মাহমুদুল হাসান
রাজধানীর মধ্য বাড্ডার ৪ নম্বর গলিতে গতকাল রাতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে বিএনপির গুলশান থানা যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল হাসান সাধন নিহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, রাত আনুমানিক ৮টার দিকে সাধন গোদারা ঘাটের একটি চায়ের দোকানের সামনে অনুরাধা কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। ঠিক সেই সময় পেছন থেকে দুইজন অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসী হঠাৎ করে সাধনের ওপর গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে দ্রুত হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসকদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাধনের মাথা ও বুকে মোট চারটি গুলি লেগেছে।
সাধনের স্ত্রী জানান, তিনি প্রায়ই গুলশানে আড্ডা দিতেন এবং তাকে বলতেন একজন ব্যক্তির কথা, যিনি সাধনকে ক্ষতি করার চেষ্টা করতেন। তবে ওই ব্যক্তির পরিচয় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তদন্তের আগে এখন নাম বলতে চাচ্ছেন না। সাধনের স্ত্রী ও মেয়ে দ্রুত হত্যার কারণ জানতে চান এবং পুলিশের কাছে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান।
বাড্ডা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, "আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে এবং সন্দেহভাজনদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।" তিনি আরও বলেন, "হত্যার পেছনে ব্যক্তিগত শত্রুতা বা রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব থাকতে পারে, তবে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।"
সাধনের মৃত্যুর পর এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সাধনের সহকর্মীরা এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।
সাধনের পরিবার ও সহকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে, স্থানীয় জনগণ এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন।