ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর গুলশান বিভাগের গুলশান মডেল থানায় কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক মোঃ তৌহিদ আহম্মেদ কে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এটি ডিএমপি কর্তৃপক্ষের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যেখানে তিনি তার দায়িত্বাধীন এলাকায় ডাকাতির ঘটনা ঘটার পরও অভিযোগ নেওয়ার ক্ষেত্রে গাফিলতি এবং কালক্ষেপন করার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন।
মোঃ তৌহিদ আহম্মেদ, যিনি গুলশান মডেল থানায় অফিসার ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে তিনি ডাকাতির মতো গুরুতর একটি মামলার তদন্ত নিতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন। থানায় বাদি কর্তৃক অভিযোগ দাখিল করার পরেও পুলিশ পরিদর্শক তৌহিদ আহম্মেদ ওই মামলাটি যথাসময়ে গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন, যা পুলিশ বিভাগে শৃঙ্খলার অভাব এবং দায়িত্বে অবহেলা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ডিএমপি কর্তৃপক্ষ অভিযোগের ভিত্তিতে *ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (অধঃস্তন কর্মকর্তাদের শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০০৬ এর ৯(১) উপবিধি অনুযায়ী তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে। পুলিশ কমিশনারের কমিশন আদেশ নং-৩৫৮ এর মাধ্যমে তাকে অবিলম্বে দায়িত্ব থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মোঃ তৌহিদ আহম্মেদ সাময়িকভাবে বরখাস্ত থাকার সময় খোরপোষ ভাতা পেতে থাকবেন, এবং তাকে ডিএমপি সদর দপ্তর ও প্রশাসন বিভাগের কেন্দ্রীয় সংরক্ষণ দপ্তরে নিয়মিত হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রও প্রেরণ করা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শেখ মোঃ সাজ্জাত আলী এনডিসি এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, "আমরা দায়িত্বে অবহেলা এবং শৃঙ্খলা ভঙ্গের মতো ঘটনা সহ্য করতে পারি না। এই ধরনের গাফিলতি যে কোনো মূল্যেই প্রশ্রয়যোগ্য নয় এবং আমরা অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।"
এই ধরনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ডিএমপি কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন শৃঙ্খলাবদ্ধ কার্যক্রম গ্রহণ করবে, যাতে ভবিষ্যতে এমন গাফিলতির ঘটনা ঘটতে না পারে। পুলিশ বিভাগের মধ্যে দায়িত্বে অবহেলা ও অপরাধী বিরোধী কার্যক্রমকে আরও গতিশীল এবং শক্তিশালী করার জন্য অদূর ভবিষ্যতে আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এই ঘটনা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের জন্য একটি সতর্কতামূলক সংকেত এবং তাদের শৃঙ্খলা এবং কাজের মান বাড়ানোর জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরছে। এখন দেখতে হবে, সাময়িক বরখাস্তের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে এবং পুলিশ বিভাগের প্রতি জনগণের আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়।