখনো তার থানার কিছু পুলিশ কর্মকর্তাকে মাসিক মাসোহারা দিয়ে চলেন। যার ফলে বদলি হবার পরেও এখনো পূর্ণদায়িত্বে রয়েছে এএসআই সোহেল। নিজের অস্তিত্ব ধরে রাখতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতি ছাড়াই আশেপাশের লোকজন ধরে বিআরটিএ হাজত খানায় ঢুকিয়ে রাখেন। পরবর্তীতে লোক বুঝে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তাদেরকে ছেড়ে দিতেন। যার প্রমান রয়েছে সাংবাদিকদের হাতে।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায় এএসআই সোহেল পুলিশের পোষাক খুলে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিআরটিএ তে দালালি করে বেড়ায়। তার দালালি করার সুযোগ দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে কাফরুল থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এ এস আই আইনি নিয়মে বিআরটিএ তে কাজ করে যাচ্ছেন। আমাদের কাছে এর চেয়ে বেশি খবর নেই। তাছাড়া তার বদলির বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপরস্থ কর্মকর্তারা বলতে পারবেন আমি জানি না।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআরটিএ হেড অফিসের প্রশাসন শাখার পরিচালক (অডিট ও আইন) মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম চৌধুরী এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, সঠিক প্রমাণ থাকলে নিশ্চয়ই আমাদের চেয়ারম্যান মহোদয় বিষয়টি নজরে নিবেন।
|
|
|
|
মাহমুদুল হাসান
ক্যাসিনো দুর্নীতি সহ বিভিন্ন দুর্নীতি ও বহির্ভুত সম্পদ অর্জনের জন্য জাতীয় গৃহায়ণ মিরপুর বিভাগের উপ বিভাগীয় ডিপ্লোমা প্রকৌশলী রাদিউজ্জামান রাজু ওরফে রাতুল। এর পাশাপাশি একই অফিসের দুর্নীতি ও অনিয়ম করে মোটা অংকের অর্থের সম্পদের পাহাড় গড়েছেন সহকারী প্রকৌশলী মো. শাহরিয়ার জনি। মিরপুর গৃহায়ণের অফিসটি ওই দুই প্রকৌশলী কাছে জিম্মি হয়ে রয়েছে।
সাধারণ কর্মকর্তার ও কর্মচারীরা অভিযোগ করে জানান, তারা দিনের পর দিন ফাইল আটকে রেখে ঘোষ বাণিজ্য করেন। তারা এই অফিসে চাকুরি শুরু থেকে বর্তমান পর্যন্ত ঘুষ দুর্নীতি ও বিভিন্ন অনিয়ম করে সাধারণ মানুষের টাকা আত্মসাৎ করে নিজেরা কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছেন। এছাড়াও ঢাকা ও ঢাকার বাহিরে অটেল সম্পদের মালিক। তারা আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দুর্নীতিও অনিয়ম করে এখনও চাকুরিতে বহালতবিয়তে রয়েছে। ওই অফিস থেকে স্বেচ্ছায় চাকুরি ছেড়ে দেওয়া সুমন নামে ব্যক্তি জানান, রাজু ওরফে রাতুল, জনি ও প্রকৌশলী সোহেল রানা তিনজন মিলে আওয়ামীলী সরকারের আমলে প্রচুর দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন। দুর্নীতির অভিযোগে প্রকৌশলী সোহেল রানাকে অবশেষে সিলেট বিভাগে বদলি করেন।
অপর দুই দুর্নীতিবাজ রাজু ও জনি এখনো মিরপুর গৃহায়ণের অফিসে বহাল তবিয়তে আছেন। সংশ্লিষ্ট বিভাগের উপদেষ্টা ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না ? আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিল তারা। তারাই আবার বর্তমানে বিএনপি ও জামাতের নাম ভাঙ্গিয়ে চাকরিতে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। ২১ সালের ২০ সেপ্টেম্বরের দুূুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত স্মারক নম্বর-০০০১.০০০০৫.০২.০১.১০১.১৯.২২৯৭৬ নোটিশের কার্যক্রম আজও অবধিঅমিংমাংসিত রয়েছে। টনক নড়েনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের । এর পিছনে কি রহস্য লুকিয়ে রয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে ,দীর্ঘ সময় অতিক্রম হলেও কোন তদন্তহয়নি রাদিউজ্জামান রাজু ওরফে রাতুল অভিযোগের বিষয়। এক সময়ের আলোচিত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার চাচা,শেখ কবিরের ডান হাত হিসেবে পরিচিত রাদিউজ্জামান সিন্ডিকেটের গং। এখন ও বহাল তবিয়তে মিরপুর গৃহায়নে কর্মরত আছেন। সংশ্লিষ্ট অফিসিয়াল মাধ্যমে জানা যায়, প্রকৌশলী রাজু নিয়ম বহির্ভূত ভাবে আট থেকে দশ বছর একই জায়গায় কর্মরত এবং প্রকৌশলী শাহরিয়ার জনি তার চেয়ে কম সময়ে চাকুরিতে কর্মরত আছেন। রাদিউজ্জামান ও শাহরিয়ার জনির অনিয়ম –দুর্নীতির তথ্য ওই অফিসের সাধারণ কর্মকর্তা ও কর্মচারী এমনকি বিভিন্ন গ্রাহকের কাছে ছড়িয়ে পড়েছে।
এক সময়ের আলেচিত ক্যাসিনো দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত হলেও রয়েছেন ধরা ছোয়ার বাইরে । তাদের সিন্ডিকেট রাজধানীর মিরপুরে অবৈধভাবে নির্মিত বাড়ি,জমি জায়গা সংক্রান্ত বিষয় গুলো ধামাচাপা দিয়ে অথবা কাগজে সংশোধন করে দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এই চক্রটি। এই চক্রের সদস্যদের পরিবারসহ বিলাস বহুল জীবন যাপনের নমুনাও দেখা যায়। ঢাকার মিরপুর সহ ঢাকার বাহিরেও রয়েছে নামে ও বেনামে কোটি কোটি টাকার সম্পদ।
একাধিক সূত্রে অভিযোগে জানা গেছে , দুদকের ক্যাসিনো মামলাটি ৬০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ফাইল টি ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে। ভুক্তভোগী নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বলেন, বিগত সরকারের আমলে আমার এক আত্মীয়ের প্লটের ত্রুটি দেখিয়ে ২ কোটি টাকা নিয়েছেন। তারা প্রতিদিনই কোন না কোন সমস্যা দেখিয়ে সমাধানের জন্য, তারা হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা।
ক্যাসিনো দুর্নীতিসহ অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনে নোটিশ কারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশিদ চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান। পরবর্তীতে তিনি নিজেই প্রকাশ করেন এবং বলেন, বিষয়টি রাজনৈতিক ভাবে ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে। পরে তিনি মূল ঘটনাটি খুলে বলেন। ৬০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ফাইলটি গোপন রাখতে বাধ্য হয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি অভিযোগটি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, মামলাটি এখনো নিষ্পত্তি হয়নি । বর্তমানে আবারো তদন্ত হচ্ছে তদন্তের শেষে বিস্তারিত জানো হবে।
অভিযুক্ত কাছে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,বিষয়টি রাজনৈতিক ভাবে মামলাটি হয়েছে। তবে ওই বিষয়ের সাথে আমি জড়িত নয়। এখন দুদকের কর্মকর্তারা তদন্ত করছেন তারা যে রিপোর্ট দিবে সেই রিপোর্টের উপরে নির্ভর আছি। এই বিষয়ে কোন প্রকার টাকা লেনদেন করেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন। নোটিসের পরিবর্তে অফিস থেকে চিঠি পেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে বলেন থাকলেও আমি আপনাকে কেন দিব।
সাধারণ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এবং গ্রাহকদের অভিযোগ এইসব দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা এই অফিসে থাকলে গ্রাহকরা দেউলিয়া হয়ে যাবেন। তাই সংশ্লিষ্ট বিভাগের উপদেষ্টা ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের কাছে আমাদের আকুল আবেদন এসব দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলীও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
|
|
|
|
মাহমুদুল হাসান
ঢাকা আফতাবনগর পাসপোর্ট অফিসে ঘুস-দুর্নীতির যেন শেষ নেই। দুর্নীতি রোধে মাঝে মাঝে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা শোনা গেলেও কিছুদিন পরই দেখা যায় সবকিছু চলছে আগের মতোই। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর পাসপোর্ট অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ একদিকে কড়াকড়ি করলে আরেকদিকে খুলে যায় দুর্নীতির নতুন পথ। বিশেষ করে নতুন এক ভিন্নমাত্রায় আফতাবনগর পাসপোর্ট অফিস যেন দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। এসব অফিসে দালালদের দিয়ে ফাইল মার্ক করে চলে ঘুসের কারবার। যার প্রমান রয়েছে সাংবাদিকদের হাতে।
আফতাবনগর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে বৈধ পথে আসলে কেউ নাকি পাসপোর্ট করতেই পারে না। এমন সংবাদের ভিত্তিতে জাতীয় দৈনিক ভোরের সময় রিপোর্টার অনুসন্ধান করতে মাঠে নামে। নিয়ম অনুযায়ী একটি নতুন পাসপোর্ট করতে গেলে অনেক কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়। যেখানে গ্রাহকের পরিচয় পত্র,বাবা- মার পরিচয় পত্র,জন্ম সনদ,ভাড়াটিয়া হলে অফিসের আইডি কার্ড কিংবা চাকুরীর প্রত্যয়ন পত্র এবং নিজ বাসার ইউনিটি বিল ইত্যাদি আরো অনেক কিছুর প্রয়োজন। এখন প্রশ্ন হল এ সকল মূল্যবান কাগজপত্র না থাকলে কি করা যায় নতুন পাসপোর্ট? তাই জাতীয় পরিচয় পত্রের সাথে মিল রেখে আমরা একটি নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করি। যেই আবেদনে ছবি এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেওয়ার তারিখ ছিল ৩০ অক্টোবর। যথাযথ সময়ে আফতাবনগর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে এসে উপস্থিত হন নতুন পাসপোর্ট নবায়নকারী। প্রথমেই বলেছি নতুন পাসপোর্ট তৈরি করতে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। আমরা তা জেনেও একটি কাগজ(জব আইডি কার্ড) ইচ্ছাকৃতভাবে ফাইলে সাথে না দিয়ে নিচতলার কাউন্টারে জমা করি। সঙ্গে সঙ্গে সেই কাউন্টারে দায়িত্বে থাকা একজন অফিস সহকারী ফাইলে জব আইডি কার্ড না দেখতে পেয়ে আবেদনটি সেদিনকার জন্য বাতিল করে এবং তিনি জানান পরিপূর্ণ কাগজ সংযোজন করে পরবর্তী দিনে এসে আবার ফাইলটি জমা দেওয়ার জন্য। এখন আমাদের ভিন্ন রাস্তা খুজার পালা। যেভাবেই হোক আমরা চেষ্টা করব কিভাবে কাগজ ছাড়া একটি পাসপোর্ট তৈরি করতে পারি। পাসপোর্ট অফিস থেকে বের হবার পর দেখা হলো এক দালালের সাথে। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেন জব আইডি কার্ড ছাড়াই তিনি আমাদের পাসপোর্ট তৈরিতে সাহায্য করবেন। কিন্তু কিভাবে কি তা জানতে চাইলে তিনি জানান ২,০০০ টাকা লাগবে। তার এমন কথা শুনে মুহূর্তের মধ্যেই আমরা রাজি হয়ে গেলাম এবং ১,৬০০ টাকার বিনিময়ে তার সাথে ডিট করে ফেললাম। অতএব তিনি আমাদেরকে জানালেন আগামীকাল ০১ সেপ্টেম্বর সকালের এসে তাকে যেন কল করি। অর্থাৎ নির্ধারিত তারিখের একদিন পর আমরা আবার জব আইডি কার্ড কাগজ ছাড়াই ফাইল টি জমা করব। অনেক প্রশ্নের ঘুরপাক খেতে লাগলো মাথায়। এমন প্রশ্নের উত্তর জানতে গত ১ সেপ্টেম্বর আবার রামপুরা আফতাব নগর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে টিম ভোরের সময়। নির্ধারিত সময়ে এসে কল করলাম সেই দালালের কাছে। তিনি জানান পাসপোর্ট অফিসের অপর পাশে ৮ নাম্বার এভিনিউ এক নাম্বার রোডে হাতের বা পাশে স্টার কম্পিউটার এন্ড স্টেশনারি দোকান রয়েছে সেখানে আসতে। তার কথা অনুযায়ী আমরা দোকানটিতে প্রবেশ করা মাত্রই সে আমাদের কাছ থেকে ফাইটি চেয়ে নেয় এবং দোকানের স্টাফ কম্পিউটার অপারেটরের কাছে আমার ফাইলটি দেয়। তখন কম্পিউটার অপারেটর ইমন আমার ফাইলের প্রথম পাতায় জন্ম তারিখের উপর একটি কলমের চিহ্ন(মার্ক) ও তৃতীয় পাতায় সংযুক্ত দলিলাদির তালিকার বাম পাশে আরেকটি কলমের চিহ্ন(মার্ক) করে ফাইটি হাতে দেয়। কাজ সম্পন্ন হয়ে গেলে আমাদের কাছ থেকে ১,৬০০ টাকা নিয়ে নেয়। এখন আমাদের ফাইল নিয়ে পাসপোর্ট অফিসের ভিতরে ঢোকার পালা। অফিসে ঢোকার আগে দালাল আমাদেরকে জানায় সরাসরি দ্বিতীয় তালার ২০১ নম্বর রুমে ফাইলটি জমা দিবেন। দালালের কথা অনুযায়ী আমরা ২০১ নম্বর রুমে প্রবেশ করি। প্রথমে দায়িত্বে থাকা একজন আনসার সদস্য ইমরান আমার ফাইলটি দেখে ২০১ নাম্বার রুমের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী পরিচালক এই টেবিলে ফাইলটি জমা দেয়। সেই রুমের দায়িত্ব থাকা উপ-সহকারী পরিচালক মুসলিমা বেগম কোন কিছু চিন্তা না করে কলমের কালির চিহ্ন(মার্ক) দেখে আমার ফাইলটি সই করে এবং ৩০৪ নাম্বার রুমে গিয়ে ছবি ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে বলে। অতঃপর আমাদের কাজ শেষ। নিয়ম অনুযায়ী জরুরী একটি কাগজ ছাড়াই আমাদের পাসপোর্ট তৈরি করতে সহযোগিতা করলেন দালাল ও অফিস সহকারি। কি কেন কিভাবে অর্থের বিনিময়ে কাজটি করল তা জানতে সরাসরি দালাল ও অফিস সহকারীর মুখোমুখি টিম ভোরের সময়।
প্রথমে পরিচয় হওয়া যাক সেই দালালের সাথে। কবির হোসেন। থাকেন রামপুরায়। আফতাব নগর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের দালালীর কাজের বয়স তিন বছর। দেখলে মনে হয় না ভাজা মাছটা উল্টিয়ে খেতে পারে। কিন্তু তার কাজের হাত অনেক উপরে। কি না করতে পারে! একটি পাসপোর্ট তৈরিতে কারো বয়স বাড়ানো কমানো ইত্যাদি আরো অবৈধ অনেক কাজের সাথে জড়িত এই দালাল কবির। আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কাছাকাছি বেশ কয়েকটি কম্পিউটারের দোকান রয়েছে। এ সকল প্রতিটি দোকানেই রয়েছেন ডজনখানেক দালাল। কবিরের মত আরো অনেক দালালের পরিচয় উঠে এসেছে। একজনের নাম খবির আরেকজন রাসেল অন্য একজন বাহার। কিছুক্ষণ আগে যেই ফাইলটির জন্য কবিরকে ১,৬০০ টাকা দেওয়া হয়েছিল সেই ফাইলটির বিষয়ে সরাসরি কবিরকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানাল প্রতিটি ফাইলের জন্য অফিসকে ১,৩০০ টাকা করে দিতে হয়। তাছাড়া মার্ক করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান ষ্টার কম্পিউটার এন্ড স্টেশনারি দোকানের মালিক মহসিন ভাইয়ের কম্পিউটারের দোকানের স্টাফ ইমনকে দিয়ে মার্ক করাই। কখনো কখনো ফাইল এর কোথাও কলমের কালির চিহ্ন(মার্ক), কখনো ব্যক্তির মেইল আইডি নাম্বার দিয়ে সংকেত প্রদান করি। এ সকল সংকেতের চিহ্ন অফিস সহকারী দেখলেই বুঝতে পারে এক একটি ফাইল যেন টাকার খাম। তারপর নির্ধারিত রুমে ফাইলটি জমা হলেই অফিস সহকারীরা চিহ্নিত করতে পারেন এবং দ্রুত কাজটি সম্পূর্ণ করে থাকেন। আমাদের বিষয়টিও দালাল কবিরের কথা মতই হয়েছিল। আমরা যখন ফাইলটি মার্ক করে ২০১ নম্বর রুমে জমা করি তখনই কবিরের কথামতো আমাদের কাজ সম্পন্ন হয়। এমন প্রশ্নের উত্তর জানতে আফতাবনগর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের ২০১ নাম্বার রুমে টিম ভোরের সময়। জানিয়ে রাখি ২০১ নাম্বার রুমের দায়িত্বে উপ সহকারী পরিচালক মুসলিমা বেগম। অল্প কিছুদিন হলো আফতাবনগর আঞ্চলিক পাসপোর্ট এসে যোগদান করেন। ফাইল মার্ক করার বিষয়ে মুসলিমা বেগম জানান তিনি এই বিষয়ে কিছুই জানেন না। যদি তিনি না জানেন, তাহলে কিভাবে জব আইডি কার্ড কাগজ ছাড়া ফাইটি সই করে ছেড়ে দিলেন। তাছাড়া ফাইটি সই করার আগে কার ফাইল,কেন তার কাছে নিয়ে এসেছে, কি জন্য কোন কিছুই জানতে চায় নি কেনো তা একটি প্রশ্ন থেকে যায়। এ সকল প্রশ্নের সঠিক জবাব দিতে পারেননি ২০১ নম্বর রুমের দায়িত্বে থাকা অফিস সহকারি উপ-সহকারী পরিচালক মুসলিমা বেগম। ততক্ষণই আমরা যা বুঝার বুঝে গিয়েছি ফাইলের মার্ক দেখে তিনি সই করে দিয়েছেন।
আফতাব নগর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ পরিচালক শরিফুল ইসলাম সাথে কথা বলি আমরা। শুরু থেকে কিভাবে অতি প্রয়োজনীয় একটি কাগজ ছাড়া টাকা দিয়ে ফাইলে চিহ্ন(মার্ক) নিয়ে একটি পাসপোর্ট করা যায় তা শুনেন এবং রীতিমতন চমকে যান দায়িত্ব থাকা উপ-পরিচালক শরিফুল ইসলাম। অতএব তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যারা যারা এই মার্ক করার পেছনে জড়িত তাদের সকলকেই কর্মের ফল পেতে হবে। তিনি আরো জানান বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর থেকে সুন্দর সমাজ গড়ে উঠবে এটাই তাদের প্রত্যাশা।
|
|
|
|
মাহমুদুল হাসান
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে স্বৈরাচারী সরকার পতনে গোটা দেশ যখন অস্থিতিশীল বিরাজমান তখনই বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন বিআরটিএ আইন, ২০১৮ এবং সড়ক পরিবহন বিধিমালা, ২০২২–এর কিছু ধারা অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিআরটিএর মোটরযান পরিদর্শক বা অন্য কোনো ব্যক্তিকে কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা প্রদানের বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে অনুমোদিত হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে সড়ক পরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে সড়ক-মহাসড়কে কিছু অপরাধের বিরুদ্ধে এখন থেকে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারবেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কর্মকর্তারা। গত সোমবার সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের এক আদেশের মাধ্যমে এ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
বিআরটিএ সূত্রে জানা গেছে, আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতাপ্রাপ্ত এই কর্মকর্তারা হলেন মোটরযান পরিদর্শক, সহকারী পরিচালক ও উপপরিচালক। এই কর্মকর্তারা অভিযান পরিচালনা বা আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পুলিশ এখনো ঠিকভাবে দায়িত্বে ফেরেনি। এ অবস্থায় সড়ক-মহাসড়কে আইনের প্রয়োগ শিথিল হয়ে পড়েছে। এ জন্যেই বিআরটিএর কর্মকর্তাদের ক্ষমতা প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিআরটিএ সূত্র বলছে, মোটরযান আইন-২০১৮-এ বিআরটিএর কর্মকর্তাদের সড়কে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া আছে। এই ক্ষমতাবলে মূলত মোটরযান পরিদর্শকেরা মামলা করতে পারতেন। তবে এর প্রয়োগ ছিল না। শুধু নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অধীন তাঁরা দায়িত্ব পালন করতেন। নতুন আদেশের ফলে মোটরযান পরিদর্শকের পাশাপাশি সহকারী পরিচালক ও উপপরিচালকেরাও আইনের প্রয়োগ করতে পারবেন। শুধু তা–ই নয়, এখন বিআরটিএ কর্মকর্তারা মামলার পাশাপাশি জরিমানাও করতে পারবেন।
বিআরটিএ সূত্র বলছে, সংস্থাটির লোকবলের সংখ্যা প্রায় ৯০০। এর মধ্যে পরিদর্শক, সহকারী পরিচালক ও উপপরিচালকের সংখ্যা সারা দেশ মিলিয়ে দেড় শর মতো। ফলে এত যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হলে লোকবল বাড়াতে হবে। অনেকটা মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর এবং এনবিআরের মতো অভিযান দল গঠন করতে হবে। নতুবা এই আদেশের সুফল মিলবে না।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ এবং সড়ক পরিবহন বিধিমালা, ২০২২–এর কিছু ধারা অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিআরটিএর মোটরযান পরিদর্শক বা অন্য কোনো ব্যক্তিকে কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা প্রদানের বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে অনুমোদিত হয়েছে। সড়ক পরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার স্বার্থে সড়ক-মহাসড়কে সংঘটিত কিছু অপরাধের বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহন আইনের ১০৮, ১০৯, ১১১, ১১২ ও ১১৩ ধারা এবং সড়ক পরিবহন বিধিমালার ১৬১ ও ১৬২ বিধি অনুযায়ী বিআরটিএ আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারবে।
|
|
|
|
মাহমুদুল হাসান :
বিএনপি ক্ষমতায় আসার আগেই এস এম জাহাঙ্গীর ক্ষমতার অপব্যবহার করে ইতিমধ্যে দখলবাজ-চাঁদাবাজ হিসেবে নিজেকে ফুটিয়ে তুলেছে এমনটাই বক্তব্য উত্তরার প্রবীণ-বিএনপি নেতা কর্মীদের।
রাজধানীর উত্তরার ঢাকা ১৮ আসনের প্রতিটি সেক্টরে নিরবে চলছে চাঁদাবাজি ও দখল বাণিজ্য। এ পরিস্থিতিতে উপদেষ্টাদের হস্তক্ষেপ চেয়েছে উত্তরার বিভিন্ন সুশীল সমাজের মানুষেরা। বিশেষ করে কয়েকদিন পর যে যৌথ বাহিনীর অভিযান নামবে সেখানে উত্তরার বিশেষ বিশেষ চাঁদাবাজদের তালিকা করে তাদেরকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। অন্যদিকে উত্তরার আরও কয়েকজন ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পরও চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি, শুধু চাঁদাবাজ দখলবাজদের মুখ বদল হয়েছে। প্রকাশ্যে না হলেও তারা নিরবে চাঁদা তুলছে। বর্তমানে বৃহত্তর উত্তরার সবচেয়ে বড় চাঁদাবাজ হিসেবে যার নাম এসেছে সে হচ্ছে এস এম জাহাঙ্গীর। এই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা না হলেও, এলাকার ঘর জামাই হিসেবে পরিচিত জাহাঙ্গীর, যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি হওয়ার কারণে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর উত্তরার আওয়ামী লীগের সকল চাঁদাবাজ দখলবাজ সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেছে, এই সুযোগে বর্তমানে অবৈধ আয়ের সকল উৎসগুলো দখল করেছে জাহাঙ্গীর এবং তার পালিত গুন্ডারা। এই কাজে তাকে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করছে মিলন নামে স্থানীয় একজন সন্ত্রাসী। মিলন নিজেকে যুবদল নেতা হিসেবে পরিচয় দেয় এবং যেখানে সেখানে জাহাঙ্গীরের ছবির সাথে নিজের ছবি দিয়ে পোস্টার লাগায়, মিলন উত্তরা পশ্চিম থানার যুবদলের সভাপতি হতে চায়। এস এম জাহাঙ্গীর ও মিলনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে প্রায় তিন শতাধিক কিশোর গ্যাং সদস্য। এরাই মূলত আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের সাথে সাথে উত্তরায় যে ছাত্র জনতার নামে লুটতরাজ হয়েছে, তাদের বড় একটি অংশই এই গ্রুপের সদস্য বলে জানা যায়। এই বিশাল লুটেরা বাহিনীকে কাজে লাগিয়ে আওয়ামী সরকার যেতে না যেতেই এবং বিএনপি এখনো ক্ষমতায় আসে নাই এই পর্যায়েও এস এম জাহাঙ্গীর বিএনপির আগামীর তারেক রহমানের মিশন-ভিশন এবং নেতৃত্বের তোয়াক্কা না করে উত্তরার বিএনপিকে ডুবাতে চাঁদাবাজি দখল বাজির সিদ্ধহস্তে নিজেকে সমর্পণ করে, মাত্র এক মাসের মাথায় নিজেকে চাঁদাবাজ-দখলবাজ এবং সন্ত্রাসী মিলনের মত অসংখ্য সন্ত্রাসীর পৃষ্ঠপোষক হিসেবে নিজেকে ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে ।
উত্তরায় ২০ স্পটে এস এম জাহাঙ্গীরের পৃষ্ঠপোষকতায় মিলনের নেতৃত্বে দিনে চাঁদা উঠে ২৫ লাখ টাকা! আব্দুল্লাহপুর বেড়িবাঁধের পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমিতে যত বস্তিঘর উঠেছে সকল বাসা থেকে টাকা তুলে মিলন।
রাস্তার পাশে ও ফুটপাতে অস্থায়ী দোকান বসিয়ে টাকা নেওয়া হয়। বাস, অটোরিকশা ও হিউম্যান হলার থেকেও তোলা হয় চাঁদা।
রাজধানীর উত্তরা এলাকার স্থানীয় যুবক মিলনের কথা গত ১৭ বছর অনেক কষ্টে চলেছি, না খেয়ে ছিলাম এবার কেউ আমাকে ঠেকাতে পারবেনা। হাউস বিল্ডিং এলাকায় সোনারগাঁও জনপদ রোডে ফুটপাতে ভ্যানে করে কাপড় বিক্রি করে সোহেল। নানা ধরনের পোশাক বিক্রি করে দিনে হাজার টাকার মতো আয় হচ্ছিল তার। তবে সোহেলের আক্ষেপ, এই আয়ের প্রায় অর্ধেকই তুলে দিতে হয় স্থানীয় চাঁদাবাজদের হাতে। তাদের বেশির ভাগই এস এম জাহাঙ্গীরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এক স্বৈরাচার সরকার গিয়েছে অন্য সরকার ক্ষমতায় আসার আগেই শুরু করে দিয়েছে চাঁদাবাজি। হকারদের মধ্য থেকেও কেউ কেউ আসে স্থানীয় মিলনের হয়ে চাঁদা তুলতে।
শুধু সোহেলের ভ্যানই নয়, উত্তরা এলাকায় রাস্তা ও ফুটপাতের অবৈধ দোকান, বাস-টেম্পোর স্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন স্পটে নিয়মিত চলছে চাঁদাবাজি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, উত্তরা এলাকার ২০ স্পটে প্রতিদিন চাঁদা আদায় হয় অন্তত ২৫ লাখ টাকা। এইসব টাকা চলে যায় এস এম জাহাঙ্গীরের নিকট। এস এম জাহাঙ্গীরের বাসার সামনে বাসার ভিতরে সব সময় কয়েক’শ ছেলেপেলের আনাগোনা রয়েছে।
হাউস বিল্ডিং এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সোহেলের ভ্রাম্যমাণ দোকানের মতো আরো পাঁচ শতাধিক দোকান বসে ফুটপাতে এবং রাস্তার পাশে। সব দোকানিকেই প্রতিদিন চাঁদা দিতে হয়। ভুক্তভোগী সোহেল বলেন, রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে চিহ্নিত চাঁদাবাজরা রাস্তা দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছে। তাদের টাকা না দিলে ফুটপাতে দোকান বসানোর সাধ্য কারো নেই। তার অভিযোগ, টাকার মেশিন অর্থাৎ অর্থ কামানোর হাতিয়ার হিসেবে এই চাঁদাবাজরা রাজনৈতিক নেতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে বিশেষ কদর পায়। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক পরিচয়ধারী অনেক চাঁদাবাজ ফুটপাতের অবৈধ দোকান থেকে শুরু করে নামী-দামী শপিং মলে দোকানের পজিশন নিয়ে মালিক বনে গেছে।
স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা যাওয়ার পর উত্তরা ঢাকা ১৮ আসনের আগামীতে সংসদ নির্বাচন করবে এস এম জাহাঙ্গীর এরকম অহংকারে তার পা নাকি এখন মাটিতে পড়ে না। বিভিন্ন সভা-সমাবেশে তিনি এলাকায় চাঁদাবাজি বন্ধ করার বিষয়ে কড়া হুশিয়ারি দিয়েছেন। প্রায় সময় জাহাঙ্গীর বক্তৃতায় বলেন, ‘অনেকে অনেকভাবে গরিব মানুষের কাছ থেকে টাকা উঠিয়ে খায়, এটা ঠিক নয়। যেসব নেতা এসব কাজ করেন, তারা দলের জন্য বোঝা, তারা আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়ার ত্যাগে অর্জিত সাফল্যকে কলঙ্কিত করছেন।’ তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে কমিটিতে তাদের ব্যাপারে অবশ্যই চিন্তা-ভাবনা করা হবে। রাজনীতির নামে রাস্তাঘাট দখল করে, চাঁদাবাজি করে খাবে, আমরা এ সংস্কৃতি রাখতে চাই না। যারা রাজনীতি করেন, চাঁদাবাজি করেন, তাদের এটা বুঝতে হবে। আমি উত্তরা এলাকায় এসব চাঁদাবাজি চলতে দেব না। এলাকাবাসীর বক্তব্য তারেক রহমানকে এবার যাচাই-বাছাই করে প্রার্থী ঘোষণা দিতে হবে এস এম জাহাঙ্গীরের মত লোককে যদি নমিনেশন দেওয়া হয় তাহলে আবার ছাত্র জনতার অভ্যুত্থান ঘটতে পারে এমনটাই মন্তব্য তাদের।
চাঁদাবাজির ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা জোনের উপ পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘রাস্তা আটকে কোনো দোকানপাট বসলে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। তাছাড়া পরিবহনের চাঁদাবাজির বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অথচ নাকের ডগায় আব্দুল্লাহপুরের সকল বাস স্টপ থেকে সমানে চাঁদা তুলছে জাহাঙ্গীরের ছেলে পুলেরা। আব্দুল্লাহপুরের বেড়িবাঁধের উপরে অলরেডি পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় দোকান বরাদ্দের নামে পজিশন ভাড়া দিচ্ছে এস এম জাহাঙ্গীরের লোকেরা। ভুক্তভোগীসহ স্থানীয় অনেক বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উত্তরায় প্রায় ২০ স্পটে প্রতিদিন টাকা তুলে অন্তত ২০-৩০ জন চিহ্নিত চাঁদাবাজ। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাসহ এস এম জাহাঙ্গীর এবং তার মনোনীত লোকেরা তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেন বলে অভিযোগ আছে। এসব স্পট থেকে রাজনৈতিক পরিচয়ে প্রতিদিন চাঁদা উঠে প্রায় ২৫ লাখ টাকার বেশি। চাঁদার এ টাকার বড় অংশ যায় রাজনৈতিক রাঘববোয়ালদের পকেটে, কিছু যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অসাধু সদস্যদের হাতে। চাঁদা তোলার কাজে অপরিচিত লোকদের ব্যবহার করা হলেও পেছনে আছেন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি, তার আত্মীয়সহ প্রতিটি থানার বড় রাজনৈতিক নেতারা। রাজনীতি করতে, মিটিং-মিছিল করতে খরচ লাগে এমন অজুহাতে উত্তরার প্রতিটি থানার অনেক নেতা চাঁদা তোলার সঙ্গে জড়িত, এর মধ্যে মিলন উল্লেখ্যযোগ্য।
সরেজমিনে গিয়ে উত্তরার বিভিন্ন রাস্তাঘাট ঘুরে চাঁদা তোলার ২০টি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। রাজউকের জায়গা দখল করে অবৈধ দোকানপাট, ফুটপাতসহ ৯-১০টি স্পট এবং আন্তজেলা পরিবহন, টেম্পো, হিউম্যান হলার বা লেগুনা স্ট্যান্ডসহ ১০টি জায়গা থেকে চাঁদা ওঠে। এর বাইরেও অনেক স্পটে চাঁদাবাজি চলে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। উত্তরার আবদুল্লাহপুর এলাকায় অন্তত চারটি জায়গা থেকে প্রতিদিন চার-পাঁচ লাখ টাকা আদায় করা হয়। বেড়িবাঁধ হয়ে উত্তরখানের রাস্তায় চলাচল করা তিন শতাধিক অটো থেকে টাকা তোলা হয় প্রতিদিন দুই ব্যক্তির নেতৃত্বে। এর বড় অংশ যায় এস এম জাহাঙ্গীরের পকেটে এবং দুই রাজনীতিকের নামে। হাউস বিল্ডিং এলাকায় টেম্পো ও ফুটপাতের দোকান থেকে মোটা অঙ্কের টাকা ওঠে। আজমপুর ফুটপাত, রাজউক, কাঁচাবাজার, দুইপাড়ের অটো ও টেম্পো থেকে যে টাকা তোলা হয়। সোনারগাঁও জনপদ রোডে দখল ও চাঁদাবাজি চলে বেশ কয়েকজন রাজনীতিকের নামে। এখন এগুলো পাল্টে আওয়ামী লীগের নেতাদের জায়গায় বিএনপি নেতারা টাকা নিচ্ছে। রাজলক্ষ্মী এলাকায় চাঁদা তোলা হতো অন্তত পাঁচ নেতার নামে। এখন সব বিএনপি`র নেতারা নিচ্ছে। এলাকার বিভিন্ন পরিবহনের চাঁদাবাজির সঙ্গেও বিএনপি`র রাজনৈতিক নেতারা জড়িত হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্পূর্ণ এলাকা ঘুরে একটি বিষয়ে পরিষ্কার হয়েছে সকলের একটি কথা এখনো বিএনপি ক্ষমতায় আসেনি এস এম জাহাঙ্গীর যা শুরু করেছে তাতে উত্তরায় বিএনপি ডুবে যাবে, বিএনপির কবর দেবে এসব নেতারা। খোঁজ নিয়ে জানা যায় এই অল্প সময়ের মধ্যে এসব চিহ্নিত চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানা সহ ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তা এবং পুলিশ কর্মকর্তা ও উপদেষ্টা মন্ডলীর নিকট অভিযোগ জমা পড়েছে বিস্তর।
|
|
|
|
এক সময় ড্রাইভার আরেক সময় হেলপার, কি করে নাই তারা। আবার কখনো এলাকার পাতি গুন্ডা,কখনো আবার ইয়াবা বিক্রেতা। কিছুই বাদ যাই নি তাদের। বাহির থেকে দেখলে মনে হয় "উপরে ফিটফাট ভিতরে সদরঘাট"। বলছিলাম রাজধানী মেরুল বাড্ডা বৈঠাখালীর বাসিন্দা মহসিন ও পাঁচতলা বাজারের বাসিন্দা শরিফের কথা। এই দুই জন এক সময় কেউ কারো ছায়া পর্যন্ত দেখতে পারতো না। কে কার থেকে কতটি বেশি ইয়াবা বিক্রি করবে তা নিয়ে চলতো তাদের মধ্যে লড়াই। ক্ষমতাশীল আওয়ামী লীগ এর সময় কালে বাড্ডা এলাকায় মহসিন একাধিকবার ইয়াবা বিক্রি নিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হোন। জানা যায় ইয়াবা সেবনের সময় ডিআইটি প্রজেক্ট অ আ পাঠশালার ভেতরে তার আগেও ১৫০ পিস নিয়ে পুলিশের কাছে ধরা পড়ে। এরপর মধ্যে বাড্ডা ব্রীজের নিচে একবার ৪৮ পিচ নিয়ে পুলিশের হাতে আটক হয়। নিজ বাসা থেকে বের হয়ে বনশ্রী যাবার পথে ৭৭ পিচ নিয়ে পুলিশের হাতে আটক হয়। মহসিনের নিজ এলাকা বৈঠাখালী থাকা সত্ত্বেও আধিপত্য বিস্তার করত ডিআইটি প্রজেক্টে। কারন মহসিন জানতো নিজ বাসস্থানে এসব মাদকদ্রব্য বিক্রি করা ঠিক না। তাই মাদক বিক্রির অন্যতম স্থান হিসেবে ডিএইটি প্রজেক্ট বেছে নেয়। যার ফলে ডিআইটি প্রজেক্টের পাঁচতলা বাজারের শরিফের সাথে প্রতিনিয়তই চলতো মহসিন এর মারামারি ও ঝামেলা। মহসিন যখন ডিআইটি প্রজেক্টে আসতো তখন শরিফের ভয়ে প্রজেক্টের একাধিক ছেলেদেরকে ম্যানেজ করে তার মাদক ব্যবসা পরিচালনা করতো। মহসিন এর মাদকের হাত ছিলো অনেক উপরে। তখন কম করে প্রতিদিন ২০০ ইয়াবা সেল দিতো। মাল শেষ হয়ে গেলেই মহসিন ঘা ঢাকা দিতো। আবার ১০-১২ দিন পর এসে হাজির। এভাবেই চলছিল মহসিন এর ইয়াবা বাণিজ্য। বর্তমানে মহসিন তার অতীতের কুকর্ম ঢাকার জন্য ডিআইটি প্রজেক্টের একটি হাউজের গাড়ি চালায়। তারপরও থেমে নেই তার অতীতের মাদক বানিজ্য। এ যেন সর্ষের ভিতর ভূতের খেলা। বর্তমানে আওয়ামীলীগ দল ক্ষমতা হারানোর পর মহসিন তার বাহিনী নিয়ে চেষ্টা করছে কি করে আবার বিএনপি তে যোগ দেওয়া যায়। এমন অসৎ ব্যক্তিরা হলো প্রতিটি দলের জন্য হাইব্রিড। যখন যেখানে সুযোগ পায় তখন সেখানেই বসে পড়তে চায়। জানা যায় বর্তমানে তাদের আড্ডা দেওয়ার আসর হলো ডিআইটি প্রজেক্ট এর ০৬ নাম্বার রোডের পশ্চিম পাশে অ আ পাঠশালায়। যেখানে বাচ্চারা পড়াশোনা করে সেখানে কিভাবে চলতো মহসিন গ্রুপের এমন অসামাজিক কর্মকান্ড। তা নিয়ে উদ্বিগ্ন এখন এলাকাবাসী।
বর্তমানে অ আ পাঠশালার দ্বায়িত্বে থাকা মামা মহসিনের সাথে সাংবাদিকরা মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এমন অপকর্মের সাথে যারা যারা জড়িত তাদের সকলকেই স্কুলে প্রবেশ করতে নিষেধ করা হলেও তারা কথা শোনে না। এখন তিনি ও আতঙ্কে রয়েছেন বলে আমাদেরকে জানান।
খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায়,বিভিন্ন সময় মহসিন ইয়াবার প্রলোভন দেখিয়ে নেশাগ্রস্ত মেয়েদেরকে নিয়ে এই পাঠশালাতে রাতের বেলায় ফুর্তি করতো। যার প্রমান রয়েছে সাংবাদিকদের হাতে। ফলে এই মহসিন গ্রুপের কর্মকাণ্ড দেখে ভয়ে মুখ খুলতেন না আশেপাশের লোকজনেরা।
আরো জানা যায়, হেলপার শরিফ প্রতিদিন নেশায় আবদ্ধ হয়ে রাস্তায় ছেলে মেয়েদের ডেকে নিয়ে ফিটিং দিত। টাকা না দিলে চলতো অমানুষিক নির্যাতন। গত কয়েকবছর আগে কে বা কারা হেলপার শরীফের ছোট ভাইকে ছাঁদ থেকে ফেলে হত্যা ও করে। বিভিন্ন সময়ে নেশার টাকা জোগাড় করতে না পারলে হেলপার শরিফ মানুষের হাতের মোবাইল,গাড়ির চাকা,গাড়ির টিউব,অন্যের জিনিসপত্র বিক্রি করে ইয়াবা সেবন করতো। তারা দুইজনেই ছিলো সাবেক আওয়ামী লীগের হাইব্রিড কর্মী। মিছিল আর মিটিং এর পেছনে থেকে মানুষ দেখানোই ছিলো তাদের কাজ।
এ বিষয় নিয়ে বর্তমানে সেনাবাহিনীর একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সাথে কথা বললে তিনি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন `বর্তমান পরিস্থিতিতে কেউ যদি দেশ ও জনগণের ক্ষতি করে কিংবা রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে নিজেকে আড়াল করতে চায় আমরা তাদের প্রত্যেককে খুঁজে বের করে এনে বিচারের আওতায় করব।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও পররাষ্ট্রনীতি বিশ্লেষক ড. সাজ্জাদ হায়দারের আজ জন্মদিন। সিরাজগঞ্জ জেলার অন্তর্গত শাহজাদপুর উপজেলায় একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে আজ ৬ মে তিনি জন্ম গ্রহণ করেন।
তরুণ যুবনেতা ড. সাজ্জাদ হায়দার মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কাউন্সিলের উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং সেন্টার ফরেন অ্যাফেয়ার্স স্টাডিস এর ভাইস চেয়ারম্যান। ঐহিত্যবাহী পরিবারের সন্তান হিসেবে আপাদমস্তক এই রাজনীতিবিদের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আবদুল মতিন মোহন শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ- সভাপতি ও একটানা ২৭ বছর পোতাজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, দুইবার শাহজাদপুর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ মিল্ক ভিটার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। ড. সাজ্জাদ হায়দার যার সবকিছুতেই রাজনীতি। সত্যিকার অর্থে একজন অনুকরণীয় নেতা অকুতোভয় এই নেতা সত্য কথা বলতে এবং অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে কখনোই দ্বিধাবোধ করেন না। আওয়ামীলীগ যখন বিরোধী দলে ছিল তখন বারবার রাজপথে নির্যাতিত হয়েছেন। ওয়ান-ইলেভেনের সময় শেখ হাসিনার কারামুক্তি আন্দোলনে রেখেছেন সক্রিয় ভূমিকা।
ড. সাজ্জাদ হায়দার বাংলাদেশ শান্তি পরিষদেরও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, রাশিয়া-বাংলাদেশ মৈত্রী সমিতির সেক্রেটারি, ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ সেন্টারের সাধারণ - সম্পাদক এবং বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি দেশে বিদেশে পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে ব্যাপক কাজ করেন সে কারণে তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অংঙ্গনে অত্যন্ত পরিচিত মুখ। ইতিমধ্যেই তার কূটনৈতিক কর্ম দক্ষতা এবং বিনয়ী আচরণের কারণে তৃনমূলের নেতা কর্মী ও সাধারণ জনগণের পাশাপাশি দলের নীতি-নির্ধারকের কাছে তিনি খুবই জনপ্রিয়। ড. সাজ্জাদ হায়দার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের তরুণ প্রার্থী হিসাবে সিরাজগঞ্জ-৬ আসনে অত্যান্ত শক্তিশালী প্রার্থী ছিলেন এবং তিনি ক্লিন ইমেজের প্রার্থী হিসাবে ব্যাপক জনসমর্থন লাভ করেছিলেন,তাই ড. সাজ্জাদ হায়দারকে নিয়ে বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণীর প্রায় সব জাতীয় পত্রিকায় ইতিবাচক ভাবে প্রচুর লেখালেখি হয়েছিলো। ড. সাজ্জাদ হায়দার এর জন্মদিনে দৈনিক ভোরের সময় পরিবারের পক্ষ থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
|
|
|
|
বিশেষ প্রতিবেদক, আবুল মনসুর আহমেদ:
একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই সাধারণ মানুষের পাশে থেকে তাদের সুখ-দুঃখের অংশীদার হয়ে জনকল্যাণে কাজ করে চলেছেন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
আজ সকালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৬ ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের শীতার্ত বাসিন্দাদের মাঝে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস এ মন্তব্য করেন।
ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মায়ের মমতা দিয়ে বাংলাদেশকে আলিঙ্গন করে রেখেছেন। তিনি বুঝেন কার কি কষ্ট, কার কি বেদনা। তিনি সর্বাত্মকভাবে সেটা উপলব্ধি করেন বলেই সবসময় সাধারন মানুষের পাশে থেকে জনকল্যাণে নিজেকে নিবেদিত করেছেন। তাই আপনাদের ভোটে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পরেই তিনি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে এই তীব্র শীতে যাতে আপনারা কষ্ট না পান সেজন্য উপহার হিসেবে এই কম্বল পাঠিয়েছেন। একমাত্র জননেত্রী শেখ হাসিনাই সাধারণ মানুষের কল্যাণে, সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখের অংশীদার হিসেবে পাশে ছিলেন, আছেন এবং আগামীদিনেও থাকবেন ইনশাআল্লাহ।"
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে ৭ লক্ষ টিসিবি কার্ড বিতরণ করা হয়েছে জানিয়ে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "যখন সারাবিশ্বে দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতি তখন জননেত্রী শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করেছেন। সাধারণ মানুষ যাতে ন্যায্য মূল্যে খাদ্য সামগ্রী পায়, তাদের যাতে কোনো ভোগান্তি না হয়, সেজন্য তিনি ১ কোটি টিসিবি কার্ড প্রদান করেছেন। এই টিসিবি কার্ডের মাধ্যমে শুধু নিম্ন আয়ের মানুষই নয়, মধ্যম আয়ের জনগোষ্ঠীও ন্যায্য মূল্যে খাদ্য সামগ্রী পাচ্ছে। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে আমরা ঢাকায় প্রায় ৭ লক্ষ টিসিবি কার্ড প্রদান করেছি।"
এ সময় ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে ২ হাজার এবং ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে ১ হাজার ৬০০ শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।
এর আগে ঢাদসিক মেয়র হাতিরপুল বাইতুল মোমিন হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার নূরানী শাখার ৩য় তলার নতুন ভবনের উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মোর্শেদ হোসেন কামাল, করপোরেশনের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বাবুল, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মাহবুবুর রহমান, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর নারগিস মাহতাব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
|
|
|
|
বিশেষ প্রতিবেদক, আবুল মনসুর আহমেদ:
ঢাকাকে তার পূর্ণ বৈশিষ্ট্যে, পূর্ণ চরিত্রে ফিরিয়ে আনতে হলে আমাদেরকে ঐতিহ্যকে ধারণ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস নূর তাপস।
আজ বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন নেতার মাজার সংলগ্ন এলাকায় সংস্কার পরবর্তী ঐতিহাসিক `ঢাকা ফটক (গেট)` এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ মন্তব্য করেন।
ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "আমরা সারা বিশ্বের অনেক বড় বড় দেশ ঘুরি। অনেক কিছুই আমরা দেখি। আমরা যদি দুবাই, সিঙ্গাপুরের কথা বলি, তাহলে আপনারা দেখবেন অনেক বড় বড় অট্টালিকা, বড় বড় সড়ক, বড় বড় স্থাপনা। কিন্তু তার সবই নতুন। তারা হয়তো সাগরকে ভরাট করে নির্মাণ করছে। এরকম তারা অনেক কিছুই করতে পারবে। কিন্তু ৪০০ বছরের পুরনো ঢাকা ফটক সেসব এলাকায় পাওয়া যাবে না। এটাই হলো আমাদের ঐতিহ্যের জায়গা, আমাদের গর্বের জায়গা। সুতরাং ঢাকাকে যদি তার পূর্ণ বৈশিষ্ট্যে, পূর্ণ চরিত্রে ফিরিয়ে আনতে হয় তাহলে আমাদেরকে ঐতিহ্যকে ধারণ করতে হবে।"
এই সংস্কার কাজের মাধ্যমে দু`টো বিষয়কে পুনরুজ্জীবিত করা হয়েছে জানিয়ে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "আমার প্রথম সন্তান যেদিন হয়েছিল, সেদিন যে রকম আনন্দিত হয়েছিলাম আমি আজকে সে রকম আনন্দ বোধ করছি। আজকে আমরা একটি ইতিহাসকে পুনরুজ্জীবিত করেছি, সে রকম একটি আবেগ-উপলব্দি আমার মধ্যে কাজ করছে। ছোটবেলায় যখন আমরা গুলিস্তান দিয়ে যেতাম তখন এই কামানের দিকে তাকিয়ে থাকতাম। অনেকে দেখতাম সেই কামানের উপর খেলাধুলা করছে। এটা হারিয়ে গিয়েছিল। এই কামান দিয়ে মীর জুমলা আসাম আক্রমণ করেছিলেন এবং আসাম বিজয় করেছিলেন। সেই কামানটি এখন ঢাকা ফটক প্রাঙণে আমরা নিয়ে এসেছি। সুতরাং আমরা দুটি বিষয়কে পুনরুজ্জীবিত করেছি। একটি হলো ঢাকা ফটক, আরেকটি হলো আসাম অভিযানের শেষ নিদর্শন এই কামান।"
ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস এ সময় লালকুঠি সংস্কার করা হচ্ছে এবং এ বছরের মধ্যে তা সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলে জানান। এছাড়াও তিনি রুপলাল হাউস, বড় কাটরা ইত্যাদি ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো সংস্কার ও সংরক্ষণের লক্ষ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তরের জন্য ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও ঢাকা জেলা প্রশাসনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানান এবং সেগুলো হস্তান্তরে সকলের ভূমিকা কামনা করেন।
এ সময় তিনি ঢাকা ফটকসহ এ সকল ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোতে কোন ধরনের ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন না লাগানোর জন্য সকলকে অনুরোধ করেন এবং লাগানো হলে জরিমানা করা হবে বলেও জানান।
ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, "আজকের এই উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ঢাকার ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যকে রক্ষা করার একটি মহতী উদ্যোগ নিয়েছেন। সেজন্য তাকে অভিবাদন জানাই। ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র এমনই উদ্যোগ নেবেন, এটা খুবই স্বাভাবিক। মুনতাসীর মামুন স্যার বলেছেন, সেই স্বাভাবিক উদ্যোগ অনেক প্রচেষ্টা করেও তিনি কাউকে দিয়ে করাতে পারেন নাই। কিন্তু আমাদের বর্তমান মেয়র সেই স্বাভাবিক কাজটি দ্রুতগতিতে উদ্যোগ নিয়ে করেছেন। এটাই হলো স্বাভাবিকের ভেতরে অস্বাভাবিক কাজ । সুতরাং এই অস্বাভাবিক কাজটি আমাদের আগামীদিনের জন্য আরো করে যেতে হবে। ঢাকার ইতিহাস-ঐতিহ্যের সাথে আমাদের অনেক স্থাপনা এবং পত্নতাত্ত্বিক বিষয় জড়িত আছে। যেগুলো নিয়ে অনেক গবেষক, ইতিহাসবিদ কাজ করে যাচ্ছেন। আমার বিশ্বাস, দক্ষিণ সিটির মেয়র এই সকল বিষয়গুলোকে রক্ষা করবেন। ঐতিহ্যকে তুলে ধরার মধ্য দিয়ে তিনি বাঙালির চেতনা, মূল্যবোধ এবং ঐতিহ্যকে আরো জাগ্রত করতে সক্ষম হবেন।"
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, "আমরা উন্নয়ন মানে বুঝি, সবকিছু ভেঙে-চুরে নতুন করে নির্মাণ করা। কিন্তু ঢাকা ফটকের যে সংস্কার কাজ দেখলেন, এটা কিন্তু সম্পূর্ণ আলাদা কাজ। এটা নতুনভাবে নির্মাণ নয়। এটাকে অর্জিনিয়াল ফর্মে নিয়ে যাওয়া। এখন আমাদের মনে হয়েছে, সবার শিক্ষিত সার্টিফিকেট আছে কিন্তু সংস্কৃতি আলাদা জিনিস। শিক্ষা-সংস্কৃতির সমন্বয় না হলে এই ধরনের কাজে হাত দেওয়া যায় না। আমি খুবই আনন্দিত, আমরা যখন বর্তমান মেয়রকে বিষয়গুলো বলি তিনি তা যথেষ্ট আন্তরিকতার সাথে উদ্যোগ নিয়েছেন। আপনারা জানেন হয়তো, তিনি ঐতিহ্য সংরক্ষণে ঢাকা শহরকে ছয়টি (মূলত ৭টি) ঐতিহ্য বলয়ে ভাগ করেছেন। যেটার কাজ তিনি নর্থবুক হল থেকে শুরু করেছেন। প্রথম কাজ হিসেবে এই ফটককে বেছে নেওয়া হয় এবং আজকে এটা ঢাকা ফটক নামে উদ্বোধন করা হলো। যথেষ্ট আন্তরিক এবং সংস্কৃতিবান না হলে এই ধরনের কাজ করা খুবই দুরূহ।"
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবু সাঈদ এম আহমেদ এই সংস্কার কার্যক্রমের আদ্যোপান্ত নিয়ে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করেন।
৮২ লক্ষ ৪০ হাজার ঐতিহাসিক ঢাকা ফটক সংস্কার করা হয়েছে। মেসার্স আহনাফ ট্রেডিংস এই সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে। এর মাধ্যমে ঢাকা ফটক তথা মীর জুমলার ফটককে পুরনো অবয়বে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
সংস্কার কাজে চুন, সুপারির কস, খয়ের, চিটাগুড় ও ইটের গুড়া এবং ফ্লোরের জন্য মধ্যপাড়া গ্রানাইট পাথরকুচি
ব্যবহার করা হয়েছে।
|
|
|
|
বিশেষ প্রতিবেদক, আবুল মনসুর আহমেদ:
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন এলাকায় বায়ুদূষণ ও তাপমাত্রা কমাতে গবেষণার মাধ্যমে কারণ ও সম্ভাব্য প্রতিকার খুজেঁ বের করতে তিনটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিএনসিসি। সংস্থা তিনটি হলো সেন্টার ফর অ্যাটমসফরিক পলিউশন স্টাডিজ (Center for Atmospheric Pollution Studies), ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ (World Vision Bangladesh), ঢাকা নর্থ কমিউনিটি টাউন ফেডারেশন (Dhaka North Community Town Federation)।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর গুলশান-২ নগর ভবনের হলরুমে ২য় পরিষদের ২৫ তম কর্পোরেশন সভায়
Baseline Study on the Role of Vegetation in Reducing Temperature and Air Pollution: A study in Informal Settlement of Dhaka North City Corporation শীর্ষক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তিনটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের বিষয়টি সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়েছে।
এই বিষয়ে মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, `ঢাকা শহরে তাপমাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে। পাশাপাশি বর্তমানে ঢাকার বায়ু দূষণ অনেক বেশি। আমরা ইতিমধ্যে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুরু করেছি। তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে ও বায়ুদূষণ রোধে এটি ভূমিকা রাখবে। তিনটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এই চুক্তির ফলে গবেষণা করে বায়ুদূষণ রোধে এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আরও কি কি করণীয় সে বিষয় সঠিক সিদ্বান্ত নেয়া সম্ভব হবে। শহরের পরিবেশ রক্ষায় এই সমন্বিত উদ্যোগ ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।
কর্পোরেশন সভার শুরুতে ২০২৪ সালের প্রথম কর্পোরেশন সভা উপলক্ষ্যে ডিএনসিসি মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাদের ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান এবং টানা চতুর্থবার ও রেকর্ড পঞ্চমবারের মতো গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
সভায় আলোচনা শেষে ডিএনসিসির সদ্য বিদায়ী প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম রেজাকে বিদায় সংবর্ধনা এবং নবযোগদানকৃত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলমকে অভ্যর্থনা জানানো হয়।
সভায় ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিকের সঞ্চালনায় অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে. জেনা. মুহঃ আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, ডিএনসিসির সকল বিভাগীয় প্রধান ও ডিএনসিসির কাউন্সিলরবৃন্দ এবং অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
|
|
|
|
বিশেষ প্রতিবেদক, আবুল মনসুর আহমেদ:
সাকরাইন তথা ঘুড়ি উৎসবের ঐতিহ্য নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
আজ রবিবার (১৪ জানুয়ারি) বিকালে ধুপখোলা মাঠে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্তৃক আয়োজিত ঐতিহ্যবাহী সাকরাইন/ঘুড়ি উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "ঘুড়ি উৎসব বা সাকরাইন উৎসব ঢাকার প্রাচীনতম ঐতিহ্য। এই উৎসব উদযাপনে আজ আমরা গেন্ডারিয়ার ঐতিহ্যবাহী ধুপখোলা মাঠে সমবেত হয়েছি। আপনারা লক্ষ করছেন, গেন্ডারিয়াসহ ঢাকার আকাশ আজ ঘুড়িতে ছেঁয়ে গেছে। আমরা চাই, আমাদের তরুণেরা, আমাদের সন্তানেরা ঐতিহ্যকে ধারণ করবে। তারা সারা বছর ঘুড়ি ওড়াবে এবং ছাদ-মাঠসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে তারা ঘুড়ি উড়িয়ে আমাদের সংস্কৃতিকে ধারণ করবে। আমরা আমাদের প্রতিটি ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে চাই, ঢাকাবাসীর মাঝে ছড়িয়ে দিতে চাই, নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চাই। যাতে করে নতুন প্রজন্ম সকল সাম্প্রদায়িক শক্তির বিপরীতে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় নিজেদের ঐতিহ্যকে লালন করতে পারে।"
