অজ্ঞাত কারনে প্রশাসন নিরব ভূমিকায়। এতে করে এ উপজেলায় তিন ফসলি জমি দিন দিন কমে যাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পাশের ফসলি জমি গুলো। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী উপজেলা প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানালেও, কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না এক শ্রেণীর অতি লোভী বালু ব্যবসায়ীরা মালখানগর তিন ফসলি জমি ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। ফলে এক দিকে ফসলি জমি নষ্ট অন্য দিকে আশেপাশের নদির পারের বসতি বাড়ি ও ভেঙে যাচ্ছে।
জানা গেছে, মালখানগর ডিগ্রি কলেজের উত্তর পাশের ডেজার পরিচালনা করছে, সাবেক এমপি মহিউদ্দিন পুএ আনিসুর রহমান রিয়াদ, লালন দেওয়ান, মালবদিয়ার ভূমি দস্যু মির্জা মাসুম ( ছটাইকা),আব্দুল আহাদ খান, বাড়ৈপাড়া গ্রামের ইউপি সদস্য সুরুজ্জামাল, নাইশিং গ্রামে বালু দিয়ে জমি ভরাট করছে ইউপি সদস্য সায়েম সিকদার। নদী ও খালের মধ্যে অবৈধভাবে সরকারি মাটি চুরি করে বিক্রি করে নাটেশ্বর গ্রামের আলমগির হোসেন। গত কয়েক বছর ধরে অবৈধ ভাবে ড্রেজার দিয়ে বিভিন্ন ফসলি জমি নষ্ট করে রমরমা এ বালু ব্যবসা করে নিজেদের কোটিপতি হয়ে গেছেন।
স্থানীয় কৃষকরা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তারা জানান, অবৈধ ভাবে ড্রেজার বসিয়ে ফসলি জমি নষ্ট করছে। কিন্তু বালু উত্তোলন কারী ব্যবসায়ীরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায়নি। তবে প্রশাসন বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ড্রেজার বন্ধ করলেও পূনরায় আবার ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছেন।
এলাকাবাসীরা জানান, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘ দিনের পর দিন এলাকার কিছু প্রভাবশালী লোকদের ম্যানেজ করে অবৈধ বালু উত্তোলনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। বিষয়টি এখনি নজর না দিলে ভবিষ্যতে ফসিল জমিগুলো হারিয়ে যাবে।
এছাড়া একই ভাবে উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নে গত কয়েক মাস ধরে টানা ফসলি জমি নষ্ট করে মাঠকে মাঠ নষ্ট করে আসছে অসাধু বালু ব্যবসায়ীরা।
সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ জানান, তাদেরকে নিষেধ দেওয়া হয়েছিল তারা মানে নেই এখন প্রশাসন নিজ থেকে উদ্যোগ নিয়ে অপসারণ করবে।