নিজস্ব প্রতিবেদক
মিরপুর বিআরটিএ-এর বাইরে অবৈধভাবে কম্পিউটার দোকানদার আজিম ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য ড্রপ টেস্ট বিক্রি ও ভুয়া মেডিকেল রিপোর্টে ডাক্তারি সিল ব্যবহার করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার এই অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রক্রিয়া সহজ এবং দ্রুত করতে চাইলে সাধারণ জনগণ বিপুল পরিমাণ অর্থ দিয়ে প্রতারিত হচ্ছেন।
অভিযোগ অনুযায়ী, আজিম তার কম্পিউটার দোকান থেকেই এসব কার্যক্রম চালাচ্ছে, যেখানে এক হাজার টাকার বিনিময়ে ড্রপ টেস্ট এবং সঠিকভাবে পরীক্ষা না করেই ভুয়া মেডিকেল রিপোর্ট প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়াও, চিকিৎসকদের নামের সিল ব্যবহার করে ভুয়া মেডিকেল রিপোর্টও তৈরি করছে, যার মাধ্যমে নিয়মবিরোধীভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির সুযোগ পাচ্ছে বহু মানুষ।
এই রিপোর্টটি পরে বিআরটিএ অফিসে জমা দিয়ে সহজেই লাইসেন্স সংগ্রহ করা হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকরা মিরপুর বিআরটিএ-র লাইসেন্স শাখার সহকারী পরিচালক (এডি) মোবারক সাহেবকে যোগাযোগ করলে তিনি কোনো মন্তব্য দিতে রাজি হননি। যদিও তার অফিসের সহকারীর মাধ্যমে ফাইল যাচাই-বাছাই করা হয়। এর ফলে প্রশ্ন উঠছে, যদি বাহিরের লোক এই সহায়তা পেয়ে থাকে, তাহলে সাধারণ জনগণের সাথে প্রতারণা হওয়া কি অস্বাভাবিক?
এভাবে অবৈধ কার্যক্রম চালিয়ে জনগণের সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে, এবং এর ফলে সড়ক নিরাপত্তা ও সঠিক লাইসেন্সিং প্রক্রিয়া পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিআরটিএ কর্তৃপক্ষের উচিত অবিলম্বে এই ধরনের কার্যক্রমের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের অনিয়ম বন্ধ করা যায়।
বিআরটিএ-এর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা ইতোমধ্যে এই অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছেন এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এই ধরনের সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার মাধ্যমে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কর্তৃপক্ষ তৎপর রয়েছে।
বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ জনগণকে সচেতন করার পাশাপাশি অবিলম্বে এই ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সুরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করার কথা জানায়।
|