আয়োজন সম্পর্কে জানিয়ে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "১৪২৭ বঙ্গাব্দ ৩০শে (২০২১ সালের ১৪ জানুয়ারি) পৌষ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন প্রথমবারের মতো কেন্দ্রীয়ভাবে সাকরাইন উৎসবের আয়োজন শুরু করি। পরবর্তীতে আমরা প্রতি বছর এটা আয়োজন করে চলেছি। করোনার প্রকোপের জন্য শুধু ১৪২৮ বঙ্গাব্দে আয়োজন করতে পারিনি। গতবছরও আয়োজন করা হয়েছে। আর এবারকার আয়োজন আমাদের ৩য় আয়োজন। এবারও ৭৫টি ওয়ার্ডে আমাদের কাউন্সিলরবৃন্দের নেতৃত্বে আমরা সাকরাইন উৎসব উদযাপন করছি। তারই অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয়ভাবে ধুপখোলা আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলার মাঠে আজকে আমরা এই আয়োজন করেছি।"
পরে ঢাদসিক মেয়র নিজেই ঘুড়ি উড়ান। সে সময় তার ঘুড়িতে অন্য দু`জনের ঘুড়ি ধরাশয়ী (সুতা কেটে যায়) হয়।
করপোরেশনের অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন সরকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী, করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মোর্শেদ হোসেন কামাল, ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. শামসুজ্জোহা এবং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর সাথী আক্তার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আওলাদ হোসেন, ঢাকা-৫ আসেনর সংসদ সদস্য মশিউর রহমান মোল্লা সজল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরসহ করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, কাউন্সিলরবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ যে, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৭৫টি ওয়ার্ডেই একযোগে এই আয়োজন করা হচ্ছে। সেজন্য কাউন্সিলরদের মাধ্যমে ১৫ হাজার ঘুড়ি বিতরণ করা হয়েছে।
করপোরেশনের ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক কমিটির তত্ত্বাবধানে ২০২১ সাল হতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সাকরাইন উৎসব আয়োজন করে আসছে।
|
|
|
|
বিশেষ প্রতিবেদক, আবুল মনসুর আহমেদ:
অপশক্তি রুখতে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের দরকার আছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ ভাঙা মসজিদ সংলগ্ন স্থানে সুরের ধারা ও ডিএনসিসির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত "পৌষ উৎসব-১৪৩০" এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় এ সময় তিনি শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুরের ধারার কর্ণধার রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ’একদিকে গান চলছে, অন্যদিকে মেলা হচ্ছে। অপশক্তিকে রুখে দাঁড়াতে এই ধরনের মেলা, গান ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের দরকার আছে। ভুললে চলবে না, মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতর কেন্দ্রের ভূমিকা ছিল। বিশ্বে বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে গানের, খেলাধুলার ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রাণিত করতে গাওয়া হয়েছিল জয় বাংলা বাংলার জয়, মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি।`
সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের পাশে ডিএনসিসি সব সময় থাকবে জানিয়ে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, `সুরের ধারার মাধ্যমে সংস্কৃতির বিকাশ ঘটবে। বন্যা আপা (রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা) শুধু ব্যক্তি নয়, তিনি ইনস্টিটিউট হিসেবে পরিচিত হয়েছেন সারা বাংলাদেশে, সারা বিশ্বে। আপনি এগিয়ে যান, আপনার সঙ্গে আমরা আছি। বিশেষ করে সাংস্কৃতিক ও বিনোদনের জন্য ডিএনসিসি সব ধরনের আর্থিক ও অনার্থিক সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে।
মেয়র বলেন, `আমরা চাই আমাদের শিশুরা গান গাইবে, খেলাধুলা করবে। পড়াশোনার পাশাপাশি নানা ধরনের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংগীত পছন্দ করেন, যারা শিল্পী তিনি সবসময় তাদের পাশে থাকেন। আমি বিশ্বাস করি সুরের ধারার মাধ্যমে শিশুদের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিকাশ ঘটবে।`
ডিএনসিসি বিভিন্ন খাল দখল হয়ে যাচ্ছে জানিয়ে মেয়র আরও বলেন, বিভিন্ন খাল দখল হয়ে যাচ্ছে। রামচন্দ্রপুর খাল আপনারা দেখেছেন দখল হয়ে গিয়েছিল। বছিলা ট্রাক স্ট্যান্ড ১৭০০ ট্রাক ছিল। এখন সেই ট্রাক স্ট্যান্ড আর নেই। লাউতলা এখন সুন্দর সবুজ পার্ক হয়ে গিয়েছে। যেখানে দখল হচ্ছে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হবে। মাঠ, পার্ক ও খাল যারা অবৈধভাবে দখল করছে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য মাঠ পার্ক ও খাল রেখে যেতে হবে। এটি আমাদের দায়িত্ব।`
বক্তৃতা শেষে ডিএনসিসি মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম আয়োজিত মেলার স্টল ঘুরে দেখেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং সুরের ধারার শিক্ষকবৃন্দ।
|
|
|
|
বিশেষ প্রতিনিধি , আবুল মনসুর আহমেদ:
নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে ১ কোটি মানুষকে টিসিবি`র ফ্যামিলি কার্ড দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিন্ডিকেটের কারসাজি রোধ করেছেন এবং নতুন সরকার গঠনের পর কারসাজির সাথে জড়িতদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
আজ বুধবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে নগরীর কাপ্তান বাজার এলাকায় ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ মন্তব্য করেন।
ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, বাজারকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সিন্ডিকেট মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। কারসাজি করে কোনো সময় পেঁয়াজ, কখনো আলু, কখনো ডিমের মতো নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্য বৃদ্ধি করার চেষ্টা করে। একমাত্র জননেত্রী শেখ হাসিনা টিসিবির মাধ্যমে এক কোটি মানুষকে ফ্যামিলি কার্ড দিয়ে ন্যায্যমূল্যে খাবার বিতরণ করে সিন্ডিকেটের এ কারসাজিকে প্রতিরোধ করে চলেছেন।
শেখ হাসিনা যতদিন আছেন ততদিন মুনাফাখোরেরা কারসাজি করে পার পাবে না মন্তব্য করে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, এক সময় টিসিবি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য সে সময় আকাশচুম্বী হয়ে গিয়েছিল। জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর মানুষের দোরগোড়ায় যাতে করে দ্রব্যমূল্য সহনশীল পর্যায়ে থাকে সেজন্য একেকটি অভিনব পন্থা বের করেন। যখনই দেখা যায় ডিমের দাম বাড়ছে তখনই তিনি সাথে সাথে ব্যবস্থা নেন। কর মওকুফ করে দেন। যাতে করে ডিম আমদানি করে নিয়ে আসা যায় এবং আবার ডিমের দাম কমে যায়। যখনই দেখা যায় চিনির দাম বেড়ে গেছে, তিনি তখনই ব্যবস্থা নিয়ে আবারো চিনির দাম কমানোর ব্যবস্থা নেন। মুনাফাখোর ব্যবসায়ীরা বিভিন্নভাবে এ সকল কারসাজি করে আসছে। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনা যতদিন আছেন ততদিন তারা এসব করে পার পাবে না।
