মাহমুদুল হাসান
বাংলাদেশের সরকারি সেবাপ্রদান ব্যবস্থায় যখন দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ প্রায়শই শোনা যায়, তখন কিছু ব্যতিক্রমী কর্মকর্তা তাদের নিষ্ঠা ও মানবিক আচরণ দিয়ে সাধারণ মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নেন। তাদেরই একজন হলেন চন্দনপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক নাজমা আক্তার।
নাজমা আক্তার তার কর্মদক্ষতা, সততা ও মানবিক আচরণের মাধ্যমে স্থানীয় জনগণের মধ্যে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তিনি প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নিরলসভাবে জনগণের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন, যা সরকারি অফিসের নিয়মিত সময়সীমার বাইরেও বিস্তৃত। তার এই অতিরিক্ত সময়ের সেবা অনেক গ্রাহকের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ।
নাজমার এই সেবামূলক মনোভাবের পেছনে রয়েছে তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রেরণা। তিনি জানান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) লুৎফন নাহার শারমিন ম্যাডামের কাছ থেকে তিনি শিখেছেন কিভাবে জনগণের মুখে হাসি ফোটাতে হয়। এই শিক্ষাই তাকে প্রতিদিন নতুন উদ্যমে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করে।
পারিবারিক জীবনে নাজমা আক্তার একজন মা ও স্ত্রী। তিনি তার সন্তানকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে সমাজের একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে চান। তার এই ব্যক্তিগত দায়িত্ববোধই পেশাগত জীবনে তার নিষ্ঠা ও সততার প্রতিফলন ঘটায়।
স্থানীয় জনগণ নাজমা আক্তারের সেবামূলক মনোভাব ও পেশাদারিত্বে মুগ্ধ। তারা মনে করেন, যদি প্রতিটি সরকারি অফিসে নাজমার মতো কর্মকর্তা থাকতেন, তবে দেশের সেবাপ্রদান ব্যবস্থায় একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আসত।
নাজমা আক্তারের এই মানবিকতা ও পেশাদারিত্ব আমাদের সকলের জন্য অনুকরণীয়। তার মতো কর্মকর্তারা প্রমাণ করেন যে, সৎ ইচ্ছা ও নিষ্ঠার মাধ্যমে সরকারি সেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব।