নিজেস্ব প্রতিবেদক
কথাশিল্পী শওকত ওসমান ছিলেন অসাম্প্রদায়িক, যুক্তিবাদী, এবং শোষিত মানুষের মুক্তির প্রতীক। তাঁর সাহিত্য আধুনিকতা, ইতিহাস-সচেতনতা, এবং মানবমুক্তির বার্তা বহন করে।
২ জানুয়ারি ২০২৫ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর বাংলামোটরে
বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের মিলনায়তনে " কথাশিল্পী শওকত ওসমান স্মৃতি পরিষদের আয়োজনে ১০৮তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শওকত ওসমানের কনিষ্ঠ পুত্রের উপস্থিতিতে
অনুষ্ঠানের শুরুতে কথাশিল্পী শওকত ওসমানের ওপর নির্মিত একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে বক্তব্যে প্রদান করেন একাডেমির সভাপতি, অধ্যাপক ড. আবুল কাশেম ফজলুল হক। তিনি বলেন, “চল্লিশের দশকে যে কয়েকজন তরুণ লেখক কথা ও কবিতায় আধুনিকতা এনেছিলেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন শওকত ওসমান।
পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. দিপু সিদ্দিকী বলেন, “শওকত ওসমান সত্যিকারের বিপ্লবী ও বিদ্রোহী লেখক ছিলেন। তিনি ওসমানের পূর্ণাঙ্গ রচনাবলী প্রকাশের আহ্বান জানান এবং ঢাকার একটি প্রধান সড়কে তাঁর নামে নামকরণ করার দাবি করেন।
কথাশিল্পী ও সাবেক সচিব ড. মোহাম্মদ আলী বলেন, “শওকত ওসমান ছিলেন সব্যসাচী লেখক। _সাহিত্যের পাশাপাশি তিনি দৈনন্দিন কলামে সাহসী সত্য প্রকাশ_ করতেন।
সময় প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফরিদ আহমদ বলেন, “শওকত ওসমানের রচনায় শোষিত মানুষের মুক্তির কথা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।”
অনুষ্ঠানের শেষে প্রধান অতিথি বাংলা একাডেমির সভাপতি রাস্ট্রচিন্তক, অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক এর কাছ থেকে সম্মাননা স্মারক গ্রহন করেন বাংলাদেশ পেশাদার সাংবাদিক ফোরাম এর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি কাজী শরিফুল ইসলাম শাকিল।
সঞ্চালনায় মেরিন নাজনীন।
|