নতুন সরকার গঠন হওয়ার পর সিন্ডিকেটের কারসাজি রোধে আরো কঠোরতা দেখানো হবে জানিয়ে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, এবার সরকার গঠন করার পরে আমরা এ ব্যাপারে আরো কঠোর হবো। যারা কারসাজি করে, তদন্ত করে তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে এসে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। একমাত্র জননেত্রী শেখ হাসিনাই এ সকল সিন্ডিকেটের মাথা ভেঙ্গে দিয়ে তাদেরকে নির্মূল করতে পারবেন। যেমনি তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন তেমনি এসব সিন্ডিকেটকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসলে দ্রব্যমূল্যের দাম সকলের জন্য সহনশীল পর্যায়ে চলে আসবে।
৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আহমেদ ইমতিয়াজ মন্নাফীর সহযোগিতায় ২ হাজার মানুষের মাঝে এই শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয় বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।
৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী ও করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বক্তব্য রাখেন।
এর আগে ঢাদসিক মেয়র ও বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য সচিব ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস আজ সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষ্যে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ এবং ডেমরার শুকরসী খাল হতে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক এডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনসহ বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ, করপোরেশনের পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, ৪ নম্বর অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আতাহার মিয়া, কাউন্সিলরদের মধ্যে ১০ নম্বর ওয়ার্ডের মারুফ আহমেদ মনসুর, ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের সারোয়ার হাসান আলো এবং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর শাহিনুর বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
|
|
|
|
বিশেষ প্রতিবেদক, আবুল মনসুর আহমেদ:
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণায় ব্যবহৃত পোস্টার, ব্যানারসহ নির্বাচনী প্রচারণা সংশ্লিষ্ট সামগ্রী অপসারণ কার্যক্রম শুরু করবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ঢাদসিক)।
আজ সোমবার (৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টা হতে করপোরেশনের ৭৫টি ওয়ার্ডেই একযোগে এ কার্যক্রম শুরু করা হবে। সন্ধ্যা ৭টা হতে শুরু হয়ে রাতব্যাপী এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। করপোরেশনের প্রায় ২ হাজার ৫ শত জন পরিচ্ছন্ন কর্মী এ কাজে সম্পৃক্ত থাকবে।
নির্বাচনী পোস্টার-ব্যানার অপসারণ প্রসঙ্গে করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বলেন, "আজ রাত ৭টা হতেই আমরা নির্বাচনী পোস্টার-ব্যানারসহ নির্বাচনী প্রচারণার কাজে ব্যবহৃত সংশ্লিষ্ট সামগ্রী অপসারণ কার্যক্রম শুরু করা হবে। সারা রাত এ কাজ চলবে। আজকের মধ্যে এ কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব না হলে ধারাবাহিকভাবে আগামীকাল রাতেও এ কাজ পুনরায় শুরু করা হবে। এই অপসারণ কার্যক্রমের মাধ্যমে নির্বাচন পূর্ববর্তী অবয়বে আমরা ঢাকা শহরকে ফিরিয়ে আনতে চাই। এ কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়নে সম্মানিত প্রার্থীগণকে আমাদের পরিচ্ছন্ন কর্মীদেরকে সহযোগিতা করার জন্য আহবান জানাই। এছাড়াও নগরীর সৌন্দর্য রক্ষার্থে নতুন করে কোনো ধরনের পোস্টার-ব্যানার-ফেস্টুন না লাগানোর জন্য নগবাসীকে আন্তরিকভাবে অনুরোধ করছি।"
|
|
|
|
বিশেষ প্রতিবেদক, আবুল মনসুর আহমেদ:
নৌকা মার্কায় নিজের ভোট দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
আজ রবিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮.৩৯টায় ধানমন্ডি ৭/এ-তে অবস্থিত ডক্টর মালিকা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ভোট দান শেষে গণমাধ্যমের সাথে মতবিনিময়কালে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ তথ্য জানান।
ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "ডক্টর মালিকা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ আমার কেন্দ্র। অত্যন্ত আনন্দঘন ও উৎসব মুখর পরিবেশে আমি আমার ভোট দিলাম। আমি নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছি। আমরা বিজয় আশা করছি। ইনশাআল্লাহ আবারও নৌকার বিজয় হবে।"
সকল ভোটারকে নিজ নিজ ভোটাধিকার প্রয়োগের আহবান জানিয়ে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন হচ্ছে। আমি সকল ভোটারকে আহবান করব, আপনারা স্ব স্ব কেন্দ্রে এসে সুন্দরভাবে, সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট দিন।"
ভোট দানকালে ঢাদসিক মেয়রের সাথে তার সহধর্মিণী আফরিন তাপস, ছোট ছেলে শেখ ফজলে নাশওয়ান উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ঢাদসিক মেয়রের সহধর্মিণী আফরিন তাপস বলেন, "আমরা উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়েই এই সকালে ভোট দিতে এসেছি। আমি টিচার্স ট্রেনিং কলেজে ফেরদৌস আহমেদকে নৌকা মার্কায় ভোট দিবো। বিজয় আমাদের হবেই, ইনশাআল্লাহ।"
প্রথমবারের মতো ভোটাধিকার প্রয়োগ করার উদ্দীপনা ও আবেগ জানাতে গিয়ে ঢাদসিক মেয়রের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ ফজলে নাশওয়ান গণমাধ্যমকে বলেন, "আমি প্রথমবারের মতো ভোটার হয়েছি। আমার কেন্দ্র টিচার্স ট্রেনিং কলেজে। আমার ভোট নৌকা মার্কায় দিবো। ইনশাআল্লাহ -- নৌকা জয়যুক্ত হবে।
|
|
|
|
বিশেষ প্রতিবেদক, আবুল মনসুর আহমেদ:
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেছেন, `জনগণ ব্যালটের মাধ্যমে অগ্নি সন্ত্রাসের জবাব দিবে।`
তিনি বলেন, `অগ্নি সন্ত্রাস যারা করছে তারা চায় না সাংবাদিকভাবে রাষ্ট্র চলুক। কিন্তু জনগণ চায়, প্রধানমন্ত্রী চায় এবং আমরা চাই সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালিত হবে। পাঁচ বছর পর পর ভোটের মাধ্যমে সর্বোচ্চ গণতান্ত্রিক উপায়ে সরকার গঠিত হবে। জনগণ যাকে ভোটের মাধ্যমে জয়ী করবে সংবিধান অনুযায়ী সে দায়িত্ব গ্রহণ করবে।`
রোববার (০৭ জানুয়ারি ২০২৩) সকালে উত্তরা রাজউক মডেল কলেজ কেন্দ্রে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দেয়ার পরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন ডিএনসিসি মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম।
ট্রেনে অগ্নি সন্ত্রাসকে অমানবিক ও পৈশাচিক উল্লেখ করে মেয়র বলেন, `অগ্নি সন্ত্রাস করে বাচ্চাদের হত্যা করা অমানুষিক। বিএনপি, জামায়াতের অগ্নি সন্ত্রাস প্রমাণ করে যারা দেশের স্বাধীনতা চায় নাই, যারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসর তারা এখনো আছে। তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। পেট্রোল মেরে, বোমা মেরে, মানুষ খুন করে ভোটের ধারাকে ব্যহত করা যাবে না। জনগণের ভোটে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকবে।`
মেয়র বলেন, `স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ইশতেহার ঘোষণা করেছেন জনগণ বিপুল ভোটে নৌকাকে বিজয়ী করবে। আমি বলি নৌকার কোন ব্যাক গিয়ার নাই, নৌকার গিয়ার একটি সেটি হলো উন্নয়নের গিয়ার। আজ ভোটের দিন সবার মধ্যে ঈদের আনন্দের মতো উৎসব। পুরো শহরে পুলিশ বাহিনী নিরবিচ্ছিন্ন নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে৷ সুন্দর আবহাওয়া সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি আপনারা ভোট কেন্দ্রে আসুন, ভোট দিন।`
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, `পাঁচ বছর জাতীয় নির্বাচন হয়। ভোট দেওয়া জনগণের নাগরিক অধিকার। খুব সুন্দর সুশৃঙ্খল ভোটের পরিবেশ বিরাজ করছে। আমি নগরবাসীকে অনুরোধ করবো সবাই ভোট দিন, আপনাদের নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করুন। আমি বিশ্বাস করি এবছর ভোটের পার্সেন্টেজ বিগত সময়ের তুলনায় অনেক বেশি হবে। শীতের সকাল তাই বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটারের উপস্থিতি অনেক বাড়বে।`
|
|
|
|
|
|
|