সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি : জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে চার বছরের শিশুকে পাটক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের চাপারকোনা উত্তর পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (৮ জুলাই) দুপুরে শিশুটি বাড়ীর পাশে রাস্তায় খেলতে ছিল। এমন সময় একই গ্রামের মৃত কাজম আলী গাড়িয়ালের ছেলে রমজান আলী (৬৫) শিশুটিকে সদাই কিনে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ীর পাশে পাটক্ষেতে ডেকে নিয়ে যায়। শিশুটির ভাষ্যমতে , তার প্যান্ট খুলে গোপনাঙ্গে স্পর্শ করে এবং ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। পরে শিশুটি কান্নাকাটি শুরু করলে তাকে মেরে ফেলার ভয়-ভীতি দেখায় এবং বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য ১০ টাকা হাতে দিয়ে সদাই খেতে বলে।
পরে শিশুটি বাড়ীতে এলে তার ভীতিকর শারীরিক অবস্থা দেখে তার নানী জিজ্ঞেস করে তার কি হয়েছে। তখন শিশুটি ঘটনার বিস্তারিত খুলে বলে এবং তাকে মেরে ফেলবে বলে ভয়ে কান্নাকাটি করে।
এ বিষয়টি শিশুটির নানী এলাকার গণ্যমান্য কয়েকজনকে জানালে ধর্ষক রমজান আলীর পরিবার পাত্তা না দিয়ে উল্টো শিশুটির পরিবারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ শাসিয়ে যান।
জানা যায়, শিশুটির নানা সাবেক ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম। তিনি ঢাকায় থাকার কারণে এই বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নিতে পারছিলেন না তার পরিবার। তাই ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম ঢাকা থেকে ১২ জুলাই বুধবার দুপুরে এসে সরিষাবাড়ী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
নানা নুরুল ইসলাম ভোরের সময় কে বলেন, শিশুটি খুবই অসহায়, মায়ের গর্ভকালীন থাকা অবস্থায় বাবা-মার ডিভোর্স হয়ে যায়। জন্মের পর হতেই শিশুটি আমার কাছেই আছে এবং আমিই লালন পালন করছি। শিশুটির বয়স যখন দুই বছর। তখন ওর মায়ের আবারও অন্যত্র বিয়ে হয়ে যায়। ওর বয়স এখন পাঁচ চলছে। নিষ্পাপ এই শিশুটির সাথে যা ঘটেছে তা খুবই অমানবিক ও জঘন্যতম কাজ। আমি ঘৃণিত এ অপরাধ নানা হয়ে মেনে নিতে পারছিনা। এছাড়াও অপরাধী ও তার পরিবারবর্গ উল্টো আমাদেরকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। তাই থানায় অভিযোগ নিয়ে এসেছি মামলা করবো। এঘটনার উপযুক্ত বিচার চাই আমি বলে জানান।
শিশুটির নানী ছফুরা বেগম বলেন, রমজান আলী আমাদের বাড়ীর পাশেই চাষাবাদ করেন। সে বয়স্ক একজন মানুষ হয়ে এমন জঘন্য কাজ করবে আমি ভাবতেই পারি না। আমি বিষয়টি জানার জন্য তাকে বাড়ীতে আসতে বলে ছিলাম কিন্তু সে আসেনি। উল্টো আমাকে গালিগালাজ করেছে। তাদের টাকা আছে বলে তা ইচ্ছে তাই করে যাবে। আমি এর উচিৎ বিচার চাই।
এ বিষয় সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ মহব্বত কবীর ভোরের সময় কে জানান, অভিযোগ পেয়েছি এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছি।