রাজনৈতিক পরিচয় মিজানুর রহমান মিলন মোল্লার ডিজিটাল ব্ল্যাকমেইল
Date : 10-7-2024
মাহমুদুল হাসান :
রাজধানীর গুলশান ডিপ্লোমেটিক জোন কুটনীতিক পাড়া। গুলশান , হেয়ার কাটিং সেলুন, বিউটি পার্লার, স্পা সেন্টার,নানান নামে-বেনামে তরুণ-তরুণী দিয়ে চলছে জমজমাট মাদক সহ ব্ল্যাকমেইল রমরমা বাণিজ্য। ভয়ংকর অপরাধমূলোক কর্মকান্ড। আইন শৃংখ্যলা পরিস্থিতি চরম অবক্ষয়ের কারনে অনেকটা প্রকশ্যেই নীতিহীন ঘৃনীত জেনা ব্যাভিচার আর মাদকতায় সয়লাভ করে দিচ্ছে। কি ভাবে স্থানীয় থানা পুলিশের নাকের ডগার উপরে অনৈতিক কর্মকান্ড চলছে তা সকলের বোধগম্য নয়। উর্তিবয়সী রমনীদের পুঁজি করে মানবপাচার চক্রের সক্রিয় কিছু সদস্যরা ইতিমধ্যে তাদের সুবিধা মতো স্থানে অশ্লীলতার নিরাপদ আখড়া গড়ে তুলেছে। অসামাজিক কাজের মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের চিন্তা নিয়ে তৈরি করা হয়েছে স্পা নামে অনৈতিক কাজের প্রতিষ্ঠানগুলো। বডি ম্যাসাজ স্যালুনের আড়ালে অবৈধ যৌন ব্যবসা করা সেন্টারগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে অতি চিহ্নিত একাধিক মানব পাচার প্রতিরোধ আইনে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। এদের পরিচালিত অশ্লীল কর্মের প্রতিষ্ঠানগুলো অনেকটা স্বীকৃত ব্যবসার মতো উন্মুক্ত ভাবে চলছে।
অনুসন্ধানে জানা যায় গুলশানে প্রতিটি স্পা প্রায় তারা একটা ট্রেড লাইসেন্স আর বাড়ী ভাড়া নিয়ে বিউটি পার্লার অথবা হেয়ার কাটিং দেদারসে মাদক বিক্রি ও দেহপসারিনির পতিতা বৃত্তির যৌন ধান্ধার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
সমাজবিরোধী কাজের মাধ্যমে তারা অর্থ হাতিয়ে নিতে অভিজাত এলাকাকে নিজেদের নিরাপদ স্থান হিসেবে বেঁচে নিয়েছে। এসব এলাকায় উচ্চ বিত্ত পরিবারের ছেলে মেয়েদের চলাফেরাও থাকে খুব বেশী। মূলত এদের লক্ষ্য করে তাদের অনৈতিক কাজের আকৃষ্ট করণ পসরাটা সাজানো হয়েছে। পূর্বের ধরপাকড় আতঙ্ক কাটিয়ে অনেকটা স্বস্থিতে তাদের আখড়া গড়ে তুলছে ।
(অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের ঠিকানা)
সম্পত্তি, গুলশান ১-এ বীর উত্তম মীর শওকত সড়কের সিটি ব্যাংকের রাস্তার পশ্চিম পাশে, মালিক নাম–মিজানুর রহমান মিলন মোল্লা, আবার পরিচয় দেয় বনানী থানা শ্রমিকলীগের সভাপতি। তাছাড়া মিলন মোল্লা সে নিজেকে দাবি করেন তিনি নাকি সাংবাদিক।
লিফটের ২, গুলশান ১ সিটি সেন্টারের অপজিটে স্পা আড়ালে মাদক, মানব পাচার এ বিষয়ে আমাদের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। তবে পুলিশ প্রতিদিন এসব প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালালে কাউকে পায় না। এর অন্যতম কারন হচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলো সিসি ক্যামেরা দ্বাড়া নিয়ন্ত্রিত এবং পুলিশ আশার আগেই একটি কুচক্র মহল তাদেরকে জানিয়ে দেয়। যার ফলে অপরাধীরা নিরাপদ স্থানে ছিটকে