সাদা পাথরের মাঝে প্রবাহমান শীতল স্বচ্ছ জলরাশি। নদীর নীচ থেকে উপরে তাকালে দুই তীরকে দেখে মনে হবে যেন পাহাড়ের মধ্যে বহমান একটি ছোট নদী। প্রকৃতির এমন নয়নাভিরাম দৃশ্যের সম্প্রতি দেখা মিলেছে গাইবান্ধা সদর উপজেলার খোলাহাটি ইউনিয়নের ভেড়ামারা ব্রীজের নিচে ঘাঘট নদীতে । প্রায় প্রতিদিনই কয়েকশত দর্শনার্থী প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য দর্শন করতে ছুটে আসছে এখানে।
অনেক দর্শনার্থী এটিকে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র সিলেটের জাফলংয়ের সাথে তুলনা করে মিনি জাফলং নাম দিয়েছে।
জানা যায়, গাইবান্ধা জেলা শহরের অদূরে উত্তর দিকে অবস্থিত ভেড়ামারা রেলওয়ে ব্রীজের পাশেই গত কয়েক মাস আগে একটা সেতু নির্মাণ করা হয়। পাশাপাশি অবস্থিত দুটি সেতুকে ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষা করতে প্রকৌশলীরা এখানে ছোট- বড় আকারের পাথর নদীতে ফেলে রাখে । বর্তমানে নদীর পানি অনেকটা শুকিয়ে যাওয়ায় পাথরগুলো দৃশ্যমান হয়ে সিলেটের জাফলংয়ের মতো একটি আবহ তৈরি হয়েছে।
এদিকে বৈশাখের তীব্র তাপদাহে নদীর শান্ত , শীতল জলের ছোঁয়া নিতে মিনি জাফলং খ্যাত ভেড়ামারা ব্রীজের নিচে নেমে স্নান উৎসব মেতে উঠেছে তরুণ তরুণীরা। ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের মধ্যে এক স্কুল ছাত্র জানান, ফেসবুকে দেখি অনেকেই মিনি জাফলংয়ে গিয়ে ছবি তুলছে । বন্ধুদের নিয়ে আমরাও আজকে গোসল করতে চলে এসেছি । এখানকার পরিবেশটি সত্যি অসাধারণ।
আরেক দর্শনার্থী বলেন, গাইবান্ধায় খুব একটা দর্শনীয় স্থান নেই । সেখানে নতুন একটা পর্যটন কেন্দ্র প্রাকৃতিক ভাবে তৈরি হয়েছে, এটা আমাদের মতো ভ্রমন পিপাসুদের কাছে অনেক বড় ব্যাপার । প্রশাসনের উচিত গাইবান্ধার সম্ভাবনাময় এসব পর্যটন কেন্দ্র সংরক্ষণ ও সৌন্দর্য বর্ধনে কাজ করা ।
গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদ আল হাসান বলেন, আমি বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছি । সরেজমিনে পরিদর্শন সাপেক্ষে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।