সহকারী পরিচালক শামসুল কবিরের ইশারায় বিআরটিএর ঘুষ বানিজ্য"
Date : 25-5-2024
স্টাফ রিপোর্টার, মাহমুদুল হাসানঃ
প্রবাদ আছে চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনী। বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি বিআরটিএ মিরপুর শাখার মোটরসাইকেল মালিকানা ও মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন শাখায় সহকারি পরিচালক হিসেবে কিছুদিন আগে যোগদান করেছে শামসুল কবির।এর আগেও সে মিরপুর বিআরটিএ রেজিস্ট্রেশন শাখায় কর্মরত ছিলেন। এবং পর্যক্রমে ইকুরিয়া সহ নানা বিআরটিএ কর্মরত ছিল। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মিরপুর বিআরটিএ যোগদান করেন সহকারী পরিচালক শামসুল কবির। সে মিরপুরে থাকাকালীন সময়ে বিভিন্ন রকম সিএনজি অবৈধভাবে মালিকানা ও রেজিস্ট্রেশন করে দেয়। যাহা বর্তমানে দুদকে তদন্ত চলমান। শামসুল কবিরের মোটরযান পরিদর্শক মোট দুইজন মোটরসাইকেল মালিকানায় মো:তাজুল যিনি শামসুল কবিরের ভাগিনা,যার মাধ্যমে সে আবারো দূর্নীতির পাখা মেলে ধরতে সক্ষম হয়েছে। মোটরযান পরিদর্শক তাজুলের অফিস সহকারি,মনির,নিগার সুলতানা,জিয়া এদের প্রত্যেকের রুমে রয়েছে এক ডজন করে পালিত গ্যাটিজ। যাদের মাধ্যমে দিনের পর দিন গ্রাহকের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা লেনদেন করে এই অসাধু কর্মকর্তারা। অফিস সহকারী মনির রুম নাম্বার ১১৮ তার প্রধান সহযোগী গ্যাটিস জিকু, গ্রাহকদের বলে সরকারি কর্মচারী বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে জড়িত এই জিকু সরকারি নিয়ম তোয়াক্কা না করেই মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে গাড়ির মালিকানা করে ফেলতেছে। উল্লেখযোগ্য আরো রয়েছে সজীব,হালিম সহ আরো অনেকে। গ্রাহকরা মালিকানা স্লিপের জন্য গেলে শুরু হয়ে যায় বিভিন্ন রকম তালবাহানা,টাকা না দিলে কোন স্লীপ তাদের কম্পিউটারে নড়ে না, প্রতিটি মালিকানায় ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকে এই অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীরা। অফিস সহকারি নিগার সুলতানা তার রুম ৩১২,একই অভিযোগে টাকা না দিলে ধরে না কোন ফাইল। নিগার সুলতানার প্রধান সহযোগী সোলায়মান যিনি কম্পিউটার অপারেটর তার মাধ্যমে সে দিনের পর দিন অসৎ ভাবে সরকারি টেবিল চেয়ারে ব্যবহার করে জনগণের সেবার নামে করছে কারচুপি। অভিনব প্রতিটা মালিকানা স্লিপে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। এ যেন দেখার আর কেউ নেই। রুম নাম্বার ৩১৪ অফিস সহকারী জিয়া সে ও অভিনব কায়দায় করছে কারচুপি। এর রুমে ও ডজন খানিক গ্যাটিক। তারা হলো আজাদ, রাসেল, আরিফ, অপি সহ আরো অনেকে। একই রকম নাম্বার অনুযায়ী বিভাক্ত হচ্ছে রুম, গ্রাহকরা ফাইল নিয়ে গেলে হয়রানি হতে হয় পদে পদে, সরকারি ফির বাহিরে টাকা দিলে এদের কাছে সবই সম্ভব। সরকারি অফিসে যেন ঘুষের নৈরাজ্য।
সহকারী পরিচালক শামসুল কবিরের মোটরযান পরিদর্শক রেজিস্ট্রেশন শাখায় রয়েছে কর্মরত ফয়েজ। যার মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকা নিচ্ছে বিআরটিএ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। মোটরযান পরিদর্শক ফয়েজের একাধিক সম্পর্ক বিভিন্ন মোটরসাইকেলের শোরুম গুলোতে যার মাধ্যমে দিনের পর দিন দুর্নীতি করে আসছে এই মোটরযান পরিদর্শক ফয়েজ। ইয়ামাহা, র্যাংস, হুন্ডা সুজুকি, সহ সকল শোরুমের লোক আছে ফয়েজের রুমে। রায়হান, নাঈম, সুমন, ও সজীব সহ আরো অনেকে প্রতিনিয়ত ১৫ থেকে ২০টা গাড়ির রেজিস্ট্রেশনের ফাইল নিয়ে আসে। এই সব গাড়ি সীন করা ছাড়াই হয়ে যায় রেজিস্ট্রেশন শুধু টাকার বিনিময়ে। এই ঘুষ দুর্নীতির সাথে সহকারী পরিচালক শামসুল কবির বহু আগে থেকেই পরিচিত। তাই সে এখানে আসার পরে তার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তোয়াক্কা করে না কাউকে। জনগণের স্বার্থে, বাংলাদেশের স্বার্থে, সরকারের সোনার বাংলাকে যারা ঘুষ বাণিজ্যে পরিণত করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি দাবী করেছে সেবা নিতে আসা সাধারন জনগন। বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার ও দুদকের মহা পরিচালক শিরিন পারভিন কে স্মারকলিপি প্রধান করা হলো।