পড়ে। এবং হেয়ারিং সেন্টার খুলে তারা অনৈতিক কর্মকান্ড করছে। সেখানে রয়েছে অত্যাধুনিক সয়ংক্রিয় অটোমেটিক লক সিস্টেম সু-সজ্জিত ১০টি কামরা, যেখানে অত্যান্ত সুদ্ররী যুবতি রমনিরা অর্থের বিনিময়ে প্রতি নিয়ত অসংখ্য খরিদ্দারের কামনার তৃপ্তির খোরাক মেটাতে সজ্জাসংগি হচ্ছে। খোজ নিয়ে জানা যায় ,মিজানুর রহমান মিলন মোল্লা, অন্যদিকে গোপন ক্যামেরার সাহায্যে ডিজিটাল ব্ল্যাকমেইল হয়রানির মাধ্যমে মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে দিচ্ছে। কথিত স্পা সেন্টারের অন্তরালে চলছে ভয়ংকর মাদক দ্রব্য স্মাগলিং চোরাকারবারী আর সুন্দরী যুবতি রমনিদের দেহ বিক্রি করে পাশ্চাত্য স্টাইলে সবচেয়ে নোংড়া ও নিকৃষ্ট পাপাচার, তারা জেনা ব্যাভিচারের অবৈধ যৌনতার বিষ বাস্প ছড়িয়ে দিয়ে সমাজকে প্রতিনিয়ত ধংষ করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়। সেখানে প্রতিদিন সন্ধার পর সব ভয়ংকর প্রকৃতির লোকের সমাগম লক্ষ করা যায়। এমনকি প্রশাসনের কতিপয় অফিসার ও সেখানে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে এবং অশ্লীল কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে। গুলশান সোসাইটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করে সমাজ থেকে অশ্লীলতা পাপাচার দুর করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানায় স্থানীয় সচেতন নাগরিক সমাজ।
এসব সেন্টারগুলোতে তথ্য অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা যায় সূসজ্জিত রুমের ভিতরে কেউ সেবা নিয়ে বের হচ্ছে আবার কেউ অপেক্ষা করছে তার কাঙ্ক্ষিত রমনীর সাথে অশ্লীল মনরঞ্জন ভোগ করার জন্য। আর ভিতরে কয়েকটি রুমে দেদাড়ছে চলছে অসামাজিক কর্মকাণ্ড। তাছাড়া আরো খোঁজ নিয়ে জানা যায় গুলশান ২৫ ও ১৩০ বাড়ি নং ২৮ লিপ্টের -৪ লাবনী আক্তার ইভা ভবনটিতে একটি অশ্লীল কর্মযজ্ঞের প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাহলে এই হচ্ছে বাস্তবতা এদের এমন কর্মকাণ্ডের কারণে আজ সমাজের ভদ্র নারীরাও নিরাপদ নয়। তাই এই ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপের সাথে জড়িত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো নির্মূল করতে প্রশাসনের নজর বৃদ্ধি করা অতিব জরুরী হয়ে পড়েছে বলে মনে করেন অনেকে।
এছাড়াও এসব স্পার আড়ালে চলে মাদক বাণিজ্যও ব্ল্যাকমেইলিংয়ের কর্মযজ্ঞ। স্থানীয় কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান তাদের বিরুদ্ধে গুলশান বিভাগের ডিসির কাছে কয়েকবার অভিযোগ করলেও অ্যাকশনে যায়নি পুলিশ। তবে পূর্বে এমন ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অনেক গুলো মানবপাচার মামলাও হয়েছিলো। তবুও অসামাজিক কার্যকলাপ থেমে নেই। তারা আবারো তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া এখনো বসবাসকারীদের কাছে অন্যতম প্রত্যাশা হয়ে দাঁড়িয়েছে।